ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানের মূলধনের উৎসগুলো লেখ, এসএমই ফাইন্যান্সের প্রধান উৎসগুলো আলোচনা কর, এসএমই-এর জন্য মূলধনের উৎসসমূহ বর্ণনা কর।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানের মূলধনের উৎসগুলো লেখ, এসএমই ফাইন্যান্সের প্রধান উৎসগুলো আলোচনা কর, এসএমই-এর জন্য মূলধনের উৎসসমূহ বর্ণনা কর।
প্রত্যেক ব্যবসায় শুরু করার জন্য মূলধনের প্রয়োজন। মূলধন ছাড়া কোনো ব্যবসায় প্রতিষ্ঠা ও পরিচার না করা যায় না। তাই SME’s ব্যবসায় বা ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প ব্যবসা শুরু করার পূর্বে প্রাথমিক মূলধনের সংগ্রহ করা এই ব্যবসায়ের একটি জটিল প্রক্রিয়া। তাই SME’s উদ্যোক্তাকে অবশ্যই মূলধনের সরবরাহ এবং মূলধন বৃদ্ধির জন্য সঠিক ও
স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হয়।
SME’s ব্যবসায়ের পূর্বশর্ত হলো সহজশর্তে পর্যাপ্ত অর্থায়নের মাধ্যমে মূলধনের ব্যবস্থা করা। নিম্নে এসএমই এর জন্য মূলধনের উৎসসমূহ আলোচনা করা হলো :
(ক) অভ্যন্তরীণ উৎস : ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে যে অর্থায়ন করা হয় তাকে অভ্যন্তরীণ উৎস বলে ।
প্রধান প্রধান অভ্যন্তরীণ উৎসসমূহ হলো :
১. ব্যক্তিগত উৎস : যেকোনো ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত উৎস সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎস। প্রাথমিক পর্যায়ে ব্যক্তিগত অর্থায়ন একজন উদ্যোক্তার জন্য ব্যবসায়ের মূল চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করে। এটি সবচাইতে সহজ ও নিরাপদ উৎস ।
২. অবণ্টিত মুনাফা : এসএমই-এর ব্যবসায় পরিচালনার জন্য মুনাফার যে নগদ অংশ উদ্যোক্তাদের মধ্যে বণ্টন না করে তা ব্যবসায় পরিচালনার পুণর্বিনিয়োগ করা হয় তাকে অবণ্টিত মুনাফা বলে। অবণ্টিত মুনাফা ব্যবসায় কার্যক্রম চালানোর পর পাওয়া যায় ৷
৩. শেয়ার মূলধন : শেয়ার মূলধন কোনো ব্যবসার মূলধন সংগ্রহ করার সবচেয়ে সহজ ও জনপ্রিয় মাধ্যম। এক্ষেত্রে উদ্যোক্তা তাদের সকল শেয়ারসমূহ মূলধন ব্যবসায়কে প্রদান করে এবং সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিজেরাই সংরক্ষণ করে ।
(খ) বাহ্যিক উৎসসমূহ : যখন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের বাইরে থেকে মূলধন সংগ্রহ করা হয়, তখন তাকে বাহ্যিক উৎস বলে । অর্থায়নের বাহ্যিক উৎসসমূহ নিচে উল্লেখ করা হলো :
১. ঋণ তহবিল : সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক ও বিভিন্ন উৎস হতে বিভিন্ন উপায়ে ঋণ তহবিল সংগ্রহ করা হয়। দুটি সহজ উপায় হলো :
(i) ব্যাংক ঋণ : ব্যাংক ঋণ তহবিলের অন্যতম উৎস । ব্যাংক উদ্যোক্তাকে দীর্ঘমেয়াদে, নির্ধারিত সুদের হারে নির্ধারিত সময়ের জন্য নির্ধারিত ফেরতের পরিমাণ সাপেক্ষে এসএমই-এর উদ্যোক্তাকে ঋণ প্রদান করে ।
(ii) ব্যাংক জমাতিরিক্ত : এটি একটি স্বল্পমেয়াদি অর্থায়নের উৎস। যা বহুলভাবে এসএমই-এর অর্থায়নে ব্যবহৃত হয়। এক্ষেত্রে ব্যাংকের কোনো গ্রাহককে তার চলতি হিসেবে জমাকৃত আমানতের চেয়ে নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে বেশি পরিমাণ অর্থ ব্যাংকের অনুমতিক্রমে উঠাতে পারে।
২. ঝুঁকিপূর্ণ মূলধন : ঝুঁকিপূর্ণ মূলধন হচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ বিশেষ ধরনের শেয়ার বিনিয়োগ যেখানে তববিল সাধারণত পেশাগত বিনিয়োগকারী দ্বারা পরিচালিত হয়। তারা সাধারণত নিজেদের প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানকেই অর্থায়ন করতে আগ্রহী থাকে।
একাডেমিক শিক্ষা বিষয়ক লিখিত প্রশ্ন সমাধান পেতে ক্লিক করুন।