New NID Application,নতুন ভোটারের জন্য আবেদন পদ্ধতি,নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে

মাত্র ১৬ বছর বয়সেই অনলাইনে নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র বা আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন। নতুন ভোটার নিবন্ধনের জন্য অনলাইনে আবেদন করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিলে ১৮ বছরের আগেই হাতে পাবেন NID Card দেখুন নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে ২০২৪

ভোটার আইডি কার্ড নিবন্ধন করতে কি কি ডকুমেন্টস ও কাগজপত্র প্রয়োজন তা নিয়ে বিস্তারিত জানতে পাবেন এই পোস্টের মাধ্যমে। ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই অনলাইনে New Voter Registration করতে পারবেন এবং NID Card হাতে পাবেন। কিন্তু ভোটার তালিকায় নাম আসবে ১৮ পূর্ণ হবার পর।

New NID Application,নতুন ভোটারের জন্য আবেদন পদ্ধতি,নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে

এখন পর্যন্ত যারা ভোটার আইডি কার্ড করেননি তারা কিভাবে অনলাইনে ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করবেন তাও ঘরে বসে,  অর্থাৎ নতুন ভোটারের জন্য আবেদন পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এই পোস্টে। যেহেতু ভোটার আইডি কার্ড সবার গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস তাই ভোটার আইডি কার্ড হাতে পাওয়ার জন্য আবেদন পদ্ধতি সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে।

অনেকে দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে থাকে যে উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে নতুন ভোটারের জন্য আবেদন করবেন নাকি অনলাইনে ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করবেন । সব থেকে ভালো হয় নিকটস্থ নির্বাচন কমিশনের অফিসে গিয়ে ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন ফরম পূরণ করা।

তবে এই প্রক্রিয়া একটু ভোগান্তির ,  তবে আপনি চাইলে  অনলাইনের মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ড  বা জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরি করার আবেদন করতে পারবেন। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং আবেদন ফরম নিয়ে উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিসে আপনার বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদান করবেন।

আজকের পোষ্ট এর বিষয় সমূহ

নতুন ভোটারের জন্য আবেদন পদ্ধতি ২০২৪

আপনি পূর্বে ভোটার না হয়ে থাকলে নতুন ভোটারের জন্য আবেদন করতে পারবেন। নতুন ভোটার হওয়ার জন্য নিকটস্থ নির্বাচন অফিসে গিয়ে ভোটার আইডি কার্ড নিবন্ধন ফরম-২  পূরণ করে প্রয়োজনিয় কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে। এবং বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদান করার মাধ্যমে নতুন ভোটারের জন্য আবেদন পদ্ধতি সম্পন্ন হবে।

আপনি চাইলে অনলাইনের মাধ্যমে ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এতে আপনার ভোগান্তি কিছুটা হলেও কমবে। অনলাইনে কিভাবে ভোটার আইডি কার্ড করার জন্য আবেদন করবেন তা দেখানো হলো।

নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে ২০২৪

নতুন ভোটার হতে প্রধানত বোর্ড পরিক্ষার সার্টিফিকেটঅনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ, নাগরিকত্ব সনদ ও মিতা মাতার NID Card এর ফটোকপি প্রয়োজন। ঠিকানা প্রমানের জন্য ইউটিলিটি বিল যেমন বিদ্যুৎ বিল কিংবা গ্যাস বিলের কপি অথবা কর পরিশোধের রসিদ লাগবে।

রক্তের গ্রুপ যুক্ত করার জন্য রক্তের গ্রুপ পরিক্ষার রিপোর্ট (ক্লিনিক / হাসপাতাল হতে) । নতুন ভোটার আবেদন করতে কি কি লাগে তা নিচে লিস্ট আকারে প্রকাশ করা হলো-

  • জন্ম নিবন্ধন সনদ
  • শিক্ষাগত যোজ্ঞতা সনদ
  • নাগরিক সনদ
  • প্রত্যয়ন প্রত্র
  • পিতা মাতার আইডি কার্ডের ফটোকপি
  • ইউটিলিটি বিলের কপি
  • ট্যাক্স / কর পরিশোধের রশিদ

নতুন ভোটার আবেদন করার শর্ত ২০২৪

নতুন ভোটার হওয়ার আবেদন অর্থাৎ এনআইডি কার্ডের জন্য আবেদন করতে হলে কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়-

  • বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে
  • বয়স ১৬ বছর বা তার চেয়ে বেশি হতে হবে
  • পূর্বে কখনো নিবন্ধন করেনি

একজন বাংলাদেশী নাগরিকের প্রমাণ হিসেবে প্রত্যেকেরই কিছু ডকুমেন্ট থাকে। অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ, শিক্ষাগত যোগ্যতা সনদ, পিতা-মাতা জাতীয়তা এবং আইডি কার্ড। স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে বসবাসরত বাড়ির কর পরিষদ রশিদ।

নতুন আইডি কার্ড করতে কি কি লাগে ২০২৪

নতুন আইডি কার্ড আবেদন করলে আবেদনপত্রের সাথে যে সকল ডকুমেন্ট বা কাগজপত্র আবশ্যিকভাবে জমা দিতে হয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে পরীক্ষার সার্টিফিকেট, ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন, ইউটিলি বিলের কপি।

বয়স বেশি হলে নতুন ভোটার আবেদন করার জন্য অঙ্গীকারনামা জমা দিতে হয়। পূর্বে কখনো জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য নিবন্ধন করা হয়নি এই মর্মে অঙ্গীকারনামা লিখতে হবে।

নতুন ভোটার আইডি কার্ড আবেদন করার জন্য উপরে বর্ণিত ডকুমেন্টগুলো প্রয়োজন হয়। কিছু ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন অফিসের চাহিদা অনুসারে অতিরিক্ত কিছু ডকুমেন্ট প্রয়োজন হতে পারে।

অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ

আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করতে হলে সর্বপ্রথম যে ডকুমেন্টটি প্রয়োজন সেটি হচ্ছে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ। আবেদনপত্রের সাথে বাধ্যতামূলক যে ডকুমেন্টগুলো জমা দিতে হয় তার মধ্যে জন্ম নিবন্ধন সনদ অন্যতম। নতুন ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে হাতের লেখা জন্ম নিবন্ধন সনদ গ্রহণ করা হবে না।

আপনার যদি অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ না থেকে থাকে তাহলে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করে খুব সহজে ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করে নিতে পারেন। জন্ম নিবন্ধন না থাকলে NID কার্ডের জন্য আবেদন করা যাবে না।

শিক্ষাগত যোগ্যতা সনদ

যাদের বোর্ড পরীক্ষার সার্টিফিকেট রয়েছে তারা ভোটার অ্যাপ্লিকেশনের সাথে সেগুলো যুক্ত করতে পারেন। শিক্ষা সনদ হিসেবে JSC, SSC, HSC বোর্ড পরীক্ষার সার্টিফিকেট যুক্ত করা যাবে।

আপনি যদি ভোকেশনাল অথবা মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে থাকেন সেক্ষেত্রেও JSC, SSC, HSC এর সমমান সার্টিফিকেট আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে পারেন।

নাগরিক সনদ

নতুন ভোটার আবেদনের সাথে নাগরিক সনদ যুক্ত করা বাধ্যতামূলক। বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয় পত্র শুধুমাত্র বাংলাদেশের নাগরিকের জন্য। তাই আপনি এদেশের একজন নাগরিক তার একটি সনদ আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে।

আপনার অবস্থানের উপর ভিত্তি করে স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি যেমন চেয়ারম্যান, সিটি করপরেশনের মেয়র কিংবা ওয়ার্ড কাউন্সিলর থেকে নাগরিক সনদ সংগ্রহ করতে পারেন।

প্রত্যয়ন পত্র

নাগরিক সনদের মতোই প্রত্যয়ন পত্র স্থানীয় সরকার প্রতিনিধির কাছ থেকে সংগ্রহ করতে হয়। আপনি গ্রাম এলাকায় হলে চেয়ারম্যান কার্যালয়ে থেকে আপনার প্রত্যয়ন পত্র সংগ্রহ করতে পারেন।

আপনার বসবাস যদি পৌরসভা এলাকায় হয় তাহলে মেয়রের কার্যালয় থেকে প্রত্যয়ন পত্র সংগ্রহ করুন। এছাড়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিস থেকেও নাগরিকের প্রত্যয়ন পত্র প্রদান করে থাকে।

নাগরিক সনদ কিংবা প্রত্যয়ন পত্র সংগ্রহ করার জন্য কোন প্রকার ফি কিংবা টাকা প্রদান করতে হয় না

পিতা মাতার ভোটার আইডি কার্ড

পিতা মাতার তথ্য যাচাই করার জন্য পিতা-মাতার ভোটার আইডির প্রয়োজন হয়। তাছাড়া আবেদনকারীর পিতা-মাতা জাতীয়তা কি তা জানার জন্য এটির প্রয়োজন হয়।

নতুন ভোটার হতে হলে ভোটার নিবন্ধন আবেদনের সাথে পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি বাধ্যতামূলক জমা দিতে হবে।

ট্যাক্স বা খাজনা পরিশোধের রশিদ

নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র আবেদন করতে যে সকল ডকুমেন্টস বাধ্যতামূলকভাবে জমা দিতে হয় তার মধ্যে ট্যাক্স রশিদ অন্তর্ভুক্ত।

জমি কিংবা বাড়ির টেক্স বা কর পরিশোধ রশিদ, চৌকিদারি ট্যাক্সের রশিদ আথবা পৌরকর পরিশোধের রশিদ। এই ট্যাক্স রশিদ আবেদনকারীর নিজের নামে হবে বিষয়টি এমন নয়। পিতা-মাতা কিংবা অভিভাবকের নামে হলেও সমস্যা নেই। এটি একটি বাধ্যতামূলক ডকুমেন্ট আবেদন করার সময় অবশ্যই এটি প্রয়োজন হবে।

ইউটিলিটি বিলের কপি

আবেদনকারীর বর্তমান ঠিকানা যাচাই করার জন্য বর্তমানে বসবাস করে এমন বাড়ির বিদ্যুৎ বিলের কাগজ কিংবা গ্যাস বিলের কাগজ জমা দিতে হবে।

আপনি যে এলাকায় বা যে ঠিকানায় ভোটার হতে চাচ্ছেন সেখানে বসবাসরত বাসা বাড়ির বিদ্যুৎ বিল কিংবা পানি বিলের কাগজ আবেদনের সাথে যুক্ত করতে হবে।

রক্তের গ্রুপ টেস্টের রিপোর্ট

রক্তের গ্রুপ টেস্টের রিপোর্ট জমা দেওয়ার যদিও অপশনাল একটি ডকুমেন্ট। আমার মতে এটি অবশ্যই সবার জমা দেওয়া উচিত। ব্লাড টেস্টের রিপোর্ট ভোটার হওয়ার সময় জমা দিলে আপনার আইডি কার্ডের পেছনে রক্তের গ্রুপ উল্লেখ থাকবে।

উপরে বর্ণিত ডকুমেন্টগুলো থাকলে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন। তবে বিবাহিতদের ক্ষেত্রে চাইলে কিছু অতিরিক্ত ডকুমেন্ট জমা দেয়া যেতে পারে।

বিবাহিতদের জন্য কাবিননামা বা বৈবাহিক সনদ আবেদনের সাথে যুক্ত করতে পারে। এছাড়া স্বামী কিংবা স্ত্রীর জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য অতিরিক্ত ডকুমেন্ট হিসেবে যুক্ত করা যেতে পারে।

অঙ্গীকারনামা

নতুন NID Card আবেদন করার জন্য সবার অঙ্গীকারনামা লিখার প্রয়োজন হয় না। যারা পূর্বে সুযোগ এবং বয়স হওয়া সত্ত্বেও জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য আবেদন করেনি তারা নতুন ভোটার নিবন্ধনের জন্য আবেদন করলে অঙ্গীকারনামা জমা দিতে হয়।

যারা দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন এবং দেশে এসে নতুন আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করবে তাদের ক্ষেত্রে অঙ্গীকারনামা প্রযোজ্য। যারা বিভিন্ন সমস্যার কারণে অনেক আগেই জাতীয় পরিচয় পত্র আবেদন করার জন্য উপযুক্ত হওয়া সত্ত্বেও আবেদন করেনি তারা এখন ভোটার নিবন্ধন করার জন্য অবশ্যই অঙ্গীকারনামা জমা দিতে হবে।

এই অঙ্গীকার নামে স্পষ্ট উল্লেখ থাকে যে আবেদনকারী পূর্বে কখনো জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন করেনি যদি করে থাকে তাহলে পরবর্তী সময়ে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিলে তার কোন আপত্তি থাকবে না।

অনলাইনে ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন ২০২৪

অনলাইনে ভোটার হওয়ার জন্য https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আবেদন অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপরে ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করার মাধ্যমে একটি একাউন্ট রেজিস্টার করতে হবে। পরবর্তীতে প্রোফাইল থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করার মাধ্যমে ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

ধাপ-১ঃ একাউন্ট রেজিস্টার

অনলাইনে ভোটার হওয়ার জন্য  প্রথমে নির্বাচন কমিশনার অফিস  ওয়েবসাইট https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/ গিয়ে রেজিস্টার বাটনে ক্লিক করতে হবে। এবং এখানে সঠিক নাম জন্ম তারিখ ও কেপচা পূরণ করে সাবমিট করতে হবে।

এরপরে আপনার একটি মোবাইল নাম্বার দিয়ে ভেরিফিকেশন করে নিবেন এবং এখন সংরক্ষিত রাখার জন্য একটি ইউজারনেম ও একটি পাসওয়ার্ড দিয়ে সাবমিট করবেন।

ধাপ-২ঃ ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান

রেজিস্টার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর আপনি আপনার প্রোফাইলে লগইন হয়ে যাবেন এবং নিচের মত একটি ইন্টারফেস দেখতে পাবেন।  এখান থেকে বিস্তারিত প্রোফাইল অথবা প্রোফাইলে ক্লিক করুন।

এরপরে আপনাকে তিন ধরনের তথ্য সাবমিট করতে হবে।

  • ব্যক্তিগত তথ্য
  • অন্যান্য তথ্য
  • ঠিকানা

এই তথ্যগুলো প্রদান করার জন্য আপনাকে ডানপাশে উপরে এডিট বাটনে ক্লিক করতে হবে। এবং আপনার ব্যক্তিগত তথ্য ও অন্যান্য তথ্য এবং স্থায়ী ও অস্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ করবেন এবং সাবমিট বাটনে ক্লিক করবেন।

যেহেতু অনলাইনে আবেদন করার সময় কোন কাগজপত্র প্রয়োজন হয় না তাই এই স্টেপে আপনাকে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপরে আপনি অনলাইন আবেদন করার একদম চূড়ান্ত স্টেপে পৌঁছে যাবেন।

ধাপ-৩ঃ আবেদন নিশ্চিতকরন এবং সাবমিট

ফাইনাল স্টেপে আপনাকে আপনার আবেদনটি সাবমিট করার জন্য বলা হবে। এর পূর্বে আপনার প্রদানকৃত কোন তথ্য যদি ভুল থাকে তাহলে সেটি যাচাই-বাছাই করে সংশোধন করে নিতে পারবেন। আবেদন সাবমিট হওয়ার পরে কোন তথ্য পরিবর্তন বা সংশোধন গ্রহণযোগ্য নয়।

এজন্য আবেদন সাবমিট করার পূর্বেই সব তথ্য গুলো সঠিকভাবে উল্লেখ করে নিবেন এবং যাচাই-বাছাই করে নিবেন। এরপরে যদি কোন তথ্য ভুল থাকে তাহলে আপনাকে পরবর্তীতে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করে নিতে হবে।

আপনার সব তথ্য যদি সঠিক থাকে তাহলে সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন। সাবমিট বাটনে ক্লিক করার মাধ্যমে আপনার আবেদনটি সম্পন্ন হবে। আবেদন সাবমিট করার  পরে নিচের মত একটি ওয়েব পেজ দেখতে পাবেন এবং ডান পাশের ডাউনলোড দেখতে পাবেন। এই ডাউনলোড ক্লিক করলে আপনার সম্পূর্ণ আবেদনের তথ্যটি একটি ফরম আকারে ডাউনলোড হবে।

উপরোক্ত ফর্মে আপনার দেওয়া তথ্যগুলো দেখতে পাবেন।  ধর্মের বাকি অংশটুকু আপনাকে পূরণ করে নিতে হবে।  অর্থাৎ

  • চেয়ারম্যান/পৌর মেয়র অথবা ওয়ার্ড মেম্বর/ওয়ার্ড কাউন্সিলর/মহিলা মেম্বর যেকোন একজন এর নাম, এনআইডি নম্বর এবং স্বাক্ষর
  • আবেদনকারির স্বাক্ষর
  • পরিচিত একজন ভোটারের এনআইডি নাম্বার এবং তার স্বাক্ষর

আপনি ভোটার হওয়ার জন্য উক্ত ফর্মের সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করে উপজেলা নির্বাচন অথবা নিকটস্থ নির্বাচন কমিশন অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করতে হবে।  এবং সেখানে দাখিল করতে হবে।

পরবর্তীতে নির্ধারিত কর্মকর্তাগণ আপনার বায়োমেট্রিক তথ্য যেমন আঙ্গুলের ছাপ,  চোখের আইরিশ,  স্বাক্ষর,  ছবি নিবে।  এবং আপনাকে একটি ভোটার স্লিপ দেওয়া হবে।  পরবর্তীতে উক্ত ভোটার  স্লিপের মাধ্যমে অনলাইন থেকে আপনার ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।

সচরাচর জিজ্ঞেসিতপ্রশ্ন সমূহ  – FAQ

ভোটার হতে কত টাকা লাগে?

ভোটার হতে কোন টাকা লাগে না। তবে আপনি যদি তৃতীয় পক্ষ থেকে সুবিধা ভোগ করেন তাহলে টাকা লাগতে পারে, সেটা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে।
সূত্র: BD ASK

নতুন ভোটার কিভাবে হব?

নতুন ভোটার হওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন অথবা সরাসরি উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে আবেদন করতে পারবেন। সূত্র: BD ASK

বিদেশ থেকে কিভাবে ভোটার আইডি কার্ড করব?

Nid wings অনলাইন আবেদন করার পর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উক্ত দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি দূতাবাসের জাতীয় পরিচয় পত্র শাখায় জমা দিতে হবে। সূত্র: BD ASK

ভোটার আইডি কার্ড কিভাবে চেক করব

ভোটার আইডি কার্ড চেক করার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে এর মধ্যে অন্যতম হলো ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট। সূত্র: BD ASK

আমি বিদেশে চলে যাব। আমার কার্ড কি অন্য কেউ উত্তোলন করতে পারবে?

হ্যাঁ । আপনার ক্ষমতা প্রাপ্ত প্রতিনিধির যথাযথ ক্ষমতাপত্র ও প্রাপ্তি স্বীকারপত্র (Authorization Letter) নিয়ে তা সংগ্রহ করাতে পারবে। সূত্র: BD ASK

বিভিন্ন ডকুমেন্টে আমার ভিন্ন নাম ও বয়স আছে। এমতাবস্থায় কোনটা ভোটার রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে?

নাম এবং বয়সের ক্ষেত্রে SSC বা সমমানের পরীক্ষার সনদে উল্লেখিত বয়স ও নাম। ভবিষ্যতে ৫ম/৮ম সমাপনী পরীক্ষার সনদ ও গ্রহণযোগ্য হবে। কারও লেখাপড়া না থাকলে জন্ম সনদ, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়েও আবেদন করা যাবে।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও

Leave a Comment