সহবাস কি?,রমজানের রোজার সময় কখন সহবাস করা যাবে জেনে নিন,রোজার সময় কখন সহবাস করা যাবে?,রমজান মাসে রাতে সহবাস করা যাবে কিনা ,সেহরির পর সহবাস করা যাবে কিনা,ফরজ গোসল না করে কি খাওয়া যায়?

আজকের বিষয়: সহবাস কি?,রমজানের রোজার সময় কখন সহবাস করা যাবে জেনে নিন,রোজার সময় কখন সহবাস করা যাবে?,রমজান মাসে রাতে সহবাস করা যাবে কিনা ,সেহরির পর সহবাস করা যাবে কিনা,ফরজ গোসল না করে কি খাওয়া যায়?,স্ত্রী সহবাসের পর ফজরের নামাজ,রোজা থাকা অবস্থায় ফরজ গোসলের নিয়ম

সহবাস কি? 

স্বামী স্ত্রী বা নারী পুরুষের মধ্যে স্বাভাবিক দৈহিক মিলনকে সহবাস বলা হয়ে থাকে। 

রোজার সময় কখন সহবাস করা যাবে? 

রোজার সময় কখন সহবাস করা যাবে তা নিয়ে নানা জনের মধ্যে নানা মতবাদ দেখা যায়। অনেকে বুঝতে পারেন না রোজার সময় কখন সহবাস করা যাবে। রোজার সময় সহবাস ক্রয়ার জন্য আল্লাহ পাক সময় দিয়েছেন ইফতারের পর থেকে ফজরের আযান দেয়া পর্যন্ত। 

অর্থ্যাৎ আপনি ইফতারের পর থেকে ফজরের আযানের পূর্বে যেকোনো সময়ে সহবাস করতে পারবেন সেটা সেহরি খাওয়ার আগে অথবা পরে হোক। আপনি চাইলে সেহরি খেয়ে সহবাস করতে পারেন কিন্তু তা অবশ্যই ফজরের আযানের আগে শেষ করতে হবে। আশা করি রোজার সময় সহবাস কখন করা যাবে বুঝতে পারছেন।

রমজান মাসে রাতে সহবাস করা যাবে কিনাঃ 

রমজান মাসে রাতে সহবাস করা যাবে। রমজান মাসে ইফতারের পর থেকে ফজরের আযানের আগ পর্যন্ত সহবাস করা যাবে।

সেহরির পর সহবাস করা যাবে কিনা 

সেহরির পর সহবাস করা যাব কিন্তু তা অবশ্যি ফজরে আযানের আগ পর্যন্ত। কিন্তু ফজরের পর যদি সহবাস করা হয় তাহলে আপনার রোজাটি ভেঙ্গে যাবে । এটি কবিরা গুনাহ। এই রোজা ভাঙ্গার জন্য আপনাকে কাফফারা দিতে হবে এবং পরবর্তীতে কাযা রোজা আদায় করতে হবে। 

ফরজ গোসল না করে কি খাওয়া যায়? 

মানুষের জীবনে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কারণে গোসল ফরয হয় সেটা হোক ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত। মাঝে মাঝে এই ফরয গোসল ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে দেরি হয়ে যায়। কিন্তু এর সাথে সেহরি খাওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। আপনি নাপাক অবস্থায় রোজা রাখতে পারবেন। 

রোজা বা সেহরির সাথে ফরয গোসলের কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু আপনি সারাদিন নাপাক অবস্থায় থাকলেন। ফরয গোসল করলেন না। এতে করে আপনার নামায কাযা হয়ে যাবে। তখন আপনার রোজা মাক্রুহ হবে এবং আপনার কবীরা গুনাহ হবে ফরজ গোসলের কারণে নামাজ কাযা করার কারণে। তাহলে আশা করি বুঝতে পেরেছেন নাপাক অবস্থায় সেহরি খাওয়া যায়। 

স্ত্রী সহবাসের পর ফজরের নামাজ 

স্ত্রী সহবাসের পর ফজরের নামাজ আদায় করার জন্য আগে আপনাকে ফরজ গোসল করতে হবে। তাছাড়া আপনার ফজর নামাজ কাযা হবে যা কবীরা গুনাহ। 

রোজা থাকা অবস্থায় ফরজ গোসলের নিয়ম  

রোজা থাকা অবস্থায় ফরজ গোসলের নিয়ম সাধারণ দিনের ফরয গোসলের নিয়ম থেকে আলাদা। কিভাবে রোজা থাকা অবস্থায় ফরয গোসল করতে হয় তা জেনে নিইঃ

  • সাধারণ কুলি করতে হবে
  • নাকে সাধারণভাবে পানি দিতে হবে
  • পুরো শরীরে পানি দিতে হবে যেন কোনো স্থান শুষ্ক না থাকে

আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন রোজার সময় কখন সহবাস করা যাবে। এছাড়া আপনাদের যদি আরো কিছু জানার থাকে তাহলে জানাতে ভুলবেন না।

আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ



আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ

    প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

    আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে ও

    Leave a Comment