আমার একার আলো সে যে অন্ধকার যদি না সবারে অংশ দিতে পারি তার একটি ভাবসম্প্রসারণ লিখুন, ভাবসম্প্রসারণ রচনা আমার একার আলো সে যে অন্ধকার যদি না সবারে অংশ দিতে পারি তার

বিষয়: আমার একার আলো সে যে অন্ধকার যদি না সবারে অংশ দিতে পারি তার একটি ভাবসম্প্রসারণ লিখুন, ভাবসম্প্রসারণ রচনা আমার একার আলো সে যে অন্ধকার যদি না সবারে অংশ দিতে পারি তার , আমার একার আলো সে যে অন্ধকার যদি না সবারে অংশ দিতে পারি তার ভাবসম্প্রসারণ রচনা

একটি ভাবসম্প্রসারণ লিখুন আমার একার আলো সে যে অন্ধকার যদি না সবারে অংশ দিতে পারি তার: ০১

আত্মকেন্দ্রিক সুখ-ভােগ, আনন্দ-উল্লাস প্রকৃত সুখ বা আনন্দ নয়। প্রকৃত সুখ হচ্ছে সুখী সমাজ গঠন করে সবার সুখে সুখী হওয়ার মধ্যে। 

পরিবার, সমাজ, প্রতিবেশী পরিবেশের সাথে অংশীদারিত্ব না থাকলে ব্যক্তিগত কোনাে সাফল্যই প্রকৃত সাফল্য নয়। একটি ফুলে মালা হয় না, একটি গাছে বাগান হয় না, এক বিন্দু ফটিক জলে ঝরনা হয় না, একটি তারার আলােয় আকাশ মনােরম হয়ে সাজে না। কাজেই যত ভালােই হােক, একজনের সাফল্যই প্রকৃত সাফল্য নয়। সবার সাফল্যই প্রকৃত সাফল্য। একার শক্তি যত বেশিই হােক, সমষ্টির চেয়ে বেশি নয়। কাজেই সমষ্টিকে বাদ দিয়ে বা পাশ কাটিয়ে খুব বেশি দূর যাওয়া যায় না।

শুধু নিজের মধ্যে শিক্ষার আলাে, সত্যের আলাে, ন্যায়ের আলাে জ্বেলে রাখলেই হবে না, তাকে ছড়িয়ে দিতে হবে। তাহলে সমাজে ন্যায়, সত্য ও সুন্দর প্রতিষ্ঠা লাভ করবে। সমাজে ন্যায়, সত্য সুন্দর প্রতিষ্ঠা লাভ মানে সমস্ত মানুষের চেতনায় তা ছড়িয়ে দেওয়া, যত্ন দিয়ে গড়ে তােলা।

সবার প্রাণে যদি আলােক শিখা জ্বলে তাহলে সে আলােয় জগৎ ভরে উঠবে। তখন অন্তরের আলােয় সারা পৃথিবী সুখ-শান্তিতে ভরে উঠবে। পৃথিবী থেকে সমস্ত অকল্যাণ অসুন্দর দূর হবে। মানুষ পরস্পরে আলাের বন্ধনে, প্রেমের বন্ধনে সুন্দরের বন্ধনে বাঁধা পড়বে। সবাইকে নিয়ে সুন্দরের পথে এগিয়ে যেতে হবে। জগতে বহু কল্যাণকারী মনীষী, পণ্ডিত ব্যক্তি এই আদর্শের ভিত্তিতে কাজ করে তাদের জ্ঞানের আলােয়, প্রাণের আলােয় পৃথিবীকে আলােকিত করে গেছেন।

তেমনি প্রতিটি মানুষ যদি নিজেকে ছাপিয়ে সমাজের কল্যাণে আত্মনিয়ােগ করে তবেই একটি সমাজ জাতি বা দেশ উন্নতির দিকে ধাবিত হতে পারে।


আরো ও সাজেশন:-

একটি ভাবসম্প্রসারণ লিখুন আমার একার আলো সে যে অন্ধকার যদি না সবারে অংশ দিতে পারি তার: ০২

মূলভাব : শুধু নিজের জীবনকে আলোকিত করে রাখার ভাবনা স্বার্থপরতার নামান্তর। সবার অংশগ্রহণে আলোকিত জীবন গড়াতেই মানবজীবনের প্রকৃত সার্থকতা নিহিত। বিলিয়ে দিলে আলোর পরিমাণ বাড়ে বৈ কমে না।

সম্প্রসারিত ভাব : সামাজিক জীব হিসেবে প্রত্যেক মানুষ নানা সূত্রে একে অপরের সঙ্গে যুক্ত। সকলেরই ব্যক্তিগত জীবন আছে। তবে সম্মিলিত জীবন-ব্যবস্থাই মানুষের ব্যক্তিগত অর্জন কিংবা আনন্দকে সার্থক করে তোলে। সমাজ বিকাশের ধারাক্রমে তাই দশজনের সঙ্গে একত্রে মিলেমিশে বসবাস করাটাই মানবজাতির স্বাভাবিক ধর্ম বলে বিবেচিত হয়ে আসছে।

আপনাকে নিয়ে নিমগ্ন থাকা মানুষের স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য হতে পারে না। ফলে সমাজে বাস করে কেউ যদি নিজেকে একক সত্তা ভেবে নিয়ে আপন স্বার্থচিন্তায় মশগুল থাকে তবে তাকে ব্যার্থ মানুষ বলা যায় না। মানুষকে তাই কারো না কারো সঙ্গে পারস্পরিক সম্পর্কে আবদ্ধ থাকতে হয়। আর নিজেকে ভাগাভাগি করারএ বৈশিষ্ট্যই মানুষকে প্রাণিকুলের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে বসিয়েছে। ‘Joy and happiness, when it is shared’ – এই ইংরেজি প্রবাদবাক্যটির মতোই আমাদের উচিত জীবনের সকল আনন্দ ভাগাভাগি করে বাড়িয়ে নেওয়া এবং তাকে যথার্থ আনন্দে রূপান্তরিত করা।

শুধু নিজের ঘরের অন্ধকার দূর করার সামর্থ্যে, যে মানুষ উল্লাস প্রকাশ করে, সমাজে সে মানুষের কোনো মূল্য নেই। বরং সকলের ঘরে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আলোকবর্তিকা জ্বালাতে পারলে, সবার ক্ষুদ্র দুঃখগুলো দূর করতে পারলে জীবনের সার্থকতা খুঁজে পাওয়া যায়।

মন্তব্য : একজন ব্যক্তিমানুষ সমাজে একক কোনো সত্তা নয়। সকলের সঙ্গে মিলেই তার জীবন সার্থক হয়, সমৃদ্ধ হয়। নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী কল্যাণমূলক কাজের মাধ্যমে অন্যের উপকারে লাগলেই তাকে প্রকৃত মানুষ বলা যায়।

এখানে সকল প্রকাশ শিক্ষা বিষয় তথ্য ও সাজেশন পেতে আমাদের সাথে থাকুন ।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

Leave a Comment