Google Adsense Ads
পদ্য : বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ
২। যুদ্ধ সবসময় অনভিপ্রেত। তবুও যুদ্ধের দাবানলে বিশ্ব দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে। মুলত ক্ষমতার দম্ভ থেকে যুদ্ধের সূত্রপাত। বৃহৎ রাষ্ট্রগুলাে শক্তির দাপটে ছােট ছােট রাষ্ট্রের উপর আধিপত্য বিস্তারে হিংস্র খেলায় মেতে ওঠে। স্বার্থবুদ্ধি যখন প্রবল হয়ে ওঠে, যুদ্ধ তখন মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। সভ্যতার বিকাশলগ্ন থেকেই হিংসা বিদ্বেষের এই মর্মান্তিক ধারা বয়ে চলেছে।
(ক) মেঘনাদ কে?
উত্তর:রাবণের বড় ছেলে। আরেক নাম ইন্দ্রজিৎ। মেঘনাদ দেবতা শিবের কৃপায় পরম পরাক্রমশালী হয়েছিলেন। তাকে হারানো খুবই কঠিন ছিল।
(খ) মেঘনাদ কেন বিভীষণকে তিরস্কার করেছিলেন?
উত্তর: মহামন্ত্র-বলে ফণা তোলা সাপ যেমন মাথা নত করে, তুমিও তাহলে তেমনি করে মাথানত করেছ? এসব কথা শুনে রক্ষ:কুল বীর রথী বিভীষণ তখন মলিন মুখে লজ্জাবনত হয়ে মেঘনাদকে বলল- এসবের জন্য আমি দায়ী নই।
আমাকে অযথাই দোষারোপ করছ ; বৃথাই তিরস্কার করছ বাছা। তোমার নিজের কর্ম-দোষেই তুমি আজ এমন বিপদগ্রস্ত। এ অবস্থার জন্য তুমি নিজেই বেশি দায়ী
(গ) উদ্দীপকটি “বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার কোন বিষয়টির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: যুদ্ধ ও বিশ্বাসঘাতকরা পরিলক্ষিত হয়েছে । সুষেণ জানান যদি রাত্রি শেষ হওয়ার পূর্বেই হিমালয়ের ধৌলাধর পর্বত থেকে সঞ্জীবনী বুটি নিয়ে আসা যায় তবে লক্ষ্মণের প্রাণরক্ষা সম্ভব। হনুমান সেই পর্বত উৎপাটন করে আনেন রাতারাতি। সুষেণ প্রথমে শত্রুর শরীরে সেই ঔষধ প্রয়োগ করতে চাননি। কিন্তু রাম যখন তাঁকে মনে করিয়ে দেন আয়ুর্বেদের একটি প্রাচীন প্রবচনের কথা -চিকিৎসকের বন্ধু বা শত্রু নেই।
যুদ্ধ সবসময় অনভিপ্রেত। তবুও যুদ্ধের দাবানলে বিশ্ব দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে। মুলত ক্ষমতার দম্ভ থেকে যুদ্ধের সূত্রপাত। বৃহৎ রাষ্ট্রগুলাে শক্তির দাপটে ছােট ছােট রাষ্ট্রের উপর আধিপত্য বিস্তারে হিংস্র খেলায় মেতে ওঠে। স্বার্থবুদ্ধি যখন প্রবল হয়ে ওঠে, যুদ্ধ তখন মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। সভ্যতার বিকাশলগ্ন থেকেই হিংসা বিদ্বেষের এই মর্মান্তিক ধারা বয়ে চলেছে।
তখন সুষেণ লক্ষ্মণের শরীরে ঔষধ প্রয়োগ করে তাঁকে সারিয়ে তোলেন।
লক্ষ্মণ পুনরুজ্জীবিত হয়েছেন তা মেঘনাদ জানতে পারে। লক্ষ্মণ ও রামের সাথে যুদ্ধে জয় নিশ্চিত করার জন্য মেঘনাদ নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে ইষ্টদেবতার যজ্ঞ সম্পাদনা করতে যান। বিভীষণ তাঁর গুপ্তচর মারফৎ সেই সংবাদ পেয়ে রামকে সতর্ক করেন। কারণ এই যজ্ঞ সম্পূর্ণ হলে মেঘনাদ অজেয় হয়ে যাবেন। তখন মেঘনাদকে যুদ্ধে হারানো অসম্ভব হয়ে পড়বে।
(ঘ) “যুদ্ধে প্রতিপক্ষের তুলনায় স্বপক্ষের বিশ্বাসঘাতকরা বেশি ভয়ঙ্কর”- উদ্দীপক ও “বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ” কবিতার আলােকে উক্তিটির যথার্থতা নিরূপন কর।
উত্তর: প্রথম দিন রামের বাহিনীর সঙ্গে মেঘনাদের যুদ্ধ হয়। চতুর রণকৌশলে মেঘনাদ সুগ্রীবের বাহিনীকে হটিয়ে দেন। রাম ও লক্ষ্মণকে বার বার গুপ্ত স্থান থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানাতে থাকেন যাতে তিনি পিতৃব্যের হত্যার প্রতিশোধ তুলতে পারেন। রাম ও লক্ষ্মণ বেরিয়ে এলে তাঁদের সঙ্গে মেঘনাদের ভয়ংকর যুদ্ধ হয়। মেঘনাদ তাঁদের নাগপাশে বদ্ধ করেন। দুজনে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যান। এই সময়ে হনুমানের অনুরোধে গরুড় এসে তাঁদের প্রাণরক্ষা করেন। প্রসঙ্গত গরুড় ছিলেন নারায়ণের বাহন ও সাপেদের শত্রু।
মেঘনাদ যখন জানতে পারেন যে রাম ও লক্ষ্মণ জীবিত এবং গরুড় তাঁদের উদ্ধার করেছেন, তখন ক্রুদ্ধ হয়ে তিনি শপথ করেন যে অন্তত দুই ভাইয়ের একজনকে সেই দিন হত্যা করবেন। প্রথমে সুগ্রীবের বাহিনীর সঙ্গে তাঁর ভয়ানক যুদ্ধ হয়। পরে লক্ষ্মণ এসে তাঁর সঙ্গে যুদ্ধ শুরু করেন।
লক্ষ্মণকে হারানো সহজ নয় বুঝে তিনি মায়াবলে ঝড়বৃষ্টি সৃষ্টি করে তাঁর সম্মুখ ভাগ থেকে বারংবার অদৃশ্য হয়ে যেতে থাকেন। শেষে তাঁর সর্বাপেক্ষা ভয়ানক অস্ত্র শক্তি প্রয়োগ করেন লক্ষ্মণের উপর। লক্ষ্মণ অচৈতন্য হয়ে পড়েন। তাঁর শরীরে এমন এক বিষক্রিয়া শুরু হয় যা ঠিক সূর্যোদয়ের মুহুর্তে তাঁর প্রাণ হরণ করতে উদ্যত হয। হনুমান লঙ্কার দুর্গ থেকে রাজবৈদ্য সুষেণকে অপহরণ করে আনেন।
সুষেণ জানান যদি রাত্রি শেষ হওয়ার পূর্বেই হিমালয়ের ধৌলাধর পর্বত থেকে সঞ্জীবনী বুটি নিয়ে আসা যায় তবে লক্ষ্মণের প্রাণরক্ষা সম্ভব। হনুমান সেই পর্বত উৎপাটন করে আনেন রাতারাতি। সুষেণ প্রথমে শত্রুর শরীরে সেই ঔষধ প্রয়োগ করতে চাননি। কিন্তু রাম যখন তাঁকে মনে করিয়ে দেন আয়ুর্বেদের একটি প্রাচীন প্রবচনের কথা -চিকিৎসকের বন্ধু বা শত্রু নেই।
তখন সুষেণ লক্ষ্মণের শরীরে ঔষধ প্রয়োগ করে তাঁকে সারিয়ে তোলেন।
লক্ষ্মণ পুনরুজ্জীবিত হয়েছেন তা মেঘনাদ জানতে পারে। লক্ষ্মণ ও রামের সাথে যুদ্ধে জয় নিশ্চিত করার জন্য মেঘনাদ নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে ইষ্টদেবতার যজ্ঞ সম্পাদনা করতে যান। বিভীষণ তাঁর গুপ্তচর মারফৎ সেই সংবাদ পেয়ে রামকে সতর্ক করেন। কারণ এই যজ্ঞ সম্পূর্ণ হলে মেঘনাদ অজেয় হয়ে যাবেন। তখন মেঘনাদকে যুদ্ধে হারানো অসম্ভব হয়ে পড়বে।
Google Adsense Ads
প্রত্যুষে মেঘনাদ যখন নিকম্ভিলা যজ্ঞাগারে (রুদ্ধদ্বার কক্ষ) ইষ্টদেবতা অগ্নিদবের আরাধনায় নিমগ্ন, তখন মায়া দেবীর আনুকূল্যে এবং রাবণের অনুজ গৃহশত্রু বিভীষণের সহায়তায়, লক্ষ্মণ শত শত প্রহরীর চোখ ফাঁকি দিয়ে নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারের মূল প্রবেশদ্বারে পৌঁছে যায়। এরপর মায়াবলে লক্ষ্মণ রুদ্ধদ্বার দেবালয়ে প্রবেশে সমর্থ হয়। তপস্যায় মগ্ন মেঘনাদ চোখ খোলা মাত্রই দেবতার আদলে সামনে দাঁড়ানো বীররূপী লক্ষ্মণকে দেখে বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে পড়ে।
কপট লক্ষ্মণ নিরস্ত্র মেঘনাদের কাছে যুদ্ধ প্রার্থনা করলে মেঘনাদ প্রকাশ করে নিজের বিস্ময়। ইতোমধ্যে লক্ষ্মণ তলোয়ার কোষমুক্ত করলে মেঘনাদ যুদ্ধসাজ গ্রহণের জন্য সময় প্রার্থনা করে লক্ষ্মণের কাছে। এসময়ই অকস্মাত্ যজ্ঞাগারের প্রবেশদ্বারের দিকে চোখ পড়ে তার,দেখতে পায় বীরযোদ্ধা পিতৃব্য চাচা বিভীষণকে। মুহূর্তে সবকিছু স্পষ্ট হয়ে যায় তার কাছে।
বিভীষণকে প্রত্যক্ষ করে দেশপ্রেমিক নিরস্ত্র মেঘনাদ যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে অর্থাৎ চাচা-ভাতিজার মধ্যে যে কাল্পনিক কথোপকথন হয়, সেই নাটকীয় ভাষ্যই “বিভীষণের প্রতি
H.S.C
- গদ্য : জীবন ও বৃক্ষ, “জীবন ও বৃক্ষ’ প্রবন্ধটি কোন গ্রন্থ থেকে নেয়া হয়েছে?
- উপন্যাস : লালসালু, ধলামিয়া কেমন ধরনের মানুষ ছিল?
- পদ্য : আমি কিংবদন্তির কথা বলছি, কিংবদন্তি শব্দের অর্থ কী?
- গদ্য : আমার পথ, লেখক কাকে সালাম ও নমস্কার জানিয়েছেন?
- এইচএসসি (বিএম) বিষয়: বাংলা-১ (১৮১১) এসাইনমেন্ট উত্তর
- নাটক : সিরাজউদ্দৌলা, সিরাজউদ্দৌলার স্ত্রীর নাম কী
- পদ্য: ঐকতান,ঐকতান অর্থ কী?
- গদ্য: মাসি-পিসি, আহ্লাদির স্বামীর নাম কী?
- উপন্যাস: লালসালু, লালসালু’ উপন্যাসে স্কুল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছিল কে?
- পদ্য: তাহারেই পড়ে মনে এ্যাসাইনমেন্টানিধারিত কাজ
Google Adsense Ads