একটি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান পণ্যের ফরমায়েশদানে কী পদ্ধতি প্রয়ােগ করে কাঁচামাল সংগ্রহের মূলধনী ব্যয় ও পণ্যের যােগান যথাযথ রাখবে?,পন্য উৎপাদনে পণ্যের গুণগত মান নিয়ন্ত্রণের জন্য তুমি কী কী পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি অনুসরণ করবে?

একটি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান পণ্যের ফরমায়েশদানে কী পদ্ধতি প্রয়ােগ করে কাঁচামাল সংগ্রহের মূলধনী ব্যয় ও পণ্যের যােগান যথাযথ রাখবে?

উত্তর:

উৎপাদনের কাজে ব্যবহৃত হয় এমন সবকিছুই উৎপাদনের উপকরণ হিসেবে বিবেচিত। উৎপাদন বলতে কোনো কিছু সৃষ্টি করাকে বুঝায়। কিন্তু বাস্তবে মানুষ কোনো কিছু সৃষ্টি বা ধ্বংস করতে পারে না। সে শুধু প্রকৃতি প্রদত্ত বস্তুর আকার-আকৃতি পরিবর্তন করে ব্যবহার উপযোগী পণ্যে রূপান্তর করে মাত্র।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)] 

মানুষ কর্তৃক এরূপ রূপান্তরকেই উৎপাদন বলা হয়। তবে যেকোনো বস্তু আপনা-আপনি উৎপাদিত হয় না। উৎপাদন করতে হলে কতকগুলো উপকরণ বা উপাদান ব্যবহার করতে হয়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)] 

যেমন- ফসল উৎপাদিত করতে হলে কেবল ভূমি হলে চলবে না, সেখানে কৃষকের শ্রম, মূলধন ও সংগঠন লাগবে। আবার কারখানার উৎপাদন করতে হলে শুধুমেশিন (মূলধন) থাকলে চলবে না, সেখানে ভূমি, শ্রম ও সংগঠনের প্রয়োজন পড়বে। অর্থনীতির দৃষ্টিকোণ হতে উৎপাদনের চারটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো- ভূমি, শ্রম, মূলধন এবং সংগঠন।

এদের মধ্যে কোনো কোনোটি প্রাকৃতিক এবং কোনো কোনোটি অপ্রাকৃতিক।
তাই ব্যাপকভাবে বলা যায়, যে সকল প্রাকৃতিক এবং অপ্রাকৃতিক উপকরণের সাহায্যে পণ্য বা সেবার রূপগত ও গুণগত পরিবর্তন করে মানুষের ব্যবহার উপযোগী করে তোলা যায় তাদেরকে একত্রে উৎপাদন উপকরণ বলা হয়।

উপরোক্ত আলোচনা ও সংজ্ঞা হতে উৎপাদনের উপকরণ সম্পর্কে নিম্নোক্ত ধারণাগুলো পাওয়া যায়

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)] 

১. উৎপাদনের উপকরণ হলো উৎপাদন কাজে ব্যবহৃত উপকরণ;
২. এরূপ উপকরণ প্রাকৃতিক ও অপ্রাকৃতিক হতে পারে;
৩. উৎপাদনের উপাদান চারটি যথা- ভূমি, শ্রম, মূলধন ও সংগঠন;
৪. প্রতিটি উপকরণেরই ব্যবহারিক মূল্য থাকে; এবং
৫. ভূমি ছাড়া অন্যান্য উপকরণ স্থানান্তরযোগ্য।

১.   কৃষি পণ্যের চাহিদা ও যোগান নিরুষপণ, মজুদ ও মূল্য পরিস্থিতি বিশ্লে­ষণ পূর্বক অত্যাবশ্যকীয় কৃষিপণ্যের মূল্য ধারার আগাম প্রক্ষেপণ ও এ বিষয়ে তথ্য ব্যবস্থাপনা এবং প্রচার কর।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)] 

২.   বাজার অবকাঠামো জোরদারকরণ এবং কৃষিপণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থাপনায় সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ বাজার ব্যবস্থা গড়ে তোলা।

৩.   আধুনিক সুবিধা সম্বলিত বাজার অবকাঠামো নির্মাণ এবং কৃষিপণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থায় সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ বাজার ব্যবস্থা গড়ে তোলা।

৪.   গুরুত্বপূর্ণ কৃষিপণ্যের গুণগত মান পরিবীক্ষণ, মান নির্ধারণ ও বিপণন সেবা প্রদানে সহায়তা করা।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)] 

৫.   কৃষক বিপণন গ্রুপ/দল গঠন এবং উৎপাদক ও বিক্রেতার সাথে ভোক্তার সংযোগ স্থাপনে সহায়তা দান।

৬.   কৃষি ব্যবসা ও কৃষি ভিত্তিক শিল্প স্থাপনের মাধ্যমে কৃষি ও কৃষিজাত পণ্যের রপ্তানী বৃদ্ধিতে সহায়তা করা।

৭.   কৃষক ও ব্যবসায়ীদের  কৃষিপণ্যের গ্রেডিং, সর্টিং,  প্যাকেজিং, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান এবং ঋণ ও বিপণন সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে কৃষিপণ্যের মূল্য সংযোজন কার্যক্রম অব্যাহত রাখা। 

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)] 

পন্য উৎপাদনে পণ্যের গুণগত মান নিয়ন্ত্রণের জন্য তুমি কী কী পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি অনুসরণ করবে?

উত্তর:

ক্রেতার প্রত্যাশা অনুযায়ী মানসম্মত পণ্য বা সেবা নিশ্চিত করা ও তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখা বর্তমান প্রতিযোগিতাপূর্ণ বাজারে দীর্ঘমেয়াদে টিকে থাকার অন্যতম প্রধান হাতিয়ার। একারণে যেকোনো প্রতিষ্ঠান গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে পণ্য প্রস্তুত করে।
মান বলতে সাধারণভাবে ক্রেতার প্রত্যাশা পূরণে পণ্যের সক্ষমতাকে বুঝায়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)] 

ব্যাপক অর্থে, মান হলো পণ্যের নির্দিষ্ট গুণগত বৈশিষ্ট্যসমূহ যা ভোক্তা বা ক্রেতার চাহিদা মেটায়, সন্তুষ্টি বিধান করে এবং যার উপযোগিতা বা কার্যকারিতা ভোগকারী বা ক্রেতার কাছে প্রত্যাশার সমান বা তার চেয়েও বেশি। পণ্যের গুনগত বৈশিষ্ট্যের মধ্যে পণ্যের সাইজ, ডিজাইন, ফিনিশিং, কালার, উপাদান, টেকসই ক্ষমতা ইত্যাদি রয়েছে। মান সম্পর্কে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা নিম্নের সংজ্ঞাগুলো
দিয়েছেন

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)] 

১. মান হলো পণ্য বা সেবার অন্তর্নিহিত গুণ;
২. এ গুণের সাহায্যে ক্রেতার প্রত্যাশা পূরণ করা সম্ভব হয়; এবং
৩. পণ্যের সাইজ, ডিজাইন, ফিনিশিং, কালার, টেকসই ক্ষমতা ইত্যাদি মানের উপাদান।

পরিশেষে বলা যায় যে, পণ্যের যে সকল গুণ বা বৈশিষ্ট্য ক্রেতার প্রয়োজন মেটায়, সন্তুষ্টি বিধান করে এবং যার উপযোগিতা বা কার্যকারিতা ভোগকারী বা ক্রেতার কাছে প্রত্যাশার সমান বা তার চেয়েও বেশি তাকে মান বলে।

মানের নির্ধারক বা উপাদান
পণ্য বা সেবার মানের নির্ধারক বিশ্লেষণের মাধ্যমে পণ্য বা সেবার মান কিরূপ তা ধারণা করা যায়। নিম্নে পণ্য বা সেবার মানের নির্ধারক বা উপাদান সম্পর্কে আলোচনা করা হলো

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)] 

১. পণ্যের নকশা : পণ্যের নকশার কারণে কোন পণ্য ক্রেতার নিকট অধিক গ্রহণীয় বা বর্জনীয় হতে পারে। কারণ পণ্যের নকশা/ ডিজাইন আকর্ষণীয় ও আধুনিক হলে ক্রেতা পণ্য অধিক মূল্যে ক্রয় করতেও আগ্রহী থাকে।

২. মানের প্রতিফলন : বিজ্ঞাপন বা বিভিন্ন মাধ্যমে ক্রেতা পণ্য সম্পর্কে পরিচিত হয়
এবং ক্রেতার মনে পণ্যের মান সম্পর্কে একটি ধারণা বা প্রত্যাশার তৈরি হয়। কিন্তু ক্রেতা পণ্য ক্রয় বা ব্যবহার করার পর পণ্যটি প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয় তাহলে ক্রেতার মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।

৩. সহজলভ্যতা : যেকোনো সময় যেকোনো স্থানে পণ্য সহজে ক্রয় করার সামর্থ্যকে সহজলভ্যতা বলে। পণ্য বা সেবা উন্নত মান ও নকশার হবার পরও পণ্যটি বাজারে সহজলভ্য না হলে পণ্যটি ক্রয়ে ক্রেতা উৎসাহী হয় না।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)] 

৪. সহজ ব্যবহারযোগ্যতা : যেসব পণ্য বা সেবা সহজে ব্যবহার করা যায় তা ক্রয় করতে ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি থাকে। একারণে সহজ ব্যবহারযোগ্যতা একটি গুরুত্বপূর্ণ মানের নির্ধারক।

৫. সরবরাহের ধরণ : ক্রেতা পণ্য ক্রয় করার পরও যদি পণ্যটি হাতে আসতে বেশি সময়
লেগে যায় তাহলে পণ্যের প্রতি ক্রেতার আগ্রহ কমে যায়। যথাসময়ে পণ্য সরবরাহ করার মাধ্যমে ক্রেতাকে সন্তুষ্টি দেওয়া যায়।

৬. বিক্রয়োত্তর সেবা : পণ্য ক্রয় করার পর ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বিক্রয়োত্তর
সেবা প্রত্যাশা করে। ক্রেতা প্রত্যাশা অনুযায়ী বিক্রয়োত্তর সেবা না পেলে পণ্যের মান সম্পর্কে, অনেক সময় প্রতিষ্ঠান বা বিক্রেতা সম্পর্কে ঋণাত্মক মনোভাব ধারণ করে।
উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে বলা যায় যে, পণ্য বা সেবার প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী পণ্যের মান নির্ধারিত হয়। এই মান নির্ধারক বা উপাদানগুলোর মাধ্যমে ক্রেতার কাছে পণ্য সম্পর্কে সন্তুষ্টি বা অসন্তুষ্টির মনোভাব সৃষ্টি হয়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)] 

মান ব্যবস্থাপনার ধারণা

ক্রেতাকে আর্কষণ করা ও ধরে রাখার জন্য মান একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পণ্যের মান হলো পণ্য সম্পর্কে ক্রেতার প্রত্যাশার বহিঃপ্রকাশ, আর অন্যদিকে মান ব্যবস্থাপনা হলো প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ক্রেতার প্রত্যাশা পূরণের ব্যবস্থা। ক্রেতাকে সন্তুষ্ট করার জন্য প্রয়োজন মানসম্পন্ন পণ্য ও সেবা তা না হলে নিম্নমানের কারণে প্রতিষ্ঠান ক্রেতা ও সুনাম হারাতে পারে। অন্যদিকে মান কাঙ্খিত রাখতে হলে পণ্য প্রস্তুতে প্রতিষ্ঠানের ব্যয় বেড়ে যায়, এতে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পায়। আর পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেলে ক্রেতার অসন্তুষ্টি হতে পারে। একারণেই প্রতিষ্ঠানকে সঠিক মান ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নির্দিষ্ট মানস্তর বজায় রেখে পণ্য ও সেবা উৎপাদন করতে হয়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)] 

H.S.C

2 thoughts on “একটি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান পণ্যের ফরমায়েশদানে কী পদ্ধতি প্রয়ােগ করে কাঁচামাল সংগ্রহের মূলধনী ব্যয় ও পণ্যের যােগান যথাযথ রাখবে?,পন্য উৎপাদনে পণ্যের গুণগত মান নিয়ন্ত্রণের জন্য তুমি কী কী পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি অনুসরণ করবে?”

Leave a Comment