Preparation of Bangladesh Civil Aviation Authority Job Suggestion, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ নিয়োগ পরিক্ষার প্রস্তুতি

Google Adsense Ads

সিভিল এভিয়েশন অথরিটি (CAAB)নিয়োগ প্রস্তুতি ও প্রশ্ন প্যাটার্ন
Civil Aviation Authority of Bangladesh (CAAB)

CAAB কি:

Civil Aviation Authority of Bangladesh (CAAB) হলো বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীন স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা যা বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) নামেও পরিচিত। বাংলাদেশের বিমান সম্পর্কিত কার্যক্রম, ফ্লাইট নিরাপত্তা এবং এয়ার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ সহ বিমানবন্দরের নানা কার্যক্রম পরিচালনা করে।

এ ছাড়া বিমানবন্দরের সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয় সাধনের কাজটিও এই সংস্থা করে থাকে। এই সংস্থার প্রধান কার্যালয় ঢাকার কুর্মিটোলায়।

কাজ ও সুযোগ সুবিধাঃ

আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরসহ মোট আটটি বিমানবন্দরে বেবিচকের কাজের ক্ষেত্র। অর্থাৎ বেবিচকের কর্মকর্তাদের এই ৮টি বিমান বন্দরে পদায়ন করা হয় এদের মধ্যে রয়েছে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং রাজশাহী, বরিশাল, যশোর, সৈয়দপুর ও কক্সবাজারের অভ্যন্তরীণ পাঁচটি বিমানবন্দর ।

বেবিচকের কর্মকর্তারা জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ অনুসারে বেতন ও অন্যান্য ভাতা পান। এ ছাড়া পেনশন সুবিধা, ওভারটাইম সুবিধা (কর্মচারীদের জন্য), আবাসন সুবিধা, ট্রান্সপোর্ট সুবিধাসহ সরকারি কর্মচারীদের প্রাপ্য সব সুযোগ-সুবিধা পান।

বেবিচকে প্রকৌশলীদের কাজঃ

বেবিচকে সাধারনত সহকারী ও উপসহকারী প্রকৌশলী পদে সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল (ই-এম) এবং সিএনএস (কমিউনিকেশন, নেভিগেশন অ্যান্ড সার্ভেইল্যান্স) প্রকৌশল বিভাগের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়। নির্মান, মেইনটেন্যান্স, নিজস্ব ট্রান্সপোর্ট, লাইটিং, ইকুয়েপম্যান্ট মেইনটেন্যান্স ইত্যাদি কাজ নিজস্ব জনবলের মাধ্যমে সম্পন্ন বা তদারকি করার মাধ্যমে যাবতীয় সুবিধা প্রনয়ন করাই বিভিন্ন প্রকৌশল বিভাগের মূল কাজ।

এর মধ্যে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে নিয়োগ প্রাপ্ত সহকারী ও উপসহকারী প্রকৌশলীদের মূল কাজের মধ্যে রয়েছে নতুন অবকাঠামো নির্মান, বিমানবন্দরের রক্ষণাবেক্ষণ , রানওয়ে নির্মান, মেইনটেন্যান্স সহ যাবতীয় সিভিল ওয়ার্কস।

প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা:

সহকারী ও উপসহকারী প্রকৌশলীদের নিয়োগ পরীক্ষা সাধারনত তিন ধাপে হতে পারে।

১. প্রিলিমিনারি
২. লিখিত
৩. মৌখিক পরীক্ষা

প্রিলিমিনারিঃ

লিখিত পরীক্ষার পূর্বে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হতে পারে (আবেদনকারীর সংখ্যা খুব বেশি হলে)। MCQ পদ্ধতিতে ৮০-১০০ নম্বরের প্রিলিমানারি পরীক্ষা হয়।

প্রিলিমিনারি পরীক্ষার বিষয়ঃ

বিগত বছর গুলোতে বাংলা, English, গণিত, বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্য-প্রযুক্তি, বাংলাদেশ বিষয়াবলী, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী সহ সাম্প্রতিক সাধারণ জ্ঞান থেকে ৮০-১০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিলো।

প্রিলিমিনারি পরীক্ষার রেজাল্ট পরীক্ষার দিনই দিয়ে দেওয়৷ হয় এবং পরের দিন লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়, তাই প্রিলিমিনারি প্রস্তুতির পাশাপাশি লিখিত প্রস্তুতি ও নিয়ে রাখতে হবে আপনাকে।

লিখিতঃ

লিখিত পরীক্ষায় ডিপার্টমেন্টালএবং নন-ডিপার্টমেন্টাল অংশ থেকে প্রশ্ন হতে পারে।

ডিপার্টমেন্টাল অংশের জন্য সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং/অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট (যে পদে আবেদন করেছেন) এর বেসিক প্রিপারেশন নিতে হবে। এবং নন-ডিপার্টমেন্টাল অংশে বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞান থেকে এককথায় উত্তর কিংবা MCQ প্রশ্ন হতে পারে। সব মিলিয়ে ৭০- ১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হতে পারে। পরীক্ষার ধরন কারা নিচ্ছে তার উপর ভিত্তি করে কিছুটা পরিবর্তন হয়।

যেমনঃ ২০১৯ সালে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা MIST তে হয়েছিল, তখন লিখিত পরীক্ষায় ডিপার্টমেন্টাল অংশ লিখিত হয় এবং ও নন-ডিপার্টমেন্টাল অংশ থেকে এক কথায় উত্তর করার প্রশ্ন ছিলো ৷

পরবর্তীতে ২০২০ সালে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ নিজেরাই নেয় যেখানে লিখিত পরীক্ষায় ডিপার্টমেন্টাল লিখিত ও নন-ডিপার্টমেন্টাল MCQ এই দুই অংশ ছিলো ।

(ডিপার্টমেন্টাল ৫০% ও নন- ডিপার্টমেন্টাল ৫০%)

ডিপার্টমেন্টাল ৫০%:
লিখিত পরীক্ষার ডিপার্টমেন্টাল অংশে , বেসিক কিছু ম্যাথ+থিওরি থাকে , এখানে ৫০-৬০ % নম্বর থাকতে পারে । সাধারনত বুয়েট/MIST প্যাটার্নে যেভাবে প্রিপারেশন নিতে হয় সেটাই যথেষ্ঠ ডিপার্টমেন্টাল অংশের প্রস্তুতির জন্য।

Google Adsense Ads

নন-ডিপার্টমেন্টাল ৫০%:
লিখিত পরীক্ষার নন-ডিপার্টমেন্টাল অংশে জেনারেল ম্যাথ (MCQ/লিখিত) + সাধারণ জ্ঞান (MCQ/লিখিত) থেকে ৪০-৫০ % নম্বর থাকতে পারে। প্রিলিমিনারি অংশের প্রস্তুতিই এই অংশের জন্যে যথেষ্ঠ।

(বিগত পরীক্ষায় কোন ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে দেয় হয়নি)

মৌখিক/ ভাইভাঃ

লিখিত পরীক্ষার রেজাল্ট খুব দ্রুত দেয়া হয় ৷ এবং সব শেষে মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থীকে যাচাই-বাছাই করা হয়। ভাইভাতে সাধারনত বেশী নম্বর থাকেনা, চাকুরি হওয়া অনেকাংশে নির্ভর করবে লিখিত পরীক্ষার উপর। ১০-১৫ নম্বরের ভাইভা হতে পারে ।

ভাইভার যেদিন হয় সেই দিনে-ই তারা চূড়ান্ত ভাবে মনোনীত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করে ৷

বিদ্রঃ বিগত সালের প্রশ্নের আলোকে প্রশ্নের প্যাটার্ন সম্পর্কে ধারনা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।পরীক্ষা কারা নিচ্ছেন,কিংবা নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান চাইলে উপরোক্ত বর্ণিত প্রশ্নের প্যাটার্ন পরিবর্তন হতে পারে। তাই বেসিক ক্লিয়ার করে প্রস্তুতি নেওয়ার চেষ্টা করাই শ্রেয়, যেন যেকোন ধরনের প্রশ্নে ভালো করা যায়।

সূত্র/bd study corner

Google Adsense Ads

Leave a Comment