সূর্যের আলাে ভূমি, নদীর পানি এগুলাের কোনটি সম্পদ বা সম্পদ নয় তা অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোন থেকে বৈশিষ্ট্য উল্লেখ পূর্বক ব্যাখ্যা প্রদান এবং উৎপত্তির ভিত্তিতে সম্পদের শ্রেণিকরণ

অ্যাসাইনমেন্ট: সূর্যের আলাে ভূমি, নদীর পানি এগুলাের কোনটি সম্পদ বা সম্পদ নয় তা অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোন থেকে বৈশিষ্ট্য উল্লেখ পূর্বক ব্যাখ্যা প্রদান এবং উৎপত্তির ভিত্তিতে সম্পদের শ্রেণিকরণ।

শিখনফল/ বিষয়বস্তুঃ 

  • অর্থনৈতিক সম্পদের ধারণা ব্যাখ্যা করতে পারবে; 
  • প্রাকৃতিক সম্পদ, 
  • মানব সম্পদ এবং উৎপাদিত সম্পদের মধ্যে তুলনা করতে পারবে;

নির্দেশনা (সংকেত/ধাপ/পরিধি):

১. অর্থনৈতিক সম্পদের ধারণা।

২. সম্পদের ৪টি বৈশিষ্ট্যের ব্যাখ্যা।

৩. সম্পদের ৪টি বৈশিষ্ট্যের আলােকে ভূমি, নদীর পানি, সূর্যের আলাে এগুলাের সম্পদ বা সম্পদ নয় তা ব্যাখ্যা।

৪. উৎপত্তির ভিত্তিতে সম্পদের শ্রেণিকরণ।

উত্তর সমূহ:

অর্থনীতি বা ‌‌‌অর্থশাস্ত্র সামাজিক বিজ্ঞান এর একটি শাখা যা পণ্য এবং সেবার উৎপাদন, সরবরাহ, বিনিময়, বিতরণ এবং ভোগ ও ভোক্তার আচরণ নিয়ে আলোচনা করে। সম্পদ সীমিত কিন্তু চাহিদা অফুরন্ত– এই মৌলিক পরিপ্রেক্ষিতে সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা অর্থনীতির প্রধান উদ্দেশ্য৷ অর্থনীতি শব্দটি ইংরেজি ‘Economics’ শব্দের প্রতিশব্দ। Economics শব্দটি গ্রিক শব্দ ‘Oikonomia’ থেকে উদ্ভূত যার অর্থ গৃহস্থালী পরিচালনা।

এল.রবিন্স এর প্রদত্ত সংজ্ঞাটি বেশিরভাগ আধুনিক অর্থনীতির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তিনি বলেন, “অর্থনীতি মানুষের অসীম অভাব ও বিকল্প ব্যবহারযোগ্য সীমিত সম্পদের সম্পর্ক বিষয়ক মানব আচরণ নিয়ে আলোচনা করে।” এল.রবিন্সের সংজ্ঞাটি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে এটি মানব জীবনের তিনটি মৌলিক বৈশিষ্টের উপর প্রতিষ্ঠিত, যথা অসীম অভাব, সীমিত সম্পদ ও বিকল্প ব্যবহারযোগ্য সম্পদ।

(ক) অর্থনৈতিক সম্পদ : অর্থনীতিতে সম্পদ হলাে সেই সমস্ত জিনিস বা দ্রব্য, যেগুলাে পেতে চাইলে অর্থ ব্যয় করতে হয়। সংক্ষেপে আমরা এ দ্রব্যগুলােকে অর্থনৈতিক দ্রব্যও বলে থাকি। যেমন- ঘরবাড়ি, আসবাবপত্র, টিভি ইত্যাদি দৃশ্যমান বস্তুগত সম্পদ এবং ডাক্তারের সেবা শিক্ষকের পাঠদান ইত্যাদি অদৃশ্যমান বা অবস্তুগত সম্পদ। উল্লিখিত জিনিসগুলাে পেতে চাইলে অর্থ ব্যয় করতে হবে। আমরা সবাই ‘সম্পদ’ শব্দটির সাথে কমবেশি পরিচিত। আমাদের প্রতিদিনের আলােচনায় অনেকভাবে সম্পদ শব্দটি আসে। যেমন মি. সুজন অনেক সম্পদের মালিক। একজন অর্থনীতিবিদের কাছে সব জিনিস সম্পদ নয়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল কপি বা চুরি করা থেকে বিরত থাকুন (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

(খ) সম্পদের বৈশিষ্ট্য : কোনাে জিনিসকে যদি অর্থনীতিতে সম্পদ বলতে হয় তবে তার চারটি বৈশিষ্ট্য থাকা আবশ্যক। বৈশিষ্টগুলাে হলাে : 

১. উপযােগ : উপযােগ বলতে বােঝায় কোনাে দ্রব্যের মানুষের অভার মেটানাের ক্ষমতা।কোনাে দর্য সম্পদ হতে হলে সেই দ্রব্যের উপযােগ সৃষ্টির ক্ষমতা থাকতে হবে উপযােগ নেই এমন দ্রব্য বা সেবা মানুষ অর্থ দিয়ে কেনে না।

২. অপ্রাচুর্যতা : কোনাে দ্রব্য সম্পদ হতে হলে তার পরিমাণ ও যােগান সীমিত থাকবে। যেমন : নদীর পানি, বাতাস প্রভৃতির যােগান। এগুলাে সম্পদ নয়। তবে শ্রম ব্যবহার করে। পানিকে বােতলবন্দি করলে পানিসম্পদে পরিনত হয়। অন্যদিকে জমি, গ্যাস, যন্ত্রপাতি – এগুলাে চাইলেই প্রচুর পাওয়া সম্ভব নয়। অর্থাৎ এগুলাে আমাদের কাছে অপর্যাপ্ত দ্রব্য। এগুলােও সম্পদ।

৩. হস্তান্তরযােগ্য : সম্পদের আরও একটি বৈশিষ্ট্য হলাে এর হস্তান্তরযােগ্যতা। হস্তান্তরযােগ্য বলতে বােঝায় হাত বদল হওয়া। অর্থাৎ যে দ্রব্যের মালিকানা বদল বা পরিবর্তন করা যায়, তা – ই হলাে সম্পদ। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিভাকে অর্থনীতির ভাষায় সম্পদ বলা যাবে না। কারণ তার প্রতিভাকে হস্তান্তর বা মালিকানা বদল করা সম্ভব নয়। আবার টিভির মালিকানা বদল করা যায় বলে টিভি সম্পদ। 

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল কপি বা চুরি করা থেকে বিরত থাকুন (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

৪. বাহ্যিকতা : যে সমস্ত দ্রব্য মানুষের অভ্যন্তরীণ গুণ বােঝায় তা অর্থনীতির ভাষায় সম্পদ নয়। কেননা এর কোনাে বাহ্যিক অস্তিত্ব আমরা উপলব্ধি করতে পারি না। যেমন : কোনাে ব্যক্তির কম্পিউটারের উপর বিশেষ অভিজ্ঞতা বা জ্ঞান কিংবা কারাে শারীরিক সৌন্দর্য বা চারিত্রিক গুণাবলিকে সম্পদ বলা যাবে না। তবে পুঁজিবাদী বাজার অর্থনীতিতে নানাভাবে এগুলােকেও বিক্রয়যােগ্য সম্পদে পরিণত করা সম্ভব। 

(গ) প্রদত্ত তিনটি বস্তু চিহ্নিতকরণ : সূর্যের আলাে, ভূমি ও নদীর পানি এ তিনটির মধ্যে শুধুমাত্র ভূমি এবং নদীর পানি হচ্ছে সম্পদ। প্রকৃতির কাছ থেকে পাওয়া যেসব দ্রব্য মানুষের প্রয়ােজন মেটায়, তাকে প্রাকৃতিক সম্পদ বলে। যেমন- ভূমি, বনভূমি, খনিজ সম্পদ, নদ – নদী ইত্যাদি। অর্থাৎ অর্থনৈতিক ভাষায় ভূমি এবং নদীর হচ্ছে সম্পদ। আর সূর্যের আলাে কোনাে সম্পদ নয়।

আর সূর্যের আলাে কোনাে সম্পদ নয়। 

(ঘ) সম্পদের শ্রেণিকরণ : উৎস বা উৎপত্তির দিক থেকে সম্পদ তিন প্রকার। যথা : 

১. প্রাকৃতিক সম্পদ : প্রকৃতির কাছ থেকে পাওয়া যেসব দ্রব্য মানুষের প্রয়ােজন মেটায় , তাকে প্রাকৃতিক সম্পদ বলে। যেমন- ভূমি, বনভূমি, খনিজ সম্পদ, নদ – নদী ইত্যাদি।

২. মানবিক সম্পদ : মানুষের বিভিন্ন প্রকার যােগ্যতা ও দক্ষতাকে মানবিক সম্পদ বলা হয়। যেমন শারীরিক যােগ্যতা, প্রতিভা, উদ্যোগ, দক্ষতা, সাংগাঠনিক ক্ষমতা ইত্যাদি মানবিক সম্পদ।

৩. উৎপাদিত সম্পদ : প্রাকৃতিক ও মানবিক সম্পদ কাজে লাগিয়ে যে সম্পদ সৃষ্টি হয় তাকে উৎপাদিত সম্পদ বলা হয়। যেমন কাচামাল, যন্ত্রপাতি, কলকারখানা, যাতায়াত ও যােগাযােগব্যবস্থা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ইত্যাদি মানুষ তৈরি করে বলে এগুলাে উৎপাদিত সম্পদ।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল  কপিরাইট: (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

  • ২০২১ সালের SSC পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের HSC পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের ৯ম/১০ শ্রেণি ভোকেশনাল পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
  • ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
  • ৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
  • ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক

এখানে সকল প্রকাশ শিক্ষা বিষয় তথ্য ও সাজেশন পেতে আমাদের সাথে থাকুন ।

আমাদের YouTube এবং Like Page

Leave a Comment