চাকরি পাওয়ার দোয়া,ভালো চাকরি পাওয়ার দোয়া,চাকরি ফিরে পাওয়ার দোয়া,তাড়াতাড়ি চাকরি পাওয়ার দোয়া,ভালো চাকরি পাওয়ার আমল,ভালো চাকরি পাওয়ার উপায়

Google Adsense Ads

চাকরি পাওয়ার দোয়া,ভালো চাকরি পাওয়ার দোয়া,চাকরি ফিরে পাওয়ার দোয়া,তাড়াতাড়ি চাকরি পাওয়ার দোয়া,ভালো চাকরি পাওয়ার আমল,ভালো চাকরি পাওয়ার উপায়

আপনার জন্য: আল কোরআনের অনুবাদ ও প্রতিটি সূরার ফজিলত ও তরজমা

চাকরি খোঁজা অনেকের জন্য নিতান্ত কঠিন কাজ। কিন্তু টিকে থাকার লড়াইয়ে শিক্ষিত-অশিক্ষিত প্রত্যেকেই একটি ভালো চাকরি বা কর্মসংস্থানের সন্ধানে ছোটে। আর এতে প্রচণ্ড চাপের মধ্য দিয়ে একটি সময় পার করতে হয়। আবার চাকরির সন্ধানে এদিক-ওইদিক ঘুরে-ফিরে বয়স হারিয়ে ফেলার উদাহরণও কম নয়।

বলার অপেক্ষা রাখে না যে, রিজিকের একমাত্র মালিক মহান আল্লাহ তাআলা। তাই চাকরির জন্য চেষ্টা-শ্রমের পাশাপাশি অবশ্যই আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করতে হবে। তার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করতে হবে। এতে তিনি চাকরি লাভের আনুসাঙ্গিক বিষয়াদি সহজ করে দেবেন। অভাবনীয় সাফল্য দিয়ে কৃতার্থ করবেন।

চাকরির পাওয়ার জন্য কিংবা একটা যুতসই কর্ম আপনি ইন্টারনেটে প্রচুর দোয়া পেতে পারেন, যার অধিকাংশই শুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত নয় কিংবা দলিল-প্রমাণের মাধ্যমে সাব্যস্ত নয়। তাই এই লেখায় কোরআনে বর্ণিত একটি দোয়া বা আমল তুলে ধরা হয়েছে, যাতে করে চাকরি প্রত্যাশী সহজে সঠিক ও শুদ্ধ আমলটুকু করতে পারেন। আর এতে অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে আশা করা যায়, আল্লাহ তাআলা দ্রুত তার জন্য ভালো চাকরি বা উত্তম রিজিকের ব্যবস্থা করবেন।

চাকরি লাভের কোরআনি আমল

এই দোয়াটি আল্লাহর নবী মুসা (আ.) করেছিলেন। দোয়াটির প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি আমরা পরে উল্লেখ করব ইনশাআল্লাহ।

আরবি :

رَبِّ إِنِّي لِمَا أَنزَلْتَ إِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِيرٌ

উচ্চারণ : রাব্বি ইন্নি লিমা- আনজালতা ইলাইয়া মিন খাইরিন ফাকির।

অর্থ : হে আমার পালনকর্তা, তুমি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ পাঠাবে, আমি সেটার মুখাপেক্ষী। (সুরা আল-কাসাস, আয়াত : ২৪)

চাকরি পেতে তাসবিহ পাঠ

ভালো চাকরি লাভ অনেকের জন্য এখন দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। নানা ধরনের অসুবিধা ও বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তাই ভালো ও মানসম্পন্ন চাকরি লাভের প্রত্যাশার আল্লাহর কাছে দোয়া করা উচিত। তার মহান গুণবাচক নামের আমল করা এবং বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা চাই। গুণবাচক নামগুলোর একটি হলো-

يَا وَهَّابُ

উচ্চারণ : ‘ইয়া ওয়াহহাবু’

অর্থ : কোনোরূপ প্রতিদান ব্যতীত অধিক দানকারী।

উলামায়ে কেরাম বলেন, যারা এসব আমল বেশি বেশি করবেন; আল্লাহ তাআলা তাদের রিজিকে বরকত দান করবেন। তাদের কোনো অভাব-অনটন ও প্রয়োজন থাকলে, দ্রুত সবকিছুর সমাধান দেবেন। 

মুসা (আ.)-এর দোয়ার প্রেক্ষিত ঘটনা

মহান আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে মুসা (আ.) বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করেছেন। বিশেষভাবে বলতে গেলে, আল্লাহ তাআলা কোরআনে সবচেয়ে বেশি আলোচনা করেছেন তার বিষয়ে। সেখানে আল্লাহর প্রতি তার আকুতি ও আশ্রয় লাভ এবং কাজ অনুসন্ধানের আহ্বান উঠে এসেছে। পবিত্র কোরআনে ও তাফসিরের গ্রন্থগুলোতে সেই ঘটনাটি যেভাবে বর্ণিত হয়েছে, তার সংক্ষিপ্ত রূপ এখানে উল্লেখ করা হলো—

ফেরাউনের রোষানলে পড়ে মুসা আলাইহিস সালাম মিশর থেকে দূরে চলে যান। মাদায়িন শহরে গিয়ে পৌঁছান তিনি। সেখানে তার কোনো আশ্রয়ের কিংবা জীবিকার কোনো সংস্থান ছিল না। সেই ঘটনা কোরআনে উল্লেখ করে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যখন তিনি মাদইয়ান অভিমুখে রওয়ানা হলেন; তখন বললেন, আশা করা করছি— আমার পালনকর্তা আমাকে সরল পথ দেখাবেন। যখন তিনি মাদইয়ানের কূপের ধারে পৌঁছলেন, তখন কূপের কাছে একদল লোককে পেলেন— যারা পশুদের পানি পান করানোর কাজে ব্যস্ত। এবং তাদের পেছনে দুইজন নারীকে দেখলেন— তারা তাদের পশুগুলোকে আগলিয়ে রাখছে। তিনি বললেন, তোমাদের কী ব্যাপার? তারা বললেন, রাখালরা ওদের পশুগুলোকে নিয়ে সরে না গেলে— আমরা আমাদের পশুগুলোকে পানি পান করাতে পারি না। আর আমাদের বাবা অশীতিপর বৃদ্ধ।’ (সুরা কাসাস : আয়াত ২২-২৩)

যেভাবে মুসা (আ.) আশ্রয় ও কর্মসংস্থান লাভ করেন

এরপরের আয়াতেই মুসা (আ.) কাজ চেয়ে আল্লাহর মুখাপেক্ষী হওয়ার বিনীত নিবেদন এসেছে। আল্লাহ তাআলা মুসা আলাইহিস সালামের সেই আহ্বান এভাবে তুলে ধরেন, ‘অতঃপর মুসা তাদের (দুই নারীর) জন্তুদের পানি পান করালেন। এরপর তিনি ছায়ার দিকে ফিরে গেলেন এবং বললেন, ‘হে আমার পালনকর্তা, তুমি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ অবতীর্ণ করবে, আমি সেটার মুখাপেক্ষী।” (সুরা কাসাস, আয়াত : ২৪)

Google Adsense Ads

অর্থাৎ আমার আশ্রয়, কাজ ও কর্মসংস্থান দরকার। আর তুমি আমার জন্য যে কাজ বা জীবিকার ব্যবস্থা করবে, আমি তোমার ব্যবস্থা করা সে কাজের বা জীবিকার মুখাপেক্ষী।

ভালো চাকরি ও উত্তম কর্মসংস্থান পেতে যে এ দোয়া কার্যকরী— তা পরের আয়াতেই বর্ণিত ঘটনায় প্রমাণিত। আল্লাহ বলেন, ‘তখন (ওই) দুই নারীর একজন লজ্জাজড়িত পদে তার কাছে এসে বলল, আপনি যে আমাদের পশুগুলোকে পানি পান করিয়েছেন— তার পারিশ্রমিক দেওয়ার জন্য আমার বাবা আপনাকে ডাকছেন। অতঃপর মুসা আলাইহিস সালাম তার কাছে এসে সব ঘটনা বর্ণনা করলে বৃদ্ধ বললেন, ‘ভয় করো না, তুমি জালিম সম্প্রদায়ের কবল থেকে বেঁচে গেছ। ওদের (দুই নারীর) একজন বলল, হে আব্বা! আপনি একে মজুর-কর্মী হিসেবে নিযুক্ত করুন। কারণ, আপনার চাকর-মজুর হিসেবে নিশ্চয় সে (মুসা) উত্তম হবে, যে শক্তিশালী ও বিশ্বস্ত।’ (সুরা কাসাস : আয়াত : ২৫-২৬)

আল্লাহর নবী হজরত মুসা (আ.) এভাবেই আল্লাহর কাছে দোয়া ও অন্যকে সহযোগিতা করার মাধ্যমে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে উত্তম কর্মক্ষেত্র, জীবিকা ও আশ্রয় লাভ করেছিলেন। অতএব, যাদের উত্তম চাকরি ও কর্মক্ষেত্র ও কর্মসংস্থানের প্রয়োজন— তাদের উচিত সার্বিক চেষ্টা-প্রচেষ্টার পাশাপাশি মহান আল্লাহর কাছে এসব আমলের মাধ্যমে সহযোগিতা কামনা করা। আল্লাহ তাআলা আমাদের তাওফিক দান করুন। আমিন

আপনার জন্য: আল কোরআনের অনুবাদ ও প্রতিটি সূরার ফজিলত ও তরজমা

Google Adsense Ads

Leave a Comment