ঋণপত্র ও শেয়ার পার্থক্য, ঋণপত্র vs শেয়ার পার্থক্য, ঋণপত্র ও শেয়ার তুলনামূলক আলোচনা, শেয়ার ও ঋণপত্র মধ্যে পার্থক্য, ঋণপত্র ও শেয়ার কাকে বলে,তুলনা করি: ঋণপত্র ও শেয়ার আলোচনা

Advertisement

প্রশ্ন সমাধান: ঋণপত্র ও শেয়ার পার্থক্য, ঋণপত্র vs শেয়ার পার্থক্য, ঋণপত্র ও শেয়ার তুলনামূলক আলোচনা, শেয়ার ও ঋণপত্র মধ্যে পার্থক্য, ঋণপত্র ও শেয়ার কাকে বলে,তুলনা করি: ঋণপত্র ও শেয়ার আলোচনা

ঋণপত্র (Debenture) :

পূর্ববর্তী পাঠে বলা হয়েছে যে কোম্পানি মূলধনের অতিরিক্ত অর্থ প্রয়োজন হলে ঋণ গ্রহণ করে। ঋণ পত্রের মাধ্যমে কোম্পানি স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদি উভয় ধরনের ঋণ গ্রহণ করে। এটি আর কিছুই নয়। কোম্পানির ঋণ গ্রহীতার স্বীকৃতিপত্র মাত্র। এ স্বীকৃতিপত্রের মাধ্যমে কোম্পানি জনসাধারণের কাছে ঋণের আবেদন জানায়। ধরুন, একটি কোম্পানি ৫ বছর মেয়াদি ১০% ঋণপত্র ইস্যু করল। যার আর্থিক মূল্য ১০,০০০ টাকা।

যদি কেই একটি ঋণপত্র ক্রয় করে তাহলে ঐ ব্যক্তি ১০,০০০ টাকার উপর ১০% হারে সুদ পাবে। মেয়াদপূর্তি অর্থাৎ ৫ বছর পর আবার ১০,০০০ টাকা ফেরত পাবে। ঋণপত্রটিতে ঋণের সকল শর্ত বর্ণিত থাকে। স্বীকৃতি ঋণপত্রের সারকথা।


আরো ও সাজেশন:-

শেয়ার (Share):

ব্যবসা পরিচালনার জন্য মূলধন প্রয়োজন। কোম্পানির মূলধনের পরিমাণ পূর্বেই নির্ধারণ করা হয়। মূলধন নির্ধারণের জন্য মূলধন ইস্যুকারী কম্পটোলারের কাছে আবেদন করতে হয়। নির্ধারিত মূলধনকে আবার কত গুলো অংশে ভাগ করা হয়। প্রতি অংশকে শেয়ার বলে। ধরা যাক, একটি কোম্পনির মোট মূলধনের পরিমাণ ৫,০০,০০০ টাকা।

Advertisement

এ পরিমাণকে ৫০০০ অংশে ভাগ করা হলে প্রতি অংশে ১০০ টাকা পড়ে। সুতরাং, প্রতিশেয়ার ১০০ টাকা বলা হবে। যদি এ মূলধনের অতিরিক্ত অর্থ ব্যবসা পরিচালনার জন্য প্রয়োজন হয় তাহলে কোম্পানিটি ঋণ গ্রহণ করবে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

শেয়ার ও ঋণপত্রের মধ্যে পার্থক্য :

পূর্ববর্তী পাঠে বলা হয়েছে যে কোম্পানি মূলধনের অতিরিক্ত অর্থ প্রয়োজন হলে ঋণ গ্রহণ করে। শেয়ার ও ঋণপত্রের মধ্যে পার্থক্য নিন্মে বর্ণনা করা হল :

১। ডিবেঞ্চার কোম্পানির ঋণ। অন্যদিকে, শেয়ার কোম্পানির মূলধনের অংশ।

২। ডিবেঞ্চারহোল্ডার কোম্পানির ঋণদাতা । অন্যদিকে, শেয়ারহোল্ডার কোম্পানির মালিক।

৩। ডিবেঞ্চারহোল্ডারগণ কোম্পানির পরিচালনায় অংশগ্রহণ করতে পারে না। অন্যদিকে, শেয়ারহোল্ডারগণ কোম্পানির পরিচালনায় অংশ গ্রহণ করিতে পারে।

৪। ডিবেঞ্চারহোল্ডারগণ কোম্পানির ঋণদাতা তাই তাদের ভোট প্রদানের অধিকার নাই। অন্যদিকে, শেয়ারহোল্ডারগণ কোম্পানির মালিক হওয়ায় পরিচালক নিয়োগের জন্য ভোট প্রদান করতে পারে।

৫। ডিবেঞ্চারহোল্ডার শুধু নির্দিষ্ট হারে সুদ পায়। কোন লভ্যাংশ পায় না। অন্যদিকে, শেয়ারহোল্ডার নির্দিষ্ট বা পরবর্তনীয় হারে লভ্যাংশ পায় এবং লোকসান হলে তাও তাদের বহন করতে হয়।

৬। সাধারণত ডিবেঞ্চার অর্থ ফেরত দেওয়া হয়। অন্যদিকে, পরিশোধ্য অগ্রাধিকারযুক্ত শেয়ার ছাড়া শেয়ারের অর্থ ফেরত দেওয়া হয় না।

৭। কোম্পানির বিলুপ সাধনের সময় ডিবেঞ্চারহোল্ডারগণের দাবি শেয়ারহোল্ডারগণের আগে পূরণ করা হয়। অন্যদিকে, কোম্পানির সমস্ত প্রকার ঋণ পরিশোধের পর শেয়ারহোল্ডারগণের অবশিষ্ট যে অর্থ থাকে তা থেকে তাদের ফেরত দেওয়া হয়।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও

Advertisement 5

Advertisement 2

Advertisement 2

Advertisement 3

Leave a Comment