বিমানবালার এর কাজ কি,একজন বিমানবালার ক্যারিয়ার কেমন হতে পারে?,একজন বিমানবালার মাসিক আয় কেমন?,একজন বিমানবালার কী ধরনের দক্ষতা ও জ্ঞান থাকতে হয়?, একজন বিমানবালার কী ধরনের যোগ্যতা থাকতে হয়?, বিমানবালার কাজ কী?

আজকের বিষয়: বিমানবালার এর কাজ কি,একজন বিমানবালার ক্যারিয়ার কেমন হতে পারে?,একজন বিমানবালার মাসিক আয় কেমন?,একজন বিমানবালার কী ধরনের দক্ষতা ও জ্ঞান থাকতে হয়?, একজন বিমানবালার কী ধরনের যোগ্যতা থাকতে হয়?, বিমানবালার কাজ কী?

এয়ার হোস্টেস হিসেবে দেশে-বিদেশে কাজ করে চান?’

‘একটি স্মার্ট ক্যারিয়ার খুঁজছেন?’ কিংবা

‘চাইলে আপনিও হতে পারেন এয়ার হোস্টেস, কেবিন ক্রু! একটি সুনিশ্চিত ভবিষ্যত!’

এমন সব বিজ্ঞাপন দেখে যারা এই চাকরিগুলোর জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন বা হবেন বলে ভাবছেন, তাদের শুরুতেই কিছু বিষয় জেনে নেয়াটা অত্যন্ত জরুরি। কোর্সে/কোচিং সেন্টারগুলোর বিজ্ঞাপন দেখে বাস্তবতা ভুলে গেলে চলবে না।

তা না হলে তীরে এসে যেমন ডুবতে পারে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যের তরী, তেমনি শুরুতেই কেউ হতাশ হয়ে যেতে পারেন। এবং এই প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে কিছুটা সময়, শ্রম, মেধা ও টাকার অপচয় কিংবা ভুল পথে স্বপ্ন দেখা আপনাকে ছিটকে ফেলতে পারে এই চাকরিযুদ্ধ থেকে। তাই এগোতে হবে জেনেশুনে, ঝুকি নিতে হবে দেখেশুনে।

এয়ার হোস্টেসের মত এই বিজ্ঞাপনগুলোতে চাকরি পাওয়া যতটা সহজ বলে মনে হয়, ততটা সহজে এখানে সুযোগ পাওয়া সম্ভব নয়। এর জন্য অনেক ধরনের যোগ্যতা-অযোগ্যতার প্রশ্ন আছে। পার হতে হবে অনেক কঠিন কিংবা বিব্রতকর পরিস্থিতি। কখনো কখনো অস্বাভাবিক কিছু শর্তও জুড়ে দেয়া হয়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

দেশ-বিদেশ ভ্রমণ, আজন্ম লালিত স্বপ্নের জাল বুনে থাকে অনেক স্মার্ট-শিক্ষিত নারীরা। যারা আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখেন, পাখির মতো আকাশে উড়ে বেড়াতে চান, সারা বিশ্বকে খুব কাছ থেকে দেখতে চান, তাদের জন্য কেবিন ক্রুর চাকরি অনেকটা সোনার হরিণের মতো। কিন্তু স্বপ্ন কি শুধুই স্বপ্নই থেকে যাবে নাকি বাস্তবে এর রূপ দেওয়ার কোন উপায় আছে? কেবিন ক্রু হওয়ার জন্য নিজেকে সেভাবে তৈরি করতে হয়। সারা বিশ্বের প্রত্যেকটি এয়ারলাইন্সের কেবিন ক্রু বা এয়ার হোস্টেজ পদটির অধিকাংশই বরাদ্দ আছে উপরোক্ত গুণাবলীর নারীদের জন্য।

বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি এয়ারলাইন্সের কেবিন ক্রু পদে সবাই বাংলাদেশি এবং অনেক বিদেশি এয়ারলাইন্সও বাংলাদেশি কেবিন ক্রু নিয়োগ দিয়ে যাচ্ছে। এর পিছনে রয়েছে বিশেষ কারণ, বাঙালিরা জাতি হিসেবে খুবই অতিথি পরায়ণ। নারীদের ভূমিকাও অনস্বীকার্য। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কেবিন ক্রুদের এয়ারলাইন্সে চুক্তিবদ্ধ হতে হয়। পরবর্তী সময়ে তা রিভিউ করার সুযোগ আছে।

প্রত্যেক এয়ারলাইন্সের গন্তব্য বিশ্বের সব বড় বড় শহরে। আকাশ কন্যার চাকরির সুযোগে সব বড় বড় শহর, চিত্তাকর্ষক সব আধুনিক বিমানবন্দর দেখা হয়ে যায়। স্বল্প সময়ের জন্য শহর দেখারও সুযোগ থাকে অনেক সময়। শুধু চোখের কিংবা মনের তৃপ্তি নয়, এখানে আর্থিক সচ্ছলতাও একটা বড় ব্যাপার। নির্দিষ্ট বেতনের বাহিরে যত বেশি আকাশ ভ্রমণ তত বেশি উপার্জন। সত্যিই বিচিত্র। প্রতিটি ফ্লাইটে শতাধিক যাত্রীকে সেবা প্রদান আর কোন প্রফেশনে আদৌ সম্ভব নয়। সংখ্যার বিচারে প্রতিমাসে হাজার হাজার যাত্রীকে সেবা দেয়া কোন হাসপাতালেও সম্ভব নয়। প্রতি ফ্লাইটে কত বিচিত্র রকম মানুষের সাথে পরিচয় হয়। যা তার জ্ঞান ভাণ্ডারকেও করে সমৃদ্ধি।

সাবলীল বাচনভঙ্গি। নজরকাড়া সৌন্দর্য। স্বাভাবিক গড় উচ্চতার চেয়ে একটু বেশি। কেবিন ক্রু হওয়ার জন্য যোগ্যতা হিসেবে ন্যূনতম এইচএসসি বা এ লেভেল কিংবা সমমানের হতে হয়। সাধারণত বয়স ১৮ থেকে ২৪ বছর এর মধ্যে হতে হবে। মেয়েদের জন্য কমপক্ষে ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি এবং ছেলেদের জন্য ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি উচ্চতা থাকতে হয়, আর ওজন উচ্চতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। চোখের মাপ-৬/৬ (চশমা বা কন্টাক্ট লেন্স গ্রহণযোগ্য নয়)। হাতে কোনও কাটা দাগ কিংবা শরীরে কোনও ট্যাট্টু থাকতে পারবে না, যা সহজে দেখা যায়। সাঁতার জানা আবশ্যক। কোনও কারণে বিমান যদি পানিতে অবতরণ করতে হয় সেজন্য বিমানবালাদের কমপক্ষে ২০ মিটার সাঁতার কাটার সক্ষমতা থাকতে হয়। ইংরেজি ও বাংলায় কথা বলা ও লেখায় দক্ষ হতে হবে, অন্য ভাষা জানা অতিরিক্ত যোগ্যতা হিসেবে দেখা হয়। সাধারণত বিভিন্ন এয়ারলাইন্স কেবিন ক্রুর জন্য অবিবাহিতদের অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে।

বর্তমানে এয়ার হোস্টেজ বা কেবিন ক্রু পেশা স্মার্ট ও সম্মানজনক হওয়ায় প্রতিনিয়ত প্রবল ইচ্ছাশক্তি, আত্মবিশ্বাস ও ঝুঁকি গ্রহণের দৃঢ় মানসিকতা নিয়ে এয়ারলাইন্সগুলোতে ভিড় করছে তরুণ-তরুণীরা। তা ছাড়া এ পেশায় আছে অ্যাডভেঞ্চার, গ্ল্যামার ও উচ্চ আয়ের পন্থা। তাই দিন দিন ক্যারিয়ার হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এ পেশা। সঙ্গে সঙ্গে তরুণদের মাঝে পেশাটি হয়ে উঠেছে প্রতিযোগিতামূলক।

দীর্ঘ প্রস্তুতি না থাকলেও কিছু প্রশিক্ষণ কোর্স করে দেশি ও বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোতে চাকরির সুযোগ নেওয়া যায়। সাফল্যের সঙ্গে এ ক্যারিয়ারে যুক্ত হচ্ছেন প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের তরুণ-তরুণীরা। বর্তমানে কেবিন ক্রু প্রশিক্ষণের জন্য কিছু একাডেমি আছে যেখানে প্রাথমিক ধারণা দিয়ে থাকে। এর মধ্যে এভিয়েশন কলেজ অব ইউনাইটেড, বাংলাদেশ বিমান ট্রেনিং ইন্সটিটিউট, জবস এ-ওয়ান উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশে এখন প্রতি বছর বিভিন্ন এয়ারলাইন্সে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কেবিন ক্রু নিয়োগ প্রদান করতে হয়। কারণ একটাই বেসরকারি এয়ারলাইন্সের অগ্রগতি।

স্মার্টনেস ও ভালো ইংরেজি বলার দক্ষতা আপনাকে এগিয়ে রাখবে এয়ার হোস্টেজ বা কেবিন ক্রু হওয়ার প্রতিযোগিতায়। কেবিন ক্রু বা এয়ার হোস্টেজ হতে চাইলে অনেক সুন্দর বা সুন্দরি হতে হবে- এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। যোগ্যতাই হল আসল কথা। যেকোনো ধর্মের ছেলে মেয়েরা আবেদন করতে পারবে। প্রার্থীকে পরিচ্ছন্ন রুচি, মিষ্টি হাসি, অনেকক্ষণ এককভাবে কাজ করার ক্ষমতা, বিরক্তিকর পরিস্থিতে স্বাভাবিক থাকা, উপস্থিত বুদ্ধিজ্ঞান, ধৈর্য্য ও সহনশীলতা, বিপদে সাবলীল মানসিকতা ও সবার সাথে আন্তরিকতার সাথে মিশতে পারার ক্ষমতা এ চাকরিতে সফলতা এনে দেবে। আমাদের দেশের শত শত ছেলেমেয়ে প্রতিদিন উড়ে চলেছে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে।

আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সগুলো কেবিন ক্রুদের বিভিন্ন দেশের বিলাসবহুল হোটেলগুলোয় থাকার ব্যবস্থা করে থাকে, যেখানে থাকা এবং খাওয়া সম্পূর্ণ ফ্রি। শুধু একজন ক্রু’র নিজের জন্যই নয়, তার পরিবারের সদস্যদের জন্যও আছে নানা ধরনের সুবিধা। পরিবারসহ বিভিন্ন দেশে ট্যুর করার সুযোগ হরহামেশাই পাওয়া যায় এই পেশায়।

বিশ্বের বেশিরভাগ এয়ারলাইন্সের কেবিন ক্রু সদস্যদের মধ্যে মেয়েদের সংখ্যা থাকে বেশি। যাত্রীদের খাবার পরিবেশন ছাড়াও তাদের নির্দিষ্ট আসন খুঁজে পেতে সহায়তা করা, ওভারহেডে মালপত্র ওঠানামায় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া, যাত্রীদের কেউ অসুস্থ হলে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করার মতো অনেক দায়িত্ব পালন করেন তারা। সব মিলিয়ে ফ্লাইটের অভ্যন্তরে বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণের সময় যাত্রীদের নিরাপদে রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকে তাদের।

কেবিন ক্রুদের মাথার চুল অবশ্যই কাঁধের ওপর পর্যন্ত ছোট রাখা আবশ্যক। চুল লম্বা হলেও সেভাবে সাজিয়ে রাখতে হবে। আর চুলের রঙ হতে হবে স্বাভাবিক। প্রত্যেক ক্রুর হাত ও পায়ের নখ ছোট রাখা বাধ্যতামূলক। অনেক বিদেশী এয়ারলাইন্সে কেবিন ক্রুদের সুন্দর পা থাকাও বাধ্যতামূলক।

আপনার পরিচিত কিংবা আপনার বন্ধুই হয়তো কোন না কোন এয়ারলাইন্সের কেবিন ক্রু তার কাছ থেকেও বাস্তবতা উপলব্ধি করতে পারেন, জেনে নিতে পারেন অনেক কিছু। উপরোক্ত গুণাবলী আর অদম্য ইচ্ছা থাকলেই সুদূর পরাহত নয়, আপনিও হয়ে যেতে পারেন কোন এয়ারলাইন্সের আকাশ কন্যা।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

বিমানবালা হওয়ার যোগ্যতা

প্রতিষ্ঠান দুই থেকে তিন মাসের এসব কোর্স সম্পন্ন করলে অনেকে এগিয়ে থাকা যায় বিমানবালা হওয়ার দৌড়ে বিমানবালা হওয়ার জন্য খুব বেশি সুন্দরী হওয়ার প্রয়োজন নেই। এয়ারলাইন্সগুলো মূলত খুঁজে থাকে স্মার্ট উদ্যমী এবং বন্ধুসুলভ কিছু মানুষ সাধারণত বিমানবালা হবার জন্য বয়স 18 থেকে 24 বছরের মধ্যে আর অবিবাহিতরা পেয়ে থাকেন অগ্রাধিকার। আর শিক্ষাগত যোগ্যতা হওয়া লাগবে এইচএসসি এবং এ লেভেল পর্যন্ত এবং বাংলাদেশে বিভিন্ন কোর্স রয়েছে সেগুলো করলে তাদের অগ্রধিকার বেশি দেওয়া হয়।

এ পেশার ক্ষেত্রে উচ্চতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ কেবিন ক্রু কিংবা এয়ারহস্টেজ হবার জন্য মেয়েদের হতে হবে কমপক্ষে 5 ফুট 3 ইঞ্চি উচ্চতা । বিশিষ্ট আর ছেলেদের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় 5 ফুট 8 ইঞ্চি উচ্চতা পাশাপাশি দরকার উচ্চতা। সাথে মানানসই ওজন। চোখের দৃষ্টিশক্তি 6/6 । বিমানবালাদের ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য নয় চশমা অথবা কন্টাক লেন্স। লোভনীয় পেশাগত দক্ষতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশী হিসেবে বাংলা এবং ইংরেজিতে কথা বলা শোনা এবং লেখার দক্ষ হতে হবে।

বিমানবালার বেতন কত টাকা?

বিমানবালাদের বেতন ক্যারিয়ারের শুরুতে পাওয়া যায় 40 থেকে 60 হাজার টাকা বেতন। আর বিদেশী সে ক্ষেত্রে বিমানবালাদের শুরুতে বেতন হয়ে থাকে এক লাখ টাকার বেশি। তবে শুধু বেতন নয় অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা  সহ আকর্ষণীয় বিভিন্ন অফার।

বিমানবালাদের সুযোগ-সুবিধা

বিভিন্ন দেশ বা শহরে প্রায় পৌঁছানোর পর থাকার জন্য তারা পান ফাইভ স্টার হোটেলে থাকার সুবিধা। এছাড়া ফ্লাইট থেকে হোটেলে যাওয়া এবং আসার জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করে থাকে এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘদিন চাকরি এবং ভালো পারফর্মেন্স এর জন্য প্রমোশনের ব্যবস্থা আছে তাদের। সেক্ষেত্রে বেতন এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা হয়ে থাকে। আরো আকর্ষণীয় সব মিলে বিমানবালা চাকরি বর্তমানে স্মার্ট শিক্ষিত তরুণ তরুণীদের জন্য লোভনীয় এক ক্যারিয়ার। এই পেশায় প্রবেশের জন্য প্রতিযোগিতা বাড়ছে।  তবে যদি সঠিক যোগ্যতা ও প্রস্তুতি থাকে যে কারো জন্য সম্ভব এই স্বপ্ন পূরণ করা।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

একটা সময় মনে করত নারীরা শুধু ঘর গৃহস্থালির কাজেই দক্ষ। তারা অন্য কোনো কাজ করতে পারে না। কিন্তু একবিংশ শতাব্দীতে এই ভ্রান্ত ধারণাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নারীরা দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে সব কর্মস্থলে। নিজেদের যোগ্যতা দিয়ে জায়গা পাকাপোক্ত করে নিচ্ছে কর্মস্থলে। যারা আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখে,পাখির মতো আকাশে উড়ে বেড়াতে চায়, সারা বিশ্বকে খুব কাছ থেকে দেখতে চায় তাদের জন্য কেবিন ক্রু চাকরিটা অনেকটা সোনার হরিণের মত। কেবল প্রয়োজন- ইচ্ছা,আত্মবিশ্বাস,ঝুঁকি গ্রহণের মানসিকতা। দিন দিন ক্যারিয়ার হিসেবে নারীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এয়ার হোস্টেস বা কেবিন ক্রু। সৌন্দর্য সচেতন এবং মননে আধুনিক নারীরা খুব সহজেই এটিকে ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিতে পারেন।

এয়ার হোস্টেস বা কেবিন ক্রু, এই পেশায় যা আছে- অ্যাডভেঞ্চার, গ্ল্যামার আর উচ্চ আয়ের সুযোগ। তবে কিছু প্রশিক্ষণ কোর্স করে বাংলাদেশ বিমান ও বেসরকারিখাতে কর্মরত এযারলাইন্সেই চাকরির সুযোগ নেওয়া যায়। শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের অন্যান্য এয়ারলাইন্সে সাফল্যের এ ক্যারিয়ারে যুক্ত রয়েছে বাংলাদেশের তরুণ-তরুণীরা। শুধু চাই আত্মবিশ্বাস ও পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ। কেবিন ক্রু হতে চাইলে নিম্নোক্ত জিনিসগুলো মাথায় রাখতে হবে-

১. সাঁতার জানতে হবেঃ যেকোন দূর্ঘটনার জন্য কিংবা অন্য কোন বিশেষ পরিস্থিতিতে পানিতে এরোপ্লেন ল্যান্ড করতে পারে। সেসব পরিস্থিতির জন্য সবসময় কেবিন ক্রু এবং এয়ার হোস্টেসদের তৈরি থাকতে হয়। Ryanair এ চাকরির জন্য কমপক্ষে ৬৫ ফিট (২০মিটার) সাঁতারে অংশ নিতে হবে। এবং British Airways এর জন্য তা কমপক্ষে ১৬৪ ফিট (৫০মিটার)।

২. চুল ছোট রাখতে হবেঃ এয়ারলাইনগুলোতে চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে শর্ত হিসেবে চুল ছোট (ববকাট) করে রাখতে বলা হয়। যেন বড় চুলের জন্য কাজে অসুবিধা না হয়।

৩. গায়ে কোনো ট্যাটু আঁকা যাবে নাঃ শরীরের দৃশ্যমান স্থানে ট্যাটু থাকা যাবে না এবং নাক-কান ফোঁড়ানো যাবে না।

৪. জঙ্গলে টিকে থাকার মত ক্ষমতা থাকতে হবেঃ যেকোন ইমার্জেন্সিতে প্লেন বন-জঙ্গল, পাহাড়-পর্বত এরকম দুর্গম এলাকায় ল্যান্ড করানো হতে পারে। এজন্য জঙ্গলে টিকে থাকতে জানতে হবে। এর জন্য পর্যাপ্ত ট্রেনিং নিতে হবে।

৫. যথেষ্ট শক্তিশালী হতে হবেঃ অনেক সময়ই যাত্রীদের লাগেজ জায়গামত রাখতে সহযোগিতা করতে হবে। লাগেজ বেশ ভারিই হয় সাধারণত। এজন্য শারিরিক সক্ষমতা থাকাটা অত্যন্ত জরুরি।

৬. হাতের নখ ছোট রাখতে হবেঃ ফ্যাশনেবল কেউ নখ লম্বা করে রাখতে চাইলে স্টুয়ার্ডেস হতে পারছেন না।

৮. নির্দিষ্ট উচ্চতা থাকতে হবেঃ সাধারণত নারী স্টাফদের জন্য গড় উচ্চতা ৫’২” (১৬০ সে,মি) থেকে ৬’২” (১৮৮ সে,মি)। উচ্চতা অনেক সময়ই গুরত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়।

৯. বডি অনুযায়ী ওজনঃ অধিকাংশ এয়ারলাইন্স স্টুয়ার্ডেসদের জন্য নিঁখুত বডি শেপ প্রয়োজন পরে না। তাদের শুধু উচ্চতা ও ওজনের অনুপাতটা ঠিক থাকলেই চল। দেহের ওজন উচ্চতার তুলনায় খুব বেশি বা কম হলে তা কাজ করার জন্য অসুবিধাজনক হয়ে দাঁড়ায় ।

১০. কুংফু প্রশিক্ষণ নিতে হবেঃ এয়ার হোস্টেস, কেবিন ক্রু হিসেবে কাজ করতে গিয়ে যে কেউ পরতে পারেন বিভিন্ন বিরক্তিকর, অসহ্য, বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে। কিংবা কারো থেকে টিজের শিকারও হতে পারেন। কিংবা কোন সন্ত্রাসী হামলার মুখেও পরতে পারে। তাই কুংফু প্রশিক্ষণ নেয়াটা জরুরী। এজন্যই হংকং এয়ারলাইন্স তাদের স্টুয়ার্ডেসদের জন্য কুংফু ট্রেনিং ক্লাসের ব্যবস্থা করে থাকে।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও

Leave a Comment