গমের মূল কোন ধরনের? গম চাষে কত সে.মি. সেচের পানির প্রয়োজন হয়? গমের জীবন কাল সাধারণত কত দিন হয়ে থাকে?,রবি ও খরিফ উভয় মৌসুমে চাষ হয় এমন টমেটো জাতের নাম সহ জীবনকাল ও উভয় মৌসুমে ফলন লিখুন

প্রশ্ন সমাধান: গমের মূল কোন ধরনের? গম চাষে কত সে.মি. সেচের পানির প্রয়োজন হয়? গমের জীবন কাল সাধারণত কত দিন হয়ে থাকে?,রবি ও খরিফ উভয় মৌসুমে চাষ হয় এমন টমেটো জাতের নাম সহ জীবনকাল ও উভয় মৌসুমে ফলন লিখুন ,সেচ পদ্ধতির প্রকারভেদ ও পানি নিষ্কাশন পদ্ধতির নাম লিখুন। বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য ০৫ (পাঁচ)টি সেচ প্রকল্পের নাম লিখুন।,ফসল মৌসুমের নামসহ সময়কাল লিখুন

(ক) গমের মূল কোন ধরনের? গম চাষে কত সে.মি. সেচের পানির প্রয়োজন হয়? গমের জীবন কাল সাধারণত কত দিন হয়ে থাকে?
(খ) রবি ও খরিফ উভয় মৌসুমে চাষ হয় এমন টমেটো জাতের নাম সহ জীবনকাল ও উভয় মৌসুমে ফলন লিখুন ।
(গ) সেচ পদ্ধতির প্রকারভেদ ও পানি নিষ্কাশন পদ্ধতির নাম লিখুন। বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য ০৫ (পাঁচ)টি সেচ প্রকল্পের নাম লিখুন।

ফসলের প্রকৃতি সেচের পানির উৎস, মাটির প্রকারভেদ, জমির বদ্ধতা ইত্যাদি বিবেচনা করে পানি সেচ করতে হয়। পানি সেচের প্রচলিত পদ্ধতিগুলো নিচে আলাপ করা হলো। জমির উপরিভাগে পানি সেচ দেওয়া: এ পদ্ধতিতে মাঠের উপরের অংশে পানি সরবরাহ করা হয় । এ পানি উৎস থেকে পাম্প ও দেশীয় পদ্ধতিতে সেচে জমিতে দেওয়া হয় ।

ভূগর্ভস্থ পদ্ধতি: মাটিতে বিশেষ ধরনের নালা কেটে অথবা পাইপ বসিয়ে গাছের মূল অঞ্চলে সরবরাহ করাই ভূগর্ভস্থ পদ্ধতি। পাইপগুলি সমান্তরালভাবে ১৫০-৩০০ সে.মি দূরে দূরে ৩০-৫০ সে.মি. গভীরতায় স্থাপন করতে হয়। সরবরাহ পাইপ ১০-১৫ সে.মি. ব্যাসযুক্ত হওয়া উচিত। ড্রিপ পদ্ধতিঃ যে সকল অঞ্চলে পানির বেশি অভাব এবং মাটি লবণাক্ত ঐ সকল অঞ্চলে ড্রিপ পদ্ধতিতে পানি সেচ দেওয়া হয় হয়। সৌদি আরবে বনায়নের জন্য সেচের ড্রিপ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। প্রতিটি চারা গাছের গোড়ায় একটি ছোট পাইপের সংযোগ থাকে। পানি সর্বক্ষণ ফোটায় ফোটায় গাছের গোড়ায় পরে। আমাদের দেশে শুল্ক সময়ে এ পদ্ধতি ব্যবহার সম্ভব।

ফোয়ারা পদ্ধতি: পানি সেচের এটা একটি আধুনিক পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে সেচের জন্য পাইপ ও শাখা পাইপ ব্যবহার করা হয়। শাখা পাইপ এর মুখ ছিদ্র যুক্ত হয়। তাই পানি সরবরাহ শুরু

হলে পানির চাপে ছিদ্র দিয়ে পানি উপরে উঠে যায় এবং বৃষ্টির মত পরে। এই পদ্ধতিতে পানি সেচ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাগানে সীমিত হলেও এর ব্যপকতা মাঠ ফসলের ক্ষেত্রেও বাড়ছে। পানি নিষ্কাশন পদ্ধতি: ভূ পৃষ্ঠস্থ পানি নিষ্কাশন, ভূমধ্যস্থ পানি নিষ্কাশন


আরো ও সাজেশন:-

বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য ০৫ (পাঁচ)টি সেচ প্রকল্পের নাম :


গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্প
মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্প তিস্তা সেচ প্রকল্প
মুহুরী প্রজেক্ট (Muhuri Project) বা মুহুরী প্রকল্প বরিশাল- পটুয়াখালী সেচ প্রকল্প

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

(ক) ফসল মৌসুমের নামসহ সময়কাল লিখুন।

কৃষি মৌসুম তিনটা
রবি সময়কাল = ১৬ অক্টোবর থেকে ১৫ মার্চ ‘
খরিফ ১ = ১৬ মার্চ থেকে ১৫ জুলাই
খরিফ ২ =১৬ জুলাই থেকে ১৫ অক্টোবর ।

(খ) হাওড় অঞ্চলের উপযোগী বোরো ধানের জাত, বীজ বপন ও চারা রোপণের সময়কাল লিখুন ।

উত্তর: জমির অবস্থান, উর্বরতা ও পাহাড়ি ঢল নামার সময় বুঝে উপযুক্ত ধানের জাত নির্বাচন করতে হবে। হাওর অঞ্চলে স্বল্প জীবনকালীন ধানের জাত ব্যবহার করাই অতি উত্তম । তবে হাওরের কান্দা বা উঁচু জায়গা বা স্কিমের জমিতে ব্রি ধান৫৮, ব্রি ধান২৯, ব্রি ধান৬৭, ব্রি ধান৮৯ ও ব্রি – ধান৯২ এসব দীর্ঘ জীবনকালীন (১৫০ দিন বা বেশি) জাত আবাদ করতে পারেন। হাওরের তলানি বা নিচের দিকে অবশ্যই স্বল্প জীবনকালীন জাত (১৪০-১৪৫ দিন) যেমন ব্রি ধান২৮, ব্রি ধান৬৭, ব্রি ধান৭৪, ব্রি ধান৮৮, ব্রি হাইব্রিড ধান ৩, ব্রি হাইব্রিড ধান ৫ এবং এসএলএইচ চাষাবাদ করতে পারেন। তবে হাওরের একেবারে তলানিতে উফশী বোরো ধান আবাদ না করাই শ্রেয়। বেসরকারিভাবে বাজারজাতকৃত বিভিন্ন কোম্পানীর হাইব্রিড ধান যেমন তেজগোল্ড, ছক্কা, সুবর্ণ-৩, জনকরাজ, সিনজেন্টা ১২০৩, সিনজেন্টা ১২০৫, হীরা ০৬ এসব জাতগুলোও চাষাবাদ করতে পারেন।


Paragraph/Composition/Application/Email/Letter/Short Storiesউত্তর লিংক
ভাবসম্প্রসারণ/প্রবন্ধ, অনুচ্ছেদ/ রচনা/আবেদন পত্র/প্রতিবেদন/ চিঠি ও ইমেলউত্তর লিংক

বোরো ধানের প্রজনন পর্যায়ে শৈত্যপ্রবাহ কিংবা অতিরিক্ত গরম, তাছাড়া আগাম পাহাড়ী ঢল থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য দীর্ঘ জীবনকালীন জাত যেমন ব্রি ধান২৯ অবশ্যই নভেম্বর মাসের ০১ থেকে ০৭ তারিখের (১৭-২৩ কার্তিক) মধ্যে বীজতলা সম্পন্ন করে, ৩৫-৪৫ দিন বয়সী চারা মূল জমিতে রোপণ করতে হবে। আবার কম জীবনকালীন জাতের জন্য যেমন ব্রি ধান২৮ অবশ্যই ১৫ নভেম্বর থেকে ২১ নভেম্বরের (অগ্রহায়নের প্রথম সপ্তাহ) মধ্যে বীজতলা সম্পন্ন করে ৩০-৩৫ দিন বয়সী চারা মূল জমিতে রোপণ করতে হবে। গবেষণা থেকে জানা গেছে,

ধানের প্রজনন পর্যায়ে গড় তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর নিচে পাঁচ দিনের অধিক সময় বিরাজ করলে ধানের অতিরিক্ত চিটা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। স্বাভাবিক অবস্থায় হাওর এলাকায় বৈশাখের তৃতীয় সপ্তাহে (এপ্রিলের শেষ/মে মাসের শুরু) পাহাড়ি ঢলে বন্যা আসে। বৈশাখের প্রথম সপ্তাহ (১৪-২০ এপ্রিল) ধান পাকলে একদিকে যেমন চিটা হবে না, অন্যদিকে ধান তলিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমে যাবে।

বোরো ধানের চারা রোপণের সময় কম জীবনকালীন জাত যেমন ব্রি ধান২৮ বা ব্রি ধান৮৮ বা হাইব্রিড (১৫০ দিন বা তার চেয়ে কম জীবনকালের) ধানের জাতের ক্ষেত্রে ৩০-৩৫ দিনের চারা রোপন করতে হবে। দীর্ঘ জীবনকালীন জাত যেমন ব্রি ধান২৯ (১৫০ দিনের বেশি) জাতের ক্ষেত্রে ৩৫-৪৫ দিনের চারা রোপন করতে হবে। বাদামী গাছ ফড়িংয়ের আক্রমনপ্রবণ এলাকায় ২৫ সেমি ১৫ সেমি ব্যবধানে এবং লোগো পদ্ধতিতে (৮-১০ সারি পর পর সারি ফাঁকা রাখা) রোপন করা উত্তম।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও

Leave a Comment