‘এন্ডি’ শব্দের অর্থ কী?,জমিরনকে তার মা রাজবাড়ীতে নিয়ে আসত কেন?,উদ্দীপকের সন্ধ্যারাণীর সঙ্গে ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধের সাদৃশ্য তুলে ধর,সভ্যতার বিবর্তনে এ হস্তশিল্প জাদুঘরে স্থান পাচ্ছে’- উক্তিটি সম্পর্কে তোমার মতামত দাও

বিষয়: ‘এন্ডি’ শব্দের অর্থ কী?,জমিরনকে তার মা রাজবাড়ীতে নিয়ে আসত কেন?,উদ্দীপকের সন্ধ্যারাণীর সঙ্গে ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধের সাদৃশ্য তুলে ধর,সভ্যতার বিবর্তনে এ হস্তশিল্প জাদুঘরে স্থান পাচ্ছে’- উক্তিটি সম্পর্কে তোমার মতামত দাও

নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং সৃজনশীল প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ

সন্ধ্যারানী টাঙ্গাইলের প্রত্যন্ত গ্রামে বসবাস করে। স্বামী গরিব কৃষক। পৈতৃক পেশা জানা থাকায় সংসারে তাঁত বুনে কিছু আয় হয়। গ্রামের অধিকাংশ নারী তার কাছ থেকে তাঁত বোনা শিখে তাদের সংসারের কাপড়ের অভাব মেটায়। কিন্তু এখন কারখানায় কাপড় তৈরি হওয়ায় তাদের কাপড় বন্ধ হওয়ার উপক্রম। ফলে সংসারে অভাব দেখা দিয়েছে। সভ্যতার বিবর্তনে এ হস্তশিল্প আজ জাদুঘরে স্থান পাচ্ছে। 

ক. ‘এন্ডি’ শব্দের অর্থ কী?

খ. জমিরনকে তার মা রাজবাড়ীতে নিয়ে আসত কেন?

গ. উদ্দীপকের সন্ধ্যারাণীর সঙ্গে ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধের সাদৃশ্য তুলে ধর।

ঘ. ‘সভ্যতার বিবর্তনে এ হস্তশিল্প জাদুঘরে স্থান পাচ্ছে’- উক্তিটি সম্পর্কে তোমার মতামত দাও।

ক. জ্ঞান

‘এন্ডি’ শব্দের অর্থ মোটা রেশমি কাপড়। 

খ. অনুধাবন

জমিরনের মাথায় তেল দেয়ার জন্য তার মা তাকে রাজবাড়ীতে নিয়ে আসত।

তখনকার দিনে কৃষকদের আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ ছিল। তেলের দাম কম হলেও জমিরনের বাবার তেল কেনার সামর্থ্য ছিল না। তাই জমিরনের মাথায় তেল দিতে তার মা তাকে রাজবাড়ীতে নিয়ে আসত।

গ. প্রয়োগ

উদ্দীপকের সন্ধ্যারাণীর সঙ্গে ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধের আসাম ও রংপুর অঞ্চলের বাঙালি রমণীদের সাদৃশ্য লক্ষ করা যায়।

গ্রামবাংলায় একসময় হস্ত ও কুটির শিল্পের ব্যাপক প্রচলন ছিল। কুটিরশিল্পের মাধ্যমে গৃহবধূরা বস্ত্রসহ গৃহস্থালির নানা প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি অর্থ উপার্জনও করত। কিন্তু যান্ত্রিক সভ্যতার আগ্রাসনে এ শিল্প আজ হারিয়ে যাওয়ার পথে। ফলে আর্থিক সংকটে পড়ে হয় অনেক পরিবার।

উদ্দীপকের সন্ধ্যারাণীর মতো আরো অনেকেই চরকায় সুতা কেটে জীবিকা নির্বাহ করত। ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধেও বাঙালি রমণীদের চরকায় সুতা কেটে জীবিকা নির্বাহ করার পাশাপাশি ঘরের ব্যবহৃত কাপড়ের জোগান দেয়ার কথা বলা হয়েছে। উদ্দীপকে সন্ধ্যারাণীর তাঁত বোনা একসময় বন্ধ হয়ে যায় মেশিনে সুতা উৎপন্ন করে কাপড় তৈরি করার কারণে। অন্যদিকে ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধে আসাম ও রংপুর  অঞ্চলের নারীদের তৈরি এন্ডি কাপড়ও একসময় বিলীন হয়ে যায়। সভ্যতার বিবর্তনে বাজারে স্বল্পমূল্যে রঙিন ও মিহি কাপড় পাওয়া যায় বলে। ফলে সন্ধ্যারাণীর মতো এদের সংসারেও অভাব দেখা দেয়, যা উদ্দীপকের সঙ্গে ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধের সাদৃশ্য তৈরি করে।

ঘ. উচ্চতর দক্ষতা

কালের বিবর্তনে এ হস্তশিল্প জাদুঘরে স্থান পাচ্ছে উক্তিটি যথার্থ ভাবেই সত্যি।

কালের বিবর্তনে নানা শিল্প আজ বিলুপ্তপ্রায়, কোনো কোনো শিল্প জাদুঘরে স্থান পেয়েছে। ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধে লেখিকা আসাম ও রংপুর অঞ্চলের নারীদের তৈরি দেশীয় কুটিরশিল্প ‘এন্ডি’ কাপড় এবং এর বিলীন হওয়ার কথা বলেছেন। উদ্দীপকে পরিণতির মধ্যেও এরই প্রতিফলন লক্ষ করা যায়।

উদ্দীপকের বর্ণনায় গ্রামের অনেক নারীই চরকায় সুতা কেটে পরিবারের সকলের জন্য কাপড় তৈরি করত। এছাড়াও সন্ধ্যারাণী এ কাজ করে উপার্জনের মাধ্যমে সংসারে সচ্ছলতা আনতে সক্ষম হয়েছিলেন। কিন্তু নব্য সভ্যতার আগ্রাসনে তার কাজের চাহিদা শেষ হয়ে যায়।

‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধে দেখা যায়, একসময় বাংলার ঘরে ঘরে কুটির শিল্পের ব্যাপক প্রচলন ছিল। বাংলার ঘরে ঘরে রমণীরা কোনো না কোনো হস্তশিল্প অথবা কুটিরশিল্পের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এ থেকে তাদের ঘরের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি কিছু আয়ও হতো।

কালের আবহে সভ্যতার করাল গ্রাসে হস্তশিল্প বন্ধ হওয়ার উপক্রম। ফলে হস্তশিল্প হারিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি এ শিল্পসংশ্লিষ্টদের উপার্জনের পথও বন্ধ হয়ে যায়, সংসারে নেমে আসে অভাবের বোঝা। কার্যকারণ ও ফলাফল বিচারে তাই প্রশ্নোক্ত উক্তিটি যথাযথ।


আরো ও সাজেশন:-

নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং সৃজনশীল প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ

আবিদ সাহেব নতুন বিয়ে করেছেন। স্ত্রী অল্প শিক্ষিতা। একটু নবাবি চাল-চলন বজায় রাখতে চান তিনি। আবিদ সাহেবের সামান্য বেতনে সংসার চালাতে কষ্ট হয়। তবে পূর্বে একান্নবর্তী পরিবারের সাথে থাকাকালে তার অবস্থা ভালোই ছিল। কিন্তু তার স্ত্রী ঘরে উৎপাদিত পণ্যের পরিবর্তে বাজারের তেল, জল, লবণ, সোডা প্রভৃতি ব্যবহারের প্রতি জোর দিয়েছে। এসব নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনে সংসার চালাতে আবিদ সাহেবকে হিমশিম খেতে হয়। তবুও তার স্ত্রীর বিলাসিতা চাই।

ক. সভ্যতার আগমনে রমণীরা ক্ষারের পরিবর্তে কীসের ব্যবহার শুরু করেছিল?

খ. এন্ডি কাপড় বিলুপ্ত হয়ে গেল কেন? -ব্যাখ্যা কর। 

গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধের সাদৃশ্য তুলে ধর।

ঘ. ‘আধুনিক সভ্যতা ও বিলাসিতা একে অপরের সহোদর’- উদ্দীপক ও ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধ অবলম্বনে মন্তব্যটি মূল্যায়ন কর।

ক. জ্ঞান

সভ্যতার আগমনে রমণীরা ক্ষারের পরিবর্তে সোডা ব্যবহার করতে শুরু করেছিল।

খ. অনুধাবন

কারখানায় নানা রঙের চিকন সুতার কাপড় উৎপন্ন হওয়ায় এন্ডি কাপড় একসময় বিলুপ্ত হয়ে যায়।

বাংলার ঘরে ঘরে একসময় এন্ডি কাপড় তৈরি হলেও আধুনিক সভ্যতার প্রভাবে কারখানায় চিকন সুতার বর্ণিল কাপড় উৎপাদন শুরু হয়। সেগুলো দেখতে সুন্দর, দামেও সস্তা। ফলে এন্ডি কাপড়ের চাহিদা ব্যাপকভাবে হ্রাস পায়। যার দরুন এন্ডি কাপড় একসময় বিলুপ্ত হয়ে যায়।

গ. প্রয়োগ

বিলাসিতার দিক থেকে উদ্দীপকের সঙ্গে ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধের মিল রয়েছে।

‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধে চাষার দুঃখ-কষ্টের প্রধান কারণ হিসেবে উঠে এসেছে দেশি পণ্যের প্রতি তাদের অনীহা ও বিলাসী মনোভাব, যার পরিণতি উদ্দীপকের ঘটনাতেও লক্ষ করা যায়।

উদ্দীপকে আবিদ সাহেবের অল্প শিক্ষিত স্ত্রী আধুনিক সভ্যতায় অভ্যস্ত। পূর্বে কৃষক-রমণীরা যেখানে চরকায় সুতা কেটে জামা-কাপড় তৈরি করত, ক্ষার তৈরি করে কাপড় ধৌত করত, ঘানি টেনে তেল তৈরি করত, হাঁস-মুরগি লালন-পালন করে সংসারে আয় করত, নব্য আধুনিক শিক্ষিতা রমণীরা এসবের ধারে-কাছেও নেই। তাই আবিদ সাহেবের স্ত্রী ঘরে উৎপাদিত নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি পরিহার করে বাজারের প্রক্রিয়াজাত দ্রব্যাদি ব্যবহার করে। ফলে আবিদ সাহেবের সংসারে অতিরিক্ত ব্যয়ের কারণে মাস-শেষে অর্থাভাব দেখা দেয়। তেমনি ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধেও লেখক দেখিয়েছেন, বিলাসী রমণীদের অনুকরণ-প্রবণতা ও বিলাসিতা আধুনিক সভ্যতারই পরোক্ষ ফল। এদিক দিয়ে উদ্দীপক এবং ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধে সাদৃশ্য দেখা যায়।

ঘ. উচ্চতর দক্ষতা

‘আধুনিক সভ্যতা ও বিলাসিতা একে অপরের সহোদর’-উক্তিটি উদ্দীপক ও ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধের আলোকে যুক্তিযুক্ত।

বিলাসিতা আধুনিক সভ্য সমাজের পরোক্ষ ফল। সভ্য সমাজে বিলাসিতার সাথে সাথে অনুকরণ-প্রবণতাও প্রবলভাবে লক্ষ করা যায়। শুধু পোশাকে নয়, আধুনিক জীবনযাপনে বিলাসিতা প্রবলভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্বায়নের ফলে গোটা বিশ্ব দিন দিন অনুকরণের বিশ্বে পরিণত হচ্ছে।

উদ্দীপকে আবিদ সাহেবের স্ত্রী আধুনিক সভ্যতায় অভ্যস্ত। ফলে তিনি প্রক্রিয়াজাত বাজারের সামগ্রী ব্যবহার করতে পছন্দ করেন। স্ত্রীর এরূপ বিলাসিতাকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে তিনি সংসার চালাতে হিমশিম খান। আলোচ্য ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধে লেখকও সভ্যতার এ বিরূপ দিকটিকে তুলে ধরতে প্রয়াসী হয়েছেন।

‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধে দেখানো হয়েছে, কয়েক বছর আগে যেখানে রমণীরা ক্ষার তৈরি করে কাপড় কাচত, সেখানে সোডা সে জায়গা দখল করেছে। বিচিত্র বর্ণের ফ্লানেল কাপড় মানুষের রুচিকে এতোটাই পরিবর্তন করে দিয়েছে যে, সেখানে মোটা এন্ডি কাপড় আর চলে না, কাপড় ধোয়ার জন্য লন্ড্রি, ঘুরে বেড়ানোর জন্য ট্রাম, ট্রেন, গাড়ি থাকা চাই। যেখানে অভ্রভেদী বাড়ি তৈরি হচ্ছে সেখানে কে চায় খড়ের ঘরে থাকতে। সর্বত্র যখন আধুনিকতার ছোঁয়া, বিলাসিতা সেখানে নতুন কিছু নয়। পরিশেষে বলা যায়, পাল্টে যাচ্ছে মানুষের জীবনযাত্রা প্রণালি, বিজ্ঞান মানুষকে বেগ দিলেও আবেগ কেড়ে নিয়েছে। এখনকার সময় বাইরের ঠাট বজায় রাখাই আধুনিক সভ্য সমাজের বৈশিষ্ট্য। সুতরাং সার্বিক বিবেচনায় প্রশ্নোক্ত উক্তিটি সঠিক।



নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং সৃজনশীল প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ

“সব সাধকের বড় সাধক আমার দেশের চাষা,

দেশ মাতারই মুক্তিকামী দেশের সে যে আশা।

দধীচি কি ইহার চেয়ে সাধক ছিল বড়?

পুণ্য এত হবে নাকো, সব করিলেও জড়।” 

ক. ‘জঠর’ শব্দের অর্থ কী?

খ. প্রবন্ধকার ‘ধান ভানিতে শিবের গীত’ গেয়েছেন কেন?

গ. উদ্দীপকের চাষা ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধের পলি­বাসী কৃষক কোন বিষয়টিকে রূপায়িত করে? -ব্যাখ্যা কর।

ঘ. ‘চাষাই সমাজের মেরুদণ্ড’-উক্তিটি উদ্দীপক এবং ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ কর।

ক. জ্ঞান

‘জঠর’ শব্দের অর্থ হলো উদর।

খ. অনুধাবন

আধুনিক সভ্যতার অগ্রগতি সম্পর্কে আলোকপাত করার তাগিদেই প্রবন্ধকার ‘ধান ভানিতে শিবের গীত’ গেয়েছেন।

‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধের লেখকের মূল আলোচ্য বিষয় চাষার দারিদ্র্যের বর্ণনা। কিন্তু তিনি যদি শুধু এ নিয়েই কথা বলেন তাহলে কেউ বলতে পারে তিনি শুধু সমাজের মন্দ দিকটি নিয়ে আলোচনা করেছেন। সভ্যতার অগ্রগতি বা সমাজের ভালোর দিকটি নিয়ে কথা বলেননি। তাই তিনি প্রথমেই সমাজের ভালো দিকটি সম্পর্কে আলোচনা করেছেন।

গ. প্রয়োগ

উদ্দীপকের চাষা এবং ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধের পলি­বাসী কৃষক পরের কল্যাণে জীবন অতিবাহিত করার বিষয়টিকে রূপায়িত করেন।

কৃষকেরা রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে জমিতে সোনার ফসল ফলান। তাদের কষ্টার্জিত ফসলে ভরে ওঠে ফসলের মাঠ। বিনিময়ে তারা পান অন্ন-বস্ত্রহীন কষ্টের জীবন!

উদ্দীপকে চাষাকেই সবচেয়ে বড় সাধক বলা হয়েছে। কেননা, কৃষকের শ্রমে-ঘামে অর্জিত ফসল মূলত তাদের পরম সাধনার ফল। চাষারাই এদেশের আশা। কেননা, দেশের আপামর জনসাধারণ তাদের উৎপাদিত ফসলের দিকে তাকিয়ে থাকে। ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধেও বলা হয়েছে, কৃষকরা রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে ফসল উৎপাদন করে। কিন্তু তাদের পেটে খাবার থাকে না। অর্থাৎ, তারা অন্যের জন্য সারাজীবন কষ্ট করেন। নিজের সাধনার ফসল নিজে ভোগন করে না। তবে এ নিয়ে তাদের কোনো অভিযোগও নেই। তাই আমরা বলতে পারি যে, উদ্দীপকের চাষা এবং ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধের পলি­বাসী কৃষক পরের কল্যাণে জীবন বিসর্জন করার বিষয়টিকে রূপায়িত করেন। 

ঘ. উচ্চতর দক্ষতা

চাষারা সমাজের সকলের জন্য অন্নের সংস্থান করেন বলে তারাই সমাজের মেরুদণ্ড।

মেরুদণ্ডের ওপর ভর করে যেমন একটি মানুষ সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে তেমনি একটি সমাজও চাষাদের ওপর নির্ভর করে গড়ে ওঠে। কেননা, সমাজের মানুষ কৃষকদের উৎপাদিত অন্ন খেয়েই জীবনধারণ করে।

উদ্দীপকে চাষাদেরই সবচেয়ে বড় করে দেখা হয়েছে। বলা হয়েছে, তারাই সবচেয়ে বড় সাধক এবং দধীচির মতো সাধকের পুণ্যও তাদের তুলনায় কম। তারাই দেশমাতৃকার  মুক্তিকামী এবং দেশের আশা। আবার ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধেও চাষার গুরুত্বের কথা সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। চাষাকেই সমাজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হয়েছে।

উদ্দীপক এবং ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধটি বিশ্লেষণে দেখা যায়, চাষারাই সবচেয়ে বড় সাধক এবং সমাজের প্রধান অংশ। কেননা, তারা নিদারুণ কষ্ট করে অন্যের মুখে হাসি ফোটান। তাই আমরা বলতে পারি যে, ‘চাষাই সমাজের মেরুদণ্ড’ উক্তিটি যথার্থ।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক মাধ্যম গুলোতে ও

Leave a Comment