গদ্য: হৈমন্তী,হৈমন্তীর পিতার পেশা কী ছিল?

গদ্য: হৈমন্তী

১. মিজান একজন উচ্চ শিক্ষিত ছেলে। কম্পিউটার সাইন্সে পড়ালেখা শেষ করেছে। চাকরির জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আবেদন করে যাচ্ছে। এ সময় তার আব্বা-আম্মা তার বিয়ে | ঠিক করে। বিয়েতে তার আব্বা কন্যাপক্ষের কাছে দশ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করে। বিষয়টি মিজান জানলেও কোন প্রতিবাদ করে না।

ক. হৈমন্তীর পিতার পেশা কী ছিল?

উত্তর: হৈমন্তীর বাবা (অপুর শ্বশুড়) (পশ্চিমের এক পাহাড়ের কোনো এক রাজার অধীনে চাকরি; শিক্ষাবিভাগের অধ্যক্ষ

খ. ‘মনে বুঝিলাম ইহারা অন্য জাতের মানুষ’- উক্তিটির অর্থ বুঝিয়ে দাও?

উত্তর: আমি মাঝে মাঝে তোমাকে টাকা পাঠাইব। তোমার বাবা জানিতে পারিলে কি রাগ করিবেন।”প্রশ্ন শুনিয়া কিছু আশ্চর্য হইলাম। সংসারে কোনো-একটা দিক হইতে অর্থসমাগম হইলে বাবা রাগ করিবেন, তাঁহার মেজাজ এত খারাপ তো দেখি নাই।যেন ঘুষ দিতেছেন,

এমনিভাবে আমার হাতে একখানা একশো টাকার নোট গুঁজিয়া দিয়াই আমার শ্বশুর দ্রুত প্রস্থান করিলেন; আমার প্রণাম লইবার জন্য সবুর করিলেন না। পিছন হইতে দেখিতে পাইলাম, এইবার পকেট হইতে রুমাল বাহির হইল।আমি স্তব্ধ হইয়া বসিয়া ভাবিতে লাগিলাম। মনে বুঝিলাম, ইহারা অন্য জাতের মানুষ।

( আমরা উপরে অংক টি তুলে ধরলাম আপনারা যথাযথ উত্তর দিবেন ??)

গ. উদ্দীপকের মিজান ও হৈমন্তী গল্পের অপুর মধ্যে কী মিল আছে আলােচনা কর।

উত্তর: মিজান ও হৈমন্তী গল্পের অপুর মধ্যে কী মিল ২ জনের মিল খালি শিক্ষা ও বিয়েতে যৌতুকে কোন প্রকার বাধা দেই না ।

মিজান একজন উচ্চ শিক্ষিত ছেলে। কম্পিউটার সাইন্সে পড়ালেখা শেষ করেছে। চাকরির জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আবেদন করে যাচ্ছে। এ সময় তার আব্বা-আম্মা তার বিয়ে | ঠিক করে। বিয়েতে তার আব্বা কন্যাপক্ষের কাছে দশ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করে। বিষয়টি মিজান জানলেও কোন প্রতিবাদ করে না।

হেমন্তী গল্পে অপুর সাথে উদ্দীপকের মিজানের অনেকগুলো মিল খুজে পাই গল্পে আমরা দেখতে পাই অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র 19 বছর বয়সে বিবাহ করেন বীমার সময় এমন তোর বাবা হেমন্ত বাবা ধারদেনা করে 15 হাজার টাকার নগদ 5000 টাকার গয়না মেয়েকে তার শেষ রক্ষা হয় না মেয়ে হয় লাশ

যৌতুকের লোভে অপুর মা-বাবা অপুকে বেশি বয়সী কনে বিয়ে করিয়েছিলেন এবং এ বয়সটি জনসমক্ষে চেপে রাখতে চেয়েছেন এবং হৈমন্তীকে আইবড় বলে নিন্দা করা হয়েছিল।

ঘ. উদ্দীপকের মিজানের মানসিকতা ও হৈমন্তী গল্পের অপুর মানসিকতা একই বলে তুমি মনে কর কী? উক্তিটির বিশ্লেষণধর্মী মতামত দাও?

উত্তর: উদ্দীপকের মিজানের মানসিকতা ও হৈমন্তী গল্পের অপুর মানসিকতা একই কারন উভয় হলো তার বাবার কথা আদর্শ ছেলে আর বিবাহের পরে যৌতুকের জন্য মেয়ের বাবাকের টাকার জন্য সব সময় চাপ দিতে থাকে অনপমের পরিবার ও অনুপম

মিজান একজন উচ্চ শিক্ষিত ছেলে। কম্পিউটার সাইন্সে পড়ালেখা শেষ করেছে। চাকরির জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আবেদন করে যাচ্ছে। এ সময় তার আব্বা-আম্মা তার বিয়ে | ঠিক করে। বিয়েতে তার আব্বা কন্যাপক্ষের কাছে দশ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করে। বিষয়টি মিজান জানলেও কোন প্রতিবাদ করে না।

হেমন্তী গল্পে অপুর সাথে উদ্দীপকের মিজানের অনেকগুলো মিল খুজে পাই গল্পে আমরা দেখতে পাই অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র 19 বছর বয়সে বিবাহ করেন বীমার সময় এমন তোর বাবা হেমন্ত বাবা ধারদেনা করে 15 হাজার টাকার নগদ 5000 টাকার গয়না মেয়েকে তার শেষ রক্ষা হয় না মেয়ে হয় লাশ

গৌরীশঙ্কর বাবু ছিলেন এ ক্ষেত্রে ব্যর্থ। কন্যার বিয়ের খরচের পরও উদ্বৃত্ত অর্থ-কড়ি রমেন বাবু সমাজে সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে দান করেছিলেন। অন্যদিকে, হৈমন্তীর বাবা গৌরীশঙ্কর বাবু ধার-দেনা করে ১৫ হাজার টাকা নগদ ও পাঁচ হাজার টাকার গয়না দিয়ে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন।


অবশেষে তুলনামূলক আলোচনায় বলা যায়, কন্যাদানের ক্ষেত্রে রমেন বাবু সফল হলেও গৌরীশঙ্গর বাবু ছিলেন হতভাগ্য পরাজিত পিতা। মেয়ের যৌতুকলোভী শ্বশুর-শাশুড়ির চাহিদা মেটাতে না পারার দায়ে আদরের সন্তান হৈমন্তীকে হারাতে হয়েছিল।

যৌতুকের লোভে অপুর মা-বাবা অপুকে বেশি বয়সী কনে বিয়ে করিয়েছিলেন এবং এ বয়সটি জনসমক্ষে চেপে রাখতে চেয়েছেন এবং হৈমন্তীকে আইবড় বলে নিন্দা করা হয়েছিল।

H.S.C

Leave a Comment