এইচএসসি ভূগোল ২য় পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন সাজেশন,ভূগোল ২য় পত্র সিকিউ এইচএসসি সাজেশন

এইচএসসি ভূগোল ২য় পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন সাজেশন,ভূগোল ২য় পত্র সিকিউ এইচএসসি সাজেশন

এইচএসসি ভূগোল ২য় পত্র সৃজনশীল সাজেশন ২০২৪

উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) সুপার সাজেশন ২০২৪
বিজ্ঞান-মানবিক-বাণিজ্য বিভাগ এইচএসসি
[ ২০২৪ এর সিলেবাস অনুযায়ী]
ভূগোল ২য় পত্র (Geography 2nd paper) সুপার সাজেশন ২০২৪
subject code: 126
২০২৪ এর এইচএসসি ১০০% কমন সাজেশন

এইচএসসি পরীক্ষার সাজেশন ২০২৪ (PDF) লিংক

সর্বশেষ সংশোধিত ও সাজেশন টি আপডেটের করা হয়েছে ২০২৪

ভূগোল ২য় পত্র সৃজনশীল এইচএসসি সাজেশন ২০২৪

ভূগোল ২য় পত্র ১ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর : যা কিছু নির্দিষ্ট প্রযুক্তি, অর্থনীতি এবং সামাজিক অবস্থায় ব্যবহার করা যায় তাকেই সম্পদ বলে। সম্পদ মানুষের জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। সম্পদ ব্যবস্থাপনা হলো সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতের লক্ষ্যে কর্ম পরিকল্পনা। অর্থনীতির ভাষায় সম্পদ সসীম, তাই সম্পদের সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেই সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার সম্ভব। তাই বলা যায় সম্পদের সঠিক, সুন্দর ও মিতব্যয়ী ব্যবহারের মাধ্যমে সর্বোত্তম। ব্যবহারের প্রক্রিয়াই হলো সম্পদ ব্যবস্থাপনা।

ভূগোল ২য় পত্র ১ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

১. নাবিহার মামা উচ্চ শিক্ষার জন্য উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের পশ্চিমের একটি দেশে গিয়েছেন। যার জাতীয় পতাকায় ৫০টি তারকা খচিত রয়েছে। গত গ্রীষ্মের ছুটিতে তিনি দেশটির পূর্বে অবস্থিত দ্বীপরাষ্ট্রে বেড়াতে যান। যেখানে শাসনব্যবস্থা শাসনতান্ত্রিক রাজতন্ত্র।

ক. বাংলাদেশের মােট আয়তন কত?
খ. বাংলাদেশ ক্রান্তীয় অঞ্চলের দেশ- ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে ইঙ্গিতকৃত প্রথম দেশটির ভৌগোলিক পরিচিতি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে ইঙ্গিতকৃত দেশ দুটির শাসনব্যবস্থার তুলনামূলক চিত্র তুলে ধর।

২. মহাদেশ কতকগুলো দেশ নিয়ে গঠিত। আমরা এমন একটি স্বাধীন দেশের অধিবাসী যা পার্শ্ববর্তী অন্য একটি দেশ অপেক্ষা অনেক ছোট। দেশটি আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।

ক. পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম মহাদেশের নাম লেখ।
খ. নামীয় অঞ্চলের সীমানা সুনির্দিষ্ট নয়- ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে ইঙ্গিতকৃত দেশদ্বয় যে মহাদেশে অবস্থিত তার ভৌগোলিক পরিচিতি তুলে ধর।
ঘ. ইঙ্গিতকৃত দেশদ্বয়ের জলবায়ুগত তারতম্য বিশ্লেষণ কর।

৩. মানব ভূগোল, ভূগোল শাস্ত্রের একটি অন্যতম শাখা। এখানে মানবজাতির চেহারা, আকৃতি, বেশভূষা, দৈনন্দিন ক্রিয়াকলাপ ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এ শাস্ত্র পাঠে মানব ভূগোলের বিষয়বস্তু ও শাখা সম্পর্কেও জানা যায়। এ কারণে মানব ভূগোল পাঠ করা খুবই জরুরি।

ক. মানব ভূগোল কী?
খ. মানব ভূগোলের ক্ষেত্র বলতে কী বোঝায়?
গ. উদ্দীপকের আলোকে ভূগোল শাখাটির বিষয়বস্তু আলোচনা কর।
ঘ. উদ্দীপকে ইঙ্গিতকৃত ভূগোল শাখাটির প্রয়োজনীয়তা বিশ্লেষণ কর।

৪. পৃথিবীর বিভিন্ন ভৌগোলিক অঞ্চলের মানুষের আকার-আকৃতি, আচার-আচরণ, পোশাক পরিচ্ছদ, চিন্তাধারা, খাদ্য গ্রহণ, বাসগৃহ, জীবনযাপন প্রণালি প্রভৃতি ক্ষেত্রে বিস্তর পার্থক্য লক্ষ করা যায়। এমনকি অঞ্চলভেদে ভাষা, ধর্ম, শিক্ষা, শাসনতন্ত্র প্রভৃতি ক্ষেত্রেও পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়।

ক. মহাদেশ কী?
খ. বাংলাদেশের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা কর।
গ. ভূগোলের কোন শাখায় অঞ্চলভেদে মানুষের উল্লিখিত বিষয়গুলোর পার্থক্য আলোচনা করা হয়? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. মানবজীবনে উক্ত বিষয়ের প্রয়োজনীয়তা বিশ্লেষণ কর।

৫. শিক্ষার্থীরা ভূপৃষ্ঠে পরিবেশের সাথে মানুষ ও মানুষের কর্মকা-ের আন্তঃসম্পর্ক’ শীর্ষক এক সেমিনারে অংশগ্রহণ করে, যেখানে বক্তারা বলেন, কোনো স্থানের প্রাকৃতিক উপাদান ব্যতীত মানবসৃষ্ট যাবতীয় উপাদানই মানব পরিবশের অন্তর্ভুক্ত।

ক. কোন দুইটি মহাদেশকে একসাথে ইউরেশিয়া বলা হয়?
খ. এশিয়ার ভৌগোলিক অবস্থান কী? ব্যাখ্যা কর।
গ. সেমিনারের আলোচ্য বিষয়টি কতটা যুক্তিপূর্ণ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. সেমিনার শেষে শিক্ষার্থীরা কীসের গুরুত্ব অনুধাবন করল তা বিশ্লেষণ কর।

৬. নিচের চিত্রটি লক্ষ্য কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। (চিত্রটি পিডিএফ উত্তরমালায় দেখানো হয়েছে)

ক. বাংলাদেশের সাথে ভারতের সীমারেখার দৈর্ঘ্য কত?
খ. বাংলাদেশকে নদীমাতৃক দেশ বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা কর।
গ. মানচিত্রে ‘A’ চিহ্নিত দেশটির ভৌগোলিক সীমারেখা ও অবস্থান ব্যাখ্যা কর।
ঘ. মানচিত্রে ‘B’ চিহ্নিত দেশটির প্রশাসনিক অঞ্চলের গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর।

৭. ‘ক’ কলেজের আশপাশে এক সময় কিছুই ছিল না। বিগত ১০ বছরের মধ্যে আশপাশে অনেক আবাসিক ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এতে করে কলেজের একাডেমিক পরিবেশ প্রায়ই বিঘিœত হয়, যা সকলকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।

ক. মানব ভূগোল বলতে কী বোঝ?
খ. মানব ভূগোলের ধারণা ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের বর্ণনা মানব ভূগোলের বিষয়বস্তুর সাথে কীরূপে সম্পর্কিত? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে মানব ভূগোলের সব শাখা নির্দেশ করে না মতামত দাও।

৮. বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। স্বাধীনতা লাভের পর থেকে বাংলাদেশ এশিয়ার কয়েকটি বন্ধু প্রতীম দেশের সাথে বাণিজ্য সম্পর্কে আলোচনা করে আসছে।

ক. মানব ভূগোল কাকে বলে?
খ. মানুষের অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ বলতে কী বুঝ?
গ. উদ্দীপকে আলোচিত দেশটির পশ্চিমে প্রতিবেশী রাষ্ট্রটির একটি ভৌগোলিক পরিচিতি প্রদান কর।
ঘ. উদ্দীপকে আলোচিত দেশটির প্রশাসনিক বিভাগ প্রদর্শনসহ দেশটির প্রশাসনিক অঞ্চলের বিবরণ দাও।

৯. বাংলাদেশের একজন শিক্ষার্থী সার্ক শিক্ষা সফরের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশে ভ্রমণের সুযোগ পায়। সে দেশটি পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম জনবহুল দেশ এবং দেশটির আকৃতি কিছুটা ত্রিভুজাকৃতির উপদ্বীপ।

ক. পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম ও সপ্তম মহাদেশ কোনটি?
খ. মানব ভূগোল বলতে কী বোঝ? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত শিক্ষার্থীরা সার্ক শিক্ষা সফরে যে দেশে গেল সেই দেশটির ভৌগোলিক অবস্থান ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত শিক্ষার্থীদের নিজ দেশের জলবায়ু বিশ্লেষণ কর।

১০. ‘ক’ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি দেশ। সুজলা সুফলা এ দেশ দীর্ঘ ৯ মাস পাক সেনাবাহিনীর সাথে যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বর্তমানে এদেশ বিভিন্ন খাতে উন্নয়ন ঘটিয়ে বিশ্বের দরবারে যথেষ্ট প্রশংসা পেয়েছে। এদেশের প্রায় ৮০ শতাংশ জনগণ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কৃষির সাথে জড়িত। জনবহুল এদেশের প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১০১৫ জন লোকের বাস।

ক. সম্ভবনাবাদ কী
খ. সম্পদ ব্যবস্থাপনা বলতে কী বোঝায়?
গ. উদ্দীপকে ইঙ্গিতকৃত দেশটির একটি মানচিত্র অঙ্কন করে বিভাগসমূহ চিহ্নিত কর।
ঘ. উদ্দীপকে ইঙ্গিতকৃত দেশটির ভৌগোলিক অবস্থান বিশ্লেষণ কর।

আরো ও সাজেশন:-

Honors Suggestion Linksপ্রশ্ন সমাধান সমূহ
Degree Suggestion LinksBCS Exan Solution
HSC Suggestion Links2016 – 2024 জব পরীক্ষার প্রশ্ন উত্তর
SSC Suggestion Linksবিষয় ভিত্তিক জব পরিক্ষার সাজেশন

ভূগোল ২য় পত্র এইচএসসি সুপার cq সাজেশন pdf download ২০২৪

ভূগোল ২য় পত্র ২য় অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর : অভিগমনের ফলে উৎস (origin) ও গন্তব্যস্থলে (destination) সামাজিক প্রভাব পড়ে থাকে। অভিগমনের ফলে গন্তব্যস্থলের মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি উন্নত হয়। মানুষ বিভিন্ন সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হয়। অন্যদিকে পরস্পরের মধ্যে সামাজিক বন্ধন কমে যায়, হতাশা বৃদ্ধি পায়। উৎসস্থলে সামাজিক কার্যক্রমে স্থবিরতা আসতে পারে। যেমন, স্বামী অন্যত্র অভিগমন করার ফলে গ্রামে নারীদের ওপর শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক চাপ বৃদ্ধি পায়।

ভূগোল ২য় পত্র ২য় অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

১. সুমি ও তার ভাই উচ্চ শিক্ষার উদ্দেশ্যে গ্রাম থেকে ঢাকায় গমন করায় তার পরিবারের খরচ বৃদ্ধি পায়। তাই প্রয়োজনের তাগিদে তার বাবা অধিক উপার্জনের লক্ষ্যে মধ্যপ্রাচ্যে গমন করেন।

ক. স্থুল জন্মহার কী?
খ. জনসংখ্যার ঘনত্ব কী? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে প্রথমে উল্লিখিত অভিগমনের ধরন ব্যাখ্যা।
ঘ. ইঙ্গিতকৃত দু’ধরনের অভিগমনের বৈশিষ্ট্যের তুলনামূলক বিশ্লেষণ কর।

২. শিক্ষক ক্লাসে জনমিতিক ট্রানজিশনাল মডেল পড়াতে গিয়ে এই তত্ত্বে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের অবস্থানের কথা উল্লেখ করেন।

ক. জনমিতিক ট্রানজিশনাল মডেল প্রদান করেন কে?
খ. জনমিতিক উপাদানের গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত বাংলাদেশ এই মডেলের কোন পর্যায়ে অবস্থান করে।
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত দেশদ্বয়ের মডেলটির পর্যায়গত অবস্থানের তুলনামূলক বিশ্লেষণ কর।

৩. রাফান ও তিপাম গোপালগঞ্জের ছেলে এবং স্থানীয় একটি কলেজে পড়াশুনা করত। এইচএসসি পরীক্ষায় দু’জনেই জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। তিপাম বৃত্তির সুযোগ পেয়ে তার কাক্সিক্ষত বিষয়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য চীন চলে যায় এবং রাফান একই বিষয়ে একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ঢাকায় অবস্থান করে ।

ক. CDR এর পূর্ণরূপ লেখ।
খ. বান্দরবানের জনবসতি অতি বিরল ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে রাফানের ক্ষেত্রে ঘটে যাওয়া অভিগমনের কারণ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে রাফান ও তিপামের অভিগমনের ভিন্নতা বিশ্লেষণ কর।

৪. বাংলাদেশ বিশ্বের একটি অন্যতম জনবহুল দেশ। জনবিবর্তন তত্ত্বের আলোকে দেশটিতে প্রাথমিক অবস্থায় জন্মহার ও মৃত্যুহার উভয়ই বেশি ছিল। কিন্তু বর্তমানে জন্মহারের চেয়ে মৃত্যুহার উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে।

ক. স্থ’ল মৃত্যুহার নির্ণয়ের সূত্রটি লেখ।
খ. মানুষ কেন অভিগমন করে?
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত তত্ত্বের পর্যায়টি ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত দেশের মৃত্যুহার হ্রাসের কারণ পাঠ্যপুস্তকের আলোকে বিশ্লেষণ কর।
৫. শফিকের চার ভাই এবং দুই বোন। যেটুকু জমি, তাদের বাবা সেখানে কৃষিকাজ করে ভালোভাবেই সংসার চালাত। বর্তমানে সকলেই বড় হয়ে পরিবার নিয়ে আলাদা বসবাস করছে। প্রত্যেকেরই তিন-চারজন করে সন্তান রয়েছে। চাষের জমি, বসতবাড়ি, পুকুর সবকিছু ভাগ হয়েছে। এখন তাদের সংসারে সীমাহীন অভাব এবং নানা সমস্যায় জর্জরিত।

ক. জনসংখ্যার ঘনত্ব কী?
খ. খাগড়াছড়িতে জনসংখ্যার ঘনত্ব কম হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে ইঙ্গিতপূর্ণ সমস্যার কারণসমূহ বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর ইঙ্গিতকৃত সমস্যার প্রভাব ব্যাখ্যা কর।

৬. ২০১৭ সালে ৬ লক্ষের বেশি রোহিঙ্গা তাদের নিজ দেশ মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় প্রদান করে বাংলাদেশ বিশ্বসমাজে প্রশংসিত হলেও নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

ক. জন্মহার কাকে বলে?
খ. ঘনত্বের বিচারে রাঙ্গামাটি কোন ধরনের জনবসতি অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত জনগোষ্ঠীর বাংলাদেশে আগমন কোন ধরনের অভিগমন – ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত জনগোষ্ঠীর বাংলাদেশে আগমনের প্রভাব বিশ্লেষণ কর।

৭. নিচের চিত্রটি লক্ষ্য কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। (চিত্রটি পিডিএফ উত্তরমালায় দেখানো হয়েছে)

ক. CDR এর পূর্ণরূপ কী?
খ. জনসংখ্যার ঘনত্ব কীভাবে নির্ণয় করা হয়? ব্যাখ্যা কর।
গ. ‘অ’ অঞ্চলের জনসংখ্যার ঘনত্বের ক্ষেত্রে প্রভাববিস্তারকারী নিয়ামকসমূহ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘ঈ’ ও ‘ই’ অঞ্চলের জনসংখ্যার ঘনত্বের তারতম্যের কারণ বিশ্লেষণ কর।

৮. নিচের চিত্রটি লক্ষ্য কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। (চিত্রটি পিডিএফ উত্তরমালায় দেখানো হয়েছে)

ক. বাংলাদেশে জনসংখ্যার ঘনত্ব কত?
খ. জনসংখ্যা পিরামিড বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা কর।
গ. চিত্রে ‘জ’ চিহ্নিত অঞ্চলে জনসংখ্যার ঘনত্ব অধিক হওয়ার প্রাকৃতিক কারণ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘চ’ ও ‘ছ’ চিহ্নিত অল দুটির মধ্যে তুলনামূলক জনসংখ্যার ঘনত্বের তারতম্য বিশ্লেষণ কর।

৯. ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাত্রিতে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী অপারেশন সার্চলাইট’ নামে ঢাকায় এক জঘন্যতম গণহত্যা চালায়, শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। ফলে নিজেদের জীবন রক্ষার্থে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবেশী দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরায় আশ্রয় নেয়।

ক. অভিগমন কাকে বলে?
খ. শরণার্থী বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে ইঙ্গিতকৃত অভিগমনটি কোন ধরনের অভিগমন? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের আলোকে এই অভিগমন অত্র অঞ্চলের সার্বিক পরিবেশের ওপর কীরূপ প্রভাব ফেলবে? বিশ্লেষণ কর।

১০. ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাংলাদেশের অনেক পরিবারের মতো শান্ত, ও আমিনার পরিবার হাবিব, রনি ও আরও অনেকের পরিবার বাংলাদেশ থেকে ভারতে গমন করে। এর মধ্যে আমিনা ও রনির পরিবার ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে চলে আসে।

ক. আন্তর্জাতিক অভিগমন কাকে বলে?
খ. অভিগমনের সামাজিক প্রভাব ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে কোন ধরনের অভিবাসনের কথা বলা হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে অভিগমনকারীদের মধ্যে শরণার্থী কারা? বিশ্লেষণ কর।

ভূগোল ২য় পত্র ৩য় অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর : যে অধিবাসীদের বসতবায়িগুলো খুব কাছাকাছি এবং ঘন বা নিবিড়ভাবে গড়ে ওঠে তাকে পুঞ্জীভূত বসতি বলে। কোনো স্থানে শিল্প স্থাপিত হলে সে অঞ্চলে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে ওঠে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধার (যেমন-কর্মসংস্থানের পাশাপাশি শিক্ষা, বিনোদন, চিকিৎসা প্রভৃতি) কারণে মানুষ শিল্পালকে কেন্দ্র করে বসতি স্থাপন করতে চায়।

ভূগোল ২য় পত্র ৩য় অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

১. হাবিব উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য নওগাঁয় নিজ গ্রাম ছেড়ে রাঙামাটি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়। সে তার গ্রাম ও রাঙামাটি অঞ্চলের ঘরবাড়ি, কৃষিকাজ, পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা, অর্থনৈতিক কর্মকা- ইত্যাদির মধ্যে সুস্পষ্ট পার্থক্য খুঁজে পায়, যা দুই অঞ্চলের অধিবাসীদের জীবনযাত্রার ব্যাপক প্রভাববিস্তার করে।

ক. নগরায়ণ কাকে বলে?
খ. বসতি গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে জলবায়ুর ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ধরনগুলোর সাধারণ বৈশিষ্ট্য হাবিবের গ্রামের আলোকে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে হাবিবের নিজ এলাকা এবং তার পড়তে আসা অঞ্চলটির বসতি বিন্যাসের পার্থক্য বিশ্লেষণ কর।

২. নিচের চিত্রটি লক্ষ্য কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। (চিত্রটি পিডিএফ উত্তরমালায় দেখানো হয়েছে)

ক. মেগাসিটি কী?
খ. গ্রামীণ জীবনযাত্রায় হাটের ভূমিকা অসামান্য ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে ‘ক’ চিহ্নিত স্থান প্রশাসনিক কেন্দ্রবিন্দু হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে ‘ক’ ও ‘খ’ চিহ্নিত স্থানের জনসংখ্যার ঘনত্বের তারতম্য বিশ্লেষণ কর।

৩. আনোয়ার সাহেব বাংলাদেশের একটি অঞ্চলে বেড়াতে গেলেন। সেখানে তিনি কিছু বসতি খুঁজে পেলেন যেগুলোর বেশিরভাগই পুঞ্জীভত এবং অল্প কিছু বসতি বিক্ষিপ্তভাবে রয়েছে। এছাড়া তিনি আরও দেখতে পান যে, ঐসব এলাকার বসতিগুলো কৃষিভূমির আশেপাশে গড়ে উঠেছে।

ক. আনোয়ার সাহেবের ভ্রমণকৃত এলাকা কোন বসতির উদাহরণ?
খ. গ্রামীণ হাটবাজার গড়ে ওঠার কারণ ব্যাখ্যা কর।
গ. বিক্ষিপ্ত বসতি ও পুঞ্জীভূত বসতির তুলনামূলক বর্ণনা কর।
ঘ. কৃষিভূমির সাথে বসতি গড়ে ওঠার আদৌ কি কোনো সম্পর্ক আছে? বিশ্লেষণ কর।

৪. নিচের চিত্রটি লক্ষ্য কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। (চিত্রটি পিডিএফ উত্তরমালায় দেখানো হয়েছে)

ক. গ্রামীণ হাট কাকে বলে?
খ. ভূপ্রকৃতি বসতি গঠনে কীভাবে প্রভাবিত করে? ব্যাখ্যা কর।
গ. ‘ক’ অঞ্চলে বসতি গড়ে ওঠার কারণ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘ক’ ও ‘খ’ বসতির বৈশিষ্ট্যের তুলনামূলক ব্যাখ্যা কর।

৫. নাবিলের বাড়ি ভোলার বদ্বীপ সমভূমিতে। বসতিগুলো যার যার ফসলি জমির পাশে গড়ে উঠেছে। হাবিবের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলে। একটি বড় পুকুরকে কেন্দ্র করে তাদের বাড়িসহ আরও অনেকগুলো বাড়ি গড়ে উঠেছে। এভাবে বাংলাদেশের গ্রামে বিক্ষিপ্ত ও পুঞ্জীভূতভাবে অনেক বসতি গড়ে উঠেছে। শহর থেকে গ্রামের বসতির বৈশিষ্ট্য ভিন্নতর।

ক. বসতি কী?
খ. নগরায়ণ বলতে কী বোঝ?
গ. নাবিল ও হাবিবদের অঞ্চলের বসতির ধরন ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে ইঙ্গিতকৃত বসতির বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে তোমার মতামত দাও।

৬. আমির হোসেন গ্রামে বাস করে। বাড়িতে বসে তার নিজের তাতে লগি, গামছা ও শাড়ি বুনে। সপ্তাহের প্রতি বুধবার সে তার বোনা কাপড় নিয়ে মঠবাড়িয়া হাটে যায়। হাটটি গ্রামের মধ্যস্থানে, যাতায়াত সুবিধাও ভালো। সারাদিন কাপড় বিক্রি করে সন্ধ্যায় উদ্বৃত্ত মাল নিয়ে বাড়ি ফেরে।

ক. গ্রামীণ হাটবাজার কাকে বলে?
খ. পণ্য বিনিময়ের প্রাথমিক মাধ্যম হাট- ব্যাখ্যা কর।
গ. মঠবাড়িয়ার হাটটি গড়ে ওঠার পেছনে ভৌগোলিক উপাদানের ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের আলোকে পণ্য বিনিময় কেন্দ্রের বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ কর।

৭. সিমার বাড়ি কীর্তনখোলা নদীর তীরে। নগরায়ণের ধারায় এটি এখন বিভাগীয় শহর। সিয়াম বাস করে শহরে। এটি প্রশাসনিক শহর, দেশের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত এবং বিভিন্ন নাগরিক সুবিধার জন্য মেগাসিটিতে পরিণত হয়েছে।

ক. বাংলাদেশে বিভাগীয় শহর কয়টি?
খ. পুঞ্জীভূত বসতি বলতে কী বোঝ?
গ. সিমার শহরটি গড়ে ওঠার পেছনে নদীবন্দরের ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. সিয়ামের শহরটি কী কী সমস্যায় জর্জরিত যুক্তিসহ বিশ্লেষণ কর।

৮. সিয়াম ও রেজা দুজনেই শহরে বাস করে। তবে রেজার শহরটি একটি প্রশাসনিক শহর। অন্যদিকে সিয়াম যে শহরে বাস করে সেটি আগে গ্রাম হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু কয়েক বছর আগে সেখানে একটি ইপিজেড প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় তা এখন শহর হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।

ক. মানুষের অভিযোজনের প্রথম পদক্ষেপ কী?
খ. মাটি কীভাবে বসতি স্থাপনে সহায়তা করে?
গ. উদ্দীপকের শহরটি গড়ে ওঠার পেছনে ইপিজেড-এর ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. রেজার শহরটি সিয়ামের শহর থেকে ভিন্ন প্রকৃতির যুক্তিসহ বিশ্লেষণ কর।

৯. আরিফ গ্রামে কৃষিকাজ ছেড়ে কুষ্টিয়ার দর্শনায় একটি চিনি শিল্পে যোগ দিল। অন্যদিকে তার ভাই রবি বগুড়ার মহাস্থানগড়ের নিকট একটি কোম্পানিতে চাকরি করে। দুইজনই বর্তমানে নগরায়ণের সুযোগসুবিধা পেয়ে সেখানেই স্থায়িভাবে বসবাস করার জন্য মনস্থির করল।

ক. বাংলাদেশের সর্বশেষ ঘোষিত বিভাগ কোনটি?
খ. নগরায়ণ বলতে কী বোঝ? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের আরিফ ও তার ভাই রবির বসবাসকৃত অঞ্চল দুটি নগরায়ণের ধারায় কোন পর্যায়ে পড়ে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের দুই ভাইয়ের নিজ নিজ কর্মস্থলে স্থায়িভাবে বসবাস করার উপযুক্ত কারণ বিশ্লেষণ কর।

১০. নিচের চিত্রটি লক্ষ্য কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। (চিত্রটি পিডিএফ উত্তরমালায় দেখানো হয়েছে)

ক. বসতি কাকে বলে?
খ. পুঞ্জীভূত বসতির প্রধান কারণ শিল্পায়ন ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে বসতি-২ এর বৈশিষ্ট্য বর্ণনা কর।
ঘ. বসতি-১ এ অতিরিক্ত জনসংখ্যা কী ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করে বিশ্লেষণ কর।

ভূগোল ২য় পত্র ৪র্থ অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর : বর্তমানে ধান উৎপাদনে চীন বিশ্বের প্রথম। চীনের বিভিন্ন অঞ্চলে ধান উৎপন্ন হয়। তবে সবচেয় বেশি ধান উৎপাদন হয় হুনান প্রদেশে। অত্যধিক ধান উৎপাদন হয় বলে চীনের হুনান প্রদেশকে ধানের আধার বলা হয়।

সমুদ্রের যেসব মৎস্য দিনের বেলায় সমুদ্রের গভীর অংশে চলে যায় এবং রাতে সমুদ্রের উপরিভাগে ঝাঁকে ঝাঁকে বিচরণ করে এদেরকে প্যালাজিক মৎস্য বলে। প্যালাজিক মৎস্য একটি সামুদ্রিক মৎস্য। এ শ্রেণির মাছ সমুদ্রের উপরের অংশে বাস করে। হেরিং, ম্যাকারেল, পিলচার্ড, সার্ডিন, ব্রিসলিং, অ্যানকোভিস, মেনহাডেন, কেপলিন ইত্যাদি প্যালাজিক মৎস্য।

ভূগোল ২য় পত্র ৪র্থ অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

১. নিচের ছকটি লক্ষ কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
তিনটি দেশের কৃষি উৎপাদন পদ্ধতি
ক – বাংলাদেশ – নিজস্ব চাহিদা মেটানোর জন্য ফসল উৎপাদন করে।
খ – কানাডা – বিস্তীর্ণ ভূমিতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন করে।
গ – মালয়েশিয়া – একই জমিতে দীর্ঘ সময় ব্যবহার করে একটি ফসল উৎপাদন করে।

ক. কৃষি কী?
খ. পৃথিবীর রুটির ঝুড়ি কোন অঞ্চলকে বলা হয়?
গ. উদ্দীপকে ‘গ’ এ উল্লিখিত কৃষি পদ্ধতির বৈশিষ্ট্যের বর্ণনা দাও।
ঘ. উদ্দীপকে ‘ক’ ও ‘খ’ কৃষি পদ্ধতির মধ্যে তুলনা কর।

২. যশোর অঞ্চল থেকে রবিন উত্তর-পূর্ব দিকের পাহাড়িয়া অঞ্চলে বেড়াতে গিয়ে বিশেষ ধরনের ফসল দেখতে পেল যা অর্থকরী ফসল হিসাবে পরিচিত।

ক. BRRI-এর পূর্ণরূপ কী?
খ. বাংলাদেশের মৎস্য সম্পদের গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে ইঙ্গিতপূর্ণ ফসল উৎপাদনের অনুকূল নিয়ামক ব্যাখ্যা কর।
ঘ. রবিনের দেখা ফসলটির বাণিজ্যিক গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর।

৩. নিচের চিত্রটি লক্ষ কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। (চিত্রটি পিডিএফ উত্তরমালায় দেখানো হয়েছে)

ক. অর্থকরী ফসল বলতে কী বুঝায়?
খ. বাগিচা-কৃষি বলতে কী বুঝায়?
গ. উদ্দীপকে ‘অ’ চিহ্নিত কৃষি সংস্থার কার্যক্রম ব্যাখ্যা কর।
ঘ. বাংলাদেশের কৃষির উন্নয়নে উদ্দীপকের চিহ্নিত ঈ সংস্থার ভূমিকা বিশ্লেষণ কর।

৪. বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রধান খাদ্য শস্যটির উৎপাদনে শীর্ষে রয়েছে চীন। শীতকালীন ও বসন্তকালীন ফসল হিসেবে পরিচিত কৃষিপণ্যটি যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি রপ্তানি করে থাকে।
ক. পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম পাট উৎপাদনকারী দেশের নাম লেখ।
খ. বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলে কেন সবচেয়ে বেশি চা উৎপাদন হয়?
গ. উদ্দীপকে ইঙ্গিতপূর্ণ শস্য চাষের ভৌগোলিক নিয়ামক ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে দেশদ্বয়ে উৎপাদিত শস্যটির বৈদেশিক বাণিজ্যের স্বরূপ বিশ্লেষণ কর।

৫. দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম প্রধান খাদ্যশস্য যা প্রধানত মৌসুমি অঞ্চলের ফসল। ২০১৭ সালের হিসাব অনুযায়ী ফসলটি যে দেশটিতে সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত হয় সেই দেশটিই আবার সবচেয়ে বেশি আমদানি করে থাকে।

ক. চায়ের আদিভূমি কোন দেশে?
খ. হুনান প্রদেশকে পৃথিবীর চালের আঁধার বলা হয় ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের ফসলটি উৎপাদনের প্রাকৃতিক নিয়ামক ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের দেশটির ইঙ্গিতকৃত ফসলটি উৎপাদন ও আমদানিতে শীর্ষ হওয়ার কারণ বিশ্লেষণ কর।

৬. ইয়াংসিকিয়াং ও সিকিয়াং নদী বিধৌত দেশটি ধান উৎপাদনে বিশ্বে শীর্ষস্থান দখল করে আছে। প্রাকৃতিক বিভিন্ন নিয়ামকের অনুকূল অবস্থা বিদ্যমান থাকার কারণে আমরা প্রচুর ধান উৎপন্ন করলেও অত্যধিক জনসংখ্যার কারণে চাহিদা পূরণে আমাদের ধান আমদানি করতে হয়।

ক. এশিয়ার অধিবাসীদের প্রধান খাদ্যশস্য কোনটি?
খ. প্রেইরী অলকে পৃথিবীর ‘রুটির ঝুড়ি’ কেন বলা হয়? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে ইঙ্গিতকৃত দেশটির ধান উৎপাদনের প্রাকৃতিক নিয়ামক ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের দেশদ্বয়ের ধান উৎপাদনের তারতম্যের কারণ বিশ্লেষণ কর।

৭. নিচের চিত্রটি লক্ষ কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। (চিত্রটি পিডিএফ উত্তরমালায় দেখানো হয়েছে)

ক. কৃষি কী?
খ. চা চাষের জন্য ঢালু ভূমি প্রয়োজন কেন? ব্যাখ্যা কর।
গ. ‘ক’ অঞ্চলে গম উৎপাদনের ভৌগোলিক নিয়ামক ব্যাখ্যা কর।
ঘ. গমের বিশ্ববাণিজ্যে ‘ক’ ও ‘খ’ অঞ্চলের তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।

৮. কৃষি একটি প্রাচীন পেশা। এর উন্নতি কতিপয় নিয়ামকের ওপর নির্ভরশীল। এ সকল নিয়ামক পৃথিবীর সর্বত্র একইরূপ নয় বলে এক এক অঞ্চলে এক এক প্রকার ফসল প্রচুর জন্মে। ক-শ্রেণির নিয়ামকগুলো প্রকৃতি প্রদত্ত এবং খ-শ্রেণির নিয়ামকগুলো সরাসরি প্রকৃতি প্রদত্ত নয়। মানুষ ও সমাজ কর্তৃক প্রাপ্ত হয়।

ক. কৃষির সংজ্ঞা দাও।
খ. কৃষি একটি প্রাচীন পেশা-ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে ক-শ্রেণির নিয়ামকগুলো ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের আলোকে খ-শ্রেণির নিয়ামকগুলো কীভাবে কৃষিকার্যে সহায়তা করে মতামত দাও।

৯. আলী হোসেন গ্রামের একজন প্রতিষ্ঠিত কৃষক। বাংলাদেশ সরকার গ্রামের উন্নয়নের জন্য একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প চালু করেছেন। আলী হোসেন এই প্রকল্পের আওতায় নিজের জমিতে ফসল উৎপাদনের পাশাপাশি নিজের পুকুরে কার্পজাতীয় মাছের চাষ করেন। এছাড়া সনাতন কৃষি পদ্ধতির পরিবর্তে সে কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে অধিক লাভবান হচ্ছেন।

ক. বাংলাদেশের মানুষের প্রধান উপজীবিকা কী?
খ. প্যালাজিক মৎস্য বলতে কী বোঝ?
গ. উদ্দীপকে ইঙ্গিতকৃত মৎস্য চাষের জন্য কীভাবে আদর্শ পুকুর তৈরি করা যায় ব্যাখ্যা কর।
ঘ. আলী হোসেন কী পদক্ষেপের মাধ্যমে কৃষিতে অধিক লাভবান হচ্ছেন- উদ্দীপকের আলোকে বিশ্লেষণ কর।

ভূগোল ২য় পত্র ৫ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর : বাংলাদেশ খনিজ সম্পদ অনুসন্ধান ও উত্তোলনের দিক দিয়ে তেমন অগ্রসর নয় বলে খনিজ সম্পদ উত্তোলন করা যাচ্ছে না। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে খনিজ সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। কিন্তু এসব খনিজ সম্পদ উত্তোলনের জন্য উন্নতমানের আধুনিক যন্ত্রপাতির প্রয়োজন যা বাংলাদেশে নেই। এমনকি বাংলাদেশে দক্ষ শ্রমিক ও মূলধনের অনেক অভাব রয়েছে। এছাড়া প্রযুক্তি জ্ঞানের অভাব এবং বৈদেশিক সাহায্য ছাড়া উত্তোলন করা সম্ভব নয় বলে অনেক স্থানে খনিজ সম্পদ উত্তোলন করা যাচ্ছে না।

ভূগোল ২য় পত্র ৫ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

১. ভূগোলের একদল ছাত্র শিক্ষা সফরে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে গিয়ে দেখল সেখানে যে খনিজ সম্পদ পাওয়া যায় তা ফেঞ্চুগঞ্জের সার কারখানায় ও ছাতকের সিমেন্ট কারখানায় কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

ক. বাংলাদেশে আবিষ্কৃত সর্বশেষ গ্যাসক্ষেত্রের নাম কী?
খ. শক্তিসম্পদ বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত খনিজ সম্পদের বর্ণনা দাও।
ঘ. উক্ত খনিজ সম্পদ উত্তোলনে বিশ্বের শীর্ষ দেশের গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর।

১ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

ক. বাংলাদেশে আবিষ্কৃত সর্বশেষ গ্যাসক্ষেত্রের নাম শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্র।

খ. প্রকৃতি প্রদত্ত যে সকল পদার্থ হতে শক্তি পাওয়া যায় তাদের শক্তিসম্পদ বলে। বিভিন্ন প্রকার কয়লা, খনিজ তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস প্রভৃতি ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার কাজ সম্পন্ন করা হয় বলে এদেরকে শক্তিসম্পদের উৎস বলা হয়। উদাহরণ হিসেবে প্রাকৃতিক গ্যাসের কথা বলা যায়, এটি পুড়িয়ে তাপবিদ্যুৎ শক্তি উৎপন্ন করা হয় এবং বিদ্যুৎশক্তি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।

গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত যে খনিজ সম্পদের কথা বলা হয়েছে তা হচ্ছে প্রাকৃতিক গ্যাস। কেননা এটি ফেঞ্চুগঞ্জের সার কারখানা ও ছাতকের সিমেন্ট কারখানায় ব্যবহৃত হচ্ছে।

প্রাকৃতিক গ্যাস বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি সম্পদ। দেশের মোট বাণিজ্যিক জ্বালানি ব্যবহারের প্রায় ৭১ শতাংশ প্রাকৃতিক গ্যাস পূরণ করে থাকে। এ যাবৎ আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্রের সংখ্যা ২৬টি। সর্বশেষ আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্র শ্রীকাইল (মুরাদনগর, কুমিল্লা)। গ্যাসক্ষেত্রগুলোর উত্তোলনযোগ্য প্রমাণিত ও সম্ভাব্য মজদের পরিমাণ ২৭,০৩৮.৫৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। বর্তমানে ২০টি গ্যাসক্ষেত্রের ১০১টি কূপ থেকে গ্যাস উৎপাদিত হচ্ছে।

যেসব গ্যাসক্ষেত্র উৎপাদনরত সেগুলো হচ্ছে- বাখরাবাদ তবিল সিলেট, কৈলাশটিলা, রশিদপুর, তিতাস, নরসিংদী, মেঘনা স সালদা নদী, জ্বালালাবাদ, বিয়ানীবাজার, ফেঞ্চুগঞ্জ, মৌলভীবাজার বিবিয়ানা, বান্দুরা, শাহবাজপুর, সেমুতাং, সুন্দলপুর, বেগমগঞ্জ শ্রীকাইল প্রভৃতি। উক্ত গ্যাসক্ষেত্র থেকে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে এ উত্তোলিত হচ্ছে; যা আমাদের দৈনন্দিন কার্যাবলির ক্ষেত্রে করা যাচ্ছে।

ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত খনিজ সম্পদটি হলো প্রাকৃতিক গ্যাস। প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষ দেশ হলো যুক্তরাষ্ট্র। এর উৎপাদন ২৩৪.৩৯ লক্ষ টেরাজলিস। এদেশের প্রধান গ্যাসক্ষেত্রগুলো টেক্সাস, লুইসিয়ানা, পশ্চিম ভার্জিনিয়া, কানসাস, ওকলহামা ও ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত।

২০১১ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদনে যুক্তরাষ্ট্র নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করে। ২০১৪ থেকে ২০১৫ তে ৫.৪ শতাংশ উৎপাদন বৃদ্ধি পায় এবং ২০১৫ তে এর পরিমাণ ছিল ২৮.৮ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। বিপুল সরবরাহের কারণে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং জাপানের তুলনায় গ্যাসের ভোক্তামূল্য কম; বরং অন্যান্য শক্তিসম্পদের তুলনায়ও এখানে গ্যাসের মূল্য স্বল্প। ২০১০ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র তরল গ্যাস উৎপাদনেও শীর্ষে।

যদিও দেশটি প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদনে শীর্ষে; প্রমাণিত মজুদের দিক থেকে দেশটির স্থান পঞ্চম। এর উপরে রয়েছে রাশিয়া, ইরান, কাতার এবং তুর্কমেনিস্তান। মূলত বিশ্বের শক্তিধর এ রাষ্ট্রটি আধুনিক জীবনের সব সুযোগ-সুবিধা নাগরিকদের জন্য নিশ্চিত করতে, নিজের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি এবং রাজনৈতিক প্রভাব টিকিয়ে রাখতে প্রচুর পরিমাণে শক্তিসম্পদ খরচ করে। তাই প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার দেশটির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আর এ দেশটি বিশ্বের ওপর একজন অধিকারের কারণেও প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার বিশ্বময় গুরুত্বপূর্ণ।

২. সুজয় একটি খনিজ সম্পদ নিয়ে তার বন্ধুদের সাথে আলাপ করে। সে বলে, স্বর্ণের মতো রং না হলেও একে তরল সোনা বলা হয়। ভঁজযুক্ত শিলাস্তরে পানির সাথে এর অবস্থান। উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহাবশেষ চাপা পড়ে এগুলো তৈরি।

ক. হরিপুরের বিদ্যুৎকেন্দ্রে জ্বালানি হিসেবে কোনটি ব্যবহৃত হয়?
খ. পিট কয়লা কীভাবে সৃষ্টি হয়?
গ. উদ্দীপকে সুজয়ের ইঙ্গিতকৃত খনিজদ্রব্যটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত সুজয় তার বন্ধুদের সাথে যে খনিজদ্রব্যটি নিয়ে আলাপ করছিল সেই খনিজদ্রব্যটির দূরপ্রাচ্য বলয়ের উৎপাদন সম্পর্কে লেখ।

২ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

ক. হরিপুরের বিদ্যুৎকেন্দ্রে জ্বালানি হিসেবে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহৃত হয়।

খ. কয়লা গঠনের প্রথম অবস্থা হলো পিট। মাটির তলায় বনভূমি চাপা পড়ে প্রাথমিকভাবে পিট কয়লার সৃষ্টি হয়। এ কয়লা বাদামি রঙের এবং নিকৃষ্ট শ্রেণির হয়। এতে কার্বনের পরিমাণ থাকে ৩০-৩৫ ভাগ।

গ. উদ্দীপকে সুজয়ের ইঙ্গিতকৃত খনিজদ্রব্যটি হলো খনিজ তেল। ভূগর্ভের শিলাস্তর থেকে উত্তোলনকৃত তেলকে খনিজ তেল বলে। খনিজ তেলের অপরিহার্যতা ও বিশেষ গুরুত্বের জন্য একে তরল সোনা বলা হয়।

ভূগর্ভস্থ পাললিক শিলাস্তরে সামুদ্রিক অবক্ষেপের সাথে বিভিন্ন ধরনের ও প্লাঙ্কটন, উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহাবশেষ পাললিক শিলাস্তরের নিচে চাপা ও পড়ে। ভূগর্ভের চাপ, তাপ ও রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় পরিবর্তিত হয়ে এগুলো ক্রমশ তরল পদার্থে পরিণত হয় এবং অবশেষে খনিজ তেলে রূপান্তরিত হয়। এরপর আস্তে আস্তে একত্রিত হয়ে অবস্থান করে। খনিজ তেল সাধারণত হলদে সবুজ থেকে কালচে বাদামি রঙের হয়ে থাকে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে খনিজ তেল পাওয়া যায়। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, সৌদি আরব, চীন, ইরান, ইরাক প্রভৃতি দেশে তেল উত্তোলন হয়।

ঘ. উদ্দীপকে সুজয় তার বন্ধুদের সাথে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছিল সেটি হলো খনিজ তেল। পৃথিবীর অধিকাংশ খনিজ তেল পাললিক শিলাস্তরে অবস্থান করে। শিলা মধ্যস্থ পানির সাথে খনিজ তেল মিশ্রিত হয়ে সাধারণত ভাঁজযুক্ত শিলাস্তরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়। খনিজ তেল উত্তোলনে দূর। প্রাচ্যের দেশসমূহের মধ্যে রয়েছে চীন, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, মিয়ানমার, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান। খনিজ তেলের এ দুই দেশের উৎপাদন নিচে আলোচনা করা হলো-

খনিজ তেল উত্তোলনে চীন বিশ্বে চতুর্থ। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এ দেশে খনিজ তেল উত্তোলনের পরিমাণ ছিল ২১ কোটি মেট্রিক টন। চীনের তেল খনিগুলো প্রধানত উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত। অন্যদিকে, ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপ, জাভা অঞ্চল ও কালিমান্তান দ্বীপ অঞ্চলে তেলের খনি রয়েছে। ২০১২ সালে ইন্দোনেশিয়ায় ৩৫৪৯ হাজার মেট্রিক টন খনিজ তেল উত্তোলিত হয়।

এছাড়া জাপানে খনিজ তেল উত্তোলনের পরিমাণ খুবই কম। এ দেশে বার্ষিক ৭.২০ লক্ষ মে. টন তেল উত্তোলিত হয়। এ দেশের হোনসু দ্বীপ ও হোক্কাইডো দ্বীপে তেলের খনি রয়েছে। সুতরাং বলা যায় যে, তরল সোনা তথা খনিজ তেল উৎপাদনে। দূরপ্রাচ্যের দেশগুলো খুব বেশি স্বয়ংসম্পূর্ণ না হলেও চীন ও জাপান এ খনিজ উৎপাদনে যথেষ্ট এগিয়ে আছে।

৩. ক একটি খনি থেকে কয়লা উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠান। তারা বিভিন্ন খনি থেকে কয়লার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে। ‘অ’ ক্ষেত্রের নমুনায় দেখা যায় এতে শতকরা ৩০-৩৫ ভাগ কার্বন রয়েছে। ‘ই’ ক্ষেত্রের নমুনায় ৩৫ থেকে ৪৫ ভাগ কার্বন পাওয়া যায়। ‘ঈ’ ক্ষেত্রে ৬০ ভাগ কার্বন রয়েছে। ‘উ’ ক্ষেত্রের নমুনা পরীক্ষা করে ৯০ ভাগ কার্বন পাওয়া যায়। সবচেয়ে বেশি কার্বন পাওয়া যায় ‘ঊ’ ক্ষেত্রের নমুনায়। এতে প্রায় ৯৯ ভাগ কার্বন রয়েছে।

ক. কোন কাজে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার বেশি?
খ. তেল উৎপাদনে ভারতের অবস্থা ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে নমুনাগুলোর কোনটি কোন শ্রেণির কয়লা নিরূপণ কর।
ঘ. উদ্দীপকের দ্রব্যটি উৎপাদনে বিশ্বে শীর্ষ দুটি দেশের উত্তোলন সম্পর্কে পর্যালোচনা কর।

৪.. ক’ খনিজ সম্পদটি লিকুইড গোল্ড হিসাবে পরিচিত যা মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে বেশি উত্তোলিত হয়। অন্যদিকে মিথেন সমৃদ্ধ ‘খ’ খনিজ সম্পদটি যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি উত্তোলিত হয়।

ক. শক্তি সম্পদ কাকে বলে?
খ. শিল্প উৎপাদনে শক্তি সম্পদের ভূমিকাই প্রধান ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ‘ক’ খনিজ সম্পদটির বাণিজ্যের ধরন ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ‘খ’ খনিজ সম্পদটির বাংলদেশের সাপেক্ষে গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর।

৫. ইয়াং জি জাপানের একটি লৌহ ও ইস্পাত শিল্পের মালিক। জাপানে এ শিল্পের কাঁচামালের চাহিদা পূরণ করতে পারে না বিধায় আয়রন মোনার্ক ও আয়রন নব অঞ্চল থেকে আকরিক লোহা আমদানি করে।

ক. রাশিয়ার কোন অঞ্চল উৎকৃষ্টমানের লৌহ আকরিকের জন্য প্রসিদ্ধ?
খ. অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর জন্য আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র কোন কোন দেশ হতে আকরিক লোহা আমদানি করে?
গ. ইয়াং জি-র উদ্দীপকে উল্লিখিত অঞ্চল থেকে আকরিক লোহা আমদানির কারণ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ইয়াং জি-র লোহা ও ইস্পাত শিল্পের জন্য কাঁচামাল আমদানিকৃত দেশের বর্ণনা দাও।

৬. এম সাইফুর রহমান ইরাকের একটি তেল শোধনাগারের মালিক। তিনি অপরিশোধিত তেল পরিশোধন করে স্থানীয় পাইকার ও আমদানিকারকদের নিকট বিক্রয় করে থাকেন। প্রচুর সম্ভাবনাময় এ ব্যবসায় সম্প্রসারণের লক্ষ্যে তিনি বাংলাদেশে একটি তেল শোধনাগার স্থাপন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

ক. দেশের প্রথম আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্র কোনটি?
খ. শিল্পকারখানায় কয়লার ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।
গ. এম সাইফুর রহমানের ব্যবসায়টি সম্ভাবনাময় হওয়ার কারণ বিশ্লেষণ কর।
ঘ. বাংলাদেশে তেল শোধনাগার স্থাপন করে এম সাইফুর রহমান যে সুবিধা পেতে পারেন তা মূল্যায়ন কর।

৭. ইকবাল সাহেবের দিনাজপুরে বড়পুকুরিয়ায় ইটভাটা রয়েছে। ইটভাটার জ্বালানি হিসেবে তিনি তৈরি পোশাক শিল্পের ঝুট ও কাঠ ব্যবহার করতেন। কিন্তু পরিবেশ দূষণ ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার্থে তিনি ঝুট ও কাঠ ব্যবহার না করে ইটের ভাটাটি চালু রাখতে চান। পাশাপাশি তিনি সড়ক নির্মাণে ঠিকাদারি ব্যবসায় নিজেকে সম্পৃক্ত করার সিদ্ধান্ত নেন।

ক. বিজয়পুরে কী পরিমাণ চীনামাটি মজুদ রয়েছে?
খ. বাংলাদেশের খনিজ সম্পদ উত্তোলন করা যাচ্ছে না কেন? ব্যাখ্যা কর।
গ. ইকবাল সাহেব স্থানীয় উৎসের সাহায্যে কীভাবে প্রতিষ্ঠানটি চালু রাখতে পারেন? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ঠিকাদারি ব্যবসায় ইকবাল, সাহেব নিজেকে সম্পৃক্ত করার সিদ্ধান্তটি কতটুকু যুক্তিযুক্ত? বিশ্লেষণ কর।

pdf download ভূগোল ২য় পত্র এইচএসসি সুপার সৃজনশীল সাজেশন ২০২৪

ভূগোল ২য় পত্র ৬ষ্ঠ অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর : পাট শিল্প গড়ে ওঠার একটি অন্যতম কারণ হলো জলবায়ুগত কারণ। পাট উষ্ণ অঞ্চলের ফসল। পাট চাষের জন্য ২০° থেকে ৩৫° সেলসিয়াম তাপমাত্রা এবং ১৫০ থেকে ২৫০ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত। যে সমস্ত অঞ্চলে এ ধরনের জলবায়ু বিদ্যমান সেখানে পাট শিল্প গড়ে উঠেছে।

যেকোনো দেশের দ্রুত শিল্পায়নের ক্ষেত্রে একটি স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক সরকার প্রয়োজন। শিল্পকারখানাগুলোর উৎপাদন অব্যাহত রাখা, প্রস্তুতকৃত মালামাল যথাসময়ে ভোক্তার নিকট পৌঁছানো, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি, দেশীয় উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ উৎসাহিত করার জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। আর এ অবস্থা সৃষ্টির জন্য চাই একটি স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক সরকার।

ভূগোল ২য় পত্র ৬ষ্ঠ অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

১. চিনি শিল্প বাংলাদেশের অন্যতম কারখানা শিল্প। প্রচুর ইক্ষু উৎপাদন সত্ত্বেও ১৯৩৩ সালের পূর্বে এদেশে কোনো চিনিকল গড়ে ওঠেনি। বর্তমানে ১৫টি চিনিকল থাকলেও অধিকাংশই উত্তরবঙ্গে গড়ে উঠেছে।

ক. সার শিল্পের প্রধান কাঁচামাল কী?
খ. শিল্প ব্যবস্থাপনা বলতে কী বোঝ?
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত শিল্পটির বিকাশে কী কী সমস্যা রয়েছে- ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত শিল্পটি উত্তরবঙ্গে বিকাশের ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক নিয়ামকের ভূমিকা বিশ্লেষণ কর।

১ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

ক. সার শিল্পের প্রধান কাঁচামাল হলো প্রাকৃতিক গ্যাস।

খ. শিল্প ব্যবস্থাপনা বলতে শিল্পের কর্ম পরিবেশ, বাজারে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে পণ্য বা সেবার উন্নয়ন, মূল্য নির্ধারণ, বণ্টন ও প্রসারের পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নসংক্রান্ত প্রক্রিয়াকে বোঝানো হয়। অর্থাৎ শিল্পের সার্বিক উন্নতি করার জন্য প্রয়োজনীয় কর্মপ্রক্রিয়াই শিল্প ব্যবস্থাপনা।

গ. উদ্দীপকে চিনি শিল্প সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। বাংলাদেশের চিনি শিল্পের ভবিষ্যৎ উজ্জল হলেও এদেশ চিনি উৎপাদনে এখনও স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। এদেশে চাহিদার তুলনায় চিনিকল কম থাকায় বিদেশ থেকে চিনি আমদানি করতে হয়। মূলত পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের অভাব, অনুর্বর মৃত্তিকা, আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানের অভাব, মূলধন সমস্যা, পােকার আক্রমণ প্রভৃতি কারণে আখের উৎপাদন কম হয়ে থাকে। আবার, মৌসুমে দূরবর্তী এলাকা থেকে কারখানায় আখ নিয়ে আসার প্রয়োজনীয় পরিবহন ব্যবস্থা না থাকায় চিনি উৎপাদনে প্রভাব পড়ে। কারণ আখ কেটে রেখে দিলে অথবা সময় মতো না কাটলে রস কমে যায়।

চিনিকলগুলোতে আখের জন্য কৃষকরা উপযুক্ত মূল্য পায় না বলে গুড় তৈরিতে আগ্রহী হয়ে থাকে। এছাড়া চিনি তৈরি করতে যেখানে শতাংশ রস কাজে লাগে সেখানে গুড় তৈরি করতে লাগে মাত্র ৬৫ শতাংশ। সর্বোপরি জাতীয়করণকৃত মিলে কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনা, সীমাহীন দুর্নীতি, ত্রুটিপূর্ণ উৎপাদন ব্যবস্থা ইত্যাদি কারণে চিনি শিল্পের উন্নতি হচ্ছে না।

ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত চিনি শিল্পটি উত্তরবঙ্গে বিকাশের ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক নিয়ামক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
স্বাধীনতার পূর্বে বাংলাদেশ চিনি শিল্পের সংখ্যা কম থাকলেও বর্তমানে বাংলাদেশে চিনিকল প্রায় ১৮টি। বাংলাদেশের বেশিরভাগ চিনির কল রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে গড়ে উঠেছে।

কারণ দেশের মােট উৎপাদিত আখের অধিকাংশই এই দুই বিভাগে জন্মে থাকে। মূলত প্রাকৃতিক তথা ভৌগোলিক ও জলবায়ুগত কারণেই এ অঞ্চলে চিনিকলগুলো গড়ে উঠেছে।

দেশের ১৮টি চিনিকলের মধ্যে ১০টি চিনিকল উত্তরবঙ্গ তথা রংপুর ও রাজশাহী এ দুই বিভাগেই গড়ে উঠেছে। এ অঞ্চলের ভূপ্রকৃতি, জলবায়ু ও মৃত্তিকায় আখের ফলন ভালো হয় বলে দ্রুত এ শিল্পের প্রসার ঘটেছে। এছাড়া এ অঞ্চলের উৎপাদিত আখের রসের পরিমাণও অধিক। পাকিস্তানের কারিগরি ও ঋণ সহায়তায় ১,৫০০ মেট্রিক টন উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন চিনির একটি কল পাবনার দাসুরিয়ার নির্মিত হয়েছে।

এখানে ১৯৯৬ সাল হতে উৎপাদন শুরু হয়েছে। এ দুই বিভাগের চিনিকলগুলো ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, শ্যামপুর, সেতাবগঞ্জ মহিমাগঞ্জ, জয়পুরহাট, হরিয়ানা ও নাটোরে অবস্থিত।
সুতরাং বলা যায় যে, অনুকূল প্রাকৃতিক পরিবেশ থাকায় বাংলাদেশে চিনিশিল্পগুলো উত্তরবঙ্গে কেন্দ্রীভূত হয়েছে।

২. নিচের চিত্রটি লক্ষ্য কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। (চিত্রটি পিডিএফ উত্তরমালায় দেখানো হয়েছে।)

ক. বাংলাদেশের একটি সার কারখানার নাম লেখ।
খ. বিনিয়োগ ছাড়া শিল্পায়ন সম্ভব নয়।-ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে ‘ক’ অঞ্চলে লৌহ ও ইস্পাত শিল্প গড়ে ওঠার কারণ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে ‘ক’ ও ‘খ’ অঞ্চলের শিল্পের প্রকৃতি বিশ্লেষণ কর।

৩. রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপ থেকে দুর্ঘটনার ১৭ দিন পর রেশমাকে জীবিত উদ্ধার একটি যুগান্তকারী ঘটনা। তবে দ্রুত বিকাশমান যে শিল্পটি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে এবং নারী কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বিরাট অবদান রাখছে, সেখানে এত বেশি হতাহতের ঘটনা বিদেশি ক্রেতাদের কাছে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

ক. শিল্পায়ন কী?
খ. শিল্পায়নের সাথে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত শিল্প বিকাশে কী কী অনুকূল নিয়ামক কাজ করেছে- ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে ইঙ্গিতকৃত শিল্প বিকাশে নারী কর্মীর ভূমিকা বিশ্লেষণ কর।

৪. তানিয়া ঢাকার গাজীপুরে বাস করে। তার বাড়ির আশেপাশে একটি বিশেষ শিল্প ব্যাপকভাবে গড়ে উঠেছে। যা দেশের কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রে এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

ক. শিল্প কী?
খ. লৌহ ও ইস্পাত শিল্পের চারটি ব্যবহার লেখ।
গ. তানিয়ার এলাকায় শিল্পটি ব্যাপকভাবে গড়ে ওঠার কারণ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে আলোচিত শিল্পটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কীভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে? বিশ্লেষণ কর।

৫. রকিব সাহেব একজন শিল্পপতি। সম্প্রতি তিনি একটি শিল্প স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ ধরনের শিল্প সকল শিল্পের মূল। কৃষি, শিল্প, পরিসেবা প্রভৃতি অর্থনৈতিক কাজকর্মের যেকোনো ধারায় উন্নতির জন্য এ শিল্পের অগ্রসর হওয়া একান্ত প্রয়োজন। এ শিল্প পৃথিবীর ভারী শিল্পগুলোর অন্যতম।

ক. বিলিয়ন ডলার শিল্প বলা হয় কোনটিকে?
খ. ভারতের গুরুত্বপূর্ণ কার্পাস বয়নশিল্পকেন্দ্র্রগুলো কোথায় অবস্থিত? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত শিল্পে কোন দেশ সবচেয়ে বেশি উন্নতি লাভ করেছে তার কারণ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত শিল্পের উৎপাদন ও বণ্টন বিশ্লেষণ কর।

৬. ঘটনা-১: সাভারে রানা প্লাজা ধসে যায়। আবার তাজরীন ফ্যাশনে আগুন লাগে। দুটি ঘটনায় কয়েক হাজার গার্মেন্টস শ্রমিক নিহত ও আহত হয়।

ঘটনা-২: টঙ্গী এলাকায় গার্মেন্টস শ্রমিকরা নিম্নতম মজুরি পাঁচ হাজার টাকা করার দাবিতে আন্দোলন করে। এতে অনেক গার্মেন্টস বন্ধ হয়ে যায়।

ক. বাংলাদেশে প্রথম কত সালে পোশাক শিল্প স্থাপিত হয়?
খ. শিল্পের জন্য বাজার প্রয়োজন কেন?
গ. উদ্দীপকের ঘটনাগুলো শিল্পায়নের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কোন দিককে নির্দেশ করে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. শিল্পায়নের জন্য আর কোন কোন ক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা দরকার? বিশ্লেষণ কর।

৭. একটি শিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশের নারী কর্মীদের ভূমিকা অপরিসীম। বর্তমানে এটি বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প। যা বিদেশে রপ্তানি করে এদেশ প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।

ক. কার্পাস বয়ন শিল্পের প্রধান কাঁচামাল কী?
খ. বাংলাদেশ সার শিল্পে স্বয়ংসম্পূর্ণ না হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর।
গ. ইঙ্গিতকৃত শিল্প দ্রুত বিকাশ লাভের কারণসমূহ নিরূপণ কর।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত শিল্পের উন্নয়নে নারী কর্মীদের অবদান বিশ্লেষণ কর।

৮. প্রেমার বাড়ি দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে। সেখানে এমন একটি শিল্প গড়ে উঠেছে যার কাঁচামাল বাইরের দেশ থেকে আমদানি করা হয়। অপরদিকে ডলির বাড়ি দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেখানে একটি শিল্প গড়ে উঠেছে যা দেশের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

ক. শিল্প কী?
খ. পাট শিল্প গড়ে ওঠার একটি কারণ ব্যাখ্যা কর।
গ. প্রেমার অঞ্চলে গড়ে ওঠা শিল্পটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ডলির অঞ্চলের শিল্পটির ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা কতটুকু সে সম্পর্কে মতামত দাও।

ভূগোল ২য় পত্র ৭ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর : বন্দর গঠন ও এর উন্নতিতে পশ্চাদভূমির গুরুত্ব অপরিসীম। বন্দরের মাধ্যমে যে অঞ্চলের পণ্যদ্রব্য রপ্তানি ও প্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্য আমদানি করা হয় তাকে ঐ বন্দরের পশ্চাদভূমি বলে।

পশ্চাদভূমি কোনো পণ্যের স্থানীয় চাহিদা মিটাতে সক্ষম হলে তাকে উদ্বৃত্ত অঞ্চল বলে। এতে করে রপ্তানি আর ঘাটতি অঞ্চল হলে আমদানি বাণিজ্য (যেমন, বাংলাদেশের খাদ্যশস্য) বৃদ্ধি পায়। স্বাভাবিকভাবেই পশ্চাদভূমি যদি অর্থনৈতিক দিক থেকে সমৃদ্ধ হয় তাহলে বন্দরের উন্নতি হয়।

ভূগোল ২য় পত্র ৭ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

১. আরেফিন সাহেব কুয়াকাটার সমুদ্র উপকূল দেখার জন্য প্রথমে লঞ্চে করে পটুয়াখালী যান। পরবর্তীতে মাইক্রোবাসে করে কুয়াকাটা পৌছান।

ক. মংলা বন্দর কোন নদীর তীরে অবস্থিত?
খ. বন্দরের উন্নতি নির্ভর করে পশ্চাভূমির ওপর – ব্যাখ্যা কর।
গ. আরেফিন সাহেবের প্রথমে ব্যবহৃত পথটির বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে ইঙ্গিতকৃত পথ দুটির সুবিধাসমূহের তুলনামূলক বিশ্লেষণ কর।

১ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

ক. মংলা বন্দর পশুর নদীর তীরে অবস্থিত।

খ. কোনো একটি বন্দরে যে অঞ্চলের বহির্ঘায়ের কাজ করে সেই অঞ্চলকে উক্ত বন্দরের পশ্চাদভূমি বলে। অন্যভাবে বলা যায় যেসব স্থানের রপ্তানি দ্রব্যসমূহ কোনো বন্দরের মধ্যদিয়ে বিদেশে প্রেরণ করা হয় এবং ঐসব অঞ্চলের আমদানি দ্রব্যসমূহ ঐ বন্দরের মধ্য দিয়ে বিদেশ হতে আনয়ন করা হয়। সে অঞ্চলটি হলো উক্ত বন্দরের পশ্চাদভূমি। তাই বন্দরের উন্নতি বহুলাংশে এর পশ্চাদভূমির বিস্তার ও সমৃদ্ধির ওপর নির্ভর করে। পশ্চাদভূমি যত বেশি বিস্তৃত, জনবহুল,শিল্পপ্রধান ও সম্পদশালী হবে বন্দর তত বেশি অগ্রগতি লাভ করবে।

গ. আরেফিন সাহেব প্রথমে যে পথটি ব্যবহার করেন তা হলো নৌপথ। নদীপথে সাধারণত নৌকা, লঞ্চ, স্টিমার চলাচল করে। এ দেশে রয়েছে অসংখ্য নদী, খাল, বিল। কিন্তু দেশের সবগুলো নদীই নাব্য নয়। বাংলাদেশে প্রায় ৮,৪০০ কিলোমিটার দীর্ঘ অভ্যন্তরীণ নাব্য জলপথ রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৫,৪০০ কিলোমিটার সারাবছর নৌচলাচলের জন্য উন্মুক্ত রয়েছে।

অবশিষ্ট প্রায় ৩,০০০ কিলোমিটার শুধু বর্ষাকালে ব্যবহৃত হয়। নাব্য নৌপথগুলো অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের অধীনে রয়েছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নদীপথে ছোট ছোট নৌকা থেকে আরম্ভ করে লঞ্চ, স্টিমার, সী ট্রাক, ফেরী, ট্যাঙ্কার, কোস্টার প্রভৃতি যানবাহন যাতায়াত করে।

উদ্দীপকে আরেফিন সাহেব কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত দেখার জন্য প্রথমে। লঞ্চে করে পটুয়াখালী যান। ঢাকায় সাথে পটুয়াখালীসহ সমস্ত দক্ষিণবঙ্গ ভ্রমণে নৌপথ সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত পরিবহন মাধ্যম। তাই গুরুত্বপূর্ণ নদীবন্দরগুলো এ অঞ্চলে অবস্থিত।

ঘ. উদ্দীপকে আরেফিন সাহেব প্রথমে নৌপথে পটুয়াখালী যান এবং পরবর্তীতে সড়কপথে মাইক্রোবাসের মাধ্যমে কুয়াকাটা যান, অর্থাৎ তার ব্যবহৃত পথদ্বয় হলো নৌপথ ও সড়কপথ। নিচে নৌপথ ও সড়কপথের সুবিধাসমূহের তুলনামূলক আলোচনা করা হলো-

অনেক দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি বহুলাংশে নৌ পরিবহন ব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল। বিশেষ করে যেসব দেশ নদীবহুল সেসব দেশের অর্থনীতিতে জলপথ তথা নৌপথ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অন্য যেকোনো পরিবহনের তুলনায় জলপথে ভারী বস্তু একস্থান হতে অন্যস্থানে অতি সহজে ও সুলভে স্থানান্তরিত করা যায়। বাংলাদেশের ৭৫% অভ্যন্তরীণ যাত্রী ও বাণিজ্য পরিবহনকার্য জলপথেই সম্পাদিত হয়। বাংলাদেশের বিশ্ব-বাণিজ্য চলে সমুদ্র বন্দরের মাধ্যমে।

অন্যদিকে, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সড়কপথেরও বিশেষ সবিধা রয়েছে। বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলের মধ্যে সংযোগসাধনের জন্য সড়কপথই সর্বোৎকৃষ্ট উপায়। এমন অনেক স্থান আছে যেখানে রেলপথ বা জলপথ নেই। এসব স্থানে সড়কপথই একমাত্র অবলম্বন। বাংলাদেশের যাতায়াত ও পরিবহন ব্যবস্থার প্রধান মাধ্যম হলো সড়কপথ। কৃষিকাজের জন্য অতি প্রয়োজনীয় সার, কীটনাশক, বীজ এবং উৎপাদিত পচনশীল কৃষিপণ্য এবং শিল্পকারখানার প্রয়োজনীয় কাঁচামাল ও উৎপাদিত পণ্য দেশের সর্বত্র পরিবহনের ক্ষেত্রে সড়ক পরিবহন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

উদ্দীপকে আরেফিন সাহেব কুয়াকাটা যাওয়ায় জন্য নৌপথে প্রথমে পটুয়াখালী যান। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে নদী বেশি থাকায় সেখানে পরিবহন মাধ্যম হিসেবে নৌপথ সুলভ ও উত্তম মাধ্যম। পরবর্তীতে সড়কপথ ব্যবহার করে, কারণ প্রত্যন্ত অঞ্চলে যাওয়ায় জন্য সড়কপথ সুবিধা জনক।

২. নিচের চিত্রটি লক্ষ্য কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। (চিত্রটি পিডিএফ উত্তরমালায় দেখানো হয়েছে)

ক. বন্দর কাকে বলে?
খ. বন্দর গড়ে উঠার পিছনে পশ্চাৎভূমির ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।
গ. ‘খ’ নির্দেশক অঞ্চলের পরিবহন পথের বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা কর।
ঘ. পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে ‘ক’ নির্দেশিত অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে অধিক ভূমিকা রাখছে- ব্যাখ্যা কর।

৩. নিচের ছকটি লক্ষ্য কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। (ছকটি পিডিএফ উত্তরমালায় দেখানো হয়েছে)

ক. বাংলাদেশের জনশক্তি আমদানিকারক একটি দেশের নাম লেখ।
খ. দেশের সার্বিক উন্নয়নে যোগাযোগ ব্যবস্থার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাখ্যা কর।
গ. ক ও খ কলামের স্থানসমূহের যোগাযোগ ব্যবস্থার ধরনের পার্থক্য ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ক ও খ কলামের যোগাযোগ কেন্দ্রসমূহের মাধ্যম অপেক্ষা গ কলামের যোগাযোগ কেন্দ্রসমূহের পরিবহন মাধ্যম শিল্প বিকাশে অধিক কার্যকরী বিশ্লেষণ কর।

৪. নিচের চিত্রটি লক্ষ্য কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। (চিত্রটি পিডিএফ উত্তরমালায় দেখানো হয়েছে)
ক. মংলা বন্দর কোন নদীর তীরে অবস্থিত?
খ. বন্দরের উন্নতিতে পশ্চাদভূমির ভূমিকা কী? ব্যাখ্যা কর।
গ. চিত্রে প্রদর্শিত ‘অ’ স্থানে যে বন্দরগুলো গড়ে উঠেছে তার ভৌগোলিক নিয়ামকগুলো ব্যাখ্যা কর।
ঘ. আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে ‘ই’ স্থানটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর।

৫. সাব্বির ও রানা দুই বন্ধু ঢাকায় একটি কলেজে পড়াশোনা করে। সাব্বিরের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলায় এবং রানার বাড়ি বরিশালে। দুই জন গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার সময় দুই ধরনের পথ অবলম্বন করে।
ক. পৌরসভার সড়কপথ বলতে কী বোঝ?
খ. সাব্বিরের এলাকা থেকে ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ার পেছনে কোন নিয়ামকটি উল্লেখযোগ্য?
গ. দুই বন্ধুর দুই ধরনের পথ বেছে নেওয়ার কারণ কী? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. সাব্বির ও রানার এলাকার পথগুলো অর্থনৈতিকভাবে কতটুকু গুরুত্ব বহন করে? বিশ্লেষণ কর।

৬. আফিফ হিশাম শীতের ছুটিতে পরিবারের সবার সাথে সাগর কন্যা কুয়াকাটা ভ্রমণে বের হয়। সদরঘাট থেকে লযোগে তারা কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। নিরাপদ আরামদায়ক এবং নদীর দু’পাশের প্রাকৃতিক দৃশ্য তাদের মুগ্ধ করে। তারা দেখতে পায় অসংখ্য জলযান পণ্য বোঝাই করে বিভিন্ন গন্তব্যে যাচ্ছে। নদীমাতৃক বাংলাদেশে পরিবহন ও যোগাযোগের এই মাধ্যমটি সস্তা ও সুলভ বলে তাদের কাছে মনে হলো।

ক. বাংলাদেশে কয় ধরনের রেলপথ আছে?
খ. পরিবহন ও যোগাযোগ বলতে কী বোঝ?
গ. আফিফ হিশামের ভ্রমণ করা পরিবহন পথটি গড়ে ওঠার পেছনে ভৌগোলিক নিয়ামকের প্রভাব ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে ইঙ্গিতকৃত পরিবহন পথটি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কি ভূমিকা রেখেছে বিশ্লেষণ কর।

৭. বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের সড়কপথ রয়েছে। গ্রাম ও শহরের মধ্যে সংযোগসাধনের জন্য সড়কপথই সর্বোৎকৃষ্ট উপায়। তবে অর্থনৈতিক উন্নয়নে এ পথের গুরুত্ব অনেক হলেও নানা রকম সমস্যাও এ পথে রয়েছে ।

ক. বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কয়টি?
খ. জাতীয় জনপথ বলতে কী বোঝায়?
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত পরিবহন পথটির গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।
ঘ. বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান উদ্দীপকে উল্লিখিত পরিবহন পথের উন্নয়নে সমস্যার সৃষ্টি করেছে- বিশ্লেষণ কর।

৮. মি. বিল্লাল সাহেব একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। পণ্যদ্রব্য আমদানি ও রপ্তানির জন্য তিনি চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করেন। এ বন্দর দেশের, অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

ক. বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে নদীপথ উন্নতি লাভ করেছে।
খ. বাংলাদেশে কত ধরনের রেলপথ রয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
গ. মি. বিল্লাল সাহেব যে বন্দর ব্যবহার করেন তা গডে ওঠার ভৌগোলিক নিয়ামক ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত বন্দরের উন্নতিতে পশ্চাদভূমির গুরত্ব বিশ্লেষণ কর।

৯. নিচের চিত্রটি লক্ষ কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। (চিত্রটি পিডিএফ উত্তরমালায় দেখানো হয়েছে)

ক. বন্দর কাকে বলে?
খ. বন্দর গড়ে ওঠার পিছনে পশ্চাদভূমির ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।
গ. চিত্রে ‘খ’ চিহ্নিত বন্দরটি গড়ে ওঠার কারণ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ‘ক’ বন্দরের ভূমিকা বিশ্লেষণ কর।

১০. বাংলাদেশের রেলপথ বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় জর্জরিত। এসব নানাবিধ সমস্যার প্রেক্ষিতে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে রেলপথ সহায়ক ভূমিকা পালন করতে ব্যর্থ হচ্ছে। কারণ এ সমস্যাবলি রেলওয়ের কার্যকারিতা, ব্যয় ও রাজস্বের ওপর প্রকৃত প্রভাববিস্তার করে থাকে। সুষ্ঠু পরিকল্পনা প্রণয়ন, দুর্নীতি দমন ও বেসরকারিকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রেল পরিবহন ব্যবস্থাকে সমৃদ্ধিশালী করা যায়।

ক. বাংলাদেশে কয় ধরনের রেলপথ চালু আছে?
খ. মিটারগেজ ও ব্রডগেজ লাইন বলতে কী বোঝ?
গ. বাংলাদেশের রেল পরিবহনের ইতিহাস বর্ণনা কর।
ঘ. উদ্দীপকের আলোকে বাংলাদেশের রেলওয়ের সমস্যাসমূহ এবং তা সমাধানের উপায় নির্দেশ কর।

[ বি:দ্র: উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

ভূগোল ২য় পত্র ৮ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর : যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যকে ত্বরান্বিত করে। দেশের একস্থান হতে অন্যস্থানে স্থানান্তরের জন্য উন্নত পরিবহন ব্যবস্থা আবশ্যক। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হলে ব্যবসায় সম্প্রসারণ হয়।

শিল্পের প্রয়োজনীয় কাঁচামাল, জ্বালানি, কৃষিজাত ও শিল্পজাত সব বিনিময় স্থানে আনা-নেওয়ার জন্য উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রয়োজন। এককথায় দেশের সার্বিক অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য পরিচালনায় পরিবহন ব্যবস্থার কোনো বিকল্প নেই। তাই বলা যায় যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যকে ত্বরান্বিত করে।

ভূগোল ২য় পত্র ৮ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

১. ‘ক’ একটি উন্নয়নশীল দেশ হলেও পণ্য আমদানি ও রপ্তানি দুটোই করে থাকে। তবে রপ্তানি পণ্যের চেয়ে আমদানি পণ্যের সংখ্যা বেশি হওয়ায় দেশটির অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়ে। কাজেই রপ্তানিযোগ্য পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধিই ‘ক’ দেশটির জন্য অধিক গুরুত্বপূর্ণ।

ক. WTO এর পূর্ণরূপ লেখ।
খ. শিল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়ক ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের ‘ক’ দেশটির বাণিজ্যের প্রকৃতি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “রপ্তানিযোগ্য পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধিই ‘ক’ দেশটির জন্য অধিক গুরুত্বপূর্ণ”- তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর।

১ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

ক. WTO এর পূর্ণরূপ হলো World Trade Organization

খ. শিল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়ক।
যেকোনো দেশের শিল্প স্থাপিত হলে সেখানে প্রচুর জনবল নিয়োগ একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানে প্রচুর শ্রমিক কাজ করে। বিভিন্ন বিভাগে বিভিন্ন যোগ্যতার জনবল শিল্পপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকে। অর্থাৎ যে “শিল্পপ্রতিষ্ঠান বেশি সে অঞ্চলে কাজের সুযোগও বেশি থাকে। তাই যায় শিল্প কর্মসংস্থানের সহায়ক হিসেবে কাজ করে।

গ. উদ্দীপকে ‘ক’ দেশটি হলো বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্যে রপ্তানি দ্রব্যের মধ্যে বেশিরভাগই সিজদ্রব্য, পাট, চা, চিংড়ি, তামাক প্রভৃতি। তবে বর্তমানে তৈরি সাশাক, কাগজ, রেয়ন প্রভৃতি দ্রব্যের মতো শিল্পজাত পণ্যও রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের আমদানি বাণিজ্যের ৭৫ ভাগই শিল্প পণ্য, খনিজ তল ঘড়ি, ফ্রিজ, ক্যালকুলেটর প্রভৃতি। এদেশের রপ্তানির চেয়ে আমদানি পণ্যের আধিক্যই বেশি। তাই বৈদেশিক বাণিজ্যের ভারসাম্য সর্বদাই প্রতিকূল অবস্থায় থাকে। এদেশের নিজস্ব বিমান ব্যবস্থা ও জাহাজ কম থাকায় বৈদেশিক বিমান কোম্পানি ও জাহাজের ওপর নিভর্রশীল হতে হয়।

বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাথে প্রতিবেশী দেশ বিশেষ করে চীন, মায়ানমার, ভারত, মালয়েশিয়া প্রভৃতি দেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান। বৈদেশিক বাণিজ্য নীতি হিসেবে বাংলাদেশে রপ্তানি বৃদ্ধির প্রতি নজর দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জনশক্তি রপ্তানি, বাণিজ্যের গতি, বাণিজ্য এলাকার বিস্তৃতি প্রভৃতি বৈশিষ্ট্য বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্যে ফুটে ওঠে।

ঘ. উদ্দীপকে ‘ক’ দেশটি হলো বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ন্যায় উন্নয়নশীল দেশের অর্থনীতিতে বৈদেশিক বাণিজ্যের গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলাদেশের রপ্তানিযোগ্য পণ্যের সংখ্যা যেমন কম তেমনি উৎপাদনও আশানুরূপ নয়। বাংলাদেশের অপ্রচলিত পণ্যের মধ্যে তৈরি পোশাক আন্তর্জাতিক বাজারে খ্যাতি লাভ করেছে। তৈরি পোশাকের আইটেমের সংখ্যা বাড়িয়ে নতুন নতুন ডিজাইনের পথেজিন ঘটিয়ে এবং গণগত মান বৃদ্ধি করে এর রপ্তানি আরও বৃদ্ধি করা সম্ভব।

চিংড়ি বাংলাদেশের আরেকটি রপ্তানি পণ্য। যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, মধ্যপ্রাচ্য, থাইল্যান্ড, হংকং প্রভৃতি দেশে বাংলাদেশের চিংড়ির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। নিবিড় চাষ পদ্ধতি ও সঠিক ভূমিনীতি প্রণয়নের মাধ্যমে এদেশে চিংড়ি উৎপাদন ও রপ্তানি বহুলাংশে বৃদ্ধি করা সম্ভব। মধ্যপ্রাচ্যের কতিপয় দেশ, ভারত ও অন্যান্য দেশে বাংলাদেশের কাচা শাকসবজি, ফলমূল, পান, গােল আলু প্রভৃতি দ্রব্য রপ্তানি করা হয়।

উৎপাদন বৃদ্ধি ও সংরক্ষণ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে এসব দ্রব্যের রপ্তানি বাড়ানো সম্ভব। বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের হস্তশিল্পজাত পণ্যদ্রব্য ক্রমশ সুনাম অর্জন করে চলছে এবং এগুলোর বাজার প্রসারিত হচ্ছে। বাঁশ, বেত, রশি, পাট, বিভিন্ন প্রকার ধাতব পদার্থ, কাঠ প্রভৃতি দ্বারা তৈরি নানা প্রকার শৌখিন হস্তশিল্পজাত দ্রব্যের ব্যাপক চাহিদা বিশ্বের অনেক দেশে রয়েছে।

পরিশেষে বলা যায়, বিগত প্রায় দুই দশক যাবৎ বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যের গঠন ও বিন্যাসের ক্ষেত্রে পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। অপ্রচলিত পণ্যদ্রব্যের প্রাধান্য ও রপ্তানি সম্ভাবনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৈদেশিক বাজার ও দেশের অভ্যন্তরে বিদ্যমান পরিস্থিতিকে সুষ্ঠুভাবে কাজে লাগিয়ে এসব রপ্তানি পণ্যদ্রবের উৎপাদন বৃদ্ধি করে রপ্তানি বহুলাংশে বাড়ানো সম্ভব।

২. নিচের চিত্রটি লক্ষ্য কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। (চিত্রটি পিডিএফ উত্তরমালায় দেখানো হয়েছে)

ক. চট্টগ্রাম বন্দর কোন নদীর তীরে অবস্থিত?
খ. যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যকে, ত্বরান্বিত করে ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ‘অ’ দেশটির আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ‘অ’ ও ‘ই’ ‘দেশ দুটোর মধ্যে বাণিজ্যের তুলনামূলক বিশ্লেষণ কর।

৩. নাঈম ও নাজিম স্বনামধন্য ব্যবসায়ী। নাঈম প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করেন আর নাজিম অন্য দেশে তৈরি পোশাক, পাটজাত দ্রব্য ও কাঁচামাল রপ্তানি করেন।

ক. আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কত প্রকার ও কী কী?
খ. বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের ব্যাখ্যা দাও।
গ. দেশের তৈরি পোশাকের সিংহভাগ রপ্তানি হয় যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. বাংলাদেশের রপ্তানিযোগ্য পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধির গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর।

৪. রাজু ও শান্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং দেশের স্বনামধন্য ব্যবসায়ী। রাজু অন্যদেশ থেকে প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করেন আর শান্তু অন্য দেশে তৈরি পোশাক, পাটজাত দ্রব্য ও কাঁচামাল রপ্তানি করেন। দীর্ঘদিন ব্যবসায় করে তারা বুঝতে পারল বৈদেশিক বাণিজ্য এদেশের অনুকূলে নয়। এর প্রকৃতি উন্নত দেশের চেয়ে ভিন্ন।

ক. বাণিজ্য কী?
খ. বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের ব্যাখ্যা দাও।
গ. রাজু ও শান্তুর বাণিজ্যের পার্থক্য লেখ।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত বাণিজ্যের প্রকৃতি বাংলাদেশের আলোকে মূল্যায়ন কর।

৫. রুমন খবরের কাগজের একটি পৃষ্ঠায় দেখতে পেল বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পারিবারিক সদস্য দ্বারা স্বল্প মূলধন, ছোট ছোট যন্ত্রপাতি ও কাঠামােতে কিছু শিল্প গড়ে উঠেছে।

ক. ASEAN-এর পূর্ণরূপ কী?
খ. মুক্তবাজার অর্থনীতির কুফল ব্যাখ্যা কর।
গ. রুমন যে শিল্পগুলো দেখতে পেল তা গড়ে ওঠার কারণ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উক্ত শিল্পটির অর্থনৈতিক গুরুত্ব বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিশ্লেষণ কর।

৬. বাংলাদেশ প্রচলিত ও অপ্রচলিত বিভিন্ন পণ্য বিদেশ রপ্তানি করে থাকে। এই দুই ধরনের পণ্যের বাইরে বাংলাদেশ জনশক্তিও রপ্তানি করে। আর এই জনশক্তি রপ্তানি বাংলাদেশে রপ্তানি আয়ের প্রধান উৎস।

ক. GSP কী?
খ. রেমিটেন্স বলতে কী বোঝ?
গ. উদ্দীপকের আলোকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে অপ্রচলিত পণ্যসমূহের ভূমিকা আলোচনা কর।
ঘ. ‘জনশক্তি রপ্তানি বাংলাদেশে রপ্তানি আয়ের অন্যতম উৎস’- উদ্দীপকের আলোকে ব্যাখ্যা কর।

৭. নিচের ছকটি লক্ষ্য কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। (ছকটি পিডিএফ উত্তরমালায় দেখানো হয়েছে)

ক. বাণিজ্য কাকে বলে?
খ. WTO এর সদর দপ্তর, প্রতিষ্ঠাকাল এবং তার সদস্য সংখ্যা কত?
গ. ঢ দ্বারা নির্দেশিত বাণিজ্য ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ণ বাণিজ্য সংঘটিত হওয়ার যে কারণ রয়েছে বলে তুমি মনে কর তা বিশ্লেষণ কর।

৮. ‘ক’ একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। সংস্থাটি বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্যসংক্রান্ত চুক্তি সম্পাদন ও পরিচালনা করে থাকে। উন্নয়নশীল দেশসমূহকে কারিগরি সহায়তা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বাণিজ্যের বিশেষ সাহায্য করে। সংস্থাটির সদস্যভুক্ত ঢ ও ণ দেশের মধ্যে বাণিজ্যসংক্রান্ত বিরোধ বাধলে সংস্থাটি তা মীমাংসা করে থাকে।

ক. বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি পণ্য রপ্তানি করে কোন দেশে?
খ. রপ্তানি বাণিজ্যের দুটি সুবিধা লেখ।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ‘ক’ সংস্থাটি কোন সংগঠনের প্রতিচ্ছবি তার পরিচয় দাও।
ঘ. বাংলাদেশের উন্নয়নে উদ্দীপকের সংস্থাটির ভূমিকা বিশ্লেষণ কর।

৯. আবির ও আরিফ দুই বন্ধু। বাংলাদেশ থেকে তারা দুইজন দুই দেশ সফর করেন। আবির যায় আফগানিস্তানে। অন্যদিকে আরিফ যায় জাপানে। দুই বন্ধু দেশে ফিরে এসে সেখানকার বাণিজ্যের প্রকৃতি সম্পর্কে জানায়। আবিরের সফরকৃত দেশ ভৌগোলিক কারণে বাণিজ্যে উন্নতি করতে পারে নি। অন্যদিকে আরিফের সফরকৃত দেশ অর্থনৈতিক দিক দিয়ে অনেক উন্নতি লাভ করেছে এবং এর সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

ক. বর্তমানে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক ও নীটওয়্যার থেকে শতকরা কতভাগ আয় হচ্ছে?
খ. আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কেন প্রয়োজন? ব্যাখ্যা কর।
গ. আবিরের সফরকৃত দেশটি বাণিজ্যিকভাবে উন্নতি না করার কারণ কী? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. আরিফের সফরকৃত দেশের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক তুলনামূলক বিশ্লেষণ কর।

১০. নিচের ছকটি লক্ষ্য কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। (ছকটি পিডিএফ উত্তরমালায় দেখানো হয়েছে)

ক. বাংলাদেশ জনসংখ্যার দিক দিয়ে কততম জনবহুল দেশ?
খ. বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প গড়ে ওঠার কারণ কী?
গ. কলাম-১ থেকে কলাম-২ ও কলাম-৩ এ পণ্যসমূহকে সুশৃঙ্খলভাবে সাজাও ।
ঘ. কলাম-৩ এ উল্লিখিত পণ্যসমূহ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কতটুকু ভূমিকা রাখতে পারে বলে তুমি মনে কর?

২০২৪ সৃজনশীল ভূগোল ২য় পত্র এইচএসসি সাজেশন পিডিএফ ডাউনলোড

ভূগোল ২য় পত্র ৯ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর : দ্রুত শিল্পায়নের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার প্রয়োজন রয়েছে। শিল্পায়নের জন্য প্রয়োজন একটি স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক সরকার। কোনো দেশই রাজনৈতিক হানাহানির মাধ্যমে শিল্পায়নে অগ্রসর হতে পারে না। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে একটি দেশে দাঙ্গা, ফ্যাসাদ, হরতাল, অবরোধ লেগেই থাকে যা শিল্পায়নের প্রধান বাধা। তাই যেকোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম হাতিয়ার শিল্পায়নের জন্য প্রয়োজন একটি সুষ্ঠু ও স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ।

ভূগোল ২য় পত্র ৯ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

১. বাংলাদেশে এক সময় গৃহস্থালির রান্নার কাজে জ্বালানি হিসেবে প্রচুর গাছপালা ব্যবহৃত হতো। বর্তমানে অনেক ক্ষেত্রেই গাছপালার পরিবর্তে একটি খনিজ ব্যবহৃত হচ্ছে। ফলে একদিকে যেমন বনজসম্পদ রক্ষা পেয়ে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা পাচ্ছে অন্যদিকে তেমনি কালো ধোয়ার হাত থেকে বায়ুদূষণ রোধ হচ্ছে।

ক. বায়ুদূষণের একটি উৎসের নাম লেখ।
খ. দরিদ্রতা অর্থনৈতিক দূষণের ফল- ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে ইঙ্গিতকৃত খনিজের বাংলাদেশে ভৌগোলিক অবস্থান ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের শেষ বাক্যের তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর।

১ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

ক. বায়ুদূষণের একটি অন্যতম উৎস হলো শিল্পকারখানার ধোঁয়া।

খ. দরিদ্রতা অর্থনৈতিক দূষণের ফল। অর্থনৈতিক দূষণের প্রত্যক্ষ ফল হলো দরিদ্রতা। যেকোনো দেশের সার্বিক উন্নয়নের চাবিকাঠি হলো অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। বিভিন্ন কারণে যখন অর্থনৈতিক কর্মকা- বাধাগ্রস্ত হয় অর্থাৎ দূষণের সম্মুখীন হয় তখন উন্নয়ন থমকে দাঁড়ায় আর উন্নয়ন থমকে দাড়ালে একটি দেশে দরিদ্রতা নেমে আসে। কারণ অর্থনৈতিক উন্নয়নের ফলে সামগ্রিক উন্নয়ন সাধিত হয় এবং দারিদ্রতা দূরীকরণ হয়। তাই বলা যায়, দরিদ্রতা অর্থনৈতিক দূষণের ফল।

গ. উদ্দীপকে ইঙ্গিতকৃত খনিজটি হলো প্রাকৃতিক গ্যাস যার ভৌগোলিক অবস্থান নিচে দেখানো হলো। বাংলাদেশের আবিষ্কৃত প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্রসমূহ দেশের উত্তর-পূর্বাংশ, পূর্ব বাংলা এবং দক্ষিণ-পূর্বাংশের বিস্তৃত অঞ্চল জুড়ে অবস্থিত।
বাংলাদেশে এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্রসমূহের মধ্যে সিলেট, ছাতক, রশিদপুর, তিতাস, কৈলাসটিলা, হবিগঞ্জ, বাখরাবাদ, সেমুতাং, বেগমগঞ্জ, কুতুবদিয়া, বিয়ানীবাজার, ফেনী, কামতা, ফেঞ্চুগঞ্জ, জালালাবাদ, বেলাবো, মেঘনা, শাহবাজপুর, সাগু, বিবিয়ানা, সুন্দলপুর, শ্রীকাইল ও বাগুরা প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। এদের মধ্যে সিলেটের হরিপুর গ্যাসক্ষেত্রটি বাংলাদেশের প্রথম আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্র, যা ১৯৫৫ সালে আবিষ্কৃত হয়।

ঘ. উদ্দীপকের শেষ বাক্যটির সারমর্ম হলো প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহারের ফলে একদিকে যেমন বনজসম্পদ রক্ষা পায় অন্যদিকে তেমনি কালো ধোঁয়ার হাত থেকে বায়ুদূষণ রোধ হয়। বাংলাদেশে ব্যাপক হারে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করা হয়। শিল্প ক্ষেত্রে এবং জ্বালানি ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার লক্ষ করা যায়। ফলে জ্বালানির কাজে ব্যবহৃত কাঠের বিকল্প হিসেবে গ্যাস অধিক গ্রহণযোগ্য।

এর ফলে কাঠের ব্যবহার হ্রাস পায় যার ফলে বনজসম্পদ রক্ষা পায়। জ্বালানি হিসেবে কাঠ, কয়লার ব্যবহার অধিক হারে বায়ুদূষণ, করে। কিন্তু প্রাকৃতিক গ্যাসের কোনো কালো ধোয়া নেই। ফলে প্রাকৃতিক গ্যাসের অধিক ব্যবহারের ফলে যেহেতু কাঠের ব্যবহার কম হয় তাই একদিকে যেমন বনজসম্পদ রক্ষা পায় অন্যদিকে কালো ধোয়া না থাকার বায়ুদূষণ রোধ হয়।
তাই বলা যায়, উদ্দীপকের শেষ বাক্যটি সঠিক।

২. শিহাব টঙ্গীতে তার চাচার বাসায় বেড়াতে এসে দেখল মামাতো দুই ভাই পেটের পীড়ায় ভুগছে। সে জানতে পারল যে, ঐ এলাকায় লোকজন প্রায়শই আমাশয়, টাইফয়েড প্রভৃতি রোগে আক্রান্ত হয়।

ক. বায়ুদূষণ কী?
খ. মানবসৃষ্ট দূষণ ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে ইঙ্গিতকৃত দূষণের কারণ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উল্লিখিত দূষণ প্রতিরোধের উপায়সমূহ বিশ্লেষণ কর।

৩. নিচের চিত্রটি লক্ষ্য কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। (চিত্রটি পিডিএফ উত্তরমালায় দেখানো হয়েছে)

ক. মানবসৃষ্ট দূষণ কাকে বলে?
খ. শিল্পবর্জ্য বুড়িগঙ্গার পানিদূষণের অন্যতম কারণ ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ‘ক’ অঞ্চলের প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্ভাব্য প্রভাব ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে ‘খ’ অঞ্চলে সংঘটিত দুর্যোগসমূহ সংঘটনের কারণ ও ক্ষতিগ্রস্ত জনগণকে রক্ষার উপায় বিশ্লেষণ কর।

৪. জাহিদ জেএসসি পরীক্ষা শেষে মাগুরা থেকে টঙ্গী শিল্প এলাকায় তার খালার বাসায় বেড়াতে গিয়েছিল। পাশের নদীতে গোসল করতে চাইলে তার খালা জানাল ঐ নদীর পানি গোসল করা তো দূরের কথা গৃহস্থালিসহ তেমন কোনো কাজেই ব্যবহার করা যায় না। পরে সে নদীর কাছে গিয়ে দেখল পানি কালচে ও দুর্গন্ধযুক্ত।

ক. দূষণ কী?
খ. বায়ুদূষণের কারণ ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত দূষণ পরিবেশের ওপর কী বিরূপ ফেলছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত দূষণরোধে কী কী বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া উচিত? বিশ্লেষণ কর।

৫. ঈশী তাদের ঘরের খাটের ওপর শুয়ে বই পড়ছিল। হঠাৎ সে লক্ষ করল খাটটি এদিক-ওদিক প্রচ- বেগে কাঁপছে। সে দেওয়ালে চোখ রাখতেই দেখে দেওয়াল ঘড়ি ও অন্যান্য জিনিসপত্রও নড়ছে। তাড়াতাড়ি সে তার মাকে ডাকল, মা এসে ঘরের অন্য কক্ষের আসবাবপত্রগুলোও দুলছিল বলে জানায়।

ক. পুনরুদ্ধার শব্দের অর্থ কী?
খ. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সাড়াদান কথাটি বুঝিয়ে লেখ।
গ. ঈশীর লক্ষ করা বিষয়টির সাথে যে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মিল রয়েছে তার সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক নির্ণয় কর।
ঘ. তুমি কি মনে কর প্রয়োজনীয় কিছু পদক্ষেপ উদ্দীপকে ইঙ্গিতকৃত বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারে? মতামতের সপক্ষে যুক্তি দাও।

৬. ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ সাহেবের নেতৃত্বে একদল শিক্ষার্থী বুড়িগঙ্গা নদীতে নৌভ্রমণে যায়। সেখানে তারা নদীর পানির স্বাভাবিক রং না দেখে রীতিমতো বিস্মিত হয়।

ক. পরিবেশ কাকে বলে?
খ. মাটি দূষিত হয় কীভাবে? ব্যাখ্যা কর।
গ. শিক্ষার্থীদের দেখা নদীটির পানির রং স্বাভাবিক নয় কেন? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের উল্লিখিত নদীর পানির রং স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন? তোমার মতামত বিশ্লেষণ কর।

৭. লিলিদের বাসার পাশে একটি কারখানা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কারখানাটিতে বিকট শব্দ হয়। ফলে এলাকাবাসীর সমস্যা হচ্ছে। এলাকাবাসী এ সমস্যার জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ পেশ করে।

ক. মানুষের স্বাভাবিক শ্রবণশক্তি কত?
খ. কৃষি ক্রিয়াকলাপ কীভাবে পানি দূষণ করে?
গ. উদ্দীপকে লিলিদের এলাকার পরিবেশের কোন উপাদান দূষিত হচ্ছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে লিলিদের এলাকার সমস্যা নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তিগত উপায় সুপারিশ কর।

৮. নিচের চিত্রটি লক্ষ্য কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। (চিত্রটি পিডিএফ উত্তরমালায় দেখানো হয়েছে)
ক. দুর্যোগ কী?
খ. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বলতে কী বোঝায়?
গ. চিত্রে ‘ক’ চিহ্নিত দূষণের কারণসমূহ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. চিত্রে প্রদর্শিত ক’ ও ‘খ’ দূষণ প্রতিরোধের উপায় বিশ্লেষণ কর।

৯. ঢাকায় মানুষের চাপ বৃদ্ধির ফলে দিন দিন কলকারখানা এবং যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে এগুলো থেকে প্রচুর শব্দের সৃষ্টি হচ্ছে। ঢাকায় একটি বিমানবন্দর অবস্থিত হওয়ায় এখানে বিমান ওঠা-নামার সময় প্রচুর শব্দের সৃষ্টি হয়।

ক. CFC কী?
খ. দুর্যোগ পূর্ব প্রস্তুতি বলতে কী বোঝ?
গ. উদ্দীপকে আলোচিত দূষণের সামাজিক কারণগুলো ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উক্ত দূষণরোধের উপায় বিশ্লেষণ কর।

১০. নিচের চিত্রটি লক্ষ কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : (চিত্রটি পিডিএফ উত্তরমালায় দেখানো হয়েছে)

ক. মিশ্র কৃষি কী?
খ. দ্রুত শিল্পায়নের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার প্রয়োজন কেন?
গ. প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় ‘ক’ পর্যায়ের ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. যেকোনো দুর্যোগের ক্ষেত্রে ‘খ’ এর প্রয়োজনীয়তা বিশ্লেষণ কর।

HSC /Alim Common Suggestion 2024

ভূগোল ২য় পত্র ১০ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর : কাগজের তৈরি কোনো নলের মধ্যে ভূগোলকটিকে স্থাপন করে আলোর দ্বারা তার উপর অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখাগুলোর ছায়া প্রতিফলিত করে কাগজের নলটিকে কেটে সোজা করলে যে ধরনের অভিক্ষেপ পাওয়া যায়, তাকে নলাকার বা বেলনাকার অভিক্ষেপ বলা হয়। পৃথিবীর নিরক্ষীয় অঞ্চলের আশপাশ অর্থাৎ ক্রান্তীয় অঞ্চলের মানচিত্র সঠিকভাবে অঙ্কন করার জন্য বেলনাকার অভিক্ষেপ ব্যবহার করা হয়।

ভূগোল ২য় পত্র ১০ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

১. মরিয়ম বললেন, কোনো ক্ষুদ্রাকৃতি দেশের বা কোনো দেশের অল্প পরিসর স্থানের মানচিত্র সঠিকভাবে অঙ্কনের জন্য যে অভিক্ষেপ অধিক উপযোগী তার সাহায্যে ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস প্রভৃতি দেশের মানচিত্র নির্ভুলভাবে অঙ্কন করা যায়।

ক. জিআইএস কী?
খ. মানচিত্র অভিক্ষেপ বলতে কী বোঝ?
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত অভিক্ষেপের ক্ষেত্রে ১৫° ব্যবধানে ১ ঃ ১৪৭,০০০,০০০ স্কেলে এবং ৩০° পরিমিত অক্ষরেখা নিয়ে অভিক্ষেপটির গাণিতিক হিসাব নির্ণয় কর।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত অভিক্ষেপটির বৈশিষ্ট্য ও প্রয়োগ বিশ্লেষণ কর।

২. পৃথিবী হচ্ছে একটা বড় গোলাকার বস্তু। তাই গোল পৃথিবীর আংশিক বা সম্পূর্ণ মানচিত্র সমতল কাগজের ওপর অঙ্কন করা খুবই কঠিন। এ কারণে পৃথিবী বা এর অংশবিশেষের মানচিত্র যথাসম্ভব সঠিকভাবে অঙ্কন করার জন্য অভিক্ষেপের প্রয়োজন হয়। সরল বেলনাকার অভিক্ষেপের নানা ধরনের বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

ক. অভিক্ষেপ বলতে কী বোঝায়?
খ. অভিক্ষেপ প্রধানত কয় প্রকার ও কী কী?
গ. সরল বেলনাকার ও শাঙ্কব অভিক্ষেপের পার্থক্য ব্যাখ্যা কর।
ঘ. সরল বেলনাকার অভিক্ষেপের নানা ধরনের বৈশিষ্ট্য রয়েছে- উক্তিটি বিশ্লেষণ কর।

৩. মানচিত্রের উপযোগিতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে জিআইএস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া জিআইএস পদ্ধতিটি আজ উন্নত বিশ্বের উন্নতির হাতিয়ার হিসেবে কাজ করছে। বাংলাদেশও এ বিষয়টি গ্রহণে পিছিয়ে নেই।

ক. মানচিত্র বলতে কী বোঝায়?
খ. মানচিত্রের উপাদানগুলো উল্লেখ কর।
গ. “মানচিত্রের উপযোগিতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে জিআইএস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে”- ব্যাখ্যা কর।
ঘ. জিআইএস পদ্ধতি উন্নতির হাতিয়ার হিসেবে কাজ করছে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিশ্লেষণ কর।

৪. ১৯৮৬ সালের দিকে Arc Info সফটওয়্যারটি বাজারে আসে। এ সময় থেকে এর জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। এ সফটওয়্যারের বৈশিষ্ট্য হলো, কমান্ড লেখার মাধ্যমে এর বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করতে হয়। বর্তমানে এর চেয়ে অনেক উন্নত সংস্করণের সফটওয়্যার বাজারে এসেছে, যার মাধ্যমে আরও নিখুত পদ্ধতিতে মানচিত্রের কাজ করা যায়।

ক. অভিক্ষেপ কী?
খ. বেলনাকার অভিক্ষেপের বৈশিষ্ট্য ও প্রয়োগ উল্লেখ কর।
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত বিষয়টি বাংলাদেশে প্রয়োগের ক্ষেত্রটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. বাংলাদেশের অগ্রগতিতে উদ্দীপকের বিষয়টির ভূমিকা মূল্যায়ন কর।

৫. সাকিব ও সাহেদ দুই বন্ধু। তারা ভূগোল ক্লাসে মানচিত্র নিয়ে গবেষণা করছিল। তারা মানচিত্রের উপরে, নিচে, ডানে, বামে বহু বর্গাকার ঘর দেখতে, পেল কিন্তু কিছু বুঝতে পারল না। তখন তারা ভূগোল শিক্ষকের কাছে গেল এবং শিক্ষক তাদেরকে বললেন, সমগ্র পৃথিবীকে সমতল কাগজের উপরে ক্ষুদ্রাকারে বোঝানোর জন্য অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখা দ্বারা কতিপয় ভাগে ভাগ করা হয়েছে যা মানচিত্র অভিক্ষেপ নামে পরিচিত। তিনি আরও বললেন এর যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে।

ক. কাকে প্রথম মানচিত্র অভিক্ষেপের স্রষ্টা বলা হয়?
খ. বেলনাকার অভিক্ষেপ কী? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের শিক্ষকের বর্ণনাকৃত মানচিত্র অভিক্ষেপের বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ কর।
ঘ. শিক্ষকের মতে, “মানচিত্র অভিক্ষেপের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে।” উক্তিটির যথার্থতা বিশ্লেষণ কর।

৬. সবুর একটি কাগজে পৃথিবীর মানচিত্র অঙ্কন করছে। রুমি বলল, “এ মানচিত্র আঁকতে চাইলে প্রথমে অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখাগুলো আঁকতে হবে।” তা শুনে রফিক বলল, “রেখাগুলো যেনতেনভাবে আঁকলে হবে না; বরং তুমি যদি সত্যিকার অর্থে মানচিত্রটি সঠিকভাবে আঁকতে চাও তাহলে নির্দিষ্ট স্কেল অনুসরণ করে রেখাগুলো ধারাবাহিকভাবে আঁকতে হবে।”

ক. ভূগোলককে পৃথিবীর কী বলে?
খ. অদৃশ্যানানুগ অভিক্ষেপ বলতে কী বোঝ?
গ. রফিক মূলত কী অঙ্কনের কথা বলছে? রফিকের নির্দেশনা মেনে একটি দেশের মানচিত্র অঙ্কন কর।
ঘ. “রফিক মূলত যে বিষয়টি আঁকতে বলছে সেটিকে নানা শ্রেণিতে ভাগ করা যায়।”- বিশ্লেষণ কর।

৭. ভূগোল শিক্ষক উত্তম শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের আরও একবার বোঝাতে চেয়েছে জিআইএস ব্যবহারে আজকাল তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ সব উপাত্ত অতি সহজেই পাওয়া যায়।

ক. মূলমধ্যরেখা কী?
খ. জিআইএস এর উপাত্ত কয়ভাগে ভাগ করা যায়?
গ. উদ্দীপকের আলোকে জিআইএস উপাত্ত কীভাবে ব্যবহার করা হয়?
ঘ. জিআইএস এর দৃষ্টিভঙ্গি তোমার নিজের ভাষায় ব্যাখ্যা কর।

৮. ভূগোলবিষয়ক একটি সেমিনারে একজন ভূগোলবিদ বললেন কম্পিউটারের কিছু বিশেষ সফটওয়্যারসমূহ ভূমি জরিপ, আকাশ থেকে গৃহীত আলোকচিত্র, ভৌগোলিক বিষয়াদি বিশ্লেষণে ব্যবহার করা যায়।

ক. অভিক্ষেপ কত প্রকার?
খ. বেলনকার অভিক্ষেপ বলতে কী বোঝ?
গ. ভূগোলবিদের বলা বিশেষ সফটওয়্যারসমূহের কর্মপদ্ধতি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ভূগোলবিদের বলা বিশেষ সফটওয়্যারসমূহের প্রয়োজনীয়তা নিজের ভাষায় বিশ্লেষণ কর।

৯. মামুন যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করে সেখানে জিপিএস (GPS) পদ্ধতি প্রয়োগ করে কার্য পরিচালিত হয়। জিআইএস (GIS) ও জিপিএস (GPS) মানচিত্র তৈরি, পঠন ও ব্যবস্থাপনার সবচেয়ে আধুনিক মাধ্যম। এ দুই পদ্ধতিতে ভূ-উপগ্রহ থেকে বিভিন্ন ধরনের তথ্য ধারণ করে অতিদ্রুত কার্য সমাধা করে থাকে। বর্তমানে এর ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে।

ক. GPS-এর পূর্ণরূপ কী?
খ. GISদ্বারা কী কী কাজ করা যায়?
গ. মামুনের কর্মরত প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত মাধ্যমটির ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিকগুলো তুলে ধর।
ঘ. “GIS প্রযুক্তির ভূগোলের উত্তরোত্তর উন্নতিতে নতুন মাত্রার সংযোজন।” – উক্তিটি বিশ্লেষণ কর

আজকের সাজেশস: চূড়ান্ত সৃজনশীল সাজেশন এইচএসসি ভূগোল ২য় পত্র ২০২৪

এইচএসসি ১০০% কমন ভূগোল ২য় পত্র সৃজনশীল সাজেশন ২০২৪

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক মাধ্যম গুলোতে ও

Leave a Comment