আজ বিশ্ব আবহাওয়া দিবস

২৩ মার্চ বিশ্ব আবহাওয়া দিবস। প্রতি বছর বাংলাদেশসহ বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার ১৯৩টি সদস্য দেশ ও স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলসমূহ ২৩ মার্চ বিশ্ব আবহাওয়া দিবস পালন করে আসছে।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা প্রতি বছর দিবসটি পালনের জন্য বাস্তব ও সময়োপযোগী একটি প্রতিপাদ্য বিষয় নির্বাচন করে থাকে। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘সমুদ্র আমাদের জলবায়ু ও আবহাওয়া’। 

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ একথা জানানো হয়েছে।

পৃথিবীর আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনে সমুদ্র অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে ভূমিকা রাখে। 

মানবসৃষ্ট বিভিন্ন কর্মকান্ডের ফলে উৎপন্ন অতিরিক্ত তাপ প্রশমন, সামুদ্রিক ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসসহ দৈনন্দিন আবহাওয়া পরিবর্তনে এর প্রভাব এবং আবহাওয়া ও জলবায়ুর পূর্বাভাস প্রদানে সমুদ্রের প্রভাবের বিষয়টিকে আরও গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নিয়ে এবারের প্রতিপাদ্য বিষয়টিতে সমুদ্রকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। একইসাথে জাতিসংঘ ২০২১-২০৩০ পর্যন্ত সময়কে সমুদ্র দশক হিসেবে ঘোষণা করেছে। 

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বিশ্ব আবহাওয়া দিবস ২০২১ উদযাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো: আবু হেনা মোস্তফা কামাল, এনডিসি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করবেন। এ অধিদপ্তরের সদর দপ্তরসহ গুরুত্ব অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন শাখা অফিসসমূহ দিবসটি সীমিত আকারে পালনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। 

এ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে আবহাওয়া সংক্রান্ত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও প্রামাণ্য চিত্র স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুপুর ৩ টা থেকে বিকাল ৫ ঘটিকা পর্যন্ত জনসাধারণের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। 

আবহাওয়া অধিদপ্তরের মূল গেইটসহ অফিস চত্ত্বরে বিভিন্ন রকমের আলোর মাধ্যমে সজ্জিত করা হবে। 

আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা পরিষদ কর্তৃক একটি টেকনিক্যাল সেশন এর আয়োজন করা হবে। স্বনামধন্য কিছু দৈনিক পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হবে। বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশন এ বিষয়ে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে। 

এছাড়াও ঢাকা, কক্সবাজার, খেপুপাড়া, রংপুর ও মৌলভীবাজারের অপারেশনাল ইউনিট ও রাডার স্টেশনসমূহ জনসাধারণের প্রদর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে।

শিক্ষা

Leave a Comment