অনার্স ও ডিগ্রি উপবৃত্তি আবেদন করার নিয়ম, How to Apply Degree Uppobritti

অনার্স ও ডিগ্রি উপবৃত্তি আবেদন করার নিয়ম ২০২৪, How to Apply Degree Uppobritti ২০২৪

উপবৃত্তি কার্যক্রম

অর্থের অভাবে শিক্ষার সুযোগ বঞ্চিত দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে বৃত্তি প্রদানের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০ এপ্রিল, ২০১০ খ্রি: তারিখে একটি ট্রাস্ট ফাণ্ড গঠনের লক্ষ্যে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কে একটি লিখিত নির্দেশনা প্রদান করেন। এ ফাণ্ড গঠনের সম্ভাব্যতা পরীক্ষাপূর্বক প্রয়োজনীয় সুপারিশমালা প্রণয়নের জন্য মাননীয় পরিকল্পনামন্ত্রীকে আহবায়ক করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক ১৪ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব কে আহবায়ক করে ট্রাস্ট ফাণ্ড গঠন  ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নীতিমালা প্রণয়নের জন্য একটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়। মুখ্যসচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৯ আগস্ট, ২০১০ খ্রি: তারিখের সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) কে আহবায়ক করে একটি টেকনিক্যাল উপ-কমিটি গঠন করা হয়। এ বিষয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রীর সভাপতিত্বে ৫ টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্তের আলোকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ৩১ জানুয়ারি, ২০১১ খ্রি: তারিখের পত্রে ট্রাস্ট ফাণ্ড গঠন সম্পর্কিত প্রতিবেদন, নীতিমালা ও আইনের খসড়া পরিকল্পনা কমিশনে পেশ করা হয়।

মাননীয় পরিকল্পনামন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ফাণ্ড আইন ২০১১ এর খসড়া প্রণয়ন করে Rules of Business, 1996 এবং সচিবালয় নির্দেশমালা, ২০০৮ এর বিধান অনুযায়ী উক্ত ট্রাস্ট ফাণ্ড সংক্রান্ত প্রণীত খসড়া আইনটি ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১১ খ্রি: তারিখের মন্ত্রিসভায় নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী প্রণীত প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট আইন, ২০১১ বিগত ১২ ডিসেম্বর, ২০১১ খ্রি: তারিখে মন্ত্রিসভার চূড়ান্ত অনুমোদন লাভ করে। ১১ মার্চ ২০১২ খ্রি: তারিখে নবম জাতীয় সংসদের দ্বাদশ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট বিল, ২০১২ পাস হয়। সংবিধানের ৮০ (২) অনুচ্ছেদ অনুসারে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ১৪ মার্চ, ২০১২ খ্রি: তারিখে উক্ত বিলে সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেন এবং একই তারিখে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট আইন, ২০১২ বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় প্রকাশিত হয়।

প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট এর স্থায়ী তহবিল হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে সিডমানি হিসেবে  ১০০০.০০ (এক হাজার ) কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে যা বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি তফসিলি ব্যাংকে এফ. ডি. আর. হিসেবে রক্ষিত আছে। উক্ত এফ. ডি. আর. থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ দ্বারা ছাত্র-ছাত্রীদের উপবৃত্তি ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। ২০১২-১৩ অর্থবছরে স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ের শুধুমাত্র নারী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি  প্রদান কার্যক্রম শুরু করা হয়। ২০১৩-১৪ অর্থবছর থেকে ছাত্রীদের পাশাপাশি ছাত্রদেরকেও উপবৃত্তি কার্যক্রমে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ শেষে সকল উপবৃত্তি প্রকল্প প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টে স্থানান্তরিত হবে মর্মে সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

উদ্দেশ্য:

  • ছাত্র/ছাত্রী ভর্তির হার বৃদ্ধি;
  • ছোট পরিবার গঠনে উৎসাহ প্রদান এবং প্রজনন হার নিয়ন্ত্রণ;
  • চাকুরির সুযোগ ও উপার্জন ক্ষমতা বৃদ্ধি;
  • দারিদ্র্য বিমোচন ও জেন্ডার সমতা অর্জন; এবং
  • সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন।

শিক্ষার্থী নির্বাচনের শর্তাবলী:

  • প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী, এতিম, অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান, নদীভাঙ্গন কবলিত পরিবারের সন্তান এবং দুস্থ পরিবারের সন্তানগণ উপবৃত্তি প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে।
  • তৃতীয় লিঙ্গধারী সকল শিক্ষার্থী উপবৃত্তি প্রাপ্য হবে এবং এদের তালিকা পৃথক ভাবে প্রেরণ করতে হবে।
  • উপবৃত্তি প্রাপ্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীর অভিভাবকের বার্ষিক আয় মোট ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকার কম হতে হবে।
  • অভিভাবক/পিতামাতার মোট জমির পরিমাণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বসবাসকারী ০.০৫ শতাংশ, পৌরসভা এলাকায় ০.২০ শতাংশ এবং অন্যান্য এলাকায় ০.৭৫ শতাংশের কম থাকতে হবে।
  • সংশ্লিষ্ট এলাকার সিটি কর্পোরেশন/ পৌরসভার মেয়র/ কাউন্সিলর/ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/ প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা/ সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান প্রদত্ত আয় ও জমির পরিমাণ সম্পর্কিত সনদপত্র যুক্ত করতে হবে।
  • উপবৃত্তিপ্রাপ্তির জন্য শিক্ষার্থীকে স্নাতক (পাস)/সমমান (ফাজিল) পর্যায়ের নিয়মিত শিক্ষার্থী হতে হবে। ২য় বর্ষ এবং ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে স্নাতক (পাস)/ সমমান (ফাজিল) পর্যায়ের অভ্যন্তরীণ বা নির্বাচনী পরীক্ষায় নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসাবে উত্তীর্ণ হতে হবে।
  • স্নাতক (পাস)/সমমান (ফাজিল) পর্যায়ের প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়ার পর বিরতিহীনভাবে ২য় বর্ষ ও ৩য় বর্ষে অধ্যয়ন করতে হবে এবং স্নাতক(পাস)/সমমান পর্যায়ের পরীক্ষায় অংশ্রগ্রহণ করতে হবে। উল্লেখ্য যে, ১ম, ২য়, ৩য় বর্ষের যেকোনো বর্ষে পুনঃভর্তি হলে উক্ত শিক্ষার্থী অনিয়মিত হিসাবে বিবেচিত হবে এবং উপবৃত্তিপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিবেচিত হবে না।
  • নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে শ্রেণিকক্ষে (ক্লাস) কমপক্ষে ৭৫% উপস্থিতি থাকতে হবে। এক্ষেত্রে আবশ্যিক বিষয় হিসেবে (বাংলা/ইংরেজি) কাউন্ট করা যেতে পারে।
  • ছাত্র-ছাত্রীর ভর্তিকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হালনাগাদ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়/ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি এবং পাঠদানের অনুমতি থাকতে হবে।

শিক্ষার্থী নির্বাচন কমিটি:

সরকারি  ও বেসরকারি উভয় প্রতিষ্ঠানেই উপবৃত্তি প্রাপ্তির জন্য শিক্ষার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে ‘শিক্ষার্থী নির্বাচন কমিটি ’ গঠন করতে হবে।

 ক. সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী নির্বাচন কমিটি:

(১) অধ্যক্ষ, সংশ্লিষ্ট কলেজ- সভাপতি

(২) একজন শিক্ষক প্রতিনিধি- সদস্য

(৩) উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার- সদস্য

(৪) একজন অভিভাবক প্রতিনিধি (অধ্যক্ষ কর্তৃক মনোনীত)- সদস্য

(৫) শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক- সদস্য সচিব

[ বি:দ্র: উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

আবেদনের নিয়মাবলী

বিশেষ লক্ষ্যনীয়: আপনি যদি সমতলে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এর শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন তাহলে বিশেষ এলাকার জন্য উন্নয়ন সহায়তা (পার্বত্য চট্রগ্রাম ব্যতীত) শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষা বৃত্তির জন্য তথ্য প্রদান করে আবেদন শুরু করুন।

* ফরমের প্রতিটি ঘর/তথ্য অত্যাবশ্যকীয়। কোন ঘর/তথ্য আপনার জন্য প্রযোজ্য না হলে ‘N/A’লিখুন।

ধাপ ১ : আবেদনের প্রাক-যোগ্যতা যাচাই

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষা বৃত্তির আবেদনের জন্য নিন্মোক্ত তথ্যাবলী পূরন করে আপনার আবেদনের প্রাক-যোগ্যতা যাচাই করুন।

 ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী/আবেদনকারীর ধরন, মোবাইল নং, মোবাইল নং (পূণরায়), জন্ম তারিখ (এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার সনদ অনুযায়ী), ই-মেইল ঠিকানা, এসএসসি বা সমমান এবং এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার পরীক্ষার নাম, রোল নং, পাশের সন, বিভাগ, শিক্ষা বোর্ড, ফলাফল, আবেদনকারীর নিজ নামে সঞ্চয়ী হিসাবের হিসাবধারীর নাম, ব্যাংকের নাম, হিসাব নং (কমপক্ষে ১৩ ডিজিটের), ব্যাংকের শাখার নাম, রাউটিং নং (ROUTING NUMBER)

উপরোল্লিখিত তথ্যাবলী সঠিকভাবে পূরন করার পর ‘ক্যাপচা কোড লিখুন‘ এবং ‘তথ্য যাচাই করুন‘ বাটনে ক্লিক করুন।

পরবর্তী পাতায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষা ফলাফল যাচাই পূর্বক আপনার প্রদত্ত তথ্যসমূহ পূণরায় দেখানো হবে; প্রদর্শিত তথ্যসমূহ সঠিক হলে ‘ক্যাপচা কোড লিখুন‘ এবং ‘নিশ্চিত ও সংরক্ষন করুন‘ বাটনে ক্লিক করুন। আপনার প্রাথমিক আবেদনটি গৃহীত হবার পর আপনাকে একটি এসএমএস এর মাধ্যমে আপনার ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড প্রদান করা হবে। প্রাপ্ত ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে আপনার আবেদন সম্পূর্ণ করুন।

ধাপ ২ : আবেদনকারী লগইন

আবেদনকারী লগইন করার জন্য এই লিঙ্কে ক্লিক করুন এবং প্রাপ্ত ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে আপনার আবেদন সম্পূর্ণ করুন।

ধাপ ৩ :মূলপাতা

মূলপাতার নিচের অংশে ‘আবেদনের অবস্থা‘-টি লক্ষ্য করুন। আপনার আবেদনটি অসম্পূর্ণ অবস্থায় থাকেবে; অনুগ্রহপূর্বক পর্যায়ক্রমিকভাবে আবেদন ফরমটি পূরণ করুন। সর্বপ্রথম ‘শিক্ষা সংক্রান্ত তথ্যাবলী‘ ধাপটি সম্পূর্ণ করুন।

ধাপ ৪ : শিক্ষা সংক্রান্ত তথ্যাবলী

বর্তমান অধ্যয়নের তথ্য সংক্রান্ত তথ্যাবলী পূরন করে ধাপটি সম্পন্ন করুন।

 বর্তমান অধ্যয়নের পরীক্ষার নাম, শিক্ষা বর্ষ, অধ্যয়নের বিষয়, বর্তমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ/বিভাগীয় প্রধানের নাম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের মোবাইল নং এবং বর্তমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদানকৃত পরিচয়পত্র/প্রত্যয়নপত্র আপলোড (পিডিএফ (PDF) ফরম্যাটে এবং অনধিক 5MB) করুন।

উপরোল্লিখিত তথ্যাবলী সঠিকভাবে পূরন করার পর ‘সংরক্ষন ক এবং পরবর্তী ধাপ‘ বাটনে ক্লিক করুন।

ধাপ ৫ : ব্যক্তিগত তথ্যাবলী

আপনার ব্যক্তিগত তথ্যাবলী পূরন করে ধাপটি সম্পন্ন করুন।

 ধর্ম, বৈবাহিক অবস্থা, আবেদনকারীর এনআইডি নং (আবেদনকারীর এনআইডি না থাকলে কারন উল্লেখ করুন), আবেদনকারীর জন্ম নিবন্ধন সনদ নং (আবেদনকারীর জন্ম নিবন্ধন সনদ না থাকলে কারন উল্লেখ করুন), আবেদনকারীর নিজ নামে সঞ্চয়ী হিসাবের হিসাবধারীর নাম, ব্যাংকের নাম, হিসাব নং (কমপক্ষে ১৩ ডিজিটের), ব্যাংকের শাখার নাম, রাউটিং নং (ROUTING NUMBER) এর তথ্য সমূহ সঠিকভাবে পূরণ করুন এবং ব্যাংকের চেকবইয়ের প্রথম পাতার স্ক্যান কপি আপলোড (পিডিএফ (PDF) ফরম্যাটে এবং অনধিক 5MB) করুন।

উপরোল্লিখিত তথ্যাবলী সঠিকভাবে পূরন করার পর ‘সংরক্ষন ক এবং পরবর্তী ধাপ‘ বাটনে ক্লিক করুন।

ধাপ ৬ : যোগাযোগের তথ্যাবলী

আপনার যোগাযোগের তথ্যাবলী পূরন করে ধাপটি সম্পন্ন করুন।

 বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা এর এলাকা/গ্রাম/মহল্লা, রোড নং/নাম, বাড়ী নং/নাম, পোস্ট অফিস, জেলা, থানা/উপজেলা, পোস্ট কোড সঠিকভাবে পূরণ করুন।

উপরোল্লিখিত তথ্যাবলী সঠিকভাবে পূরন করার পর ‘সংরক্ষন ক এবং পরবর্তী ধাপ‘ বাটনে ক্লিক করুন।

ধাপ ৭ : পরিবার/খানা সংক্রান্ত তথ্যাবলী

আপনার পরিবার/খানা সংক্রান্ত তথ্যাবলী পূরন করে ধাপটি সম্পন্ন করুন।

 সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক ইস্যুকৃত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র আপলোড (পিডিএফ (PDF) ফরম্যাটে এবং অনধিক 5MB) করুন, পরিবার প্রধানের নাম, নৃ-গোষ্ঠীর নিজস্ব ভাষা আছে কি না? (নিজস্ব ভাষা থাকলে উল্লেখ করুন), পরিবারের সদস্য সংখ্যা, বাসগৃহটি পরিবার প্রধানের নিজস্ব কি না?, ঘরের দেয়াল কি দিয়ে তৈরী?, ঘরের ছাদ কি দিয়ে তৈরী?, বিদ্যুৎ সংযোগ আছে কি না?, পরিবারের ব্যবহৃত পায়খানার ধরণ?, খাবার পানির উৎস কি?, মোট জমির পরিমানগত ১ বছরে পরিবারের কোন সদস্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচীর আওতায় কোন সহায়তা পেয়ে থাকলে তা বিস্তারিত উল্লেখ করুন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে ইতোপূর্বে কোন ধরণের সহায়তা পেয়ে থাকলে বিস্তারিত উল্লেখ করুন, পরিবারের বাৎসরিক আয়, পরিবার প্রধানের/পরিবারের মোবাইল নং তথ্য সমূহ সঠিকভাবে পূরণ করুন।

উপরোল্লিখিত তথ্যাবলী সঠিকভাবে পূরন করার পর ‘সংরক্ষন ক এবং পরবর্তী ধাপ‘ বাটনে ক্লিক করুন।

ধাপ ৮ : ছবি আপলোড

আপনার ছবি আপলোড করে ধাপটি সম্পন্ন করুন।

 সংযুক্ত ছবি অবশ্যই 300 X 300 পিক্সেল (width X height) মাপের; অনধিক ২ মেগাবাইট (2MB) এবং JPG/PNG ফরম্যাটে হতে হবে।

উপরোল্লিখিত তথ্যাবলী সঠিকভাবে পূরন করার পর ‘সংরক্ষন ক এবং পরবর্তী ধাপ‘ বাটনে ক্লিক করুন।

ধাপ ৯ : পরিবারের সদস্য

আপনার পরিবারের সদস্য সংক্রান্ত তথ্যাবলী পূরন করে ধাপটি সম্পন্ন করুন।

আপনার পরিবারের সদস্যের তথ্য প্রদান করুন। নতুন সদস্যের তথ্য সংযোজনের জন্য ‘নতুন পরিবারের সদস্যের তথ্য‘ বাটনে ক্লিক করুন।

 পরিবারের সদস্যের নাম, এনআইডি/জন্ম সনদ নং, বয়স (পূর্ণ বছর), খানা প্রধানের সাথে সম্পর্ক, লিঙ্গ, বৈবাহিক অবস্থা, পেশা, চিঠি লিখতে পারে কি না?, অধ্যয়নরত হলে কোন শ্রেণীতে অধ্যয়নরত অথবা অধ্যয়নরত না হলে সর্বোচ্চ কোন শ্রেণী পাশ, বৃত্তিপ্রাপ্ত হলে বৃত্তির নাম সংক্রান্ত তথ্য সমূহ সঠিকভাবে পূরণ করুন।

উপরোল্লিখিত তথ্যাবলী সঠিকভাবে পূরন করার পর ‘সংরক্ষন ক এবং পরবর্তী ধাপ‘ বাটনে ক্লিক করুন।

ধাপ ১০ : আবেদন সারসংক্ষেপ

 আপনার প্রদানকৃত তথ্যসমূহ সামগ্রিকভাবে একটি পাতায় প্রদর্শন করা হবে, তথ্যসমূহ যাচাই পূর্বক যদি সঠিক হয় তাহলে আবেদন নিশ্চিতকরণ ও আবেদনটি জমাদানের জন্য ডান-পার্শ্বে প্রদর্শিত সুইচটিতে ক্লিক করে সবুজ রং চিহ্নিত করুন; উল্লেখ্য যে, সবুজ রং চিহ্নিতকরণ ব্যতীত আপনার আবেদনটি গৃহীত হবে না। উল্লেখ্য যে, যতক্ষন পর্যন্ত সবুজ রং চিহ্নিতকরত আবেদন নিশ্চিতকরন না করা পযর্ন্ত আপনি আপনার আবেদনটি সংশোধন করতে পারবেন।

সর্বশেষ ধাপ: আবেদন সারসংক্ষেপ ডাউনলোড

 আপনার আবেদনটি সঠিকভাবে জমাদানের পর মূলপাতায় ‘আবেদন সারসংক্ষেপ ডাউনলোড করুন‘ বাটনটি প্রদর্শিত হবে। উল্লেখিত বাটনে ক্লিক করে সারসংক্ষেপ ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে রেখে দিন।

যারা Upobritti আবেদন করার জন্য অপেক্ষা করতেছেন তাদের জন্য সুখবর। গত ২রা মে ২০২৪ ডিগ্রি উপবৃত্তির নোটিশ প্রকাশ করা হয়েছে। উপবৃত্তি আবেদন আগামী ৮ মে থেকে শুরু হবে। যেখানে Degree প্রথম বর্ষ ২১-২২ এর শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে।

অনলাইনে আবেদন করতে যা যা লাগবে :

১. শিক্ষার্থী HSC রেজিষ্ট্রেশন ও রোল নাম্বার।

২. ডিগ্রির Registration নাম্বার।

৩. শিক্ষার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ও birth registration নিবন্ধনের নম্বর।

৪. অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর।

৫. পাসপোর্ট সাইজের এক কপি ছবি (অনলাইন কপি হলে ভালো হয়)

৬. শিক্ষার্থীর ব্যাংকের নাম ও একাউন্ট নম্বার। (ব্যাংক একাউন্ট না থাকলে বিকাশ বা রকেট ব্যবহার করবেন)

ডিগ্রী উপবৃত্তি ২০২৪ | ডিগ্রি উপবৃত্তির অনলাইনে আবেদন করার নিয়ম ২০২৪

ধাপ – ০১ : Online আবেদন করার জন্য নিচের ওয়েবসাইট লিংকে ক্লিক করুন – estipend.pmeat.gov.bd

ধাপ – ০২ : ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে “নিবন্ধন” ট্যাবে ক্লিক করুন এবং প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে নিবন্ধন প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করুন।

Screenshot 1

ধাপ – ০৩ : পরবর্তী ধাপে Password সেট করুন। (যেকোনো ৬ ডিজিটের পাসওয়ার্ড দিতে পারবেন)

ধাপ – ০৪ : পাসওয়ার্ড সেট হয়ে গেলে শিক্ষার্থী “সাইন ইন/প্রবেশ করুন” ট্যাবে ক্লিক করে রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ-ইন করুন।

Screenshot 2

ধাপ – ০৫ : লগ-ইন করার পরে শিক্ষার্থী তার ড্যাশবোর্ড দেখতে পাবে এবং “আবেদন করুন” এ ক্লিক করে উপবৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।

ধাপ – ০৬ : “আবেদন করুন” বাটনে ক্লিক করে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করে আবেদন সম্পাদন করুন। শিক্ষার্থীরা উপবৃত্ত ফর্মটি পূরণ করুন এবং “সংরক্ষণ করুন চালিয়ে যান” বাটনে ক্লিক করুন এবং ট্যাব অনুসারে নির্দেশ অনুসরণ করুন।

ধাপ – ০৭ : ট্যাব নির্দেশ শেষ হওয়ার পরে, শিক্ষার্থী হ্যাঁ বাছাই করবেন (সর্তকতা, একবার এপ্লিকেশন সাবমিট করার পর তথ্য পরিবর্তন করা যাবে না)। পৃষ্ঠাটি ড্যাশবোর্ডে পুনঃনির্দেশিত হবে সেখানে ব্যবহারকারী আপ্লিকেশন উপস্থিতি দেখতে পাবেন।

বি দ্রঃ অনলাইনে আবেদন করার পর, এখন আর পূর্বের মতো অনেকে কলেজে আবেদনের প্রিন্ট কপির সাথে কোন কাগজপত্র, কলেজ কর্তৃপক্ষকে জমা দিতে হয় না। তারপরও যদি কোন কলেজ ডকুমেন্ট নিতে চায় তাহলে অবশ্যই তা দেওয়ার চেষ্টা করবেন। (কলেজ নোটিশ অনুসরণ করুন)

শর্তাবলী :

১) উপবৃত্তি প্রাপ্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীর অভিভাবকের বার্ষিক আয় মোট ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকার কম হতে হবে।


২) অভিভাবক/পিতামাতার মোট জমির পরিমাণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বসবাসকারী ০.০৫ শতাংশ, পৌরসভা এলাকায় ০.২০ শতাংশ এবং অন্যান্য এলাকায় ০.৭৫ শতাংশের কম থাকতে হবে।

সতর্কতা :

১) যাদের নিবন্ধন করার সময় “Error! Not Eligible! Annual Income more than 100000” লিখাটি আসবে, তারা উপবৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন না! কারণ ডিগ্রির ভর্তির সময় অভিভাবকের বার্ষিক আয় ১ লক্ষ টাকার বেশি দিয়েছিলেন তাই!


২) একবার আবেদন করে ফেললে তা আর পুনরায় ঠিক করার অপশন নেই, তাই আবেদন করার সময় সতর্কতার সাথে আবেদন করবেন।


৩) যারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সার্ভার জটিলতা (“Error! Data Load failed from NU server!!”) জন্য আবেদন করতে পারবেন না । অনুগ্রহ করে তারা কয়েকদিন অপেক্ষা করে আবেদন করবেন। 

আজকের বিষয়: অনার্স ও ডিগ্রি উপবৃত্তি আবেদন করার নিয়ম, How to Apply Degree Uppobritti,অনার্স ও ডিগ্রি (পাস) ও সমমান পর্যায়ের উপবৃত্তির আবেদন,Honors & Degree (Pass) & Equivalent Level Stipend Application, ডিগ্রি উপবৃত্তি Degree Upabritti

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক মাধ্যম গুলোতে ও

Leave a Comment