একজন ছেলে ও মেয়েদের বয়ঃসন্ধিকালীন কি কি পরিবর্তন হতে পারে, বয়ঃসন্ধিকালীন পরিবর্তন, মানসিক পরিবর্তন সমূহ বয়ঃসন্ধিকালীন, বয়ঃসন্ধিকালীন পরিবর্তন কেন হয়, একজন কিশোরীর বয়ঃসন্ধিকালীন কি কি পরিবর্তন হতে পারে

Google Adsense Ads

বিষয়: একজন ছেলে ও মেয়েদের বয়ঃসন্ধিকালীন কি কি পরিবর্তন হতে পারে, বয়ঃসন্ধিকালীন পরিবর্তন

মেয়েদের বয়ঃসন্ধির বিষয়টির সঙ্গে ঋতুচক্রের যোগ থাকে বলে তা নিয়ে বিস্তর সচেতনতামূলক লেখালিখি হয়ে থাকে। কিন্তু ছেলেদের বয়ঃসন্ধিকালীন সময় নিয়ে সে ভাবে সচেতন হয়ে ওঠার প্রয়োজনীয়তা বোধ করেন না অনেকেই! ঠিক এই মর্মেই সম্প্রতি এক পাঠক অভিযোগ জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞা পল্লবী বার্নওয়ালের কাছে। পাশাপাশি, জানতে চেয়েছেন তিনি- বয়ঃসন্ধির সময়ে ছেলেদের শরীরে সুস্পষ্ট ভাবে কী কী পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়?

পল্লবীর বক্তব্য অনুযায়ী বয়ঃসন্ধিকালে পুরুষের শারীরিক কাঠামোয় পরিবর্তনের ক্ষেত্রগুলি দেখে নেওয়া যাক এক এক করে!

১. সবার প্রথমে পল্লবী জানিয়েছেন যে সাধারণত ১২ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে ছেলেদের শরীরে বয়ঃসন্ধিজাত নানা পরিবর্তন শুরু হয়। এর মধ্যে সবার প্রথমে লক্ষ্য করা যায় তিনটি পরিবর্তন-

ক. শ্রোণীদেশ বা পুরুষাঙ্গের উপরের অংশে লোম জন্ম নেওয়া।

খ. শুক্রাশয়ের বৃদ্ধি।

গ. শুক্রথলির চামড়ার রং একটু লালচে হয়ে আসা এবং চামড়া মোটা হতে শুরু করা।

২. এর পরের পর্যায়ে ৪ থেকে ৫ বছরের মধ্যে ছেলেদের শরীরে আরও কী কী পরিবর্তন দেখা যায়, সেটাও জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ। এক্ষেত্রে-

ক. শ্রোণীদেশের লোম ঘন এবং কোঁকড়া হয়ে যায়।

খ. পুরুষাঙ্গ এবং শুক্রাশয় আয়তনে বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি, শুক্রথলি আরও পুরু হয়ে ওঠে।

গ. বগলে লোম জন্মানো শুরু হয়ে যায়।

ঘ. গলার স্বর ভেঙে যায়। কখনও তা মিহি, কখনও বা তা গমগমে শোনায়।

ঙ. মুখে ব্রন বেরোতে শুরু করে।

চ. মুখে লোম বেরোনো শুরু হয়।

ছ. উচ্চতাও একটু একটু করে বাড়তে থাকে।

ঞ. যৌনকামনার টান স্পষ্ট হয়ে ওঠে। অনেকের রাতে উত্তেজক স্বপ্ন দেখে ঘুমের মধ্যেই বীর্যস্খলন হয়।

৩. এর পরের ৪ থেকে ৫ বছরের মধ্যেই যৌনাঙ্গ প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের মতো আকার ধারণ করে। শুক্রথলির রং পুরোপুরি ভাবে কালচে হয়ে যায়। দাড়ি আর গোঁফ মুখের নিচের অংশ ঢেকে ফেলে।

৪. পাশাপাশি পল্লবী বয়ঃসন্ধির মানসিক পরিবর্তনের দিকটি সম্পর্কেও সজাগ থাকতে বলছেন। এই সময়ে ছেলেদের ঘন ঘন ম্যুড স্যুইং হয়, তারা খুব সংবেদনশীল একটা পর্যায়ে। তাই যদি কোনও ভাবেই তাদের ম্যুড স্যুইং নিয়ন্ত্রণ করা না যায়, সেক্ষেত্রে মনোবিদের দ্বারস্থ হওয়া ঠিক হবে বলে জানাচ্ছেন তিনি।

  • কিভাবে বুঝবেন কোন মেয়ে এখনো কারো সাথে s-e-x করেছে কি না
    Google Adsense Ads কুমারী মেয়ে চেনার উপায় কি? ভার্জিন মেয়ে চেনার উপায় নিয়ে আজকের আয়োজন। অনেকেই আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন কি করে ভার্জিন মেয়ে যাবে? কেউ জানতে চেয়েছেন বিয়ের প্রথম রাতে আমি কিভাবে বুঝবো আমার স্ত্রী সতী কিনা? কুমারীত্ব …

    Read more

  • ১০০ টি গোপণ তথ্য যৌন মিলনের
    Google Adsense Ads যৌন মিলনের ১০০ টি গোপণ তথ্য ।। থেকে উত্তীর্ণ হতে সেক্স সিক্রেট জানাটা গুরুত্বপূর্ণ। যৌন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলে জানাচ্ছি আমরা । সেক্স সম্পর্কে জানা মানেই হচ্ছে নিজের সম্পর্কে জানা। অথচ লজ্জা বা আড়ষ্ঠতার কারণে …

    Read more

  • পিরিয়ডের যন্ত্রনা ও রমজান মাস
    Google Adsense Ads পিরিয়ডেরযন্ত্রনাওরমজানমাস এই রমজানে কোনো পুরুষ দয়াকরে কোনো নারীকে এই পৈশাচিক প্রশ্নটা করবেন না,,যে সেই নারী রোজা রাখছে নাকি রাখে নি🤨🤨 পিরিয়ড এর সময় একটা মেয়ে কতটা কষ্ট সহ্য করতে হয় তার সিকি ভাগ হয়তো আপনি চিন্তাও …

    Read more

  • করোনাভাইরাস এবং সেক্স: আপনার কী কী জানা প্রয়োজন
    Google Adsense Ads এখন সেক্স করলে আমি কি করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়বো? আপনার মনে হয়তো এই প্রশ্ন জাগছে, কিন্তু বলতে লজ্জা পাচ্ছেন। এ নিয়ে ভুল ধারণা ভাঙতে, বিবিসি দু’জন বিশেষজ্ঞের কাছে কিছু প্রশ্ন রেখেছিল। এই বিশেষজ্ঞদের একজন ডা. …

    Read more

  • স্ত্রী সাথে সহবাস করা যায় কি মাসিক চলাকালীন সময়ে
    Google Adsense Ads ইসলামের দৃষ্টিতে এসময় যৌন মিলন হারাম। ইসলামের দৃষ্টিতে মাসিকের সময় যৌন মিলনঃপবিত্র কুরআ’ন এ আল্লাহ তায়ালা বলেন- “আর আপনার কাছে জিজ্ঞেস করে হায়েয সম্পর্কে। বলে দেন, এটা অশুচি। কাজেই তোমরা হায়েয অবস্থায় স্ত্রীগণ থেকে বিরত থাকো …

    Read more

দশ বছর বয়স থেকে বড় হওয়া শুরু হলেও সবার বেড়ে ওঠা একই রকম নয়। কেউ তাড়াতাড়ি বড় হয়ে ওঠে, কেউবা কিছুটা দেরিতে । এতে দুশ্চিন্তার কিছু নেই । কারণ, একেক জন মানুষের শরীরের গঠন একেক রকম । একজন মানুষের শরীরের বৃদ্ধি নির্ভর করে তার শরীরের গঠন আর পুষ্টির উপর ।

এ সময় ছেলে-মেয়েদের শারীরিক পরিবর্তনের পাশাপাশি মানসিক পরিবর্তন হয় । সবার ক্ষেত্রে পরিবর্তনগুলো একই সময়ে নাও হতে পারে, তবে পরিবর্তনগুলো খুব স্বাভাবিক।

মানসিক পরিবর্তন সমূহ

এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-

  • বয়ঃসন্ধিকালীন সময়ে ছেলেমেয়েদের নিজেদের শরীর সম্পর্কে কৌতূহল হয়, শরীরের পরিবর্তন বিষয়ে জানতে চায়।
  • নারী-পুরুষের সম্পর্ক বিষয়ে জানতে চায় ।
  • নিজেদের বড় ভাবতে শুরু করে।
  • ছেলেমেয়ের পরস্পরের প্রতি আকর্ষণবোধ করে।
  • অজানা জিনিস জানার বিষয়ে কৌতূহলী হয়।
  • চেহারা, সৌন্দর্য ও পোশাক সম্পর্কে সচেতন হয় এবং অন্যের মনোযোগ আকর্ষণ করার চেষ্টা করে ।
  • কেউ আবার একা থাকতে পছন্দ করে, কারো সামনে যেতে চায় না। একটা সঙ্কোচ কাজ করে তাদের মধ্যে ।
  • এ বয়সে মন চঞ্চল হয়ে ওঠে । দ্বিধা-দ্বন্দ্ব, আবেগ আর অস্থিরতা কাজ করে । কখনো মন বিষন্ন হয়ে ওঠে, আবার কখনো মন খুশিতে ভরে যায় । কেউ হয়ে ওঠে অভিমানী, কেউবা কৌতূহলী ।

তবে এই পরিবর্তনগুলো সাময়িক । বড় হওয়ার সাথে সাথে সব স্বাভাবিক হয়ে যায় ।

কৈশোর বা বয়ঃসন্ধিকাল কৌতূহলের বয়স । নিজের শরীর সম্পর্কে জানতে চাওয়া ভালো এবং এতে লজ্জা পাবার কিছু নেই । কিছু জানতে ইচ্ছা করলে বা কিশোর-কিশোরীরা কোনো সমস্যায় পড়লে বাবা-মা বা বড়দের সাথে এ ব্যাপারগুলো আলাপ করতে অস্বস্তি বোধ করে এবং সমবয়সি বা বন্ধুদের সাথে আলোচনা করে । এ বয়সে ছেলেমেয়েরা বন্ধুদের প্রতি বেশি নির্ভরশীল হয়, বন্ধুদেরকে বেশি গুরত্ত্ব দেয়, বন্ধুদের দ্বারা বেশি প্রভাবিত হয়। বন্ধু তাদের জীবনে খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে । তাই ভাল বন্ধু নির্বাচন করা খুব দরকার।

বয়ঃসন্ধিকালীন পরিবর্তন কেন হয়

বয়ঃসন্ধিকালের সময়ে শরীরে ও মনে স্বাভাবিকভাবেই অনেক পরিবর্তন আসে । কারো এ পরিবর্তন আগে শুরু হয় আবার কারোও বা পরে । বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেমেয়েদের শরীরের এসব পরিবর্তন হরমোন নিঃসরণের কারণে হয়ে থাকে । হরমোন হচ্ছে শরীরের ভেতরে তৈরি এক ধরনের গ্রন্থিরস যা দেহকে সক্রিয় রাখে এবং দেহের বৃদ্ধি ও উন্নয়নে সহায়তা করে । শরীর বেড়ে ওঠার এ ব্যাপারটা অনেকটাই নির্ভর করে শরীরের গঠনের উপর। তবে এখানে সঠিক পুষ্টিরও বেশ প্রভাব রয়েছে ।

একজন কিশোরীর বয়ঃসন্ধিকালীন কি কি পরিবর্তন হতে পারে

যখন একটি মেয়ে ১০-১২ বছর বয়সে পৌঁছে, তখন তার শারীরিক পরিবর্তন শুরু হয় । যেমন- উচ্চতা বাড়ে, মাসিক শুরু হয়, স্তন বড় হয়, বগলে ও যৌনাঙ্গে লোম গজায় । কোমর সরু হয়, উরু ও নিতম্ব ভারি হয়, জরায়ু ও ডিম্বাশয় বড় হয়। এই পরিবর্তনগুলোই হচ্ছে মেয়েদের বড় হওয়ার লক্ষণ । মাসিক একটি মেয়ের শরীরের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, যা সাধারণত ১০-১৩ বছর বয়সে শুরু হয় এবং স্বাভাবিক নিয়মে ৪৫-৪৯ বছর বয়স পর্যন্ত চলে । তবে কারও ৯ বছর বয়স থেকেও মাসিক স্রাব শুরু হতে পারে । মাসিক স্রাব শুরু হওয়ার প্রথম বছরগুলোতে কিছুটা অনিয়ম হতে পারে এবং তলপেটে ব্যথা হতে পারে । যদিও এ বয়স থেকেই মেয়েরা গর্ভবতী হতে পারে, তবুও ২০ বছর বয়সের আগে শরীরের বৃদ্ধি পুরোপুরি না হওয়ার কারণে কম বয়সে গর্ভধারণ একটি মেয়ের ও তার গর্ভের শিশুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ।

মাসিক বা ঋতুস্র্রাব

মাসিক বা ঋতুস্রাব মেয়েদের দেহের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া এবং স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠার লক্ষণ । সাধারণত ৯-১৩ বছর বয়সের যে কোনো সময় মাসিক শুরু হয় এবং ৪৫-৪৯ বছর বয়সে স্বাভাবিক নিয়মেই মাসিক বন্ধ হয়ে যায় । স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতিমাসেই মাসিক হয়ে থাকে এবং তা ৩ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হয় । মেয়েদের প্রতি ২৪ থেকে ৩২ দিন অর্থাৎ গড়ে ২৮ দিন পর পর মাসিক হয় । একে মাসিকচক্র বলে । কারো কারো ক্ষেত্রে এ ২৮ দিনের চক্রটি কম বা বেশি হতে পারে । মাসিক শুরু হওয়ার দিন থেকেই মাসিকচক্র শুরু হয় । মাসিকের প্রথম দিন থেকেই ডিম্বাশয়ে ডিম্বাণু তৈরি হতে শুরু করে । মাসিক হওয়ার পরে মেয়েরা প্রজননক্ষম অর্থাৎ সন্তান ধারণের ক্ষমতা লাভ করে । মাসিক নিয়ে ভয় বা লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই ।

মাসিক কেন হয়

মেয়েরা যখন বড় হয় তখন প্রতি মাসে ডিম্বাশয় থেকে একটি ডিম্বাণু বের হয়ে ডিম্ববাহী নালীতে আসে । একই সময় জরায়ুতে রক্তে ভরা নরম পর্দা তৈরি হয় । যদি এ সময় যৌনমিলন হয় তাহলে শুক্রাণুর সাথে ডিম্বাণু মিলিত হয়ে ভ্রুণ তৈরি হয় । এই ভ্রুণ রক্তে ভরা নরম পর্দায় গিয়ে বসে ও ধীরে ধীরে বড় হয়ে শিশুতে পরিণত হয় ।

যদি শুক্রাণুর সাথে ডিম্বাণুর মিলন না হয়, তাহলে এই পর্দার আর প্রয়োজন হয় না । তখন এই রক্তে ভরা পর্দা ডিম্বাণুসহ মাসিক হিসেবে যোনিপথ দিয়ে বেরিয়ে আসে । কোনো আঘাত বা অসুখের কারণে এই রক্ত পড়ে না । এ বয়সে একটি মেয়ে যে স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠছে এবং সন্তান ধারণের ক্ষমতা লাভ করেছে, মাসিক তারই প্রমাণ ।

মাসিকচক্র ব্যবস্থাপনা

মাসিকের সময়ে রক্ত যাতে বাইরে গড়িয়ে না পড়ে সেজন্য স্যানিটারি ন্যাপকিন বা প্যাড, পরিষ্কার কাপড় বা তুলা ব্যবহার করতে হয় । এগুলো প্রয়োজন অনুযায়ী দিনে কয়েকবার বদলাতে হয় । এছাড়া নানা মাপের জাংগিয়া বা প্যান্টি পাওয়া যায় । কাপড় বা তুলার সাথে এগুলো ব্যবহার করা যায় । এসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে, যৌনাঙ্গ পরিষ্কার রাখতে হবে । পরিচ্ছন্ন শুকনা কাপড় পরতে হবে, তা না হলে একই কাপড় যদি বারবার ব্যবহার করা হয় তবে সেগুলো সাবান দিয়ে ধুয়ে রোদে/বাতাসে শুকাতে হবে । মাসিক চলাকালীন সময়ে নিয়মিত গোসল করতে হবে, পরিষ্কার জামা-কাপড় পরতে হবে, পুষ্টিকর সব ধরনের খাবার খেতে হবে এবং স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে হবে

Google Adsense Ads

মাসিকের সময় বেশি বেশি পুষ্টিকর খাবার বিশেষ করে, আয়রনসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে । তা না হলে রক্তস্বল্পতা দেখা দিতে পারে। লেবু, কমলা, তেঁতুল, আমলকি, জলপাই ইত্যাদি টক জাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে, যা শরীরে আয়রন-এর শ্বসন ক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয় । কোনো খাবারই মাসিকের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে না । কৈশর বয়স শরীর গঠনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় । আর শরীর গঠনে সাহায্য করে পরিমাণমত সুষম ও পুষ্টিকর খাবার । সুতরাং এ বয়সে বিশেষ করে মাসিকের কারণে কোনো খাবার বেছে খাওয়া বা বাদ দেয়া উচিত নয় ।

মাসিকের সময় কারো কারো কোমরে বা পেটে অল্প অল্প ব্যথা হতে পারে । শরীরের এক বিশেষ হরমোনের জন্য মাসিকের সময় জরায়ুর সংকোচন (ছোট হওয়া) ও প্রসারণ (বড় হওয়া) ঘটে । ফলে তলপেটে বা কোমরে ব্যথা অনুভূত হয় । তাছাড়া প্রথম প্রথম মাসিক হলে মেয়েরা অস্বস্তিতে ভুগতে পারে । এ সময় বিশ্রাম, হালকা ব্যায়াম বা গরম সেক ব্যথা কমাতে সাহায্য করে । তবে স্বাভাবিক দৈনন্দিন কাজকর্ম চালিয়ে যেতে কোনো অসুবিধা হলে, বেশি ব্যথা হলে অবশ্যই ডাক্তার দেখাতে হবে।

কীভাবে গর্ভধারণ ঘটে

একটি মেয়ের মাসিক শুরু হয় ১২-১৩ বছর বয়সে এবং মাসিক শুরু হবার পর থেকে প্রতি মাসে একটি করে ডিম্বাণু পরিপক্ক হয়। এই ডিম্বাণু সাধারণত দুই মাসিকের মাঝামাঝি সময়ে ডিমের থলি থেকে ডিম্ববাহী নালীতে আসে । এই সময়ে যদি যৌনমিলন হয়, তাহলে পুরুষের শুক্রাণু যোনিপথ দিয়ে ডিম্ববাহী নালীতে গিয়ে পৌঁছায় । সেখানে ডিম্বাণুর সাথে মিলিত হবার ফলে ভ্রুণ তৈরি হয় । একে গর্ভধারণ বলে । এই ভ্রুণ কয়েক দিন পর জরায়ুতে এসে পৌঁছে এবং সেখানে বড় হয়ে শিশুতে পরিণত হয় ।

এ সময় শিশুটি একটি গর্ভফুলের (ফুল) মাধ্যমে মায়ের জরায়ুর সাথে যুক্ত থাকে এবং গর্ভফুলের মধ্য দিয়ে শিশু মায়ের কাছ থেকে পুষ্টি পায়। সাধারণত ৯ মাস ৭ দিন এভাবে মায়ের জরায়ুতে কাটানোর পর মায়ের প্রসব ব্যথা ওঠে এবং শিশু যোনিপথ দিয়ে বের হয়ে আসে । একেই প্রসব বা ডেলিভারি বলে । কখনো কখনো সমস্যা থাকলে পেট কেটে বা অপারেশন করে বাচ্চা বের করা হয় ।

২০ বছর বয়সের আগে শরীরের বৃদ্ধি পুরোপুরি না হওয়ার কারণে মেয়েদের গর্ভবতী /সন্তান ধারণ করা উচিত নয় ।

গর্ভধারণ রোধের উপায়

বেশির ভাগ স্বামী-স্ত্রী বিয়ের শুরুতেই বাচ্চা নেয়ার কথা ভাবে না । প্রথমে তারা পরস্পরকে জানতে চায়, বুঝতে চায়, কিছুটা প্রস্তুতি নিতে চায়। তবে জন্মনিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে না জানার কারণে এবং কোনো পদ্ধতি ব্যবহার না করার কারণে অনেক দম্পতির ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও বিয়ের পরপরই গর্ভধারণ করে । তাই, শুরুতেই বাচ্চা নিতে না চাইলে প্রথম রাত থেকেই পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে । এক্ষেত্রে, প্রথম রাত থেকেই কনডম ব্যবহার করতে হবে এবং পরবর্তীতে স্বাস্থ্যকর্মীর সাথে পরামর্শ করে যেকোনো পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহার করা প্রয়োজন। কনডম নবদম্পতিদের জন্য একটি উপযুক্ত পদ্ধতি।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে ও

Google Adsense Ads

Leave a Comment