৭ম শ্রেণির বিজ্ঞান বইয়ের প্রথম অধ্যায়ে মাম্পসের উল্লেখ আছে

 

https://jobspointbd.com/

My Ads

Google Adsense Ads

আমাদের উভয় কানের নিচে, চোয়ালের পেছনে দুটি নালিহীন গ্রন্থির নাম প্যারোটিড গ্রন্থি। এই প্যারোটিড গ্রন্থি মাম্পস (Mumps) ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলে এতে প্রদাহ হয়। এটিই মাম্পস বলে পরিচিত।

সাধারণত শিশুরা মাম্পসে বেশি আক্রান্ত হয়। ক্ষেত্রবিশেষে বয়স্করাও এ রোগে আক্রান্ত হয়। এটি বেশ পীড়াদায়ক। গ্রামগঞ্জে শিশুদের এই রোগকে বলা হয় গাল ফোলা রোগ।

মাম্পস ভাইরাস এক ধরনের নেগেটিভ আরএনএ প্যারামিক্সো ভাইরাস। এই ভাইরাস প্রধানত রক্তের লোহিত কণিকা ধ্বংসের জন্য দায়ী। এটি একটি ছোঁয়াচে রোগ, যা সাধারণত আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে ছড়ায়।

আক্রান্ত ব্যক্তি হাঁচি-কাশি দিলে বা সর্দি ঝাড়লে তার সূক্ষ্ম কণাগুলো বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে এবং অন্য ব্যক্তির নাক, চোখ বা মুখ দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে সংক্রমণ ঘটায়। এ ছাড়া খাবার ও পানীয় আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে ভাগাভাগি করার মাধ্যমেও মাম্পস ছড়ায়।

মাম্পস ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ১৪ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে এর লক্ষণগুলো দেখা দেয়।

মাম্পস হলে প্রথমে জ্বর, মাথা ব্যথা, গলা ব্যথা এবং কানের নিচে ব্যথা শুরু হয়। পরে একদিকের প্যারোটিড গ্রন্থি ফুলে ওঠে ও ব্যথা হয়। পরে অপর গ্রন্থিতেও ব্যথা শুরু হয় এবং ফুলে ওঠে।

গ্রন্থির নিঃসরণ মুখের যেখানে এসে লালার সঙ্গে মেলে, সে স্থানও লাল হয়ে ফুলে যায়। এ সময় রোগীকে বেশি দুর্বল মনে হয়, রোগী অস্বস্তি অনুভব করে, ভালো করে মুখ খুলতে পারে না, ঢোক গিলতে ও খেতে ভীষণ কষ্ট হয়; এমনকি ঘাড়, কান, গলাও আক্রান্ত হয়ে পড়ে।

কারো কারো জ্বর বেড়ে ১০২ থেকে ১০৩ ডিগ্রি হতে পারে এবং কয়েক দিন স্থায়ী থাকে। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে নারীদের ক্ষেত্রে তলপেটে ব্যথা করলে এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে অণ্ডকোষে ব্যথা অনুভব করলে ঘরে বসে না থেকে সঙ্গে সঙ্গে একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ এ লক্ষণগুলো মাম্পসের জটিলতা নির্দেশ করে।

এ রোগের চিকিৎসা ও প্রতিকারে মাম্পস ভাইরাস টিকা নিরাপদ। প্রতিরোধের জন্য টিকা সাধারণত এক বছরের ওপরের শিশুকে এককভাবে কিংবা অন্যান্য টিকার সঙ্গে প্রয়োগ করা হয়।      

J.S.C

Google Adsense Ads

Google Adsense Ads

Leave a Comment