ই-নামজারি কি এবং ই-নামজারি করার নিয়ম, নামজারির আবেদন যেখানে করতে হয়, যেভাবে ই-নামজারি আবেদন করবেন, ই-নামজারির আবেদন নামঞ্জুর হলে করণীয়, ই নামজারি, ই নামজারির ওয়েবসাইট, জমি খারিজ করার জন্য অনলাইন আবেদন করার নিয়ম, ই নামজারি (জমি খারিজের জন্য ইন্টারনেটে আবেদন, নামজারি আবেদনের অবস্থা জানার নিয়ম
কোনো কারণে ভূমি হস্তান্তর হলে খতিয়ানে পুরোনো মালিকের নাম বাদ দিয়ে নতুন মালিকের নাম প্রতিস্থাপন করানোকে বলে মিউটেশন বা নামজারি। উত্তরাধিকারসূত্রে, বিক্রয়, দান, খাসজমি বন্দোবস্তসহ বিভিন্ন ধরনের হস্তান্তরের কারণে জমির মালিকানা বদল হয়। কিন্তু জমির নামজারি না করানো হলে মালিকানা দাবি করার ক্ষেত্রে অনেক জটিলতা তৈরি হয়। জমি রেজিস্ট্রেশন, জমি ক্রয়-বিক্রয়, খাজনা প্রদানসহ নানা ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় নামজারি। জমি হস্তান্তর হওয়ার পর নামজারি করা অনেকটাই বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
** নামজারির আবেদন যেখানে করতে হয়ঃ
সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে নামজারির জন্য আবেদন করতে হয়। সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে মিউটেশন সহকারী পদের একজন দায়িত্বে থাকেন। নাজির পদের একজন নামজারির জন্য ফি জমা নেন। তহশিলদারেরা (সহকারী সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা) নামজারির তদন্তের দায়িত্বে থাকেন। কোনো আবেদন করা হলে এ নামজারি করা জমির ওপর তদন্ত করার নিয়ম আছে।
**যেভাবে আবেদন করবেনঃ
সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস থেকে নির্ধারিত আবেদনপত্র সংগ্রহ করে আবেদন করতে হবে। এতে নির্ধারিত জায়গায় জমির বিস্তারিত পরিচয় দিতে হবে। আবেদনে নাম, ঠিকানা, রেজিস্ট্রি ক্রয় দলিলের নম্বর ও সাল স্পষ্ট থাকতে হবে। একই সঙ্গে মূল দলিলের অনুলিপি, ভায়া দলিল, পরচা বা খতিয়ানের অনুলিপি, ভূ-উন্নয়ন কর পরিশোধের দলিল, ওয়ারিশান সনদপত্র (তিন মাসের মধ্যে ইস্যু করা), বণ্টননামা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) দিতে হবে। কোনো রায় বা ডিক্রির কারণে নামজারি করতে হলে ডিক্রি বা রায়ের অনুলিপি জমা দিতে হবে। আবেদনকারী নিজেও আবেদন করতে পারেন অথবা আবেদনকারী কোনো প্রতিনিধি নিয়োগ করেও আবেদন করতে পারেন। আবেদনের সঙ্গে আবেদনকারী অথবা আবেদনকারীর প্রতিনিধির পাসপোর্ট আকারের ছবি সংযুক্ত করে দিতে হবে আবেদনের নির্ধারিত জায়গায়। খেয়াল রাখতে হবে নামজারি করাতে গিয়ে কোনো দালালের খপ্পরে যেন না পড়েন। বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী মহানগরে ৬০ কর্মদিবসে এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ৪৫ কর্মদিবসের মধ্যে নামজারি-প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নিয়ম করা হয়েছে।
**নামজারির আবেদন নামঞ্জুর হলে করণীয়ঃ
যেকোনো কারণেই নামজারি আবেদন নামঞ্জুর হতে পারে। কোনো দলিল-দস্তাবেজে ত্রুটির কারণে হতে পারে, আবার অন্য কোনো উদ্দেশ্যেও নামঞ্জুর হতে পারে। কিন্তু আবেদন নামঞ্জুর হলে প্রতিকারের সুযোগ রয়েছে। নামজারি নামঞ্জুর হলে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) আদেশের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব) কাছে আদেশের ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করতে হবে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব) আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ আছে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারের (রাজস্ব) কাছে এবং তা করতে হয় আদেশের ৩০ দিনের মধ্যে। অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারের (রাজস্ব) আদেশের বিরুদ্ধে ভূমি আপিল বোর্ডে আদেশের ৯০ দিনের মধ্যে আপিল করা যায়। এ ছাড়া রিভিশনের পথও খোলা রয়েছে। ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা তাঁর নিজের ইচ্ছায় নথি তলব করে সংশোধনের আদেশ দিতে পারেন। এ ছাড়া রিভিউর পথও খোলা আছে। রিভিউ মানে হচ্ছে পুনর্বিবেচনা করা। দলিলপত্রে কোনো ভুল পর্যবেক্ষণ হয়েছে বলে মনে করলে কিংবা আবেদন বাতিল করলে রিভিউর আবেদন করতে হয়। যে কর্মকর্তা আদেশ দিয়েছেন, তাঁর বরাবরই রিভিউ করতে হবে। রিভিউ করতে হয় ৩০ দিনের মধ্যে। তবে রিভিউ আবেদন করা হলে আর আপিল করা যায় না।
**ই নামজারি:
অনলাইনে জমি খারিজ https://mutation.land.gov.bd/ এই সাইট ভিজিট করুন।
ঘরে বসে ভূমি সেবা পেতে ভূমি মন্ত্রণালয় প্রবর্তন করেছে অনলাইন ভূমি সেবা। ফলে নাগরিকরা ঘরে বসে ভূমি সংক্রান্ত বিভিন্ন সেবা যেমন- অনলাইনে জমির খতিয়ান দেখা বা উঠানো, অনলাইনে জমির খাজনা পরিশোধ, ঘরে বসে অনলাইনে ভূমি সংক্রান্ত মামলার শুনানি, অনলাইনে ভূমি তথ্য সেবা ইত্যাদি। আজকের ইনফোতে ই নামজারি (Mutation): অনলাইনে জমি খারিজ https://mutation.land.gov.bd/ এই সাইট সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
ই নামজারির ওয়েবসাইট
অনলাইনে জমি খারিজ করার ওয়েবসাইট হচ্ছে – https://mutation.land.gov.bd/ এই সাইট ভিজিট করে জমি খারিজ করার জন্য আবেদন করুন।
যারা জমি ক্রয় করেছেন কিন্তু নামজারি করেন নাই তারা এখন অনলাইনে নামজারির জন্য আবেদন করতে পারেন। ঘরে বসে নামজরির জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র অনলাইনে জমা প্রদান পূর্বক আবেদন করতে পারেন খুব সহজেই।
আপনার নামজারির আবেদনটি সফলভাবে সাবমিট হলে ঘরে বসে অনলাইনে জামি খারিজ মামলার শুনানিতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
**ই নামজারি করার জন্য কি কি কাগজপত্র আপলোড করতে হবে?
- আপনার ছবি
- আপনার স্বাক্ষর
- জমি ক্রয় করার দলিল
- সর্বশেষ খতিয়ান (ক্রয়কৃত জমির খতিয়ান)
- ওয়ারিশ সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
- এন আইডি ইত্যাদি।
উপরোক্ত নথিপত্র অনলাইনে আবেদন করার আগেই স্ক্যান করে নিতে হবে। স্ক্যান ফাইল অবশ্যই JPG, PNG অথবা PDF ফরমেটে হতে হবে।
আরো ও সাজেশন:-
**জমি খারিজ করার জন্য অনলাইন আবেদন করার নিয়ম
যেহেতু ঘরে বসে অনলাইনে আবেদন করতে হবে তাই কম্পিউটার/ল্যাপটপ কিংবা অন্য যে কোন স্মার্ট ডিভাইসে ইন্টারনেট সংযোগ থাকা লাগবে।
প্রথমে যে কোন একটি ইন্টানেট ব্রাউজার (ক্রম, মজিলা) ওপেন করুন। এরপর এড্রেসবারে টাইপ করুন https://mutation.land.gov.bd/ নিচের মত পেজ ওপেন হবে।
**ই নামজারি (জমি খারিজের জন্য ইন্টারনেটে আবেদনঃ
অনলাইনে আবেদন করুন ট্যাবে নিচের দিকে লাল মার্ক করা বাটনটি ক্লিক করুন। আপনাকে নামজারি জন্য আবেদন করার ফরমে নিয়ে যাওয়া হবে।
[ বি:দ্র: উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
**আবেদন ফরম পূরণ করার ক্ষেত্রে জরুরী বিষয়ঃ
জমি খারিজ বা অনলাইনে নামজারির আবেদন করার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় আপনার জনা জরুরী। যেমন আপনি যদি কারো প্রতিনিধি হিসাবে আবেদন করেন তাহলে আবেদন কারীর তথ্য ঘরের নিচে একটি ঘর রয়েছে।
নথিপত্র আপলোড করার ক্ষেত্রে, এক এক করে আপলোড করতে হবে। নথিটি আপলোড হলে এটি কি ধরণের নথি (দলিল/খতিয়ান/ নাগরিক সনদ) ড্রপডাউন মেনু থেকে সিলেক্ট করে দিতে হবে।
সবকিছু হয়ে গেলে নিচের “দাখিল” বাটনটি ক্লিক করুন। তাহলে আপনার আবেনদটি সাবমিট হবে। আবেদনটি সাবমিট হলে আপনি একটি আইডি নাম্বার পাবেন। এই আইডি নাম্বার দিয়ে আবেদনের অবস্থা জানতে পারবেন।
**নামজারি আবেদনের অবস্থা জানার নিয়মঃ
আপনার আবেদন কি অবস্থায় রয়েছে বা কতদূর অগ্রগতি তা অনলাইনে জানতে পারবেন। আবেদনটি বাতিল হয়ে গেলেও কি কি কারণে বাতিল করা হয়েছে তা আপনাকে জানানো হবে।
রচনা ,প্রবন্ধ | উত্তর লিংক | ভাবসম্প্রসারণ | উত্তর লিংক | Paragraph | উত্তর লিংক |
আবেদন পত্র ও Application | উত্তর লিংক | অনুচ্ছেদ রচনা | উত্তর লিংক | Composition | উত্তর লিংক |
চিঠি ও Letter | উত্তর লিংক | প্রতিবেদন | উত্তর লিংক | CV | উত্তর লিংক |
ইমেল ও Email | উত্তর লিংক | সারাংশ ও সারমর্ম | উত্তর লিংক | Seen, Unseen | উত্তর লিংক |
Essay | উত্তর লিংক | Completing Story | উত্তর লিংক | Dialog/সংলাপ | উত্তর লিংক |
অনুবাদ | উত্তর লিংক | Short Stories/Poems/খুদেগল্প | উত্তর লিংক | Sentence Writing | উত্তর লিংক |
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com
আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও
- LC কি, LC কয় প্রকার,LC বিস্তারিত আলোচনা করআন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে রপ্তানিকারক কর্তৃক রপ্তানিকৃত পণ্যের মূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে আমদানিকারকের পক্ষে ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণপত্র বা লেটার অব ক্রেডিট …
- অপূর্ণ তথ্যের নমুনা তত্ত্বটি সমালোচনাসহ আলোচনা কর।, সমালোচনাসহ অপূর্ণ তথ্যের নমুনা তত্ত্বটি বর্ণনা কর ।অপূর্ণ তথ্যের নমুনা তত্ত্বটি সমালোচনাসহ আলোচনা কর।, সমালোচনাসহ অপূর্ণ তথ্যের নমুনা তত্ত্বটি বর্ণনা কর । মৌলিক ধারণা : বিভিন্ন ধরনের …
- দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের উৎসসমূহ আলোচনা কর,দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের উৎস সম্পর্কে যা জান লিখদীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের উৎসসমূহ আলোচনা কর,দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের উৎস সম্পর্কে যা জান লিখ,দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের উৎসসমূহ বর্ণনা কর । দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের উৎসসমূহ আলোচনা …
- স্বল্পমেয়াদি অর্থায়নের জামানতযুক্ত ও জামানতবিহীন উৎসসমূহ লিখস্বল্পমেয়াদি অর্থায়নের জামানতযুক্ত ও জামানতবিহীন উৎসসমূহ লিখ ভূমিকা : সাধারণত স্বল্প সময়ের জন্য যে অর্থ বা তহবিলের সংস্থান করা হয় …
- স্বল্পমেয়াদি অর্থায়নের বৈশিষ্ট্যসমূহ লিখ, স্বল্পমেয়াদি ঋণের বৈশিষ্ট্যসমূহ বর্ণনা করস্বল্পমেয়াদি অর্থায়নের বৈশিষ্ট্যসমূহ লিখ, স্বল্পমেয়াদি ঋণের বৈশিষ্ট্যসমূহ বর্ণনা কর অর্থায়ন ক্ষেত্রে চলতি মূলধন সংগ্রহের প্রধান মাধ্যম হলো স্বল্পমেয়াদি অর্থায়ন। স্বল্পমেয়াদি …
- উৎসের ভিত্তিতে তহবিল বা অর্থায়নের শ্রেণিবিভাগ সম্পর্কে চিত্রের সাহায্যে আলোচনা করউৎসের ভিত্তিতে তহবিল বা অর্থায়নের শ্রেণিবিভাগ সম্পর্কে চিত্রের সাহায্যে আলোচনা কর,একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের তহবিলের বিভিন্ন উৎস সংক্ষেপে বিবৃত কর,বিভিন্ন ধরনের …
- অভ্যন্তরীণ অর্থসংস্থানের সুবিধাসমূহ কি কি?, অভ্যন্তরীণ অর্থসংস্থানের ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধর।অভ্যন্তরীণ অর্থসংস্থানের সুবিধাসমূহ কি কি?, অভ্যন্তরীণ অর্থসংস্থানের ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধর। অভ্যন্তরীণ অর্থসংস্থানের সুবিধাসমূহ কি কি?, অভ্যন্তরীণ অর্থসংস্থানের ইতিবাচক দিকগুলো …
- অভ্যন্তরীণ অর্থায়নের উৎসসমূহ আলোচনা কর,অভ্যন্তরীণ অর্থায়নের উৎসগুলো কি কি?অভ্যন্তরীণ অর্থায়নের উৎসসমূহ আলোচনা কর,অভ্যন্তরীণ অর্থায়নের উৎসগুলো কি কি?,বিভিন্ন ধরনের অভ্যন্তরীণ অর্থায়নের উৎসসমূহ বিবৃত কর,একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ অর্থায়নের উৎসসমূহ …