গদ্য: মাসি-পিসি, আহ্লাদির স্বামীর নাম কী?

গদ্য: মাসি-পিসি

১। মা মরা মেয়ে নাজিরা। অনেক জাঁকজমকের সাথে বাবা তাকে মিয়াবাড়িতে বিয়ে দেয়। কিন্তু বিয়ের এক বছরের মাথায় বাবাও মারা যান। এদিকে নাজিরার উপর তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লােকজনের অত্যাচারও বেড়ে যায়। নাজিরার এ দু:খের দিনে তার পাশে এগিয়ে আসেন নাজিরার খালা। খালার আশ্রয়েই নাজিরা এখন নিরাপদ জীবনযাপন করছে।

ক. আহ্লাদির স্বামীর নাম কী?

উত্তর: আহ্বাদী স্বামীর নাম জণ্ড

খ. “সােয়ামি নিতে চাইলে বৌকে আটকে রাখার আইন নেই”। -অর্থ কী? বুঝিয়ে লেখ।

উত্তর; সােয়ামি মানে স্বামী আর স্বামী যদি তার বউকে আনতে চাই অন্য কোন লোক তাতে বাধা দিতে পারে না । কোন ভাবে বাধা দেওয়ার বা আটকে রাখার আইন ছিলো না সেই সময় তা বুঝানো হয়েছে।

গ. উদ্দীপকের নাজিরা “মাসি পিসি” গল্পের কোন চরিত্রের প্রতিরুপ? আলােচনা কর।

উত্তর; উদ্দীপকের নাজিরা মাসি পিসি গল্পের আস্লাদির প্রতিরূপ।

মাসি-পিসি গল্পের আস্লাদীর বিয়ে হয় জগুর সঙ্গে। নেশাখাের জগুর সাথে আম্লাদির কোন বনিবনা ছিল না। জগু তাকে নানাভাবে নির্যাতন করতাে। কখনাে লাঠির আঘাত, কখনাে ঝাঁটাপেটা,কলকেপােড়া ছ্যাকা দিত।এমনকি কি তার অত্যাচারে আগ্লাদির গর্ভের সন্তান পর্যন্ত নষ্ট হয়ে যায়।

স্বামীর এমন নিমমতা সহ্য করতে না পেরে আস্লাদ বাবার বাড়ি চলে আসে। এবং পিতৃ-মাতৃহীন মাসি পিসির আনুকূল্যে নির্ভর জীবন যাপন করে।

ঘ, নারীর নিরাপদ জীবন ব্যবস্থা করতে সমাজের ভূমিকা কী হওয়া উচিত বলে তুমি মনে কর? উদ্দীপক ও “মাসি পিসি” গল্পের আলােকে যৌক্তিক মতামত দাও।

উত্তর: নারীর নিরাপদ জীবন ব্যবস্থা রক্ষায় সমাজের মানুষের সচেতন ভূমিকা কার্যকর পদক্ষেপ বলে আমি মনে করি।

মাসি পিসি গল্পে নারী নির্যাতনের এক নিখুঁত চিত্র অঙ্কিত হয়েছে। পুরুষশাসিত সমাজে নারীরা নিগ্রহের শিকার। নেশায় চুর হওয়া স্বামীর নির্মমতা সহ্য করা তখনকার নারীরা অসচেতন। হওয়া ভাগ্যের ফের বলেই মেনে নিয়েছিল। মা বাবা হারা নাজিরা শ্বশুরবাড়ির নির্যাতনের শিকার। স্বামী নানাভাবে অত্যাচার করে। সুখের স্বপ্ন বুকে লালন করে নাজিরা শ্বশুরবাড়ি গেলেও তার স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়। স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে এক অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ মেনে নিয়ে তাকে চলে আসতে হয়।

সমাজের অধিকাংশ নারী অশিক্ষিত ও অসচেতন। নিজের অধিকার সম্পর্কে তারা সচেতন নয় এ কারণে সমাজে প্রতিটি নিরাপদ জীবন নিগ্রহের শিকার। নারীর নিরাপদ জীবনব্যবস্হা না থাকায় তার নিজেদের অসহায় ভাবে। স্বামীর নির্মমতা সহ্য করতে না পেরে হয়তাে অকালে জীবন দিতে হয়। কিন্তু নারীর নিরাপদ জীবন ব্যবস্হা রক্ষা করা সমাজের কর্তব্য। এ জন্য সমাজের প্রতিটি মানুষকেই সচেতন ভুমিকা গ্রহণ করতে হবে আমি মনে করি।

Leave a Comment