খাদ্য লবণ বা অবিশুদ্ধ সােডিয়াম ক্লোরাইড থেকে বিশুদ্ধ সোডিয়াম ক্লোরাইড কেলাস প্রস্তুত প্রণালী বর্ণনা কর

Advertisement

ভোকেশনাল ৫ (গ) ব্যবহারিক

১। খাদ্য লবণ বা অবিশুদ্ধ সােডিয়াম ক্লোরাইড থেকে বিশুদ্ধ সোডিয়াম ক্লোরাইড কেলাস প্রস্তুত প্রণালী বর্ণনা কর।
নির্দেশনা :

ক) প্রস্তুত প্রণালীর মূলনীতি লিখবে।
খ) প্রয়ােজনীয় রাসায়নিক দ্রব্যের নাম লিখবে।
গ) প্রয়ােজনীয় যন্ত্রপাতির নাম লিখবে।
ঘ) কাজের ধারা লিখবে।
ঙ) প্রয়ােজনীয় চিত্র অঙ্কন করবে।
চ) সতর্কতা সমূহ লিখবে।

Unit 09 14

Advertisement 5

ছবির লেখা গুলো নিচে দেওয়া হলো

সমুদ্রের পানি থেকে সোডিয়াম ক্লোরাইড সংগ্রহ করা হয়। রকসল্টও সোডিয়াম ক্লোরাইড। এই দুই উৎস থেকে
প্রাপ্ত ঘধঈষ এ বিভিন্ন দ্রবণীয় অপদ্রব্য বা ভেজাল যথা- ঈধঈষ

দ্রবীভ‚ত
থাকে। এছাড়াও বেশ কিছু অদ্রবণীয় ভেজালও থাকে। নমুনা লবণকে প্রথমে দ্রবীভ‚ত করার পর অদ্রবণীয় ভেজাল গুলোকে
পরিস্রাবণের সাহায্যে পৃথক করা হয়। পরে, দ্রবণকে উত্তপ্ত করে সম্পৃ ক্ত করার পর দ্রবণে সামান্য পরিমাণ ঐঈষ যোগ করলে বা ঐঈষ
গ্যাস পরিচালনা করলে দ্রবণে ঈষ
আয়নের ঘনমাত্রা বৃদ্ধি পায়। এইভাবে দ্রবণে ঘধ
+
ও ঈষ

আয়নের আয়নিক গুণফল ঘধঈষ এর
দ্রাব্যতা গুণাংককে অতিক্রম করে। তাই সাধারণ আয়ন প্রভাবের জন্য দ্রবণ থেকে বিশুদ্ধ ঘধঈষ কেলাস আকারে বের হয়ে আসে
এবং দ্রবণীয় ভেজালগুলো দ্রবণেই থেকে যায়।
প্রয়োজনীয় উপকরণ ও রাসায়নিক দ্রব্যঃ কঠিন খাদ্য লবণের নমুনা, ২টি বিকার, ১টি ফানেল, চিনামাটি বা পোর্সেলিনের বেসিন, ত্রিপদী স্ট্যান্ড, কাঁচদন্ড, তারজালি এবং ফিল্টার কাগজ।
কার্যপদ্ধতি (চৎড়পবফঁৎব)
১। ২৫০ সেমি

আয়তনের একটি বিকারে ১০০ সেমি

পানি নিয়ে এতে প্রায় ৩৫ গ্রাম অবিশুদ্ধ ঘধঈষ যোগ করে একটি
কাঁচাদন্ডের সাহায্যে উত্তমরূপে নেড়ে দ্রবণ প্রস্তুত করতে হবে।
২। এর পর ফিল্টার কাগজের মাধ্যমে দ্রবণটিকে পরিস্রাবণ করে পরিস্রুত দ্রবণ অন্য বিকারে নিতে হবে।
৩। বিকারটিকে ত্রি- পদী স্ট্যান্ডের উপরে স্থাপিত তারজালির উপর বসিয়ে বুনসেন দীপের সাহায্যে উত্তপ্ত করে দ্রবণটিকে ঘনীভ‚ত
(সম্পৃ ক্ত) করতে হবে। দ্রবণটি সম্পৃ ক্ত হয়েছে কিনা জানার জন্য উত্তপ্ত ঘনীভ‚ত দ্রবণের কিছু পরিমাণ একটি পরীক্ষা নলে
নিয়ে ট্যাপের পানিতে ঠান্ডা করতে হবে। ঠান্ডা দ্রবণে কেলাস দেখা গেলেই দ্রবণটি সম্পৃ ক্ত হয়েছে বলে ধরে নেয়া যায়।
৪। সম্পৃ ক্ত উত্তপ্ত দ্রবণকে কিছুটা শীতল করার পর দ্রবণে সামান্য পরিমাণ বিশুদ্ধ গাঢ় ঐঈষ যোগ করতে হবে। এর ফলে বিশুদ্ধ
ঘধঈষ এর কেলাস উৎপন্ন হয়ে নিচের দিকে জমা হতে থাকবে।
৫। উপরের স্বচ্ছ দ্রবণে আরও কিছু পরিমাণ বিশুদ্ধ গাঢ় ঐঈষ যোগ করলে কেলাসন প্রক্রিয়া শেষ হবে।
৬। পরিস্রাবণের সাহায্যে দ্রবণ থেকে ঘধঈষ এর কেলাস পৃথক করতে হবে এবং কেলাসগুলো ঘধঈষ এর গাঢ় দ্রবণে ধৌত করতে
হবে।
ক) ঘধঈষ এর কেলাস প্রস্তুতি খ) কেলাস শুষ্ক করণ
৭। প্রাপ্ত কেলাসগুলোকে পোর্সেলিন বা চিনা মাটির ছড়ানো বেসিনে নিয়ে সামান্য উত্তপ্ত করুন। এর ফলে কেলাসের গায়ে লেগে
থাকা ঐঈষ বাষ্পাকারে চলে যাবে। এভাবে প্রাপ্ত প্রায় শুষ্ক কেলাসগুলোকে বায়ুতে রেখে শুষ্ক করা হয়।
৮। দ্রæত শুষ্ক করার জন্য কেলাসগুলোকে অনার্দ্র ঈধঈষ

পূর্ণ একটি শোষকাধারে রাখা হয়। কিছু ক্ষণ পর বিশুদ্ধ ও শুষ্ক ঘধঈষ
কেলাস পাওয়া যায়।
পরীক্ষণের কার্যকারিতা (ঊভভরপরবহপু):
১। বিশুদ্ধ কেলাসের শতকরা উৎপাদন: নিচের সমীকরণ ব্যবহার করে প্রাপ্ত বিশুদ্ধ কেলাসের শতকরা উৎপাদন নির্ণয় করা যায়:
শতকরা উৎপাদন =
বিশুদ্ধ ও শুষ্ক ঘধঈষ এর ভর
অবিশুদ্ধ নমুনা ঘধঈষ এর ভর
 ১০০
শতকরা উৎপাদন নির্ণয় করে নমুনার বিশুদ্ধতা এবং পরীক্ষণের কার্যকারিতা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।

H.S.C

Advertisement 2

Advertisement 5

Advertisement

Advertisement 2

Advertisement 3

3 thoughts on “খাদ্য লবণ বা অবিশুদ্ধ সােডিয়াম ক্লোরাইড থেকে বিশুদ্ধ সোডিয়াম ক্লোরাইড কেলাস প্রস্তুত প্রণালী বর্ণনা কর”

Leave a Comment