তুমি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হিসাবে কিভাবে ব্যবসায়িক ঋণ পেতে পার?, ব্যবসায়িক ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংক কী কী বিষয় বিবেচনা করবে?

তুমি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হিসাবে কিভাবে ব্যবসায়িক ঋণ পেতে পার?

উত্তর :

ঋণ দেওয়া বাণিজ্যিক ব্যাংকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এই কাজ সঠিকভাবে সম্পাদনের উপরে ব্যাংকের সফলতা নির্ভর করে। গ্রাহকদের চাহিদামত দ্রুত সময়ে ঋণ দিতে না পারলে গ্রাহক অনেক সময় ঋণের অর্থ সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারে না
এবং এতে ঋণ ফেরত দিতেও সমস্যার সৃষ্টি হয়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)] 

অন্যদিকে দ্রুততার সাথে ঋণ দিতে গিয়ে যদি ঋণ অনুমোদনের সকল দিক যথাযথভাবে মূল্যায়ণ করা না হয় তা হলে যোগ্য ঋণ গ্রহীতাকে খুঁজে বের করা কঠিন হয় এবং পরবর্তীতে ঐ ঋণ আদায়ও কঠিন হয়ে পড়ে। তাই ঋণ অনুমোদনের শুরু থেকে ঋণ ফেরত পাওয়া পর্যন্ত যাবতীয় কাজ ব্যাংক একটি পর্যায়ক্রমিক পদ্ধতিতে
করে থাকে। নিচে রেখাচিত্রের মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া বর্ণনা করা হলো:

Capture

১. ঋণের আবেদন গ্রহণ

ঋণ কার্যক্রমের প্রথম ধাপ হলো ঋণ গ্রহণে ইচ্ছুক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ঋণের আবেদনপত্র গ্রহণ করা। সাধারণত ব্যাংক একটি মুদ্রিত আবেদন ফরম তৈরী করে রাখে যা পূরণ করে আবেদনকারীরা ব্যাংকে জমা দেয়। আবেদনপত্র পাওয়ার পর ব্যাংকের ঋণ বিভাগ তা যথাযথভাবে পূরণ করা হয়েছে কিনা পরীক্ষা করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নথিভুক্ত করে।

২. প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)] 

আবেদনকারীকে ঋণ দেওয়া উচিত হবে কিনা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ব্যাংক প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে। এসকল তথ্যের মধ্যে রয়েছে:
২.১. আবেদনকারীর স্বচ্ছলতা
২.২. ঋণ গ্রহণের উদ্দেশ্য
২.৩. ঋণ পরিশোধের সামর্থ্য
২.৪. ঋণ ব্যবহারের দক্ষতা ইত্যাদি।

এই তথ্য সংগ্রহের জন্য ব্যাংক আবেদনকারীর সাক্ষাতকার গ্রহণ করে অথবা পরিচিত ব্যক্তিদের কাছ থেকে আবেদনকারীর সততা, চরিত্র, ব্যবসায়ীক অবস্থা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে। (আমরা দেখেছি যে, ১০০ টাকার প্রাথমিক আমানত থেকে ৪০০ টাকার মোট ঋণ সৃষ্টি হয়েছে যা প্রাথমিক আমানতের ৪ গুণ)

ঋণের আবেদন গ্রহণ ঋণ সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ ঋণ চুক্তি বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ ও তত্ত্বাবধান চুক্তি সম্পাদন ও ঋণ বিতরণ করা দলিলপত্র প্রস্তুত করা

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)] 

কোম্পানীর ক্ষেত্রে আয়-ব্যয়ের বিবরণী ও উদ্বৃত্ত্ব পত্র পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা হয়। ঋণের জন্য সম্পত্তি জামানত রাখা হলে তার মালিকানা সম্পর্কিত দলিল জমা রাখা হয়। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স, রেজিষ্ট্রেশন সার্টিফিকেট ইত্যাদি সংগ্রহ করা
হয়। অন্যান্য ব্যাংকে ঐ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে কোন ঋণ আছে কিনা বা থাকলে তা পরিশোধের অবস্থা কেমন সে সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

৩. ঋণ বিশেচষণ

ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ঋণ বিশ্লেষণ করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এ পর্যায়ে আবেদনকারী সম্পর্কে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তাকে ঋণ দেওয়া উচিত হবে কিনা তা বিশ্লেষণ করা হয়। এক্ষেত্রে যে সকল বিষয সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পায় সেগুলো হলো:

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)] 

৩.১. আবেদনকারীর অর্থ বা ঋণ সংক্রান্ত লেনদেনের ইতিহাস
৩.২. আবেদনকারীর ব্যক্তিগত চরিত্র
৩.৩. ঋণ ব্যবহারের ক্ষমতা
৩.৪. পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ঋণ ফেরত দেওয়ার সামর্থ্য
৩.৫. যে প্রকল্পে ঋণ চাওয়া হচ্ছে তার সম্ভাবনা
৩.৬. জামানতের ধরন
৩.৭. জামানতে আবেদনকারীর মালিকানা কতটুকু
৩.৮. জামানতের মূল্য
৩.৯. জামানত হস্তান্তর বা বিক্রয়যোগ্য কিনা
৩.১০. আবেদনকারীর পক্ষে নিশ্চয়তা দানকারী ব্যক্তির সামর্থ্য, ইত্যাদি।

৪. ঋণ সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ

ঋণ বিশেষণের পর আবেদনকারীর নামে ঋণ মঞ্জুর করা হবে কিনা সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কে এই সিদ্ধাš্Í ্েনবে এ সম্পর্কে ব্যাংকের নিজস্ব নিয়ম কানুন থাকে। সাদারণত একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ পর্যন্ত ঋণ ব্যাংকের শাখা ম্যানেজার অনুমোদন করতে পারে। তবে তার অতিরিক্ত ঋণের ক্ষেত্রে ঋণের আবেদন, সংযুক্ত কাগজপত্র ও শাখা ম্যানেজারের প্রস্তাবপত্র ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে পাঠাতে হয়। সেক্ষেত্রে ঋণ বিশ্øেষণ ও অনুমোদন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত প্রধান কার্যালয়েই সম্পন্ন করা হয়। ঋণ দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে এ বিষয়ে আবেদনকারীকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ব্যাংকের শাখায় যোগাযোগ করতে বলা হয় এবং শাখা ব্যবস্থাপক ঋণ প্রদানের বাকি কাজ সম্পাদন করেন। অবশ্য ঋণের আবেদন মঞ্জুর না করা হলে ব্যাংকের অপারগতার বিষয়েও আবেদনকারীকে জানানো হয়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)] 

৫. দলিলপত্র প্রস্তুত করা


ঋণ মঞ্জুরের সিদ্ধান্ত হলে ঋণ বিতরণের আগেই আবেদনকারী ও ব্যাংকের মধ্যে একটা ঋণের চুক্তিপত্র প্রণয়ন করা হয়। ঋণের আবেদনপত্রে যে সকল বিষয়ের উল্লেখ থাকে মূলত তার উপরে ভিত্তি করে ঋণ চুক্তিপত্র তৈরী করা হয়। ঋণ চুক্তিপত্রে যে সকল
তথ্য থাকে তা হলো:
৫.১. ঋণ গ্রহীতার নাম ও ঠিকানা
৫.২. ঋণের পরিমাণ
৫.৩. ঋণের ধরণ
৫.৪. ঋণের মেয়াদ
৫.৫. সুদের হার
৫.৬. ঋণ ফেরতের কিস্তি
৫.৭. কিস্তি ফেরত দিতে ব্যর্থ হলে ব্যাংকের করণীয়
৫.৮. জামানত হিসাবে রাখা সম্পত্তির মূল্য, ধরণ, মালিকাণা ও দখল,
৫.৯. ঋণ গ্রহীতার অঙ্গীকারনামা, ইত্যাদি।

৬. চুক্তি সম্পাদন ও ঋণ বিতরণ করা

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)] 

ঋণ বিতরণের জন্য প্রয়োজনীয় দলিল তৈরী করা হলে ঋণ গ্রহীতা ও ব্যাংকের মধ্যে ঋণ চুক্তি সম্পাদন করা হয়। এই চুক্তি সম্পাদনের পর ব্যাংকে ঋণগ্রহীতার হিসাব না থাকলে ব্যাংক তাকে একটি ঋণ আমানত হিসাব খুলতে বলে। অবশ্য ঋণগ্রহীতার নামে চলতি হিসাব থাকলে নতুন করে হিসাব না খুললেও চলে। এরপর ঋণ চুক্তি মোতাবেক সম্পূর্ণ ঋণের অর্থ বা এর অংশবিশেষ বা কিস্তির অর্থ ব্যাংক ঐ হিসাবে স্থানান্তর করে। এই স্থানান্তরের সাথে সাথে ঋণ দেওয়া হয়েছে বলে ধরে নেওয়া
হয়।

সাধারণ ধার এর ক্ষেত্রে এই অর্থ স্থানান্তরের সময় থেকেই সুদের হিসাব শুরু হয়ে যায়। তবে নগদ ঋণ ও জমাতিরিক্ত ঋণের ক্ষেত্রে চুক্তি সম্পাদনের পর মঞ্জুরীকৃত ঋণের অর্থ বা এর অংশবিশেষ উত্তোলণ না করা পর্যন্ত সুদের হিসাব শুরু হয় না। এছাড়াও যে পরিমাণ অর্থ উত্তোলণ করা হয় শুধুমাত্র তার উপরই সুদ দিতে
হয়।

৭. ঋণ চুক্তি বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ ও তত্ত্বাবধান


ঋণ বিতরণের পরেই ঋণ কার্যক্রম শেষ হয় না বরং ঋণ আদায় না হওয়া পর্যন্ত তা বহাল থাকে। তাই ঋণগ্রহীতা সঠিক খাতে যথাযথভাবে ঋণের অর্থ কাজে লাগাচ্ছে কিনা বা অপব্যবহার করছে কিনা সে বিষয়ে পর্যবেক্ষণ ও তত্ত্বাবধান করা হয়। এক্ষেত্রে
কোন অন্যথা ঘটলে ব্যাংক তা ঋণগ্রহীতার নজরে আনে, পরামর্শ দেয় এবং ঋণের অর্থ ফেরত দিতে উদ্বুদ্ধ করে। ঋণগ্রহীতা সমসায় পড়লে ব্যাংক প্রয়োজনে নতুন ঋণ মঞ্জুর করে বা আগের ঋণ রিসিডিউলিং করে ঋণগ্রহীতার অবস্থার উন্নতি করার চেষ্টা
করে

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)] 

৮. ঋণ আদায়

ঋণ কার্যক্রমের শেষ ধাপ হলো ঋণের অর্থ আদায় করা এবং ঋণ হিসাব সমাপ্ত করা। ঋণ দেওয়া সহজ কিন্তু ঋণ আদায় করা বেশ কঠিন। অনেক ক্ষেত্রেই ঋণগ্রহীতা যথাসময়ে ঋণের অর্থ ফেরত দিতে পারে না। এক্ষেত্রে ব্যাংক তত্ত্বাবধানের মাধ্যমে ঋণগ্রহীতাকে ঋণ ফেরত দিতে উৎসাহীত করে। বারবার যোগাযোগ ও তত্ত্বাবধানের পরেও ঋণগ্রহীতা যদি ঋণ ফেরত না দেয় তবে ঋণগ্রহীতার ইচ্ছা, সামর্থ্য, ঋণ প্রকল্পের অবস্থা, ঋণ ফেরত পাওয়ার সম্ভাব্যতা ইত্যাদি বিষয় বিবেচনায় এনে ঐ ঋণগ্রহীতাকে সন্দেহজনক তালিকার অন্তর্ভুক্ত করে। এরপর আদালতের আশ্রয় গ্রহণ করে ব্যাংক ঋণ আদায়ের চেষ্টা করে। যদি দেখা যায় যে, প্রতিষ্ঠানটি ঋণ পরিশোধে একেবারেই অক্ষম হয় তবে ব্যাংক আদালতে ঐ প্রতিষ্ঠানকে দেওলিয়া ঘোষণার আবেদন করে এবং এই ঘোষণার পর ঋণের অংশবিশেষ ফেরত পায়। ঋণের বাকি অংশ কু-ঋণ হিসাবে দেখিয়ে ঐ ঋণ হিসাব
সমাপ্ত করা হয়।

উপরের আলোচনা থেকে বলা যায় যে, ব্যাংকের ঋণ কার্যক্রম কতগুলো ধারাবাহিক পদক্ষেপের সমষ্টি। এই কার্যক্রমের প্রথম থেকেই যদি ব্যাংক সতর্ক, আন্তরিক ও দক্ষ হয় এবং ঋণ গ্রহীতার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলে ও ঋণের যথাযথ তত্ত্বাবধান
করে তবে কু-ঋণের পরিমাণ বেশি হতে পারে না। তাই অনেকেই মনে করেন কু-ঋণ ঋণগ্রহীতা সৃষ্টি করে না, বরং ঋণ দানে অব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ব্যাংকই তা সৃষ্টি করে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)] 

ব্যবসায়িক ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংক কী কী বিষয় বিবেচনা করবে?

উত্তর :

ব্যাংক আমানত হিসাবে যে অর্থ সংগ্রহ করে তা ব্যবহারের একটি প্রধান খাত হলো ঋণ দেওয়া। সঠিকভাবে ঋণ মঞ্জুর করার উপরে ঋণ ফেরত পাওয়া নির্ভর করে। তাই ব্যাংক বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে বিচার বিশেষণ করে ঋণ মঞ্জুর করে।

নিচে ঋণ মঞ্জুরের সময় বিবেচ্য বিষয়গুলো আলোচনা করা হলো ঃ

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)] 

১. তারল্য

বাণিজ্যিক ব্যাংক ঋণ মঞ্জুরের সময় সর্বপ্রথম তারল্য নীতি অনুসরণ করে। ব্যাংক নিজের টাকার উপরে ভিত্তি করে ব্যবসা পরিচালনা করে না, বরং আমানতকারীদের টাকার উপরেই একে নির্ভর করতে হয়। তাই ভবিষ্যতে যাতে আমানতকারীরা চাওয়ামাত্র তাদের দাবি পরিশোধ করা যায় এমন পরিমাণ সঞ্চিতি রেখে তবেই ব্যাংক ঋণ মঞ্জুর করে। শুধু তাই নয়, কত দ্রুত এই ঋণের অর্থ ফেরত পাওয়া যাবে সেটাও বিবেচ্য বিষয়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)] 

২. নিরাপত্তা

ঋণগ্রহীতা ঋণের অর্থ ফেরত দিতে না পারলে অথবা যথাসময়ে ফেরত দিতে না পারলে ব্যাংককে মারাত্মক অর্থের ঘাটতিতে পড়তে হয়। তাই ব্যাংক ঋণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সাধারণত ঋণগ্রহীতার কাছ থেকে উপযুক্ত ব্যক্তিগত ও অব্যক্তিগত
জামানত গ্রহণ করে থাকে। ঋণগ্রহীতা যথাসময়ে ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পারলে ব্যাংক জামানতী সম্পত্তি বিক্রি করে ঐ টাকা আদায় করে নিতে পারে। অবশ্য জামানত বিক্রি করে ঋণের টাকা আদায় করতে হবে আগে থেকেই এমন সন্দেহ সৃষ্টি হলে ব্যাংক তাকে ঋণ দেয় না।

৩. ঋণগ্রহীতার আর্থিক সচ্ছলতা

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)] 

ঋণগ্রহীতা আর্থিকভাবে সচ্ছল হলে তার কাছ থেকে ঋণের অর্থ ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। কিন্তু তার আর্থিক অবস্থা খারাপ হলে অথবা তার সম্পত্তির পরিমাণ ঋণের দায় পরিশোধের জন্য যথেষ্ট না হলে সেক্ষেত্রে ঋণের অর্থ আদায় অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। তাই ঋণ মঞ্জুর করার সময় ঋণগ্রহীতার আর্থিক স্বচ্ছলতার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্বসহকারে দেখা হয়।

৪. ঋণগ্রহীতার সততা

ব্যাংক কখনোই অসৎ ব্যক্তিকে ঋণ দিতে চায় না। কারণ এমন লোক সবসময়ই বিভিন্ন টালবাহানা করে ঋণের টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)] 

৫. ঋণগ্রহীতার ব্যবসায়ীক দক্ষতা

ঋণগ্রহীতা যদি কোন ব্যবসায়ী হন তবে তাকে ঋণ মঞ্জুরের সময় ব্যাংক তার ব্যবসায়ীক দক্ষতা ও যোগ্যতা বিশে=ষণ করে
দেখে। কেননা, অসফল ব্যবসায়ী ঋণ নিলে সে ঋণ ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)] 

৬. মুনাফার সম্ভাব্যতা

ঋণগ্রহীতা যে খাতে ব্যবহারের জন্য ঋণের আবেদন করে ঐ খাতে কতটা মুনাফা অর্জন করা যেতে পারে ব্যাংক তা বিশ্লেষণ করে। যেসব খাতে বেশি মুনাফা অর্জন করা সম্ভব সেসব খাতে ঋণ দিতে ব্যাংক বেশি আগ্রহী হয়, কারণ ঐ খাতে ঋণের টাকা
ফেরত পাবার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

৭. ঋণের উদ্দেশ্য

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)] 

ঋণগ্রহীতা যে খাতে বিনিয়োগের জন্য ঋণের আবেদন করে ঐ খাত কতটা উৎপাদনশীল তা বিবেচনা করে দেখা হয়, কারণ অনুৎপাদনশীল খাতে ঋণ দিলে তা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখে না এবং ঋণের অর্থ ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনাও কম
থাকে।

৮. ঋণের বৈচিত্রকরণ

ব্যাংক তার তহবিলের একটা বড় অংশ ঋণ হিসাবে বিতরণ করে। এই ঋণ যদি মাত্র কয়েকজন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে অথবা মাত্র কয়েকটি খাতে এই ঋণ দেওয়া হয় তবে ঋণের অর্থের ঝুঁকির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। কোন একক ঋণগ্রহীতাকে অনেক বেশি পরিমাণ ঋণ দিলে সে যদি তা যথাসময়ে পরিশোধ করতে না পারে অথবা কোন একক খাতে অনেক বেশি পরিমাণ ঋণ দিলে ঐ খাত যদি সফল না হয় তবে ব্যাংক বড় ধরণের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। তাই ঋণ মঞ্জুরের সময়
ব্যাংক বেশি সংখ্যক ব্যক্তিকে বিভিন্ন ধরণের খাতে বিনিয়োগের জন্য ঋণ দিতে আগ্রহী হয়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)] 

৯. জামানতের গুণাগুণ

জামানতের বিপক্ষে ঋণ দেওয়া হলে ব্যাংক জামানতের গুণাগুণ ভালো করে যাচাই করে দেখে। ভালো মানের জামানত না হলে ব্যাংক তা সহজে বিক্রি করতে পারে না বলে অনাদায়ী ঋণের অর্থ আদায় করাও অসম্ভব হয়ে পড়ে।

১০. জামানতের বিক্রয়যোগ্যতা

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)] 

যে জামানতের বিপক্ষে ব্যাংক ঋণ মঞ্জুর করে তা সহজে বিক্রয়যোগ্য হতে হবে। স্থাবর সম্পত্তি সহজে বিক্রি করা যায় না বলে এর বিপক্ষে ঋণ দিতে ব্যাংক খুব বেশি আগ্রহী হয় না।

সবশেষে বলা যায় বাণিজ্যিক ব্যাংকের সফলতা অনেকাংশে নির্ভর করে এর ঋণ ব্যবস্থাপনার সফলতার উপরে। কারণ যথাসময়ে ঋণ মঞ্জুর করলে এবং যথাসময়ে তা ফেরত পাওয়া গেলে ব্যাংক চলমান আয় সংগ্রহ করতে পারে এবং নতুন নতুন
ঋণের সৃষ্টি করতে পারে। সুতরাং ব্যাংকের ঋণদানের সামর্থ্য ও মুনাফা বাড়ানোর জন্য উপরের বিষয়গুলো ভালোভাবে বিবেচনা করে ঋণ দেওয়া উচিত।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)] 

শিক্ষা

2 thoughts on “তুমি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হিসাবে কিভাবে ব্যবসায়িক ঋণ পেতে পার?, ব্যবসায়িক ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংক কী কী বিষয় বিবেচনা করবে?”

Leave a Comment