ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং কাকে বলে, কম্পিউটার কীভাবে ব্যাংকের কাজ করে ও ভূমিকা বর্ণনা

বতর্মান বিশ্ব উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর কম্পিউটারায়িত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দ্রুততার সাথে ব্যাংকিং পরিচালনা করা হয়। কম্পিউটার ব্যাংকিং ছাড়া আমরা কোন কাজ চিন্তা করতে পারি না। বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত উন্নয়নে কম্পিউটারাইজড ব্যাংকিং গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে।
নির্দেশনাঃ

ক. ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং কাকে বলে সংক্ষেপে লিখতে হবে।

খ, কম্পিউটার কীভাবে ব্যাংকের কাজ করে ব্যাখ্যা করতে হবে।

গ. বাংলাদেশে ব্যাংকিং ব্যবসায় কম্পিউটারাইজড ব্যাংকিংয়ের ভূমিকা বর্ণনা করতে হবে।

উত্তর সমূহ :

ক. ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং কাকে বলে সংক্ষেপে লিখতে হবে।

উত্তর :

ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং shortly সকলের নিকট ই-ব্যাংকিং নামে অধিক সমাদৃত। ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং হলো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির দ্বারা সকল গ্রাহকদের নিকট ব্যাংকিং কার্যক্রমের সেবা পৌছে দেয়া। গতানুগতিক ব্যাংকিং সেবার মান ও নির্ভুলতা দূর করে গ্রাহক চাহিদা পূরণ করছে ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং। নিবন্ধটি আপনি পড়ছেন ব্যাংকিং নিউজ বিডি ডটকম-এ। ই- ব্যাংকিং হলো কম্পিউটার তথা Online সম্পৃক্ত যুগোপযোগী কার্যক্রম দ্বারা অনুধাবনযোগ্য।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং সম্পর্কে International Journal of Research in Business Management (IJRBM) এর অভিমত হলো, “E-Banking Implies provision of banking products and services through electronic delivery channels.” অর্থাৎ ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং হলো ইলেকট্রনিক ডেলিভারি চ্যানেলের মাধ্যমে ব্যাংকিং পণ্য ও সেবা পৌছে দেয়ার বিধান।

বর্তমানে আধুনিক যুগে সারিবদ্ধভাবে লাইনে না দাঁড়িয়ে বরং যখনই প্রয়োজন তখনই সেবা প্রাপ্তির Virtual transaction হলো ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং। এর ফলে অধুনিকায়ন তথা দ্রততম সময়ে নির্ভুলভাবে ব্যাংকিং সেবা গ্রাহক পেতে পারে। নিবন্ধটি আপনি পড়ছেন ব্যাংকিং নিউজ বাংলাদেশ-এ। গ্রাহক এবং ব্যাংকিং কার্যক্রমের শক্তিশালী সেতুবন্ধন হলো ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং যা নির্দিস্ট সময়ের মাঝে সীমাবদ্ধ নয়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

খ, কম্পিউটার কীভাবে ব্যাংকের কাজ করে ব্যাখ্যা করতে হবে।

উত্তর :

শিক্ষা ক্ষেত্র হোক বা চিকিৎসা ক্ষেত্র, বিনোদন হোক বা কর্মক্ষেত্র সব কিছুতেই জরুরী কম্পিউটার। দৈনন্দিন জীবনযাত্রার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জরিত কম্পিউটার। গোটা বিশ্বে কম্পিউটার এমন একটি যন্ত্র (device), যার চাহিদা এবং ব্যবহার দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তবে, কম্পিউটার (computer) হল এমন একটি যন্ত্র যা সুনির্দিষ্ট নির্দেশ অনুসারে যথাযথ ভাবে অনুসরণ করে দ্রুত গাণিতিক গণনা সংক্রান্ত কাজ নির্ভুলভাবে সম্পন্ন করে।

কম্পিউটার শব্দটির উৎপত্তি গ্রিক শব্দের “কম্পিউট” থেকে। এই শব্দের অর্থ হলো “হিসাব বা গণনা করা“। এবং কম্পিউটার শব্দের অর্থ হলো গণনাকারী যন্ত্র।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

ব্যাংকিং এর ক্ষেত্রে

এখন প্রত্যেক ব্যাংকেই কম্পিউটারেই সমস্ত কাজ হয়।

গ্রাহক দের ডাটা সংরক্ষন থেকে, ক্রেডিট ডেবিটের তথ্য, হিসেব সব ধরণের কাজ হচ্ছে কম্পিউটারে। কম্পিউটার ব্যবহারের ফলে ব্যাঙ্কের গ্রাহকরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে আপ টু ডেট থাকতে পারেন।

আধুনিক উন্নতবিশ্বে প্রতিটি ব্যাংক কম্পিউটার দ্বারানিয়ন্ত্রিত, চেকের হিসাব , ক্রেডিট ওডেবিটের হিসাব কম্পিউটার দ্বারাকরা হচ্ছে। এতে গ্রাহকদের চেকজমা দিয়ে অপেক্ষায় থাকার বিরক্তিদূর হচ্ছে

আমরা ব্যাংকে কম্পিউটার ব্যবহার করব শুধু টাকা জমা এবং ওঠানোর পর অ্যাকাউন্টে কত টাকা রইল তা বের করার জন্য নয়, বরং আমানতকারীদের ব্যয়ের ধরন বের করে ব্যাংকের গচ্ছিত মূলধনের সর্বোত্তম বিনিয়োগ নিশ্চিত করার জন্য এবং আকর্ষণীয় নীতিমালা প্রণয়ন করে আমানতকারীদের সঞ্চয়ী হতে উৎসাহিত করার জন্য।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

বর্তমানে দেশে বেশির ভাগ গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংক খেলাপি ঋণে জর্জরিত। ব্যাংকের এই দুরবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে সরকারও বেশ উদ্বিগ্ন। কোন প্রকল্পে অর্থায়ন করা যাবে, কাকে ঋণ দেওয়া যাবে, তা সংশ্লিষ্ট তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ব্যাংকগুলো যদি সম্ভাব্য ঋণখেলাপি সৃষ্টি নিরুৎসাহিত করতে পারত, তাহলে কম্পিউটারাইজেশনের সুফল পাওয়া যেত।

দুর্ভাগ্যজনকভাবে তা হয়নি। আমরা প্রতিবছর নিয়মিতভাবে মধ্যপ্রাচ্যের সুবিধাবঞ্চিত চাকরিজীবীদের রেমিট্যান্স ও পোশাকশিল্পের বঞ্চিত শিল্পীদের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করে দামি কম্পিউটার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী, বিদেশি সফটওয়্যার কিনছি এবং নিয়মিতভাবে আন্তর্জাতিক মানের বেতন ও পরামর্শ ফি দিয়ে বিদেশিদের নিয়োগ করছি কিন্তু সেই বিশ্বমানের সফটওয়্যার আর পরামর্শক আমাদের কোনো সুফল দিতে পারছে না।

ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচির মাধ্যমে আমাদের দেশের নারীরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্ষমতায়নসহ উদ্যোক্তার ভূমিকায় আবির্ভূত হচ্ছেন। দেশের উন্নয়নে এখন অর্ধেক মানুষ আর নীরব অসহায় দর্শকের মতো দাঁড়িয়ে থাকছে না।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

গ. বাংলাদেশে ব্যাংকিং ব্যবসায় কম্পিউটারাইজড ব্যাংকিংয়ের ভূমিকা বর্ণনা করতে হবে।

উত্তর :

ইন্টারনেট ব্যাংকিং
এবি ব্যাংক ইন্টারনেট ব্যাংকিং আপনাদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছে অনলাইন সেবায়। আপনি ঘরে থাকুন বা কাজে, এমনকি চলার পথে থাকলেও, আপনার একাউন্টে লগ ইন করুন এবং ব্যাংকিং করুন নিজের সুবিধামতো।

বৈশিষ্ট্য ও সুবিধাবলী

একাউন্টের কার্যক্রম মনিটর করুনএকাউন্ট স্টেটমেন্ট দেখুন ও প্রিন্ট করুনবাংলাদেশের যে কোনো ব্যাংক একাউন্টে ফান্ড ট্রান্সফার করুনযে কোনো অপারেটরের পোস্ট-পেইড বা প্রি-পেইড মোবাইল ফোনের বিল পরিশোধ করুন

সুবিধা:

ক) চব্বিশ ঘন্টা অর্থাৎ যে কোন সময়ে ব্যাংকিং করা যায়।

খ) স্বল্প সময়ে যেকোন স্থানে অর্থ প্রেরণ করা সম্ভব।

গ) লেনদেণ ছাড়াও নানারকম তথ্য যেকোনো স্থান থেকে পাওয়া যায়।

ঘ) ইলেকট্রনিক ফান্ড ও ইলেকট্রনিক মানি ব্যবহারের ফলে গ্রাহকের ব্যবসায়িক লেনদেন দিন দিন সহজ হয়।

ঙ) অনলাইন ব্যাংকিং চালুর ফলে গ্রাহকের অযথা হয়রানি বন্ধ হয় সেবা উন্নত হয়।

ইন্টারনেট ব্যাংকিং কী?
ইন্টারনেট ব্যাংকিং হলো এবি ব্যাংকের একটি ইলেকট্রনিক সেবা যা আপনাকে টাকা পাঠানো, বিল পরিশোধ ইত্যাদি কাজ ব্যাংকের নিরাপদ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেটেই করার সুযোগ এনে দিয়েছে।.

অনলাইন ব্যাংকিং সুবিধাদাতা ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের সবধরনের সুবিধা দিতেই মনোযোগী। যেমন অন্য শাখায় হিসেব স্থানান্তর, হিসেবে জমা হওয়া অর্থের পরিমাণ জানা, নানারকম বিল পরিশোধ এবং অর্থ প্রদান বন্ধ রাখার অনুরোধও রাখা
হয় এ ধরনের ব্যাংকে। অনেক ব্যাংক আবার অনলাইনে ঋণ গ্রহণ এবং ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের সুবিধাও দিয়ে থাকে।

অনলাইন ব্যাংকিং-এর ক্ষেত্র হিসেবে প্রবেশের পর একবার কোন তথ্য বা কমান্ড দেওয়ার পর পুনরায় চেক লিখে সেই তথ্য বা কমান্ড দেওয়ার কোন দরকার হয় না। এমনকি ভবিষ্যতে কোন লেনদেনের ব্যাপার থাকলে অনেক আগেই তার শিডিউল
নির্ধারণ করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেই লেনদেন করা সম্ভব। এছাড়া একেবারে সাধারণ সুবিধা হিসেবে চেকের ছবি দেখা এবং তা প্রিন্ট করা, হিসেবের তথ্য জানা, চেক নম্বর বা তারিখ অনুসারে একাউন্টের বিবরণ জানা, ঋণ ও ক্রেডিট তথ্য জানা, মাসওয়ারী হিসেব বিবরণী প্রিন্ট করে নেওয়া ইত্যাদি ব্যবস্থা থাকে অনলাইন ব্যাংকিং-এ।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

বাড়তি নিরাপত্তা

ইন্টারনেটে যেহেতু সবার প্রবেশের সুযোগ রয়েছে, তাই অনলাইন একাউন্টের নিরাপত্তা বিধানের জন্য ব্যাংকগুলো সাধারণত দ্বিমুখী নিরাপদ ব্যবস্থা প্রয়োগ করে থাকে। এর প্রথম পর্বটি প্রয়োগ করে ব্যাংক নিজেই। যেমন, আইডি ও পিন বা পাসওয়ার্ড।
দ্বিতীয় পর্বের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রাহককে নিজেকেই প্রয়োগ করতে হয়। যেমন- ব্যাংক অনলাইন হিসেবের গ্রাহককে তার রাউটিং নম্বর, সুইফট কোড ইত্যাদি কাউকে না জানানোর ব্যাপারে সব সময় সতর্ক করে থাকে। পাশাপাশি গ্রাহক যাতে
অজানা উৎস থেকে সংযুক্ত ফাইলসহ আনা কোন ই-মেইল না খোলেন, সে ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে বলা হয় গ্রাহককে।

আধুনিক ব্যাংকিং-এর অন্যতম সংযোজন হচ্ছে ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং বা ই-ব্যাংকিং। ব্যাংকিং জগতে কয়েক দশক ধরে ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং সেবা প্রচলিত থাকলেও বাংলাদেশে এটি নতুন। ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং সমগ্র ব্যাকিং ব্যবস্থার সম্পূর্ণ পরিবর্তন করে দিয়েছে। বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ গ্রাহকদের দ্রুততর ও উন্নতর সেবা প্রদান করার জন্য তথ্য ও যোগাযোগ
প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করছে।

১. দ্রুত ও নির্ভুল সেবা প্রদান: ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে ব্যাংক গ্রাহকদের দ্রুত ও নির্ভুল সেবা দিতে পারে। এতে ব্যাংকের প্রতি মক্কেলের আস্থা বৃদ্ধি পায়। ফলে ব্যাংক অধিক গ্রাহক আকৃষ্ট করতে পারে; ফলে
অধিক মুনাফা অর্জন সম্ভব হয়।

২. উন্নত সেবা প্রদান: ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং গ্রাহকদের উন্নতমানের সেবা প্রদান করতে পারে। এর ফলে জনগণের
কাছে ব্যাংকের সুনাম বৃদ্ধি পায়। এরূপ সুনামের কারণে ব্যাংক অধিক সংখ্যক গ্রাহককে কাছে টানতে পারে যার
ফলে একদিকে আমানত বৃদ্ধি পায় এবং অন্যদিকে ঋণগ্রহীতার সংখ্যাও বেড়ে যায়।

৩. প্রশাসনিক ব্যয় হ্রাস: ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং ব্যাংকের পরিচালনা ও প্রশাসনিক ব্যয় হ্রাস করতে পারে। কারণ কম্পিউটার প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে কম জনশক্তি নিয়োগ করে দ্রুত ও সহজে বেশি কাজ করা সম্ভব হয়। ফলে
প্রশাসনিক ব্যয় হ্রাস পায়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

৪. আয় বৃদ্ধি: ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার কারণে ঋণের সুদ বাবদ আয়সহ ডেবিট কার্ড ফি, ক্রেডিট ফি, অনলাইন ব্যাংকিং ফি, অর্থ স্থানান্তর ফি, এসএমএস ব্যাংকিং ফি ইত্যাদি খাতে বিবিধ আয় বৃদ্ধি পায়।

৫. প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা: ব্যাংকে ওঈঞ-এর ব্যবহার প্রতিযোগিতা করার সামর্থ্য ও দক্ষতা বাড়িয়ে দেয়। ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং ব্যবস্থা নতুন নতুন সেবা প্রদানের মাধ্যমে জনগণকে আকৃষ্ট করতে পারে। ব্যাংকের
দক্ষতারও উন্নয়ন ঘটে।

৬. অভ্যন্তরীণ পরিবেশের উন্নয়ন: কম্পিউটারের মাধ্যমে সমস্ত ব্যাংকিং কার‌্যাবলি সম্পাদন করা হলে ব্যাংকের ভিতরে কাগজ ও নথির কোন স্তুপ থাকে না। ফলে ব্যাংকের ভিতরে উত্তম কাজের পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

৭. কাগুজে লেনদেন হ্রাস: ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং ব্যবস্থায় সকল তথ্য বা লেনদেন কম্পিউটারে সংরক্ষণ করা হয়। ফলে কাগুজে লেনদেন হ্রাস পায়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

H.S.C

Leave a Comment