ক্ষুদ্র-কুটির শিল্প বিকাশে যা যা করতে হবে,ক্ষুদ্র-কুটির শিল্প বিকাশে করণীয়,ক্ষুদ্র-কুটির শিল্প বিকাশে যে কাজ করতে হবে, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশ অত্যন্ত প্রয়োজন,করণীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের বিকাশে

Google Adsense Ads

প্রশ্ন সমাধান: ক্ষুদ্র-কুটির শিল্প বিকাশে যা যা করতে হবে,ক্ষুদ্র-কুটির শিল্প বিকাশে করণীয়,ক্ষুদ্র-কুটির শিল্প বিকাশে যে কাজ করতে হবে, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশ অত্যন্ত প্রয়োজন,করণীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের বিকাশে

বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাথে যে বিষয়টি ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে সেটি হল ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প। এটি শুধুমাত্র বাঙালির সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের প্রয়োগই নয়; বরং একসময় মানুষের আয়ের অন্যতম প্রধান উৎসছিল এই শিল্প।

গ্রামের ঘরে ঘরে চরকি ঘোরার শব্দ, কিংবা পাট ও পাটজাত দ্রব্য দিয়ে হরেক রকম মনোমুগ্ধকর জিনিস আজও সংস্কৃতিমনা মানুষদের মনে করিয়ে দেয় যে জাতি হিসেবে বাঙ্গালি ঠিক কতটা শৌখিন। অথচ কালের বিবর্তনে এই ঐতিহ্যটিই এখন হারাতে বসেছে।

শুনতে অনেকটা একই মনে হলেও ক্ষুদ্র শিল্প ও কুটির শিল্পের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য আছে। কুটিরশিল্প বলতে মূলত সেসব দ্রব্য সামগ্রীকে বোঝায় যেগুলো গ্রামের ঘরগুলোয় পরিবারের লোকজন বিশেষ করে মহিলাদের মাধ্যমে তৈরি করা হয়। এই শিল্পের উৎপাদিত পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে শীতলপাটি, মোড়া, জাল, টুপি, কাঠের তৈরি বিভিন্ন দ্রব্যাদি ইত্যাদি। অন্যদিকে ক্ষুদ্রশিল্পের ক্ষেত্রে কুটিরশিল্প অপেক্ষা কিছুটা বেশি পুঁজি এবং লোকবল নিয়ে নামতেহয়। আর এই শিল্পের উৎপাদিত পণ্যের মধ্যে রয়েছে পাটজাত দ্রব্যাদি, সাবান, লবণ ইত্যাদি।

একসময় সমৃদ্ধশালী অতীত থাকলেও বর্তমানে ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের নানা সমস্যায় জর্জরিত হতে হচ্ছে। এর মধ্যে মূলধনের অভাব, ঋণপ্রাপ্তিতে হয়রানি, অধিক সুদের হার, পৃষ্ঠপোষকতার অভাব ইত্যাদি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তাইএইসবশিল্পকেবাঁচিয়েরাখতেহলেপ্রয়োজনযতদ্রুতসম্ভবএসবসমস্যারসমাধানকরা।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও মাঝারি পাটপণ্য উদ্যোক্তা এসোসিয়েশনের সেক্রেটারি মোঃ সাইফুদ্দিন সবুজ বলেন, “ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে সরকারকে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এই শিল্পখাত দুইটি প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। তাই ভবিষ্যতে এই শিল্পখাতগুলো যাতে সঠিকভাবে চলতে পারে তার জন্য এখনই পদক্ষেপ গ্রহণ করা অতি জরুরি।


আরো ও সাজেশন:-

ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রণোদনা প্যাকেজ চালু করা উচিত। বিশেষ করে কম সুদে ঋণের ব্যবস্থা করা এবংপ্রয়োজনে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক রিফাইন্যান্স পলিসি হাতে নেয়া, যাতে উদ্যোক্তা কিংবা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা কম সুদে ঋণ পেতে পারেন। এই বিষয়টি নিশ্চিত করা হলে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের সাথে জড়িত ব্যক্তিরা অনেকটা স্বাচ্ছ্বন্দ্যে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন।”

এছাড়াও কাজের মাঝে হয়রানি রোধ বিষয়ে তিনি বলেন, “বর্তমানে ব্যাংক অথবা বিভিন্ন নন-ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান কিংবা এনজিও থেকে ঋণ নেওয়ার সময় বিভিন্ন ঝামেলা পোহাতে হয়। অনেক সময়ই দেখা যায় জামিনদার ছাড়া প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ দেয় না। অন্যদিকে সময়মতো জামিনদার না পেলে ব্যবসায় কার্যক্রমও সঠিকভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হয় না। তাই ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের বিকাশে অবশ্যই এইসব হয়রানি বন্ধ করতে হবে।”

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

প্রচারের বিষয়ে তিনি বলেন, “ব্যবসায়ে একটি কথা আছে- প্রচারেই প্রসার। অর্থাৎ কোনো পণ্য মানুষ তখনই গ্রহণ করে যখন সেই পণ্য উৎপাদনকারী কোম্পানি পণ্যটি সম্পর্কে ভোক্তাদের মাঝে ইতিবাচক ধারণা তৈরি করতে পারে। আর এক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন কিংবা বিভিন্ন ধরণের প্রচার কার্যক্রম গ্রহণ জরুরি। সরকারি বা বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলো যদি এসব শিল্পের কথা তাদের চ্যানেলে প্রচার করে, তাহলে মানুষের মধ্যে এসব পণ্যগুলো কেনার জন্য আগ্রহ তৈরি হবে। পাশাপাশি সরকারি বা স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন মেলার আয়োজন করা গেলে সেটিও এসব শিল্পের বিকাশে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”

তবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য সরকার বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি জনসাধারণকেও কিছু দায়িত্ব পালন করতে হবে। আর সেটি হল নিজ দেশের পণ্য কেনার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করা। প্রত্যেকে যদি নিজ নিজ অবস্থান থেকে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয় এবং প্রতিদিনের জীবনে পণ্যগুলোকে ব্যবহার করে, তাহলে একদিকে যেমন এসব শিল্পের বিকাশ ঘটবে; অন্যদিকে তেমনি বিশ্বদরবারে বাঙ্গালি ঐতিহ্য ও রুচিবোধেরও পরিচিতি বাড়বে।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও

Google Adsense Ads

Google Adsense Ads

Leave a Comment