ভাবসম্প্রসারণ: বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর

বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর

সৃষ্টির প্রথম থেকে এখন পর্যন্ত মানবসভ্যতার যে বিকাশ সাধিত হয়েছে, তা নারী ও পুরুষ উভয়েরই যৌথ প্রচেষ্টার ফল। তাই নারী জাতিকে ছোট করে দেখার অবকাশ নেই। নারী ও পুরুষ উভয়েই সমান মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত।

 মানবসভ্যতা বিকাশে নারী ও পুরুষের সমান অবদান রয়েছে। নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায়ই গড়ে উঠেছে আমাদের সমাজ, সভ্যতা ও সংস্কৃতি। সৃষ্টিকর্তা নারী ও পুরুষকে সৃষ্টি করেছেন একে অপরের পরিপূরক হিসেবে। তাই নারী ও পুরুষ চিরকালের সার্থক সঙ্গী। একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। 

সৃষ্টির আদিকালে থেকে নারী পুরুষকে জুগিয়েছে প্রেরণা, শক্তি ও সাহস। আর পুরুষ বীরের মতো সব কাজে অর্জন করেছে সাফল্য। আজ পর্যন্ত বিশ্বে যত অভিযান সংঘটিত হয়েছে, তার অন্তরালে নারীর ভূমিকাই মুখ্য। সংগত কারণেই নারী ও পুরুষের কার্যক্ষেত্রে ভিন্নতা আছে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

তবু নারী যেমন পুরুষের ওপর নির্ভরশীল, পুরুষও তেমনি নারীর মুখাপেক্ষী। নারীকে বাদ দিয়ে পুরুষের জীবন অসম্পূর্ণ, অর্থহীন। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে মানুষের সংসারজীবনে সুখ, শান্তি ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের ভূমিকা রয়েছে।

বিজ্ঞানের আবিষ্কারে, চাকরির কর্মস্থলে; এমনকি দেশকে বাইরের শত্রুর হাত থেকে রক্ষা করতে নারী ও পুরুষের অনেক ভূমিকা রয়েছে। নারী ছাড়া পুরুষ যেমন বেশি দূর চলতে পারে না, তেমনি পুরুষ ছাড়া নারীও বেশি দূর চলতে পারে না।

তাই নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন যথার্থ বলেছেন, ‘গাড়ির দুটি চাকার মধ্যে একটি চাকা নষ্ট হলে ঐ গাড়ি বেশি চলতে পারে না। তেমনি একটি দেশের উন্নতির জন্য নারী ছাড়া পুরুষ বেশি দূর চলতে পারে না।’

 নারী জাতিকে ছোট করে দেখার কোনো অবকাশ নেই। একের দানে অন্যে পরিপুষ্ট। তাই জগত্সংসারে পুরুষ ও নারীর সমান গুরুত্ব রয়েছে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

আমাদের YouTube এবং Like Page

এখানে সকল প্রকাশ শিক্ষা বিষয় তথ্য ও সাজেশন পেতে আমাদের সাথে থাকুন ।

Leave a Comment