আন্তর্জাতিক নার্স দিবস ইতিহাস ২০২১

১৯৬৫ সালের ১২ মার্চ ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অফ নার্সেস প্রথমবার পালন করে আন্তর্জাতিক নার্স দিবস। তারপর থেকে প্রতি বছর পালিত হয়ে আসছে দিনটি।

সেবিকাদের সম্মানে উৎসর্গ করা হয়েছে ১২ মে অর্থাৎ আজকের দিন। সমাজের প্রতি নার্সদের অবদান, যেভাবে তাঁরা অসুস্থদের শুশ্রূষা করেন, তা সকলের সামনে তুলে ধরতে এই দিনটি পালন করে বিশ্ব। জেনে নিন এই দিন সম্পর্কে কিছু তথ্য।

আধুনিক নার্সিংয়ের জননী ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলের আজ জন্মদিন। তাই এই দিনটি পালন করা হয় আন্তর্জাতিক নার্স দিবস হিসেবে। গোটা বিশ্বে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে অন্যান্য পেশার থেকে নার্সের সংখ্যা বেশি।

সরকার ও স্বশাসিত সংস্থাগুলি প্রতি বছর চেষ্টা করে নার্সিং পরিষেবার আরও বিকাশ ঘটাতে। আধুনিকতম স্বাস্থ্য পরিষেবা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি, রোগীদের চাহিদা সম্পর্কে ওয়ার্কশপ ও সেমিনারের আয়োজন ইত্যাদি পড়ে তার মধ্যে।

প্রতিটি দেশ নিজের নিজের মত করে পালন করে এই দিনটি। ইংল্যান্ডের রাজধানী লন্ডনে এদিন যেমন মোমবাতি জ্বালানো হয়। আমেরিকায় একটি দিন নয়, নার্সদের উদ্দেশে নিবেদিত হয় একটা গোটা সপ্তাহ। অন্যান্য দেশে তাঁদের দেওয়া হয় সংবর্ধনা, হয় নানা অনুষ্ঠান।

লেডি উইথ ল্যাম্প বলে খ্যাত ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল ১৮২০ সালের এই দিন ইংল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন। নার্সিং পেশাকে সমাজসেবায় উন্নীত করেন তিনি। ক্রিমিয়ার যুদ্ধের সময় তিনি ছিলেন হেড নার্স। ইংরেজ-তুর্কি নির্বিশেষে দু’দেশের আহত মুমূর্ষু সৈন্যদেরই দিনরাত ধরে প্রাণ ঢেলে সেবা করেন তিনি।

গভীর রাতে হাসপাতালের করিডোরে রোগীদের প্রয়োজন দেখতে হাতে মোমবাতি নিয়ে তিনি হেঁটে বেড়াতেন। তাই এখনও মানুষ স্মরণে রেখেছেন লেডি উইথ ল্যাম্প-কে। ১৮৬০ সালে লন্ডনে বিশ্বের প্রথম বিজ্ঞানসম্মতভাবে তৈরি হয় নার্সিং শেখানোর স্কুল নাইটিঙ্গেল স্কুল অফ নার্সিং। এই স্কুল নির্মাণেও তাঁর অবদান ছিল।

১৯৬৫ সালের ১২ মার্চ ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অফ নার্সেস প্রথমবার পালন করে আন্তর্জাতিক নার্স দিবস। তারপর থেকে প্রতি বছর পালিত হয়ে আসছে দিনটি।

Leave a Comment