ই-বুক বানিয়ে কিভাবে আয় করা যাই,ই বুক বিক্রি করে প্রচুর পরিমাণে ঢাকা ইনকাম করার উপায়

অনেক ব্যাক্তি বলে থাকেন আমাজনে বই বিক্রি একটি দীর্ঘমেয়াদী এবং জটিল প্রক্রিয়া কিন্তু সত্যটি হচ্ছে আমাজন তার গ্রাহক এবং প্রকাশকের কথা চিন্তা করে এর মান ঠিক রাখার জন্য বদ্ধপরিকর ।

বর্তমানে ইবুকের আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তা রয়েছে এবং আমাজন এর বইএর মার্কেট বিশ্বব্যাপী সমাদৃত তাই বৃহৎ এই Market থেকে স্থায়ী মুনাফা অর্জন করতে চাইলে আপনাকে বেশ কিছু প্রসেস বা নিয়মের মেনে চলতে হবে ।

আপনি জানেন কি আমার বেশ কয়েকজন সামাজিক বন্ধু রয়েছে যারা ইবুক বিক্রয় করে মাসে ৪ অংকের ঘরের আয় করছে বাংলাদেশি টাকার মুল্যে হচ্ছে ১ লক্ষ টাকার উপরে । তাই আপনাকে আপনার কাঙ্ক্ষিত লক্ষে পৌছতে হলে সেই অনুপাতে কাজ করতে হবে ।

ই-বুক বানিয়ে কিভাবে আয় করা যাই,ই বুক বিক্রি করে প্রচুর পরিমাণে ঢাকা ইনকাম করার উপায়

আমাজনে বই বিক্রয় করা একটি সহজ প্রক্রিয়া এবং এর জন্য আপনাকে কোন অর্থ প্রদান করতে হবে না । প্রথমে আমাজন আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য দিয়ে একটি একাউন্ট খুলুন । অতঃপর আপনি সহজেই আপনার বইকে আমাজনের বৈশিষ্ট্যযুক্ত ক্যাটালগে যুক্ত করতে পারবেন । আমাজন আপনার বইকে তালিকাভুক্ত করার জন্য আপনার বইটি বিক্রয়ের উপরে কিছু কমিশন কাটবে ।

আপনি যখন আপনার বইটিকে আমাজনের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে টেক্সট ফরমেটে আপলোড করবেন তখন ডিটিপি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার বইটিকে আমাজনের কিন্ডল ফায়ারের উপযোগী ফরমেটে রুপান্তর করবে ।

কিভাবে বিক্রয় করবেন তার নির্দেশাবলীঃ
* তিনটি পছন্দের ফরমেটে এইচটিএমএল, প্লেইন টেক্সট বা মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এ আপনার বইএর একটি কপি তৈরি করুন ।

* আমাজন এর ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে লগইন করুন । আপনার যদি কোন আমাজন আইডি না থাকে তবে একটি তৈরি করুন, সাইন আপ বাটন ব্যাবহার করে ।
* “My Shelf” বাটনে ক্লিক করুন এবং নতুন বই যুক্ত করার জন্য “Add New Item” বাটনে ক্লিক করুন।

* অতঃপর আপনার পণ্যের বিবরণ লিখুন। শিরোনাম থেকে শুরু করে, সংক্ষিপ্ত সারাংশ বর্ণনা (আর আর 4,000 অক্ষর) যুক্ত করুন । একজন লেখকের ক্ষেত্রে লেখকের নাম লিখুন “সম্পাদনা” নামক বাটনে ক্লিক করে।

* আপনার বইএর জন্য আইএসবিএন নম্বর লিখুন যদিও এটি আবশ্যক নয় । কিন্তু এটি একটি ভালো পদ্ধতি আইএসবিএন নম্বর এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিকভাবে চিহ্নিত করার সুবিধা পাওয়া যায় ।

* আপনি যদি নিজে প্রকাশক হয়ে থাকেন তবে প্রকাশকের স্থানে আপনার নাম লিখুন এবং প্রকাশনার তারিখ যুক্ত করুন ।

* কপিরাইট সংক্রান্ত তথ্য জুড়ুন।
* আপনার বইএর কভার ছবি আপলোড করুন । এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারন পাঠক সর্বপ্রথম কভাবের ছবি বা প্রচ্ছদ দেখে বই সম্পর্কে ধারনা লাভ করে।
* অতঃপর ব্রাউজ বাটনে ক্লিক করে আপনার কম্পিউটারে থাকা ফাইলটি আপলোড করুন ।

* আপলোড সফলভাবে সম্পন্ন হলে এটি পুনর্বিবেচনার জন্য অপেক্ষমান থাকবে । একজন প্রতিনিধি আপনার বইটি যাচাই বাছাই করে প্রকাশনার অনুমতি প্রদান করবে ।
* সবশেষে, আপনার প্রস্তাবিত খুচরা মূল্য উল্লেখ করুন, তারপর “সংরক্ষণ করুন” বাটনে ক্লিক করুন এবং তা প্রকাশ করুন ।

এখন আপনার বইটি সফলভাবে প্রকাশনার জন্য কিছুদিন ২ থেকে ৩ দিন সময় লাগতে পারে । অতঃপর দেখুন আপনার বইটি আমাজন এর ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সফলভাবে প্রকাশিত হয়েছে ।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ

  • কখনোই কপিরাইট বই অর্থাৎ অন্যের বই আপলোড করবেন না ।
  • বইএর কোয়ালিটি ঠিক রাখার চেস্টা করুন ।
  • সুন্দর প্রচ্ছদ তৈরিতে মনোযোগ দিন ।
  • আন্তর্জাতিক চাহিদা এবং গ্রাহকের সাধ্যের কথা বিবেচনা করে মূল্য নির্ধারণ করুন ।

ই-বুক কি?

যে সকল বই হাতে স্পর্শ না করে পড়া যায় এককথায় তাকে ই-বুক বলে। সাধারণত আমরা মোবাইল বা কম্পিউটারে বিভিন্ন ফাইলের ডাটা পড়ে থাকি। যখন কোন তথ্য লিখিত আকারে অনলাইনে কোন ফাইলে সংরক্ষণ করা হয়, তখন তাকে ই-বুক বলা হয়। যেমন: ডক ফাইল, ওয়ার্ড ফাইল, পিডিএফ ফাইল ইত্যাদি।

কিভাবে  ই-বুক ক্রেতা পাবেন?

আমাদের বাংলাদেশের জনসংখ্যার ১৭ কোটি থেকে অর্ধেক মানুষ যদি অনলাইন কেনাকাটা করতে না জানে। তাহলে আরও ৮,৫০০,০০০ মানুষ আছে যারা অনলাইন সম্পর্কে জানেন। মনে করি, এর মধ্যে অর্ধেক মানুষ ই-বুক ক্রয় করতে আগ্রহী না। তাহলেও আরও ৪,২৫০,০০০ মানুষ থাকবে যারা অনলাইনে কেনাকাটা করতে ইচ্ছুক।এসবকিছু বাদ দিয়ে মনে করুন আপনার টার্গেট করা কাস্টমার হচ্ছে মাত্র ৫০,০০০ জন।৫০ হাজার ক্রেতার মধ্যে প্রতিমাসে আপনার একটিভ ক্রেতা হচ্ছে ১,০০০ জন। আপনি যদি প্রতি ই-বুক বিক্রি করে ৫০ টাকা প্রফিট করেন।

Amazon Kindle প্লাটফর্মে বই বিক্রি করে কত ইনকাম করা সম্ভব?, ইবুক লিখে প্যাসিভ ইনকাম করার সম্পূর্ণ গাইডলাইন

তাহলে একটু হিসাব করে দেখুন। শুধুমাত্র বাংলাদেশের মধ্যে ই-বুক বিক্রি করে কত টাকা আয় করা সম্ভব। মনে রাখবেন, যে ক্রেতা একবার আপনার কাছ থেকে পণ্য ক্রয় করবে। সে আপনার স্থায়ী কাস্টমার হিসেবে পরিণত হবে। যদি আপনার সার্ভিস চাহিদা অনুযায়ী হয়।ই-বুক বিক্রি করে আয় Kindle eBook Business১০০০ জন ক্রেতা থেকে ৫০ টাকা করে প্রফিট করলে আপনান ৫০,০০০ টাকা প্রফিট হবে। যদি এখান থেকে ৫০০০ টাকা মার্কেটিং খরচ হিসেবে বাদ দেন, তাহলেও আপনি ৪৫,০০০ টাকা আয় করতে পারবেন।এখন আশাকরি, বুঝতে পেরেছেন যে, ই-বুক বিক্রি করে বাংলাদেশ থেকে মাসে ৪৫ হাজার টাকা উপার্জন করা সম্ভব। Kindle eBook Business সম্পর্কে একটু পরেই আলোচনা করবো। আগে আমরা দেশীয় এরিয়ার মধ্যে ব্যবসা করে কিভাবে আয় করা যায় তা জেনে নিলাম।

ই-বুক কোথা থেকে সংগ্রহ করবেন?

আপনার যদি লেখালেখি করার অভ্যাস থাকে, তাহলে আপনি নিজেই বিভিন্ন বিষয়ের উপর ই-বুক লিখতে পারেন। আপনার লেখা বই আপনি সহজে অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন।আপনার যদি নিজের লেখা প্রকাশ করার সামর্থ না থাকে। তাহলে আপনি অন্যদের লেখা বই বিক্রি করতে পারেন। তবে তার জন্য আপনি বিভিন্ন প্রকাশনীর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। তারা আপনাকে অনুমতি দিলে আপনি বইটি ই-বুকে পরিবর্তন করে অনলাইনে বিক্রি করতে পারবেন। এর জন্য একটা চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারেন। একটা বই যতবার বিক্রি হবে তার প্রফিটের কিছু অংশ লেখক ও প্রকাশনীর কাছে শেয়ার করবেন।

ই-বুক কিভাবে বিক্রি করবেন?

অনলাইনে ব্যবসা করার জন্য অনেকগুলো প্লাটফর্ম থাকলেও নিজের প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি ও বিশ্বস্ততার জন্য অবশ্যই একটা নিজের ব্যবসার নামে ওয়েবসাইট প্রয়োজন হবে। এটা হবে আপনার অনলাইন দোকান যেখান থেকে পণ্য বিক্রি করবেন। ক্রেতার কাছ থেকে সহজে পেমেন্ট নিতে ও পণ্য ক্রয় বিক্রয় করতে নিজের ওয়েবসাইটের কোন বিকল্প নেই।

এই ওয়েবসাইট কে অনলাইনের ভাষায় ই-কমার্স ওয়েবসাইট বলা হয়।যদি আপনি শুধুমাত্র বাংলাদেশের মধ্যে ই-বুক বিজনেস করতে চান, তাহলে আপনার ব্যক্তিগত ব্যবসায়ীক ওয়েবসাইটের প্রয়োজন হবে। Kindle eBook নিয়ে কাজ করার জন্য আপনার নিজের ওয়েবসাইট তৈরি বাধ্যতামূলক নয়। আপনি সরাসরি আমাজনের সাথে চুক্তি করে এটি শুরু করতে পারেন।আমাজনের সাথে চুক্তি করা খুবই সহজ। আপনাকে একটা অনলাইন ফরম পূরণ করে নিজের তথ্য সাবমিট করে এটি করতে হবে।

ঘরে বসে টাকা আয় করার কিছু পরামর্শ

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও

Leave a Comment