alim (আলিম) বাংলা ১ম পত্র ১৪তম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট সমাধান ২০২২, alim bangla 1st paper assignment answers 14th week 2022, বাংলা ১ম পত্র আলিম ১৪তম সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট ২০২২, আলিম ১৪তম সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট বাংলা ১ম পত্র সমাধান ২০২২

Advertisement

শ্রেণি: আলিম / HSC/2022 বিষয়: বাংলা ১ম পত্র এসাইনমেন্টেরের উত্তর 2022
এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 05 বিষয় কোডঃ 236
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

সকল প্রকার সাজেশন: পিএসসি,জেএসসি,এসএসসি, এইচএসসি, অনাস , ডিগ্রী


এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ ‘কারবালাপ্রান্তর গদ্যরচনার বিষয়বস্তু উপস্থাপন,বিভিন্ন চরিত্রের তুলনামূলক বিশ্লেষণ এবং সমাজজীবনে মানুষের ভূমিকা নির্ধারণ

শিখনফল/বিষয়বস্তু :

  • নির্ধারিত পাঠ অনুধাবন করে তার বিষয়বস্তু বা মর্মবস্তু প্রকাশ করতে পারবে,

নির্দেশনা :  

  • ১. কারবালা-প্রান্তর’ গদ্যরচনার বিষয়বস্তু লেখা।,
  • ২. পঠিত অন্য কোনাে গদ্যের সঙ্গে কারবালা প্রান্তরের সাদৃশ্য-বৈসাদৃশ্য উপস্থাপন করা।,
  • ৩. কারবালা-প্রান্তর থেকে বিভিন্ন চরিত্রের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা।,
  • ৪. সমাজজীবনে মানুষের ভূমিকা কেমন হওয়া দরকার তা নির্ধারণ করা।,
  • ৫. শব্দপ্রয়ােগ বাক্যগঠন বানান ও বিরামচিহ্ন যথাযথ রাখা।,

  • ১. কারবালা-প্রান্তর’ গদ্যরচনার বিষয়বস্তু লেখা।,

উত্তর:

কারবালা- প্রন্তর গদ্যরচনার বিষয় বস্তুঃ সেই নিখিল-মুসলিমের ক্রন্দন- কাত্রানির দিন। কিন্তু সত্য করে আজ কে কেঁদেছে বলতে পার হে মুসলিম? আজ তােমার চোখে অশ্রু নাই।

আজ ক্রন্দন-স্মৃতি তােমার উৎসবে পরিণত! তােমার | অশ্রু আজ ভণ্ডামি, ক্রন্দন আজ কৃত্রিম কর্কশ চীৎকার। হায় হাসান, হায় হােসেন।” বলে মিথ্যা বীভৎস চীৎকার করে আর মা ফাতেমার পুত্র-শাকাতুর আত্মাকে পীড়িত করে তুললা না। তােমাদের ঐ যে উদ্দাম বুক-চাপড়ানির বীভৎসতা, সে ব্যর্থ | হয়নি ভীরুর দল!

Advertisement

সে-আঘাত আল্লার হাবিব হযরত মােহাম্মদ (সা.) বুকে গিয়ে বেজেছে। যাঁরা ধর্মের জন্য সত্যের জন্যে জান কোরবান করেছেন, আজ সেই শহীদ বীরদের জন্য ক্রন্দন-অভিনয় করে আর তাঁদের আত্মার অপমান করাে না, নৃশংস অভিনেতার দল! তােমার ধর্ম নাই, অস্তিত্ব নাই, তােমার হাতে শমশের নাই, শির নাঙ্গা, তােমার কোরআন পর-পদদলিত, তােমার গর্দানে গােলামীর জিঞ্জীর, যে শির আল্লার আরশ ছাড়া আর কোথাও নত হয় না,

সেই শিরকে জোর করে সেজদা করাচ্ছে অত্যাচারী শক্তি—, আর তুমি করছ আজ সেই শহীদের—- ধর্মের জন্য স্বাধীনতার জন্য শহীদের—’মাতমে’র অভিনয়! মা ফাতেমা আরশের পায়া ধরে কাঁদছেন, স্কন্ধে তাঁর হাসানের বিষ-মাখা নীল পিরান আর হােসেনের খুন-মাখা রক্ত-উত্তরীয়।

পুত্র-হারার আকুল ক্রন্দনে খােদার আরশ কেঁপে উঠেছে। হে যুগে-যুগে শােক-অভিনেতা মুসলিমের দল! থামাও — থামাও মা ফাতেমার ক্রন্দন— থামাও আল্লার আরশের ভীতি-কম্পন। তােমার স্বাধীনতাকে তােমার সত্যকে তােমার ধর্মকে যে-এজিদের বংশধরেরা লাঞ্ছিত নিপীড়িত করছে, তাদের বিরুদ্ধে তােমাদের ভূ-অবলুণ্ঠিত শির উঁচু হয়ে উঠুক।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

  • ২. পঠিত অন্য কোনাে গদ্যের সঙ্গে কারবালা প্রান্তরের সাদৃশ্য-বৈসাদৃশ্য উপস্থাপন করা।,

উত্তর: :

কে আছ অরুণ-খুনের তরুণ শহীদ মুসলিম, কাশেমের এ-তৃষ্ণা এ ক্রন্দন তিক্ততা মেটাবে? ঐ শােন সদ্য স্বামীহারা বালিকা সকীনার মর্মভেদী ক্রন্দন, সে চায় না তার স্বামী কাশেমের প্রাণ,

সে চায় ইসলামের স্বাধীনতা রক্ষার জন্যে কাশেমের মত প্রাণ-বলিদান। রাজতন্ত্রের বিরােধিতা করার কারনে স্বৈরাচারী শাসক ইয়াজিদের সৈন্যদের হাতে ৬১ হিজরীতে এদিন মহানবীর দৌহিত্র বেহেস্তবাসী যুবকদের সর্দার হযরত ইমাম হুসাইন (রাঃ) শাহাদাত বরন করেছিলেন।

তৎকালীণ স্বৈরশাসক ইয়াজিদের হুকুমে তার গর্ভনর ওবাইদুল্লাহ জিয়াদের নেতৃত্বে মহানবীর এই দৌহিত্রকে সেদিন ইতিহাসের নির্মমতম এবং পৈশাচিকভাবে হত্যা করা হয়েছিল।

ইসলামের ইতিহাসে অনেক নবী রসুলসহ খলিফা হযরত উসমান, হযরত আলীসহ হুসাইনের চাইতেও বেশী মর্যাদাপূর্ণ আরাে অনেক বড় বড় মহান ব্যক্তির হত্যাকান্ডের ঘটনা থাকলেও ৬১ হিজরীর কারবালার ঘটনা এতােটাই পৈচাশিক ও নির্মমতম ছিল যে এটা যুগে যুগে কঠিন হৃদয়কে নাড়া দিয়েছে,

এখনাে দেয় এবং নিঃসন্দেহ তা কেয়ামত পর্যন্ত জালিমদের বিরুদ্ধে ধিক্কার জানাতে ও ইসলামী শক্তির পক্ষে মুমীনদের উদ্বুদ্ধ করায় নিয়ামক ভূমিকা পালন করবে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

  • ৩. কারবালা-প্রান্তর থেকে বিভিন্ন চরিত্রের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা।,

উত্তর:

কারবালার প্রন্তর থেকে বিভিন্ন চরিত্রের তুলনামূলক বিশ্লেষণঃ ইরাকের কারবালায় ইমাম হুসাইন (রা:) এর মাজারের থেকে ৩০০মিটারের মত দূরে। অবস্থিত কারবালার প্রান্তর যখন চারদিকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে এয়াজিদ বাহিনী, এমনকি ফোরাত নদীও এদিকে রাসূলে পাকের আওলাদের তাঁবুতে একফোঁটা পানিও নেই। কচি কচি শিশুরা পানির জন্য ছটফট করে যাচ্ছে ।

ইমাম হুসাইন (র) এর, ছয় মাসের দুধের শিশু আলী আজগরের অবস্থা ( 1 ) আরাে করুন। পানিতে নেই, এমনকি মায়ের বুকের দুধও শুকিয়ে গেছে পানির অভাবে শিশু আলী আজগর বাবা মায়ের দিকে করুন দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে একফোঁটা পানির জন্য। এ করুন দৃশ্য দেখে হযরত আব্বাস আর বরদাশত করতে পারলেননা । পানির মশক নিয়ে দুর্বার গতিতে ছুটে গিয়ে এয়াজিদ বাহিনীকে ফাঁকি দিয়ে ফোরাত নদী থেকে পানি ভরে কাঁধে নিলেন। তিনি নিজে

কিছুটা পানি পান করতে চেয়েও শিশু আজগরের তৃঞান্ত চেহারার কথা মনে পড়ায় পানি পান করলেননা। এসময় তাঁকে হঠাৎ ঘিরে ফেলল যালিম এয়াজিদের দল তিনি এযাজিদের বৃহ্য ভেদ করে কিছুদূর অগ্রসর হলে পেছন থেকে অনবরত তীর নিক্ষেপ করতে থাকে এয়াজিদ বাহিনী, আরাে কিছুদূর অগ্রসর হওয়ার পর এযাজিদ বাহিনীর একজন হযরত আবাসের ডান হাত কেটে ফেলেন ।

তিনি ঐ অবস্থায় মশক বাঁচিয়ে বাম হাতে নিলে ঐ যালিম তাঁর বাম হাতও কেটে ফেললেন। তারপরও তিনি মশকটি চরম কষ্টে দাঁতে কামড়ে ধরে ছুটে চললেন। বীর আববাসের এই বীরত্ব দেখে যালিম এয়াজিদিদের আর সহ্য হলােনা , তারা এক সাথে ঝাঁপিয়ে পড়ে হযরত আব্বাসকে শহীদ করে দিলেন। এদিকে পানির জন্য ছটফট করতে থাকা দুধের শিশু হযরত আজগরের জন্য পানিও আর হলােনা আর এইটা হল,কারবালার ময়দানে, পানির পিপাসায় শহীদ গনের মধ্যে অন্যতম।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

  • ৪. সমাজজীবনে মানুষের ভূমিকা কেমন হওয়া দরকার তা নির্ধারণ করা।,

উত্তর:

Advertisement 2

সমাজজীবনে মানুষের ভূমিকা নির্ধারনঃ মুয়াবিয়া (রা.)-এর ইন্তেকালের পর ইসলামী খেলাফতের মসনদে অধিষ্ঠিত হয় তদীয় পুত্র ইয়াজিদ। নবী দৌহিত্র হুসাইন (রা.) ইয়াজিদের হাতে বায়েত গ্রহণ থেকে বিরত থাকেন। তিনি ভেবেছিলেন, খেলাফতের জন্য তিনিই বেশি যােগ্য আর এতে সন্দেহ নেই যে হুসাইন (রা.) জ্ঞান, গরিমা, আলম, আখলাক সবদিক থেকে ইয়াজিদের চেয়ে অগ্রগামী ছিলেন।

কুফাবাসী হুসাইন (রা.)-এর বায়েত গ্রহণ না করার বিষয়টি জানতে পেরে তাঁর কাছে চিঠি প্রেরণ করতে থাকে যে আপনি এখানে চলে আসুন। আমরা আপনার হাতে বায়েত গ্রহণ করব। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য হুসাইন (রা.) চাচাতাে ভাই মুসলিম বিন আকিলকে কুফায় প্রেরণ করেন।

তিনি সেখানে পৌঁছে হুসাইন (রা.)-এর পক্ষ থেকে বায়েত গ্রহণ শুরু করেন। বং পত্র মারফত তাঁকে কুফায় আগমনের আমন্ত্রণ জানান। সে অনুযায়ী হুসাইন (রা.) ৬০ হিজরির ৯ জিলহজ মক্কা থেকে কুফার উদ্দেশে রওনা করেন। ততক্ষণে কুফার পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। কুফার নতুন গভর্নর উবায়দুলাহ বিন জিয়াদ হজরত হুসাইন (রা.)-এর যাত্রা প্রতিহত করার জন্য হুর বিন ইয়াজিদের নেতৃত্বে এক দল সৈন্য প্রেরণ করে।

হুসাইন (রা.) চলতে চলতে কারবালা নামক স্থানে পৌঁছে বাধাপ্রাপ্ত হন। তিনি অস্কুটচিত্তে বললেন, ‘হাজা কারবুন ওয়া বালাউন’ এটা সংকটময়, বিপদসঙ্কুল স্থান। এখানেই তাঁবু গাড়তে নির্দেশ দেন। হুর বিন জিয়াদ হুসাইন (রা.)কে বললেন, ‘আপনি কুফা ছাড়া যেদিকে ইচ্ছা যেতে পারেন।

আমাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আপনাকে যেন কিছুতেই কুফা প্রবেশ করতে না দিই। কুফার গভর্নর ইবনে জিয়াদ সীমারকে নতুন সেনাপতি নিয়ােগ করে নিদের্শ দিল, হুসাইনকে ইয়াজিদের হাতে বায়েত গ্রহণে বাধ্য করবে নতুবা তাঁর শির আমার সামনে উপস্থিত করবে। সবার শেষে হুসাইন (রা.) বীরবিক্রমে যুদ্ধ চালিয়ে যান। কিন্তু ইয়াজিদ বাহিনীর সম্মিলিত আক্রমণে তিনিও শাহাদাতের সুধা পান করেন।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]


প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক মাধ্যম গুলোতে ও


অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-

  • ভোকেশনাল ও দাখিল ভোকেশনাল (১০ম শ্রেণির) অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • Class: 6 To 10 Assignment Answer Link

৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর , ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর,

Advertisement 2

৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর , ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর

১০ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর


উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় SSC এসাইনমেন্ট :উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় HSC এসাইনমেন্ট
বিজ্ঞান ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
ব্যবসায় ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
মানবিক ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
মানবিক ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
বিজ্ঞান ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
ব্যবসায় ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক

বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

Advertisement 5



Advertisement 3

Leave a Comment