ক্ষুদ্র ব্যবসায় উন্নয়নের স্তরসমূহ আলোচনা কর, ক্ষুদ্র ব্যবসায় উন্নয়নে বিভিন্ন স্তরসমূহের বিবরণ দাও, ক্ষুদ্র ব্যবসায় উন্নয়নে বিভিন্ন ধাপগুলো তুলে ধর

প্রশ্ন সমাধান: ক্ষুদ্র ব্যবসায় উন্নয়নের স্তরসমূহ আলোচনা কর, ক্ষুদ্র ব্যবসায় উন্নয়নে বিভিন্ন স্তরসমূহের বিবরণ দাও, ক্ষুদ্র ব্যবসায় উন্নয়নে বিভিন্ন ধাপগুলো তুলে ধর

ক্ষুদ্র ব্যবসায় হচ্ছে এমন আকৃতির ব্যবসায় যা নিজস্ব মালিকানায় গঠিত ও পরিচালিত হয় এবং এর আকার ক্ষুদ্র হয়ে থাকে। যে কোনো ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান কতকগুলো পর্যায় বাস্তবের মাধ্যমে সংগঠিত হয় এ স্তরগুলো একের পর এক ধারাবাহিকভাবে আসতে থাকে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই স্তর ভিত্তিক কার্যসম্পাদিত হয়। বিভিন্ন লেখকগণ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের স্তরগুলোকে বিভিন্ন নামে আখ্যায়িত করেছেন নিচে তা আলোচনা করা হলো :
H. Karl vesper ১৯৭৯ সালে তার গবেষণায় ক্ষুদ্র ব্যবসায় গড়ে উঠার ৪টি স্তর উল্লেখ করেছেন।

এগুলো হচ্ছে :
১. ব্যবসায়ের প্রাক পৰ্যায়;
২. ব্যবসায় শুরু হওয়ার পর্যায়;
৩. ব্যবসায়ের প্রাথমিক উন্নয়ন পর্যায় ও
৪. চূড়ান্ত উন্নয়ন পর্যায়।

তার আগে ১৯৬৩ সালে Miller Harry ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের ৪টি স্তরের কথা উল্লেখ করেন ।

স্তরগুলো হচ্ছে :

টিকে থাকা;

প্রবৃদ্ধি ক্রমোন্নতি;

পূর্ণতা লাভ;

যে সকল লেখক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের উন্নয়নের পদক্ষেপ দেখিয়েছেন তার মধ্যে Miller Harry এবং Kari vesper এর পদক্ষেপগুলোর মধ্যে যথেষ্ট মিল রয়েছে। নিচে H. Karl. vesper এর দেওয়া পদক্ষেপগুলোর বর্ণনা করা হলো :


আরো ও সাজেশন:-

10

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

১. ব্যবসায়ের প্রাক পর্যায় : ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের উন্নয়নের প্রথম স্তর বা পদক্ষেপ হচ্ছে প্রাক পর্যায় বা সূচনা স্তর। এ স্তরে উদ্যোক্তা ব্যবসায় গড়ে তোলার ধারণা ও উন্নয়ন ও পরিকল্পনা এবং যোগাযোগের উন্নয়ন করেন। উদ্যোক্তা এ স্তরে বিভিন্ন সুযোগগুলো চিহ্নিত করেন ও প্রতিষ্ঠান কোন প্রকৃতির হবে এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

২. ব্যসায়ের শুরু হওয়ার পর্যায় : ক্ষুদ্র ব্যবসায় উন্নয়নের দ্বিতীয় স্তর হলো ব্যবসায় শুরু হওয়া পর্যায়। এই পর্যায়ে। উদ্যোক্তা ব্যবসায়ের জন্য স্থান নির্বাচন করে। ব্যবসায়ের ঝুঁকি ও মুনাফার বিশ্লেষণ ও করা হয়। এই স্তরে উদ্যোক্তা সংগঠনের প্রকৃতি কাঁচামালের সহজ লভ্যতা, শ্রমের প্রাপ্যতা, যোগাযোগ ব্যবস্থা, পরিবহণ সুবিধা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বিবেচনা করবেন । কোনো কাজ কখন শুরু হবে, কোনটি আগে শুরু হবে, কখন শেষ হবে তা সম্পর্কে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। প্রতিষ্ঠানের ঝুঁকি ও প্রাপ্তিসমূহকে বিশ্লেষণ করতে হবে এবং ঝুঁকির মোকাবিলায় উপায় খুঁজে বের করতে হবে।

৩. ব্যবসায়ের প্রাথমিক উন্নয়ন পর্যায় : ব্যবসায়ের প্রাথমিক উন্নয়ন পর্যায়ে উদ্যোক্তা সকল প্রচেষ্টাকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসায় শুরু করতে হয়। বাজারে পণ্য বা সেবার বাস্তব অবস্থা সম্বন্ধে জানার জন্য বাজারে অবস্থান ও ভোক্তার প্রতিক্রিয়া গ্রহণ করতে হয়। গৃহীত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কি কি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে তা নির্ধারণ করতে হবে। ভোক্তার প্রতিক্রিয়ার ফলাবর্তন এর উপর নির্ভর করে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয় ।

৪. চূড়ান্ত পর্যায় : ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের শেষ স্তর বা পদক্ষেপ হলো চূড়ান্ত উন্নয়ন পর্যায়। এ পর্যায়ে উদ্যোক্তা ব্যবসায়ের উন্নতি ও সম্প্রসরণের জন্য অভিজ্ঞ কর্মী দ্বারা একটি দল গঠন করে। এ দলের মাধ্যমে উত্তম বাজার প্রতিনিধি ‘ও আর্থিক প্রয়োজনে বাহ্যিক তহবিলের অনুসন্ধান করা হয়। এই স্তরে প্রতিষ্ঠানের সুনাম বৃদ্ধি পায় এবং ব্যবসায় বহুমুখীকরণ।


Paragraph/Composition/Application/Email/Letter/Short Storiesউত্তর লিংক
ভাবসম্প্রসারণ/প্রবন্ধ, অনুচ্ছেদ/ রচনা/আবেদন পত্র/প্রতিবেদন/ চিঠি ও ইমেলউত্তর লিংক

পর্যাপ্ত মুনাফার্জন পণ্যের বাজার দখল ও পরিবারের সদস্যদের অধিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়। Miller Harry এবং Karl vesper এর প্রদত্ত ক্ষুদ্র ব্যবায়ের উন্নয়নের স্তরসমূহ :

Churchill and Nirginal leucis ক্ষুদ্র ব্যবসায়ে উন্নয়নে পাঁচটি পদক্ষেপ এর কথা বলেছেন।

Charchill and lewis এর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের পর্যায়গুলো নিম্নে আলোচনা করা হলো :

১. অস্তিত্ব : Charchil and lewis এর মতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের উন্নয়নের প্রথম পর্যায় হলো অস্তিত্ব। এ পর্যায়ে শুরুতে ব্যবসায়ে অস্তিত্ব সৃষ্টি করতে হয়। এতে উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানের জন্য তহবিল গঠন করে পণ্য উৎপাদন, সরবরাহ, বাজারজাতকরণ, ও ক্রেতা আকৃষ্টকরণ ইত্যাদি কার্যাদি পর্যায়ক্রমিকভাবে গ্রহণ করে প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব তৈরি করতে হয়। এই পর্যায়ে উদ্যোক্তাকে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। ব্যবসায়কে টিকিয়ে রাখার জন্য সকল প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়েও ব্যবসায় চালু রাখতে হবে।

২.প্রটিকে থাকার অবস্থা (Survival) : এই স্তরে উদ্যোক্তা থাকার জন্য সম আয় ব্যয় বিন্দু অর্জনে সচেষ্ট থাকে এবং ক্রমান্বয়ে মুনাফার্জন শুরু হয় ও উন্নয়নে এগিয়ে যায়। এই দুটি বিষয় বিবেচনা করা হয়।

(i) প্রতিষ্ঠানটি সমুচ্ছেদ বিন্দুতে অবস্থান এবং সম্পদ পুনঃস্থাপনের জন্য পর্যাপ্ত মুনাফা রয়েছে কিনা ।

(ii) প্রতিষ্ঠান তার কার্যসম্পাদনের জন্য পর্যাপ্ত তহবিল গ্রহণ করতে পারছে কিনা। এই স্তরে উদ্যোক্তাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ | সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়। এই স্তর থেকেই প্রতিষ্ঠানের মুনাফার্জন শুরু হয়। করে সফলতার দিকে ক্রমান্বয়ে এগিয়ে যায়।

এই পর্যায়কে দুই ভাগে ভাগ করা হয় ।

(i) সম্প্রসারণ না করা : এ পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানের অবস্থা ভাল থাকে । এ সময় প্রতিষ্ঠান মাঝারি ও অধিক মুনাফার্জন করে থাকে। এ সময় প্রতিষ্ঠানটি যদি পরিবেশের পরিবর্তনের সাথে খাপ- খাওয়ানো না যায় তা হলে প্রতিষ্ঠান পূর্বের অবস্থাতেই ফিরে যায়।

(ii) প্রবৃদ্ধি : এক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি বলতে প্রতিষ্ঠানের উত্তোরোত্তর | সম্প্রসারণ ও উন্নয়নকে বুঝায়। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটি কঠোর | দিকনির্দেশনার মাধ্যমে পুনঃবিনিয়োগে মূলধন নিয়োজিত করে এবং কাঙ্ক্ষিত মুনাফার্জন করে। এই পর্যায়ে স্ট্র্যাটেজিক পরিকল্পনা জটিল হয় ও উদ্যোক্তা বিভিন্ন ব্যবসায়ের সাথে জড়িত হয়ে পড়ে।

৪. তুলে নেওয়া : তুলে নেওয়া এর অর্থ হলো পূর্ববর্তী পর্যায়ের সমস্যাসমূহ দূর করে কিভাবে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে এবং কিভাবে অর্থের যোগান দেওয়া হবে তা বিবেচনা করা হয়। এই পর্যায়ে কার্যগত ও কৌশলগত পরিকল্পনা অধিক গুরুত্বারোপ করে। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের এই স্তরের প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন সম্ভব নয় বলে দক্ষ বিশেষজ্ঞ নিয়োগের প্রয়োজন পড়ে। প্রতিষ্ঠান এই স্তরে সফল হতে ব্যর্থ হলে পূর্বের স্তরে ফিরে যেতে হবে।

৫. সম্পদের পরিপূর্ণতা : সম্পদের পরিপূর্ণতা হলো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের সর্বশেষ চূড়ান্ত উন্নয়ন স্তর। এ স্তরে কোম্পানির যে দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন ও মুনাফার্জন হচ্ছে তা ধরে রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আবার অতিরিক্ত প্রবৃদ্ধির জন্য প্রতিষ্ঠান যেন নতুনত্ব আবিষ্কার ও ঝুঁকি নিতে অনীহা প্রকাশ করে সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে। পরিবেশের পরিবর্তনের সাথে সাথে নতুনত্ব আবিস্কার ও ঝুঁকি গ্রহণের মন মানসিকতা থাকতে হবে। নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া আরও দৃঢ় করতে হবে। নতুনত্ব আবিষ্কার ও ঝুঁকি গ্রহণের মন মানসিকতা থাকতে হবে। নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া আরও দৃঢ় করতে হবে । নতুনত্ব আবিষ্কার ও ঝুঁকি নিতে অনীহা প্রকাশ করলে প্রতিষ্ঠান পূর্বের পর্যায়ে নেমে আসবে।

উপসংহার : উপরের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, একটি ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠান জন্ম থেকে পরিপূর্ণতা লাভ করে না। পরিপূর্ণতা লাভের জন্য অনেক শ্রম ও সমস্যার সমাধান করতে হয় ৷ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের এই উন্নয়নের ধারণাগুলো ধারাবাহিকভাবে কার্যক্রম। এই কার্যক্রমগুলো সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের উন্নয়ন অনিবার্য হয় ।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও

Leave a Comment