ভাবসম্প্রসারণ: জ্ঞানহীন মানুষ পশুর সমান,জ্ঞানহীন মানুষ পশুর সমান

ভাবসম্প্রসারণ:জ্ঞানহীন মানুষ পশুর সমান

সৃষ্টির অন্যান্য প্রাণীর থেকে মানুষকে আলাদা করেছে তার বিবেক বা জ্ঞান, যা অন্য কোনো প্রাণীর মধ্যে নেই। কিন্তু যার মধ্যে জ্ঞান তথা মনুষ্যত্ববোধ নেই, তাহলে সে হবে পশুর সমতুল্য।

মানুষ হচ্ছে ‘আশরাফুল মাখলুকাত’ অর্থাৎ সৃষ্টির সেরা জীব। প্রতিটি মানুষের মধ্যেই জ্ঞান বা বিবেক সুপ্ত অবস্থায় থাকে। অনুশীলনের মাধ্যমে তাকে জাগিয়ে তুলতে হয়।

জ্ঞান মানুষকে যোগ্যতা দান করে। নানা বিদ্যায় পারদর্শী করে তোলে। জ্ঞানের আলোকেই মানুষের জীবন বিকশিত হয়ে ওঠে। তাই মানুষ হিসেবে শ্রেষ্ঠত্ব লাভের জন্য জ্ঞানের সহায়তা অপরিহার্য। অন্য প্রাণীর সঙ্গে মানুষের পার্থক্য এখানেই। জ্ঞানবান মানুষ কখনো খারাপ কাজ করতে পারে না।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

তার বিবেক তাকে খারাপ আচরণ করতে বাধা দেয়। অন্যদিকে জ্ঞানহীন মানুষ পশুর মতো নির্বোধ। পশুর যেমন জ্ঞান নেই। সে ন্যায়-অন্যায় বোঝে না। আপন অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারে না। অজ্ঞান ব্যক্তিরও তেমনি কোনো বিবেক নেই। জ্ঞানের অভাবে তারা আধুনিক জীবনের সম্পূর্ণ স্বাদ উপভোগ করতে পারে না।

তাদের জীবনের সঙ্গে পশুর জীবনের কোনো পার্থক্য নেই। তাই একজন দার্শনিক বরেছেন, ‘Every man has five sense. Common-sense is none of them. But without it a man turns into a nonsense.’ অর্থাৎ প্রত্যেক মানুষের পাঁচটা ইন্দ্রিয় রয়েছে। বিবেক সেগুলো থেকে আলাদা। কিন্তু এটা ছাড়া একজন মানুষ বিবেকহীন হয়ে যায়। তখন সে যেকোনো খারাপ কাজ করতে দ্বিধা করে না।

জ্ঞানই মানুষ ও পশুর মধ্যে পার্থক্যের সীমারেখা টেনে দেয়। জ্ঞানের দ্বারাই মানুষ জীবনের আলোর পথে আসার সুযোগ পায়। তাই মানুষকে সব সময় জ্ঞানসাধনায় নিয়োজিত থাকা দরকার।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

Leave a Comment