সূরা ইব্রাহিম সকল তথ্য আল কোরআন ও হাদিসের আলোতে,পৃথিবীর জানা অজানা কিছু তথ্য আল ইব্রাহিম আলমল ও ফজিলত, সূরা ইব্রাহিম কতো বার পাঠ করলে কোন আলম ও ফজিলত, সূরা ইব্রাহিম নাযিলের কারন গুলো কি কি ,কুরআন ১৪ সূরা আল – ইব্রাহিম

আজকের বিষয়: পৃথিবীর জানা অজানা কিছু তথ্য আল ইব্রাহিম আলমল ও ফজিলত, সূরা ইব্রাহিম কতো বার পাঠ করলে কোন আলম ও ফজিলত

সুরা ইব্রাহিমের 21 নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলছেন, ‘(২১) (কিয়ামত দিবসে) সবাই আল্লাহর সামনে উপস্থিত হবে, তখন দুর্বল শ্রেণীর লোকেরা অহংকারীদের বলবে,

‘আমরা তো তোমাদের অনুসারী ছিলাম, এখন তোমরা কি আল্লাহর শাস্তি হতে আমাদের কিছুটাও রক্ষা করতে পার?’ তারা বলবে, ‘যদি আল্লাহ আমাদের পথ প্রদর্শন করতেন, তবে আমরাও তোমাদের পথ প্রদর্শন করতাম। আমরা অধৈর্য হই অথবা ধৈর্যধারণ করি- আমাদের জন্য সমান; শাস্তি হতে আমাদের মুক্তির কোনো পথই নেই।’

অর্থাৎ দাম্ভিক জালিম ও কাফিরদের বোকা বা দুর্বল অনুসারীরা কিয়ামতের দিন তাদের নেতাদের বলবে, আজ আমাদের পাপের শাস্তির কিছু বোঝা তোমরা বহন কর। কারণ, তোমাদের অনুসারী হওয়ার কারণেই আজ আমাদের এতো দুর্ভোগ! তারা তখন বলবে, যদি আল্লাহ আমাদেরকে এই শাস্তির পথ থেকে মুক্তির দিকে পরিচালিত করতেন তাহলে আমরা তোমাদেরকে সেপথ দেখাতাম! তাই এখন অর্থহীন বিতর্ক করে লাভ নেই- মুক্তির আর কোনো উপায়ই এখন আর খোলা নেই।

কুরআনের এই আয়াত অনুযায়ী দাম্ভিক কাফির নেতারা রাজি হোক বা না হোক তাদেরকে তাদের অনুসারীদের পাপের বোঝা বইতে হবে।  কারণ, তারাই বিভ্রান্ত করেছিল তাদের অনুসারীদের। অবশ্য তাদের অনুসারীদের শাস্তির মাত্রাও বিন্দু পরিমাণ কমানো হবে না। তাই এটা স্পষ্ট যারা অন্ধের মত কারো অনুসরণ করে ও যাচাই না করেই কাউকে নেতা হিসেবে মেনে নেয় তারাও তাদের নেতার মতই একই পরিণতি ভোগ করবে। পরের আয়াতে মহান আল্লাহ বলছেন:

‘(২২) যখন সমস্ত বিষয় নিষ্পত্তি হয়ে যাবে তখন শয়তান বলবে, ‘আল্লাহ তোমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এবং তাঁর প্রতিশ্রুতি সত্য এবং আমিও তোমাদের কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, কিন্তু আমি তোমাদের সাথে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছি। তবে তোমাদের ওপর তো আমার কোন আধিপত্য ছিল না। আমি কেবল তোমাদের আহ্বান করেছিলাম; আর তোমরা তা গ্রহণ করেছিলে। সুতরাং তোমরা আমাকে তিরস্কার কর না; বরং নিজেদের তিরস্কার কর। আজ না আমি তোমাদের সাহায্য করতে পারি, আর না তোমরা আমাকে সাহায্য করতে পার, তোমরা যে অতীতে আমাকে (আল্লাহর সাথে) অংশী করেছিলে আমি তা অস্বীকার করছি।’ নিশ্চয়ই যারা অবিচারক তাদের জন্য রয়েছে মর্মন্তুদ শাস্তি।  

এ আয়াতে শয়তানের ধোঁকা সম্পর্কে সচেতন করার পাশাপাশি এটাও মনে করিয়ে দেয়া হচ্ছে যে শয়তান মানুষকে কুমন্ত্রণা দিলেও তার অনুসারী হতে মানুষকে বাধ্য করতে পারে না। মানুষই শয়তানের কথা বিশ্বাস করে নিজের সর্বনাশ ডেকে আনে। অবশ্য মানুষ নানা অপরাধ বা পাপে জড়িয়ে শয়তানের কুমন্ত্রণাকে অন্ধের মত মেনে নেয়ার পরিবেশ সৃষ্টি করে।

এর পরের আয়াতে বলা হচ্ছে ঈমান ও সৎকর্মই মানুষকে মুক্তি দিতে পারে। এরপর ২৪ ও ২৫ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলছেন: ‘(২৪) (হে রাসূল!) তুমি কি লক্ষ্য করনি, আল্লাহ কীভাবে পবিত্র বাণীর উপমা পবিত্র বৃক্ষের  মাধ্যমে বিবৃত করেছেন, যার মূল সুদৃঢ় এবং এর শাখা-প্রশাখা আকাশ অবধি বিস্তৃত। (২৫) তা (এ বৃক্ষ) নিজ প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে সব সময়ে ফলদান করে। এবং আল্লাহ মানুষের জন্য উপমা উপস্থাপিত করেন যাতে তারা উপদেশ ও শিক্ষা নেয়।’

মহান আল্লাহ কলেমায়ে তাইয়্যেবাকে পবিত্র গাছের সঙ্গে তুলনা করেছেন। কারণ, এর রয়েছে বিকাশ ও প্রবৃদ্ধি। এ গাছ সব দিক থেকেই পবিত্র। এর ফুল, ফল, শেকড় ও শাখা বা পল্লব এবং এমনকি সেখান দিয়ে যে বাতাস বয় তাও পবিত্র। এ পবিত্র বাক্যের মূল  স্থায়ী ও এত সুদৃঢ় যে ঝড়-তুফান তা উচ্ছেদ করতে পারে না। এ গাছের শাখাগুলো আকাশে উন্নীত হয়েছে। এ গাছে সব সময়ই সুস্বাদু ও  সুমিষ্ট ফল থাকে এবং হাত বাড়ালেই যে কেউ তা নিতে পারে সব যুগেই। নবী-রাসূলরা হচ্ছেন এ গাছের মূল, আর নবী-রাসূলদের প্রকৃত উত্তরসূরী বা ইমামদের মত নিষ্পাপ ব্যক্তিরা এর কাণ্ড বা শাখা। আর তাঁদের জ্ঞান হচ্ছে এর ফল ও তাঁদের অনুসারীরা এ গাছের পাতা।

সুরা ইব্রাহিমের ২৬ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে,

‘আর নোংরা বাক্যের উদাহরণ হলো নোংরা বা অপবিত্র গাছ। শেকড়বিহীন (এ গাছকে) মাটির উপর থেকে উপড়ে নেয়া হয়েছে। এর কোন স্থিতি নেই।’

কলেমায়ে খবিস বা নোংরা বাক্য বলতে অপবিত্র মানুষ ও তাদের নানা কর্মসুচিকে বোঝায় যা মানুষকে বিভ্রান্ত করে। সব ধরনের অপবিত্র জিনিস বা বিষয় কলেমায়ে খবিসের অর্ন্তভুক্ত। শেকড়বিহীন, শুকনো ও কুৎসিত এ জাতীয় গাছের না আছে ফল না আছে ফুল, পাতা ও ছায়া। এ গাছ বড়ও হয় না এবং স্থায়ী ও সুদৃঢ় নয়। মানুষের উন্নতি বা চলার পথে বাধা ও ক্ষতি ছাড়া আর কিছুই বয়ে আনে না এ গাছ।

সুরা ইব্রাহিমের ৩৫ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলছেন:

‘(স্মরণ কর সে সময়ের কথা) যখন ইব্রাহীম বললেনঃ হে পালনকর্তা, এ শহরকে তথা মক্কাকে শান্তিময় ও নিরাপদ করে দিন এবং আমাকে ও আমার সন্তান-সন্ততিকে মূর্তি পূজা থেকে দূরে রাখুন।’

মূর্তি পূজার বিরুদ্ধে সংগ্রামে অভিজ্ঞ হযরত ইব্রাহীম (আ.) সত্য-সন্ধানী মানুষের হৃদয়কে তৌহিদের বাণীর মাধ্যমে আলোকিত করেছেন এবং অজ্ঞতার আঁধারে ডুবে-থাকা একদল মানুষকে আলোর পথে এনেছেন।

বিবি হাজরার গর্ভে ইব্রাহিম (আ.)’র পুত্র ইসমাইল (আ.) জন্ম নেয়ায় এই মহান নবীর প্রথম স্ত্রী ইর্ষান্বিত হয়ে পড়েন। ফলে মহান আল্লার নির্দেশে হাজরা ও শিশু ইসমাইলকে পাথুরে-পাহাড়ে ভরা মক্কার শুকনো ও তপ্ত প্রান্তরে রেখে আসেন ইব্রাহিম নবী। পানিশুন্য এ অঞ্চলে ঘাসও জন্মাত না। তৃষ্ণার্ত শিশুকে পানি দেয়ার জন্য মা হাজেরা এখানে ওখানে অনেক ছুটাছুটি করতে থাকেন। ফলে আল্লাহর ইচ্ছায় ইসমাইলের পায়ের নীচ থেকে উথলে ওঠে জমজম নামক ঝর্ণা। পানির সন্ধান পাওয়ায় মরূচারী গোত্রগুলো এখানে বসতি গড়ে তোলে। মহান আল্লাহই চেয়েছিলেন এ অঞ্চলটি ইবাদতের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠুক।

মহান আল্লাহর নির্দেশে ইব্রাহিম (আ.) পুত্র ইসমাইলের সহায়তায় এখানে কাবা ঘরের ভিত্তি গড়ে তোলেন। এরপর তিনি ওই দোয়াসহ ও নানা মুনাজাত পেশ করেন আল্লাহর দরবারে।  একত্ববাদের এই কেন্দ্রে তথা কাবাঘরে ইবাদত করতে বিশ্বাসীদের আহ্বান জানান ইব্রাহিম (আ.)।

এ মহান নবীর দোয়ার আদাব ও কৌশলও শিক্ষণীয়। তিনি মক্কাকে নিরাপদ করার আর্জি পেশ করেছেন দোয়ার প্রথমেই। কারণ, যে কোনো শহরের সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের প্রথম শর্তই হল নিরাপত্তা আর শান্তি। এরপর তিনি চেয়েছেন তাঁর সন্তানরা যেন মূর্তিপূজা থেকে দূরে থাকে। আর এটা হল তাওহিদি বিশ্বাস ও কর্মসুচির মূল ভিত্তি। এরপর ইব্রাহিম নবী বলেছেন,

‘হে পালনকর্তা, এরা অনেক মানুষকে বিপথগামী করেছে। অতএব যে আমার অনুসরণ করে, সে আমার এবং কেউ আমার অবাধ্যতা করলে নিশ্চয় আপনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। হে আমাদের পালনকর্তা, আমি নিজের এক সন্তানকে তোমার পবিত্র গৃহের কাছে চাষাবাদহীন উপত্যকায় আবাদ করেছি; হে আমাদের পালনকর্তা, যাতে তারা নামায কায়েম রাখে। অতঃপর আপনি কিছু লোকের অন্তরকে তাদের প্রতি আকৃষ্ট করুন এবং তাদেরকে ফলাদি দিয়ে রুযী দান করুন, সম্ভবতঃ তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে।’

দোয়ার এক পর্যায়ে ইব্রাহিম (আ.) আরও বলেছেন, “হে আমার পালনকর্তা, আমাকে নামায কায়েমকারী করুন এবং আমার সন্তানদের মধ্যে থেকেও। হে আমাদের পালনকর্তা, এবং কবুল করুন আমাদের দোয়া। হে আমাদের পালনকর্তা, আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে এবং সব মুমিনকে ক্ষমা করুন, যেদিন হিসাব কায়েম হবে।”

সুরা ইব্রাহিমের ৪২ ও ৪৪ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলছেন:

‘জালেমরা যা করে, সে সম্পর্কে আল্লাহকে কখনও বেখবর মনে করো না তাদেরকে তো ঐ দিন পর্যন্ত অবকাশ দিয়ে রেখেছেন, যেদিন চক্ষুসমূহ ( সে দিনের ভয়াবহতা দেখে) বিস্ফোরিত হবে। মানুষকে ঐ দিনের ভয় প্রদর্শন করুন, যেদিন তাদের কাছে আযাব আসবে। তখন জালেমরা বলবেঃ হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদেরকে সামান্য মেয়াদ পর্যন্ত সময় দিন, যাতে আমরা আপনার আহবানে সাড়া দিতে এবং পয়গম্বরগণের অনুসরণ করতে পারি। (তাদের বলা হবে)  তোমরা কি ইতোপূর্বে কসম খেতে না যে, তোমাদেরকে দুনিয়া থেকে যেতে হবে না?’  

 এ দুই আয়াত থেকে বোঝা উচিত জালিমদের খুব আরামে ও বিলাসিতার মধ্যে জীবন যাপন করতে দেখে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। আল্লাহ অত্যন্ত ধৈর্যশীল বলে জালিমদের শেষ পর্যন্ত সংশোধনের সুযোগ দেন

আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ

নামকরণঃ

৩৫ নং আয়াতে উল্লেখিত (আরবী) বাক্যাংশ থেকে এ সূরার নাম গৃহীত হয়েছে। এ নামকরণের মানে এ নয় যে, এ সূরায় হযরত ইবরাহীমের জীবন বৃত্তান্ত বর্ণনা করা হয়েছে। বরং অধিকাংশ সূরার নামের মতো এখানেও আলামত হিসেবে এ নাম ব্যবহৃত হয়েছে। অর্থাৎ এটি এমন একটি সূরা যেখানে ইব্‌রাহীম আলাইহিস সালামের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

নাযিলের সময়-কালঃ

সূরাটির সাধারণ বর্ণনা পদ্ধতি মক্কার শেষ যুগের সূরাগুলোর মতো। তাই এটি সূরা রা’আদের নিকটবর্তী কালে অবতীর্ণ বলে মনে হয়। বিশেষ করে ১৩ নং আয়াতের (আরবী) এবং অস্বীকারকারীরা নিজেদের রসূলদের বললো, তোমাদের ফিরে আসতে হবে আমাদের ধর্মীয় জাতিসত্তার মধ্যে, অন্যথায় আমরা তোমাদের বের করে দেবো আমাদের দেশ থেকে শব্দাবলী থেকে পরিষ্কার ইংগিত পাওয়া যায় যে, সে সময় মক্কায় মুসলমানদের ওপর জুলুম-নিপীড়ন চরম পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল। মক্কাবাসীরা অতীতের কাফের জাতিগুলোর মতো তাদের দেশের মুমিন সমাজকে দেশ থেকে উৎখাত করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছিল। এ জন্য অতীতে তাদের মতো যেসব জাতি একই কর্মনীতি অবলম্বন করেছিল তাদেরকে যে ধরনের হুমকি দেয় হয়েছিল তাদেরকেও সেই একই হুমকি দেয়া হয়। অতীতের কাফের জাতিসমূহকে হুমকি দেয়া হয়েছিল, (আরবী) (আমি জালেমদেরকে ধবংশ করে ছাড়বো)। অন্যদিকে মুমিনদেরকে তাদের পূর্ববর্তীদের মতো একই সান্ত্বনা দেয়া হয়। তাদেরকে বলা হয়ঃ (আরবী) অর্থাৎ এ জালেমদেরকে খতম করার পর আমি এ ভূখন্ডে তোমাদের বসতি স্থাপন করাবো।

এভাবে শেষ রুকূ’র আলোচ্য বিষয় থেকেও অনুমান করা যায় যে, এ সূরাটি মক্কার শেষ যুগের সাথে সম্পর্ক রাখে।

কেন্দ্রীয় বিষয়বস্তু ও মূল বক্তব্যঃ

যারা নবী (সা) এর রিসালাত মেনে নিতে অস্বীকার করছিল এবং তাঁর দাওয়াতকে ব্যর্থ করে দেবার জন্য সব রকমের নিকৃষ্টতম প্রতারণা ও চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছিল তাদের প্রতি উপদেশ ও সতর্কবাণী এ সূরার কেন্দ্রীয় বক্তব্য। কিন্তু উপদেশের তুলনায় এ সূরায় সতর্কীকরণ, তিরষ্কার হুমকি ও ভীতি প্রদর্শনের ভাবধারাই বেশী উচ্চকিত। এর কারণ, এর আগের সূরাগুলোতে বুঝাবার কাজটা পুরোপুরি এবং সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। এরপরও কুরাইশ কাফেরদের হঠকারিতা, হিংসা, বিদ্বেষ, প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, অনিষ্টকর ক্রিয়াকর্ম ও জুলুম-নির্যাতন দিনের পর দিন বেড়ে যাচ্ছিল ।

আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ

আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ

সুরা নং- ০১৪ : ইবরাহিম

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

আরবি উচ্চারণ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

বাংলা অনুবাদ পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহর নামে (শুরু করছি)।

الر كِتَابٌ أَنْزَلْنَاهُ إِلَيْكَ لِتُخْرِجَ النَّاسَ مِنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ بِإِذْنِ رَبِّهِمْ إِلَى صِرَاطِ الْعَزِيزِ الْحَمِيدِ14.1

আরবি উচ্চারণ ১৪.১। আলিফ্ লা-ম্ র-কিতা-বুন্ আন্যালনা-হু ইলাইকা লিতুখ্রিজ্বান্না-সা মিনাজ্ জুলুমা-তি ইলান্ নূরি বিইয্নি রব্বিহিম্ ইলা-সিরাত্বিল্ ‘আযীযিল্ হামীদ্।

বাংলা অনুবাদ ১৪.১ আলিফ-লাম-রা; এই কিতাব, যা আমি তোমার প্রতি নাযিল করেছি, যাতে তুমি মানুষকে তাদের রবের অনুমতিক্রমে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে বের করে আন, পরাক্রমশালী সর্বপ্রশংসিতের পথের দিকে।

اللَّهِ الَّذِي لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ وَوَيْلٌ لِلْكَافِرِينَ مِنْ عَذَابٍ شَدِيدٍ14.2

আরবি উচ্চারণ ১৪.২। আল্লা-হিল্লাযী লাহূ মা-ফিস্ সামা-ওয়া-তি অমা-ফিল্ র্আদ্ব্; অ ওয়াইলুল্লিল্ কা-ফিরীনা মিন্ ‘আযা-বিন্ শাদীদ্।

বাংলা অনুবাদ ১৪.২ আল্লাহর (পথ), আসমানসমূহ ও যমীনের সব কিছুই যার মালিকানায় এবং কাফিরদের জন্য রয়েছে কঠিন আযাবের দুর্ভোগ।

الَّذِينَ يَسْتَحِبُّونَ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا عَلَى الْآخِرَةِ وَيَصُدُّونَ عَنْ سَبِيلِ اللَّهِ وَيَبْغُونَهَا عِوَجًا أُولَئِكَ فِي ضَلَالٍ بَعِيدٍ 14.3

আরবি উচ্চারণ ১৪.৩। আল্লাযীনা ইয়াস্তাহিব্বূনাল্ হা ইয়া-তাদ্ দুন্ইয়া-‘আলাল্ আ-খিরতি অইয়াছুদ্দূনা ‘আন্ সাবীলিল্লা-হি অ ইয়াব্গূনাহা-‘ইওয়াজ্বা-; উলা-য়িকা ফি দ্বোয়ালা-লিম্ বা‘ঈদ্।

বাংলা অনুবাদ ১৪.৩ যারা দুনিয়ার জীবনকে আখিরাত থেকে অধিক পছন্দ করে, আর আল্লাহর পথে বাধা দেয় এবং তাতে বক্রতার সন্ধান করে; তারা ঘোরতর ভ্রষ্টতায় রয়েছে।

وَمَا أَرْسَلْنَا مِنْ رَسُولٍ إِلَّا بِلِسَانِ قَوْمِهِ لِيُبَيِّنَ لَهُمْ فَيُضِلُّ اللَّهُ مَنْ يَشَاءُ وَيَهْدِي مَنْ يَشَاءُ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ14.4

আরবি উচ্চারণ ১৪.৪। অমা য় র্আসালন্ র্মি রসূলিন্ ইল্লা-বিলিসা-নি ক্বওমিহী লিইয়ুবাইয়্যিনা লাহুম্ ফাইয়ুদ্বিল্লুল্লা-হু মাইঁ ইয়াশা-য়ু অ ইয়াহ্দী মাইঁ ইয়াশা-য়্; অ হুওয়াল্ ‘আযীযুল্ হাক্বীম্।

বাংলা অনুবাদ ১৪.৪ আর আমি প্রত্যেক রাসূলকে তার কওমের ভাষাতেই পাঠিয়েছি, যাতে সে তাদের কাছে বর্ণনা দেয়, সুতরাং আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন এবং যাকে ইচ্ছা সঠিক পথ দেখান। আর তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।

وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا مُوسَى بِآيَاتِنَا أَنْ أَخْرِجْ قَوْمَكَ مِنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ وَذَكِّرْهُمْ بِأَيَّامِ اللَّهِ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِكُلِّ صَبَّارٍ شَكُورٍ14.5

আরবি উচ্চারণ ১৪.৫। অলাক্বদ্ র্আসালনা-মূসা বিআ-ইয়া-তিনা য় আন্ আখ্রিজ্ব ক্বওমাকা মিনাজ্জুলুমা-তি ইলার্ন্নূ; অযার্ক্কিহুম্ বিআইয়্যা-মিল্লা-হ্; ইন্না ফী যা-লিকা লা আ-ইয়া-তিল্ লিকুল্লি ছোয়াব্বা-রিন্ শার্কূ।

বাংলা অনুবাদ ১৪.৫ আর আমি মূসাকে আমার আয়াতসমূহ দিয়ে পাঠিয়েছি যে, ‘তুমি তোমার কওমকে অন্ধকার হতে আলোর দিকে বের করে আন এবং আল্লাহর দিবসসমূহ তাদের স্মরণ করিয়ে দাও’। নিশ্চয় এতে প্রতিটি ধৈর্যশীল, কৃতজ্ঞ ব্যক্তির জন্য রয়েছে অসংখ্য নিদর্শন।

وَإِذْ قَالَ مُوسَى لِقَوْمِهِ اذْكُرُوا نِعْمَةَ اللَّهِ عَلَيْكُمْ إِذْ أَنْجَاكُمْ مِنْ آلِ فِرْعَوْنَ يَسُومُونَكُمْ سُوءَ الْعَذَابِ وَيُذَبِّحُونَ أَبْنَاءَكُمْ وَيَسْتَحْيُونَ نِسَاءَكُمْ وَفِي ذَلِكُمْ بَلَاءٌ مِنْ رَبِّكُمْ عَظِيمٌ14.6

আরবি উচ্চারণ ১৪.৬। অইয্ ক্ব-লা মূসা- লিক্বওমিহিয্ কুরূনি’মাতাল্লা-হি ‘আলাইকুম্ ইয্ আন্জ্বা-কুম্ মিন্ আ-লি ফির‘আউনা ইয়াসূমূ নাকুম্ সূ-য়াল্ ‘আযা-বি অ ইয়ুযাব্বিহূনা আব্না-য়াকুম্ অনিসা য় য়াকুম্; অ ইয়াস্তাহ্ইয়ূনা ফী যা-লিকুম্ বালায়ুম্ র্মি রব্বিকুম্ ‘আজীম্।

বাংলা অনুবাদ ১৪.৬ আর যখন মূসা তার কওমকে বলেছিল, তোমাদের প্রতি আল্লাহর নিয়ামাত স্মরণ কর, যখন তিনি তোমাদেরকে ফির‘আউন পরিবারের কবল থেকে রক্ষা করেছেন, তারা তোমাদের জঘন্য আযাব দিত। আর তারা তোমাদের ছেলেদেরকে যবেহ করত এবং নারীদেরকে জীবিত রাখত। আর তাতে ছিল তোমাদের রবের পক্ষ থেকে মহাপরীক্ষা।

وَإِذْ تَأَذَّنَ رَبُّكُمْ لَئِنْ شَكَرْتُمْ لَأَزِيدَنَّكُمْ وَلَئِنْ كَفَرْتُمْ إِنَّ عَذَابِي لَشَدِيدٌ14.7

আরবি উচ্চারণ ১৪.৭। অইয্ তায়ায্যানা রব্বুকুম্ লায়িন্ শার্কাতুম্ লাআযীদান্নাকুম্ অলায়িন্ কার্ফাতুম্ ইন্না ‘আযা-বী লাশাদীদ্।

বাংলা অনুবাদ ১৪.৭ আর যখন তোমাদের রব ঘোষণা দিলেন, ‘যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় কর, তবে আমি অবশ্যই তোমাদের বাড়িয়ে দেব, আর যদি তোমরা অকৃতজ্ঞ হও, নিশ্চয় আমার আযাব বড় কঠিন’।

وَقَالَ مُوسَى إِنْ تَكْفُرُوا أَنْتُمْ وَمَنْ فِي الْأَرْضِ جَمِيعًا فَإِنَّ اللَّهَ لَغَنِيٌّ حَمِيدٌ14.8

আরবি উচ্চারণ ১৪.৮। অক্ব-লা মূসা য় ইন্ তাক্ফুরূয় আন্তুম্ অ মান্ ফিল্ র্আদ্বি জ্বামী‘আন্ ফাইন্নাল্লা-হা লাগনিয়্যুন্ হামীদ্।

বাংলা অনুবাদ ১৪.৮ আর মূসা বলল, ‘যদি তোমরা ও যমীনের সকলে কুফরী কর, তাহলে নিশ্চয় আল্লাহ অমুখাপেক্ষী, প্রশংসিত’।

أَلَمْ يَأْتِكُمْ نَبَأُ الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ قَوْمِ نُوحٍ وَعَادٍ وَثَمُودَ وَالَّذِينَ مِنْ بَعْدِهِمْ لَا يَعْلَمُهُمْ إِلَّا اللَّهُ جَاءَتْهُمْ رُسُلُهُمْ بِالْبَيِّنَاتِ فَرَدُّوا أَيْدِيَهُمْ فِي أَفْوَاهِهِمْ وَقَالُوا وَقَالُوا إِنَّا كَفَرْنَا بِمَا أُرْسِلْتُمْ بِهِ وَإِنَّا لَفِي شَكٍّ مِمَّا تَدْعُونَنَا إِلَيْهِ مُرِيبٍ14.9

আরবি উচ্চারণ ১৪.৯। আলাম্ ইয়াতিকুম্ নাবায়ুল্লাযীনা মিন্ ক্বব্লিকুম্ ক্বওমি নূ-হিঁও অ‘আ-দিঁও অছামূদ্; অল্লাযীনা মিম্ বা’দিহিম্; লা- য়া’লামুহুম্ ইল্লাল্লা-হ্; জ্বা-য়াত্হুম রুসুলুহুম্ বিল্বাইয়্যিনা-তি ফারাদ্দূ য় আইদিয়াহুম্ ফী য় আফ্ওয়া-হিহিম্ অক্ব-লূ য় ইন্না-কার্ফানা- বিমা য় উরসিল্তুম্ বিহী অইন্না-লাফী শাক্কিম্ মিম্মা- তাদ্‘ঊনানা য় ইলাইহি মুরীব।

বাংলা অনুবাদ ১৪.৯ তোমাদের কাছে কি তোমাদের পূর্বের লোকদের সংবাদ পৌছেনি? নূহ, আদ ও সামূদ জাতির এবং যারা তাদের পরের, যাদেরকে আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। তাদের রাসূলগণ তাদের নিকট স্পষ্ট প্রমাণাদি নিয়ে এসেছিল, ফলে তারা ফিরিয়ে দিল তাদের হাত তাদের মুখে এবং বলল, ‘নিশ্চয় তোমাদেরকে যা দিয়ে প্রেরণ করা হয়েছে, তা আমরা অস্বীকার করলাম। আর তোমরা আমাদের যে বিষয়ের প্রতি দাওয়াত দিচ্ছ, সে বিষয়ে আমরা ঘোর সন্দেহে রয়েছি’।

قَالَتْ رُسُلُهُمْ أَفِي اللَّهِ شَكٌّ فَاطِرِ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ يَدْعُوكُمْ لِيَغْفِرَ لَكُمْ مِنْ ذُنُوبِكُمْ وَيُؤَخِّرَكُمْ إِلَى أَجَلٍ مُسَمًّى قَالُوا إِنْ أَنْتُمْ إِلَّا بَشَرٌ مِثْلُنَا تُرِيدُونَ أَنْ تَصُدُّونَا عَمَّا كَانَ يَعْبُدُ آبَاؤُنَا فَأْتُونَا بِسُلْطَانٍ مُبِينٍ 14.10

আরবি উচ্চারণ ১৪.১০। ক্ব-লাত্ রুসুলুম্ আফিল্লা-হি শাক্কুন্ ফাত্বিরিস্ সামা-ওয়া-তি অল্ আরদ্বি; ইয়াদ‘ঊকুম্ লিইয়াগ্ফিরলাকুম্ মিন যুনূবিকুম্ অইউআখ্খিরকুম্ ইলা য় আজ্বালিম্ মুসাম্মান্; ক্বলূ য় ইন্ আন্তুম্ ইল্লা-বাশারুম্ মিছ্লুনা-; তুরীদূনা আন্ তাছুদ্দূনা ‘আম্মা- কা-না ইয়া’বুদূ আ-বা-য়ুনা-ফাতূনা-বিসুল্ত্বোয়া-নিম্ মুবীন্।

বাংলা অনুবাদ ১৪.১০ তাদের রাসূলগণ বলেছিল, ‘আল্লাহর ব্যাপারেও কি সন্দেহ, যিনি আসমানসমূহ ও যমীনের সৃষ্টিকর্তা? তিনি তোমাদেরকে আহ্বান করেন যাতে তিনি তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করেন এবং তিনি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তোমাদেরকে অবকাশ দেন’। তারা বলল, ‘তোমরা তো আমাদের মতই মানুষ, ‘তোমরা আমাদেরকে আমাদের পিতৃপুরুষরা যার ইবাদাত করত, তা থেকে ফিরাতে চাও। অতএব তোমরা আমাদের কাছে স্পষ্ট প্রমাণ নিয়ে আস’।

قَالَتْ لَهُمْ رُسُلُهُمْ إِنْ نَحْنُ إِلَّا بَشَرٌ مِثْلُكُمْ وَلَكِنَّ اللَّهَ يَمُنُّ عَلَى مَنْ يَشَاءُ مِنْ عِبَادِهِ وَمَا كَانَ لَنَا أَنْ نَأْتِيَكُمْ بِسُلْطَانٍ إِلَّا بِإِذْنِ اللَّهِ وَعَلَى اللَّهِ فَلْيَتَوَكَّلِ الْمُؤْمِنُونَ14.11

আরবি উচ্চারণ ১৪.১১। ক্ব-লাত্ লাহুম্ রুসুলুহুম্ ইন্ নাহ্নু ইল্লা-বাশারুম্ মিছ্লুকুম্ অ লা-কিন্নাল্লা-হা ইয়ামুন্নু ‘আলা-মাইঁ ইয়াশা-য়ু মিন্ ‘ইবা-দিহ্; অমা-কা-না লানা য় আন্ নাতিয়াকুম্ বিসুল্ত্বোয়া-নিন্ ইল্লা- বিইয্নিল্লা-হ্; অ‘আলাল্লা-হি ফাল্ইয়াতাওয়াক্কালিল্ মুমিনূন্।

বাংলা অনুবাদ ১৪.১১ তাদেরকে তাদের রাসূলগণ বলল, ‘আমরা তো কেবল তোমাদের মতই মানুষ, কিন্তু আল্লাহ তার বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা অনুগ্রহ করেন। আর আল্লাহর অনুমতি ছাড়া তোমাদের কাছে প্রমাণ নিয়ে আসার সাধ্য আমাদের নেই। আর কেবল আল্লাহর উপরই মুমিনদের তাওয়াক্কুল করা উচিত’।

وَمَا لَنَا أَلَّا نَتَوَكَّلَ عَلَى اللَّهِ وَقَدْ هَدَانَا سُبُلَنَا وَلَنَصْبِرَنَّ عَلَى مَا آذَيْتُمُونَا وَعَلَى اللَّهِ فَلْيَتَوَكَّلِ الْمُتَوَكِّلُونَ14.12

আরবি উচ্চারণ ১৪.১২। অমা-লানা য় আল্লা-নাতাওয়াক্কালা ‘আলাল্লা-হি অক্বদ্ হাদা-না-সুবুলানা-; অলানাছ্বিরন্না ‘আলা-মা য় আ-যাইতুমূনা-অ‘আলাল্লা-হি ফাল্ইয়াতাওয়াক্কালিল্ মুতাওয়াক্কিলূন্।

বাংলা অনুবাদ ১৪.১২ ‘আর আমরা কেন আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করব না, অথচ তিনিই আমাদেরকে আমাদের পথের দিশা দিয়েছেন। আর তোমরা আমাদের যে কষ্ট দিচ্ছ, আমরা তার উপর অবশ্যই সবর করব। আর আল্লাহর উপরই যেন তাওয়াক্কুলকারীরা তাওয়াক্কুল করে’।

وَقَالَ الَّذِينَ كَفَرُوا لِرُسُلِهِمْ لَنُخْرِجَنَّكُمْ مِنْ أَرْضِنَا أَوْ لَتَعُودُنَّ فِي مِلَّتِنَا فَأَوْحَى إِلَيْهِمْ رَبُّهُمْ لَنُهْلِكَنَّ الظَّالِمِينَ 14.13

আরবি উচ্চারণ ১৪.১৩। অক্বলাল্লাযীনা কাফারূ লিরুসুলিহিম্ লানুখ্রিজ্বান্নাকুম্ মিন্ র্আদ্বিনা য় আও লাতা‘ঊদুন্না ফী মিল্লাতিনা-; ফাআওহা য় ইলাইহিম্ রব্বুহুম্ লানুহ্ লিকান্নাজ্ জোয়া-লিমীন্।

বাংলা অনুবাদ ১৪.১৩ আর যারা কুফরী করেছে, তারা তাদের রাসূলদের বলল, ‘আমরা তোমাদেরকে আমাদের ভূ-খণ্ড থেকে অবশ্যই বের করে দেব, অথবা তোমরা অবশ্যই আমাদের মিল্লাতে ফিরে আসবে’। অতঃপর তাদের রব তাদের নিকট ওহী পাঠালেন, ‘আমি অবশ্যই যালিমদের ধ্বংস করে দেব’।

وَلَنُسْكِنَنَّكُمُ الْأَرْضَ مِنْ بَعْدِهِمْ ذَلِكَ لِمَنْ خَافَ مَقَامِي وَخَافَ وَعِيدِ14.14

আরবি উচ্চারণ ১৪.১৪। অ লানুস্কিনান্নাকুমুল্ র্আদ্বোয়া মিম্ বা’দিহিম্ যা-লিকা লিমান্ খ-ফা মাক্ব-মী অখ-ফা অ‘ঈদ্।

বাংলা অনুবাদ ১৪.১৪ ‘আর নিশ্চয় আমি তাদের পর তোমাদেরকে যমীনে বাস করতে দেব। এটা তার জন্য, যে আমার অবস্থানকে ভয় করে এবং ভয় করে আমার ধমকের’।

وَاسْتَفْتَحُوا وَخَابَ كُلُّ جَبَّارٍ عَنِيدٍ14.15

আরবি উচ্চারণ ১৪.১৫। অস্তাফ্তাহূ অখ-বা কুল্লু জ্বাব্বা-রিন্ ‘আনীদ্।

বাংলা অনুবাদ ১৪.১৫ আর তারা বিজয় কামনা করল, আর ব্যর্থ হল সকল স্বেচ্ছাচারী, হঠকারী। مِنْ وَرَائِهِ جَهَنَّمُ وَيُسْقَى مِنْ مَاءٍ صَدِيدٍ14.16

আরবি উচ্চারণ ১৪.১৬। মিওঁ অরা-য়িহী জ্বাহান্নামু অইউস্ক্ব-মিম্ মা-ইন্ ছোয়াদীদ।

বাংলা অনুবাদ ১৪.১৬ এর সামনে রয়েছে জাহান্নাম, আর তাদের পান করানো হবে গলিত পুঁজ থেকে।

يَتَجَرَّعُهُ وَلَا يَكَادُ يُسِيغُهُ وَيَأْتِيهِ الْمَوْتُ مِنْ كُلِّ مَكَانٍ وَمَا هُوَ بِمَيِّتٍ وَمِنْ وَرَائِهِ عَذَابٌ غَلِيظٌ14.17

আরবি উচ্চারণ ১৪.১৭। ইতার্জ্বার‘উহূ‘অলা-ইয়াকা-দু ইউসীগুহূ অইয়া তীহিল মাওতু মিন্ কুল্লি মাকানিওঁ অমা- হুঅ বিমাইয়্যিত্; অ মিঁও অরা-য়িহী‘আযা-বুন গলীজ্।

বাংলা অনুবাদ ১৪.১৭ সে তা গিলতে চাইবে এবং প্রায় সহজে সে তা গিলতে পারবে না। আর তার কাছে সকল স্থান থেকে মৃত্যু ধেঁয়ে আসবে, অথচ সে মরবে না। আর এর পরেও রয়েছে কঠিন আযাব ।

مَثَلُ الَّذِينَ كَفَرُوا بِرَبِّهِمْ أَعْمَالُهُمْ كَرَمَادٍ اشْتَدَّتْ بِهِ الرِّيحُ فِي يَوْمٍ عَاصِفٍ لَا يَقْدِرُونَ مِمَّا كَسَبُوا عَلَى شَيْءٍ ذَلِكَ هُوَ الضَّلَالُ الْبَعِيدُ 14.18

আরবি উচ্চারণ ১৪.১৮। মাছালুল্লাযীনা কাফারূ বিরব্বিহিম্ আ’মা-লুহুম্ কারামা- দিনিশ্ তাদ্দাত্ বির্হি রীহু ফী ইয়াওমিন্ ‘আ-ছিফ্; লা- ইয়াক্ব দিরূনা মিম্মা-কাসাবূ ‘আলা-শাইয়িন্; যা-লিকা হুওয়াদ্ব্ দ্বোয়ালা-লুল্ বা‘ঈ-দ্।

বাংলা অনুবাদ ১৪.১৮ যারা তাদের রবের সাথে কুফরী করে তাদের আমলসমূহের দৃষ্টান্ত হল এমন ছাইয়ের মত, প্রবল ঘুর্ণিঝড়ের দিনে বাতাস প্রচণ্ড বেগে যা বহন করে নিয়ে যায়। তারা যা অর্জন করেছে, তার মাধ্যমে কিছুই করতে পারে না। এ তো ঘোরতর বিভ্রান্তি।

أَلَمْ تَرَ أَنَّ اللَّهَ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ بِالْحَقِّ إِنْ يَشَأْ يُذْهِبْكُمْ وَيَأْتِ بِخَلْقٍ جَدِيدٍ14.19

আরবি উচ্চারণ ১৪.১৯। আলাম্ তার আন্নাল্লা-হা খলাক্বস্ সামা-ওয়া-তি অল্ র্আদ্বোয়া বিল্হাক্ব; ইঁ ইয়াশাইয়ুয্ হিব্কুম্ অ ইয়াতি বিখল্ক্বিন্ জ্বাদীদ্।

বাংলা অনুবাদ ১৪.১৯ তুমি কি দেখনা যে, আল্লাহ আসমানসমূহ এবং যমীন সৃষ্টি করেছেন যথাযথভাবে? তিনি ইচ্ছা করলে তোমাদেরকে নিশ্চি‎হ্ন করতে পারেন এবং অস্তিত্বে আনতে পারেন নতুন সৃষ্টি ।

وَمَا ذَلِكَ عَلَى اللَّهِ بِعَزِيزٍ14.20

আরবি উচ্চারণ ১৪.২০। অমা-যা-লিকা ‘আলাল্লা-হি বি‘আযীয্।

বাংলা অনুবাদ ১৪.২০ আর এটা আল্লাহর জন্য মোটেই কঠিন নয়।

وَبَرَزُوا لِلَّهِ جَمِيعًا فَقَالَ الضُّعَفَاءُ لِلَّذِينَ اسْتَكْبَرُوا إِنَّا كُنَّا لَكُمْ تَبَعًا فَهَلْ أَنْتُمْ مُغْنُونَ عَنَّا مِنْ عَذَابِ اللَّهِ مِنْ شَيْءٍ قَالُوا لَوْ هَدَانَا اللَّهُ لَهَدَيْنَاكُمْ سَوَاءٌ عَلَيْنَا أَجَزِعْنَا أَمْ صَبَرْنَا مَا لَنَا مِنْ مَحِيصٍ 14.21

আরবি উচ্চারণ ১৪.২১। অবারযূ লিল্লা-হি জ্বামী‘আন্ ফাক্ব-লাদ্দু‘আফা-য়ু লিল্লাযীনাস্ তাক্বারূ য় ইন্না-কুন্না-লাকুম্ তাবা‘আন্ ফাহাল্ আন্তুম্ মুগ্নূনা ‘আন্না-মিন্ ‘আযা-বিল্লা-হি মিন্ শাইয়িন্; ক্ব-লূ লাও হাদা-নাল্লা-হু লাহাদাইনা-কুম্; সাওয়া-য়ুন্ ‘আলাইনা য় আজ্বাযি’না য় আম্ ছর্বানা-মা-লানা-মিম্ মাহীছ্।

বাংলা অনুবাদ ১৪.২১ আর তারা সবাই আল্লাহর সামনে হাজির হবে, অতঃপর যারা অহঙ্কার করেছে দুর্বলরা তাদেরকে বলবে, ‘নিশ্চয় আমরা তোমাদের অনুসারী ছিলাম। সুতরাং তোমরা কি আল্লাহর আযাবের মোকাবেলায় আমাদের কোন উপকারে আসবে’? তারা বলবে, ‘যদি আল্লাহ আমাদের হিদায়াত করতেন, তাহলে আমরাও তোমাদের হিদায়াত করতাম, এখন আমরা অস্থির হই কিংবা সবর করি, উভয় অবস্থাই আমাদের জন্য সমান, আমাদের পালানোর কোন জায়গা নেই’।

وَقَالَ الشَّيْطَانُ لَمَّا قُضِيَ الْأَمْرُ إِنَّ اللَّهَ وَعَدَكُمْ وَعْدَ الْحَقِّ وَوَعَدْتُكُمْ فَأَخْلَفْتُكُمْ وَمَا كَانَ لِي عَلَيْكُمْ مِنْ سُلْطَانٍ إِلَّا أَنْ دَعَوْتُكُمْ فَاسْتَجَبْتُمْ لِي فَلَا تَلُومُونِي وَلُومُوا أَنْفُسَكُمْ مَا أَنَا بِمُصْرِخِكُمْ وَمَا أَنْتُمْ بِمُصْرِخِيَّ إِنِّي كَفَرْتُ بِمَا أَشْرَكْتُمُونِي مِنْ قَبْلُ إِنَّ الظَّالِمِينَ لَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ14.22

আরবি উচ্চারণ ১৪.২২। অক্ব-লাশ্ শাইত্বোয়া-নু লাম্মা-ক্বুদিয়াল্ আম্রু ইন্নাল্লা-হা অ‘আদাল্ হাক্ব্ক্বি অওয়াআত্তুকুম্ ফাআখ্লাফ্তুকুম্; অমা-কা-না লিয়া ‘আলাইকুম্ মিন্ সুল্ত্বোয়া-নিন্ ইল্লা য় আন্ দা‘আওতুকুম্ ফাস্তাজ্বাব্তুম্ লী ফালা-তালূমূনী অলূমূ য় আন্ফুসাকুম্; মা য় আনা- বিমুছ্রিখিকুম্ অমা য় আন্তুম্ বিমুছ্রিখী; ইন্নী কার্ফাতু বিমা য় আশ্রাক্তুমূনি মিন্ ক্বব্ল্; ইন্নাজ্ জোয়া-লিমীনা লাহুম্ ‘আযা-বুন্ আলীম্।

বাংলা অনুবাদ ১৪.২২ আর যখন যাবতীয় বিষয়ের ফয়সালা হয়ে যাবে, তখন শয়তান বলবে, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদেরকে ওয়াদা দিয়েছিলেন সত্য ওয়াদা, তোমাদের উপর আমার কোন আধিপত্য ছিল না, তবে আমিও তোমাদেরকে ওয়াদা দিয়েছিলাম, এখন আমি তা ভঙ্গ করলাম। তোমাদেরকে দাওয়াত দিয়েছি, আর তোমরা আমার দাওয়াতে সাড়া দিয়েছ। সুতরাং তোমরা আমাকে ভর্ৎসনা করো না, বরং নিজদেরকেই ভর্ৎসনা কর। আমি তোমাদের উদ্ধারকারী নই, আর তোমরাও আমার উদ্ধারকারী নও। ইতঃপূর্বে তোমরা আমাকে যার সাথে শরীক করেছ, নিশ্চয় আমি তা অস্বীকার করছি। নিশ্চয় যালিমদের জন্য রয়েছে বেদনাদায়ক আযাব’।

وَأُدْخِلَ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا بِإِذْنِ رَبِّهِمْ خَالِدِينَ فِيهَا بِإِذْنِ رَبِّهِمْ تَحِيَّتُهُمْ فِيهَا سَلَامٌ14.23

আরবি উচ্চারণ ১৪.২৩। অউদ্খিলাল্লাযীনা আ-মানূ অ‘আমিলুছ্ ছোয়া-লিহা-তি জ্বান্না-তিন্ তাজ্বরী মিন্ তাহ্তিহাল্ আন্হারু খ-লিদীনা ফীহা-বিইয্নি রব্বিহিম্; তাহিয়্যাতুহুম্ ফীহা- সালাম্।

বাংলা অনুবাদ ১৪.২৩ আর যারা ঈমান আনে এবং নেক আমল করে তাদের জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, যার তলদেশে নহরসমূহ প্রবাহিত হবে, তারা তাতে তাদের রবের অনুমতিক্রমে স্থায়ী হবে। তথায় তাদের অভিবাদন হবে ‘সালাম’।

أَلَمْ تَرَ كَيْفَ ضَرَبَ اللَّهُ مَثَلًا كَلِمَةً طَيِّبَةً كَشَجَرَةٍ طَيِّبَةٍ أَصْلُهَا ثَابِتٌ وَفَرْعُهَا فِي السَّمَاءِ14.24

আরবি উচ্চারণ ১৪.২৪। আলাম্ তারা কাইফা দ্বরাবাল্লা-হু মাছালান্ কালিমাতান্ ত্বইয়্যিবাতান্ কাশাজ্বারাতিন্ ত্বইয়িবাতিন্ আছ্লুহা- ছা-বিতুঁও অর্ফা‘উহা-ফিস্ সামা-য়্।

বাংলা অনুবাদ ১৪.২৪ তুমি কি দেখ না, আল্লাহ কীভাবে উপমা পেশ করেছেন? কালিমা তাইয়েবা, যা একটি ভাল বৃক্ষের ন্যায়, যার মূল সুস্থির আর শাখা-প্রশাখা আকাশে।

تُؤْتِي أُكُلَهَا كُلَّ حِينٍ بِإِذْنِ رَبِّهَا وَيَضْرِبُ اللَّهُ الْأَمْثَالَ لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَتَذَكَّرُونَ14.25

আরবি উচ্চারণ ১৪.২৫। তুতী য় উকুলাহা-কুল্লা হীনিম্ বিইয্নি রব্বীহা-;অইয়াদ্ব্রিবুল্লা-হুল্ আম্ছা-লা লিন্না-সি লা‘আল্লাহুম্ ইয়াতাযাক্কারূন্।

বাংলা অনুবাদ ১৪.২৫ সেটি তার রবের অনুমতিতে সব সময় ফল দান করে; আর আল্লাহ মানুষের জন্য নানা দৃষ্টান্ত প্রদান করেন, যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে।

وَمَثَلُ كَلِمَةٍ خَبِيثَةٍ كَشَجَرَةٍ خَبِيثَةٍ اجْتُثَّتْ مِنْ فَوْقِ الْأَرْضِ مَا لَهَا مِنْ قَرَارٍ 14.26

আরবি উচ্চারণ ১৪.২৬। অমাছাল্ কালিমাতিন্ খবীছাতিন্ কাশাজ্বারাতিন খবীছাতি নিজ্ব তুছ্ছাত্ মিন্ ফাওক্বিল্ আরদ্বি মা-লাহা-মিন্ ক্বরার্-।

বাংলা অনুবাদ ১৪.২৬ আর অপবিত্র বাক্যের উপমা নিকৃষ্ট বৃক্ষের ন্যায়, যাকে মাটির উপর থেকে সমূলে উপড়ে ফেলা হয়েছে, যার কোন স্থিতি নেই।

يُثَبِّتُ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا بِالْقَوْلِ الثَّابِتِ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَفِي الْآخِرَةِ وَيُضِلُّ اللَّهُ الظَّالِمِينَ وَيَفْعَلُ اللَّهُ مَا يَشَاءُ14.27

আরবি উচ্চারণ ১৪.২৭। ইউছাব্বিতুল্লা-হু ল্লাযীনা আ-মানূ বিলক্বওলিছ্ ছা- বিতি ফিল্ হাইয়া-তিদ্ দুন্ইয়া- অফিল্ আ-খিরতি, অইয়ুদ্বিল্লু ল্লা-হুজ্ জোয়া-লিমীন্; অ ইয়াফ্ ‘আলুল্লা-হু মা- ইয়াশা-য়্।

বাংলা অনুবাদ ১৪.২৭ আল্লাহ অবিচল রাখেন ঈমানদারদেরকে সুদৃঢ় বাণী দ্বারা দুনিয়ার জীবনে ও আখিরাতে। আর আল্লাহ যালিমদের পথভ্রষ্ট করেন এবং আল্লাহ যা ইচ্ছা তা করেন।

أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ بَدَّلُوا نِعْمَةَ اللَّهِ كُفْرًا وَأَحَلُّوا قَوْمَهُمْ دَارَ الْبَوَارِ14.28

আরবি উচ্চারণ ১৪.২৮। আলাম তার ইলাল্লাযীনা বাদ্দালূ নি’মাতাল্লা-হি কুফ্রাঁও ওয়া আহাল্ল ু ক্বওমাহুম্ দা-রল্ বাওয়ার্-।

বাংলা অনুবাদ ১৪.২৮ তুমি কি তাদেরকে দেখ না, যারা আল্লাহর নিআমতকে কুফরী দ্বারা পরিবর্তন করেছে এবং তাদের কওমকে ধ্বংসের ঘরে নামিয়ে দিয়েছে?

جَهَنَّمَ يَصْلَوْنَهَا وَبِئْسَ الْقَرَارُ14.29

আরবি উচ্চারণ ১৪.২৯। জ্বাহান্নামা ইয়াছ্লাওনাহা-; অবি’সাল্ ক্বরর্-।

বাংলা অনুবাদ ১৪.২৯ জাহান্নামে, যাতে তারা দগ্ধ হবে, আর তা কতইনা নিকৃষ্ট অবস্থান!

وَجَعَلُوا لِلَّهِ أَنْدَادًا لِيُضِلُّوا عَنْ سَبِيلِهِ قُلْ تَمَتَّعُوا فَإِنَّ مَصِيرَكُمْ إِلَى النَّارِ14.30

আরবি উচ্চারণ ১৪.৩০। অজ্বা‘আলূ লিল্লা-হি আন্দা-দাল্ লিইয়ুদ্বিল্লু ‘আন্ সাবীলিহ্ ক্বুল্ তামাত্তা‘ঊ ফাইন্না মাছীরকুম্ ইলান্নার্-

বাংলা অনুবাদ ১৪.৩০ আর তারা আল্লাহর জন্য সমকক্ষ নির্ধারণ করে, যেন তারা তাঁর পথ থেকে বিভ্রান্ত করতে পারে। বল, ‘তোমরা ভোগ করতে থাক। কেননা, তোমাদের গন্তব্য তো আগুনের দিকে’।

قُلْ لِعِبَادِيَ الَّذِينَ آمَنُوا يُقِيمُوا الصَّلَاةَ وَيُنْفِقُوا مِمَّا رَزَقْنَاهُمْ سِرًّا وَعَلَانِيَةً وَيُنْفِقُوا مِمَّا رَزَقْنَاهُمْ سِرًّا وَعَلَانِيَةً مِنْ قَبْلِ أَنْ يَأْتِيَ يَوْمٌ لَا بَيْعٌ فِيهِ وَلَا خِلَالٌ14.31

আরবি উচ্চারণ ১৪.৩১। ক্বুল লি‘ইবাদিয়াল্লাযীনা আ-মানূ ইয়ূক্বীমুছ ছলা-তা অ ইয়ুন্ফিক্বু মিম্মা-রাযাক্বনা-হুম্ র্সিরঁও অ ‘আলা-নিয়াতাম্ মিন্ ক্বব্লি আইঁ ইয়াতিয়া ইয়াওমুল্ লা-বাই‘ঊন্ ফীহি অলা-খিলা-ল্।

বাংলা অনুবাদ ১৪.৩১ আমার বান্দাদের বল, ‘যারা ঈমান এনেছে, তারা যেন সালাত কায়েম করে এবং আমি তাদেরকে যে রিয্ক দিয়েছি তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, ঐ দিন আসার পূর্বে যে দিন কোন বেচা-কেনা থাকবে না এবং থাকবে না বন্ধুত্বও।

اللَّهُ الَّذِي خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ وَأَنْزَلَ مِنَ السَّمَاءِ مَاءً فَأَخْرَجَ بِهِ مِنَ الثَّمَرَاتِ رِزْقًا لَكُمْ وَسَخَّرَ لَكُمُ الْفُلْكَ لِتَجْرِيَ فِي الْبَحْرِ بِأَمْرِهِ وَسَخَّرَ لَكُمُ الْأَنْهَارَ14.32

আরবি উচ্চারণ ১৪.৩২। আল্লা হুল্লাযী খলাকাস্সামা-ওয়া-তি অল্র্আদ্বোয়া অ আন্যালা মিনাস্ সামা-য়ি মা-য়ান্ ফাআখ্রাজ্বা বিহী মিনাছ্ ছামার-তি রিয্ক্বাল্লাকুম্ অ সাখ্রা লাকুমুল্ ফুল্কা লিতাজ্বরিয়া ফিল্ বাহ্রি বিআম্রিহী অসাখ্খর লাকুমুল্ আন্হার্-।

বাংলা অনুবাদ ১৪.৩২ আল্লাহ, যিনি আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছেন। আর তিনি আসমান থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেন ফলে তা দ্বারা ফল-ফলাদি থেকে তোমাদের জন্য রিয্ক উৎপাদন করেন এবং তিনি নৌযানকে তোমাদের জন্য নিয়োজিত করেছেন, যাতে তাঁর আদেশে সমুদ্রে তা চলাচল করে এবং নদীসমূহকে তোমাদের জন্য নিয়োজিত করেছেন।

وَسَخَّرَ لَكُمُ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ دَائِبَيْنِ وَسَخَّرَ لَكُمُ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ14.33

আরবি উচ্চারণ ১৪.৩৩। অসাখ্খরা লাকুমুশ্ শাম্সা অল্ ক্বমারা দা-য়িবাইনি অসাখ্ খরা লাকুমুল্ লাইলা অন্নাহার্-।

বাংলা অনুবাদ ১৪.৩৩ আর তিনি সূর্য ও চাঁদকে তোমাদের জন্য নিয়োজিত করেছেন বিরামহীনভাবে এবং তোমাদের জন্য নিয়োজিত করেছেন রাত ও দিনকে।

وَآتَاكُمْ مِنْ كُلِّ مَا سَأَلْتُمُوهُ وَإِنْ تَعُدُّوا نِعْمَةَ اللَّهِ لَا تُحْصُوهَا إِنَّ الْإِنْسَانَ لَظَلُومٌ كَفَّارٌ 14.34

আরবি উচ্চারণ ১৪.৩৪। অআ-তা-কুম্ মিন্ কুল্লি মা-সায়াল্ তুমূহ্ ;অইন্ তা‘উদ্দূ নি’মাতাল্লা-হি লা-তুহ্ছূহা-; ইন্নাল্ ইন্সা-না লাজোয়ালূমুন্ কাফ্ফার্-।

বাংলা অনুবাদ ১৪.৩৪ আর তোমরা যা চেয়েছ, তার প্রত্যেকটি থেকে তিনি তোমাদের দিয়েছেন এবং যদি তোমরা আল্লাহর নিআমত গণনা কর, তবে তার সংখ্যা নিরূপণ করতে পারবে না। নিশ্চয় মানুষ অধিক অত্যাচারী ও অকৃতজ্ঞ।

وَإِذْ قَالَ إِبْرَاهِيمُ رَبِّ اجْعَلْ هَذَا الْبَلَدَ آمِنًا وَاجْنُبْنِي وَبَنِيَّ أَنْ نَعْبُدَ الْأَصْنَامَ14.35

আরবি উচ্চারণ ১৪.৩৫। অইয্ ক্ব-লা ইব্রা-হীমু রব্বিজ্ব‘আল্ হা-যাল্ বালাদা আ-মিনাঁও অজ্বনুব্নী- অ বানিয়্যা আন্ না’বুদাল্ আছ্না-ম্।

বাংলা অনুবাদ ১৪.৩৫ আর স্মরণ কর ‘যখন ইবরাহীম বলল, ‘হে আমার রব, আপনি এ শহরকে নিরাপদ করে দিন এবং আমাকে ও আমার সন্তানদেরকে মূর্তি পূজা থেকে দূরে রাখুন’।

رَبِّ إِنَّهُنَّ أَضْلَلْنَ كَثِيرًا مِنَ النَّاسِ فَمَنْ تَبِعَنِي فَإِنَّهُ مِنِّي وَمَنْ عَصَانِي فَإِنَّكَ غَفُورٌ رَحِيمٌ14.36

আরবি উচ্চারণ ১৪.৩৬। রব্বী ইন্নাহুন্না আদ্ব্লাল্না কাছীরাম্ মিনান্না-সি ফামান্ তাবি‘আনী ফাইন্নাহূ মিন্নী অমান্ ‘আছোয়া-নী ফাইন্নাকা গফূর্রু রহীম্।

বাংলা অনুবাদ ১৪.৩৬ ‘হে আমার রব, নিশ্চয় এসব মূর্তি অনেক মানুষকে পথভ্রষ্ট করেছে, সুতরাং যে আমার অনুসরণ করেছে, নিশ্চয় সে আমার দলভুক্ত, আর যে আমার অবাধ্য হয়েছে, তবে নিশ্চয় আপনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’।

رَبَّنَا إِنِّي أَسْكَنْتُ مِنْ ذُرِّيَّتِي بِوَادٍ غَيْرِ ذِي زَرْعٍ عِنْدَ بَيْتِكَ الْمُحَرَّمِ رَبَّنَا لِيُقِيمُوا الصَّلَاةَ فَاجْعَلْ أَفْئِدَةً مِنَ النَّاسِ تَهْوِي إِلَيْهِمْ وَارْزُقْهُمْ مِنَ الثَّمَرَاتِ لَعَلَّهُمْ يَشْكُرُونَ14.37

আরবি উচ্চারণ ১৪.৩৭। রব্বানা য় ইন্নী য় আস্কান্তু মিন্ র্যুরিয়্যাতী বিওয়া-দিন্ গইরি যী র্যা‘ইন্ ‘ইন্দা বাইতিকাল্ মুর্হারমি রব্বানা-লিইয়ুক্বীমুছ্ ছলা-তা ফাজ্ব্‘আল্ আফ্য়িদাতাম্ মিনান্না-সি তাহ্ওয়ী য় ইলাইহিম্ র্অযুক্ব্হুম্ মিনাস্সামারা-তি লা‘আল্লাহুম্ ইয়াশ্কুরূন্।

বাংলা অনুবাদ ১৪.৩৭ ‘হে আমাদের রব, নিশ্চয় আমি আমার কিছু বংশধরদেরকে ফসলহীন উপত্যকায় তোমার পবিত্র ঘরের নিকট বসতি স্থাপন করালাম, হে আমাদের রব, যাতে তারা সালাত কায়েম করে। সুতরাং কিছু মানুষের হৃদয় আপনি তাদের দিকে ঝুঁকিয়ে দিন এবং তাদেরকে রিয্ক প্রদান করুন ফল-ফলাদি থেকে, আশা করা যায় তারা শুকরিয়া আদায় করবে’।

رَبَّنَا إِنَّكَ تَعْلَمُ مَا نُخْفِي وَمَا نُعْلِنُ وَمَا يَخْفَى عَلَى اللَّهِ مِنْ شَيْءٍ فِي الْأَرْضِ وَلَا فِي السَّمَاءِ14.38

আরবি উচ্চারণ ১৪.৩৮। রব্বানা য় ইন্নাকা তা’লামু মা-নুখ্ফী অমা-নু’লিন্; অমা-ইয়াখ্ফা-‘আলাল্লা-হি মিন্ শাইয়িন্ ফিল্ র্আদ্বি অলা-ফিস্ সামা-য়্।

বাংলা অনুবাদ ১৪.৩৮ হে আমাদের রব, নিশ্চয় আপনি জানেন, যা আমরা গোপন করি এবং যা প্রকাশ করি, আর কোন কিছু আল্লাহর নিকট গোপন নেই, না যমীনে না আসমানে।

الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي وَهَبَ لِي عَلَى الْكِبَرِ إِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَاقَ إِنَّ رَبِّي لَسَمِيعُ الدُّعَاءِ14.39

আরবি উচ্চারণ ১৪.৩৯। আল্হামদু লিল্লা-হিল্লাযী অহাবালী ‘আলাল্ কিবারি ইস্মা-‘ঈলা অইস্হা-ক্ব ; ইন্না রব্বী লাসামী‘ঊদ্ দু‘আ-য়্।

বাংলা অনুবাদ ১৪.৩৯ ‘সকল প্রশংসা আল্লাহর, যিনি বৃদ্ধ বয়সে আমাকে ঈসমাঈল ও ইসহাককে দান করেছেন। নিশ্চয় আমার রব দো‘আ শ্রবণকারী’।

رَبِّ اجْعَلْنِي مُقِيمَ الصَّلَاةِ وَمِنْ ذُرِّيَّتِي رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَاءِ14.40

আরবি উচ্চারণ ১৪.৪০। রব্বিজ্ব্‘আল্নী মুক্বীমাছ্ ছলা-তি অমিন্ র্যুরিয়্যাতী রব্বানা- অ তাক্বাব্বাল্ দু‘আ-য়।

বাংলা অনুবাদ ১৪.৪০ ‘হে আমার রব, আমাকে সালাত কায়েমকারী বানান এবং আমার বংশধরদের মধ্য থেকেও, হে আমাদের রব, আর আমার দো‘আ কবূল করুন’।

رَبَّنَا اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ يَقُومُ الْحِسَابُ14.41

আরবি উচ্চারণ ১৪.৪১। রব্বানার্গ্ফিলী অলিওয়া লিদাইয়্যা অ- লিল্মুমিনীনা ইয়াওমা ইয়াক্বুমুল্ হিসা-ব্।

বাংলা অনুবাদ ১৪.৪১ ‘হে আমাদের রব, যেদিন হিসাব কায়েম হবে, সেদিন আপনি আমাকে, আমার পিতামাতাকে ও মুমিনদেরকে ক্ষমা করে দিবেন’।

وَلَا تَحْسَبَنَّ اللَّهَ غَافِلًا عَمَّا يَعْمَلُ الظَّالِمُونَ إِنَّمَا يُؤَخِّرُهُمْ لِيَوْمٍ تَشْخَصُ فِيهِ الْأَبْصَارُ 14.42

আরবি উচ্চারণ ১৪.৪২। অলা-তাহ্সাবান্নাল্লা-হা গ-ফিলান্ ‘আম্মা ইয়া’মালুজ্জোয়া-লিমূন্; ইন্নামা-ইয়ুয়াখ্ খিরুহুম্ লিইয়াওমিন্ তাশ্খাছু ফীহিল্ আব্ছোয়ার্-।

বাংলা অনুবাদ ১৪.৪২ আর যালিমরা যা করছে, আল্লা¬হকে তুমি সে বিষয়ে মোটেই গাফেল মনে করো না, আল্লা¬হ তো তাদের অবকাশ দিচ্ছেন, ঐ দিন পর্যন্ত যে দিন চোখ পলকহীন তাকিয়ে থাকবে।

مُهْطِعِينَ مُقْنِعِي رُءُوسِهِمْ لَا يَرْتَدُّ إِلَيْهِمْ طَرْفُهُمْ وَأَفْئِدَتُهُمْ هَوَاءٌ14.43

আরবি উচ্চারণ ১৪.৪৩। মুহ্ত্বি‘ঈনা মুক্বনি‘ঈ রুয়ূসিহিম্ লা-ইর্য়াতাদ্দু ইলাইহিম্ ত্বোর্য়াফুহুম্ অআফ্য়িদাতুহুম্ হাওয়ায়্।

বাংলা অনুবাদ ১৪.৪৩ তারা মাথা তুলে দৌড়াতে থাকবে, তাদের দৃষ্টি নিজদের দিকে ফিরবে না এবং তাদের অন্তর হবে শূন্য।

وَأَنْذِرِ النَّاسَ يَوْمَ يَأْتِيهِمُ الْعَذَابُ فَيَقُولُ الَّذِينَ ظَلَمُوا رَبَّنَا أَخِّرْنَا إِلَى أَجَلٍ قَرِيبٍ نُجِبْ دَعْوَتَكَ وَنَتَّبِعِ الرُّسُلَ أَوَلَمْ تَكُونُوا أَقْسَمْتُمْ مِنْ قَبْلُ مَا لَكُمْ مِنْ زَوَالٍ14.44

আরবি উচ্চারণ ১৪.৪৪। অআন্যিরি ন্না-সা ইয়াওমা ইয়াতীহিমুল্ ‘আযা-বু ফাইয়াক্বুলু ল্লাযীনা জলামূ রব্বানা য় আখ্খিরুনা য় ইলা য় আজ্বালিন্ ক্বারীবিন্ নুজ্বিব্ দা’অতাকা অনাত্তাবি‘র্ই রুসুল্; আওয়ালাম্ তাকূনূ য় আক্বসাম্তুম্ মিন্ ক্বব্লু মা-লাকুম্ মিন্ যাওয়া-ল্।

বাংলা অনুবাদ ১৪.৪৪ আর তুমি মানুষদেরকে সতর্ক কর, যেদিন তাদের উপর আযাব নেমে আসবে। অতঃপর তখন যারা যুলম করেছে তারা বলবে, ‘হে আমাদের রব, তুমি আমাদেরকে কিছু সময়ের জন্য অবকাশ দাও, আমরা তোমার ডাকে সাড়া দেব এবং রাসূলদের অনুসরণ করব’। ইতঃপূর্বে তোমরা কি কসম করনি যে, তোমাদের কোন পতন নেই?

وَسَكَنْتُمْ فِي مَسَاكِنِ الَّذِينَ ظَلَمُوا أَنْفُسَهُمْ وَتَبَيَّنَ لَكُمْ كَيْفَ فَعَلْنَا بِهِمْ وَضَرَبْنَا لَكُمُ الْأَمْثَالَ 14.45

আরবি উচ্চারণ ১৪.৪৫। অসাকান্তুম্ ফী মাসা-কিনি ল্লাযীনা জলামূ য় আন্ফুসাহুম্ অতাবাইয়্যানা লাকুম্ কাইফা ফা‘আল্না-বিহিম্ অদ্বরাব্না-লাকুমুল্ আম্ছা-ল্।

বাংলা অনুবাদ ১৪.৪৫ আর তোমরা বাস করছিলে সেসব লোকদের বাসস্থানে, যারা নিজদের উপর যুলম করত এবং তোমাদের নিকট স্পষ্ট হয়েছিল আমি তাদের সাথে কিরূপ করেছি এবং আমি তোমাদের জন্য উপমা বর্ণনা করেছি।

وَقَدْ مَكَرُوا مَكْرَهُمْ وَعِنْدَ اللَّهِ مَكْرُهُمْ وَإِنْ كَانَ مَكْرُهُمْ لِتَزُولَ مِنْهُ الْجِبَالُ14.46

আরবি উচ্চারণ ১৪.৪৬। অক্বদ্ মাকারূ মাক্রহুম্ অ‘ইন্দাল্লা-হি মাক্রুহুম্; অইন্ কা-না মাক্রুহুম্ লিতাযূলা মিন্হুল্ জ্বিবা-ল্।

বাংলা অনুবাদ ১৪.৪৬ আর তারা তাদের ষড়যন্ত্র করেছিল, আর আল্লাহর কাছেই তাদের ষড়যন্ত্র, যদিও তাদের ষড়যন্ত্র এমন ছিল যা দ্বারা পাহাড় অপসারিত হয়ে যায়।

فَلَا تَحْسَبَنَّ اللَّهَ مُخْلِفَ وَعْدِهِ رُسُلَهُ إِنَّ اللَّهَ عَزِيزٌ ذُو انْتِقَامٍ14.47

আরবি উচ্চারণ ১৪.৪৭। ফালা-তাহ্সাবান্নাল্লা-হা মুখ্লিফা ওয়া’দিহী রুসুলাহ্ ইন্নাল্লা-হা ‘আযীযুন্ যুন্ তিক্বা-ম্।

বাংলা অনুবাদ ১৪.৪৭ সুতরাং তুমি কখনো আল্লা¬হকে তাঁর রাসূলদের দেয়া প্রতিশ্র“তি ভঙ্গকারী মনে করো না। নিশ্চয় আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রতিশোধ গ্রহণকারী।

يَوْمَ تُبَدَّلُ الْأَرْضُ غَيْرَ الْأَرْضِ وَالسَّمَاوَاتُ وَبَرَزُوا لِلَّهِ الْوَاحِدِ الْقَهَّارِ14.48

আরবি উচ্চারণ ১৪.৪৮। ইয়াওমা তুবাদ্দালুল্ র্আদ্বু গইরল্ র্আদ্বি অস্সামাওয়া-তু অবারযূ লিল্লা-হিল্ ওয়া-হিদিল্ ক্বহ্হার্-।

বাংলা অনুবাদ ১৪.৪৮ যেদিন এ যমীন ভিন্ন যমীনে রূপান্তরিত হবে এবং আসমানসমূহও। আর তারা পরাক্রমশালী এক আল্লাহর সামনে হাযির হবে।

وَتَرَى الْمُجْرِمِينَ يَوْمَئِذٍ مُقَرَّنِينَ فِي الْأَصْفَادِ14.49

আরবি উচ্চারণ ১৪.৪৯। অতারাল্ মুজ্বরিমীনা ইয়াওমায়িযিম্ মুর্ক্বারানীনা ফিল্ আছ্ফা-দ্।

বাংলা অনুবাদ ১৪.৪৯ আর সে দিন তুমি অপরাধীদের দেখবে তারা শিকলে বাঁধা।

سَرَابِيلُهُمْ مِنْ قَطِرَانٍ وَتَغْشَى وُجُوهَهُمُ النَّارُ14.50

আরবি উচ্চারণ ১৪.৫০। সারা-বীলুহুম্ মিন্ ক্বাতিরা-নিঁও অতাগ্শা- উজউহাহুমুন্নার্-।

বাংলা অনুবাদ ১৪.৫০ তাদের পোশাক হবে আলকাতরার এবং আগুন তাদের চেহারাসমূহকে ঢেকে ফেলবে।

لِيَجْزِيَ اللَّهُ كُلَّ نَفْسٍ مَا كَسَبَتْ إِنَّ اللَّهَ سَرِيعُ الْحِسَابِ 14.51

আরবি উচ্চারণ ১৪.৫১। লিইয়াজ্বযিয়াল্লা-হু কুল্লা-নাফ্সিম্ মা-কাসাবাত্; ইন্নাল্লা-হা সারী‘উল্ হিসা-ব্।

বাংলা অনুবাদ ১৪.৫১ যাতে আল্লাহ প্রতিদান দেন প্রত্যেক নাফ্সকে যা সে অর্জন করেছে। নিশ্চয় আল্লাহ দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী।

هَذَا بَلَاغٌ لِلنَّاسِ وَلِيُنْذَرُوا بِهِ وَلِيَعْلَمُوا أَنَّمَا هُوَ إِلَهٌ وَاحِدٌ وَلِيَذَّكَّرَ أُولُو الْأَلْبَابِ 14.52

আরবি উচ্চারণ ১৪.৫২। হা-যা-বালা-গুল্ লিন্না-সি অ লিইয়ুন্যারূ বিহী অ লিইয়া’লামূ য় আন্নামা-হঅ ইলা-হুঁও ওয়া-হিদুঁও অলিয়ায্ যাক্কার ঊলুল্ আল্বা-ব্।

বাংলা অনুবাদ ১৪.৫২ এটা মানুষের জন্য পয়গাম। আর যা দ্বারা তাদেরকে সতর্ক করা হয় এবং তারা জানতে পারে যে, তিনি কেবল এক ইলাহ, আর যাতে বুদ্ধিমানরা উপদেশ গ্রহণ করে।

    প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

    আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে ও

    Leave a Comment