hsc assignment 2021 business organization 1st paper (1st week) hsc assignment 2021, এইচএসসি পরিক্ষার্থী ২০২১ এর ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ১ম পত্র ১ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর /সমাধান ২০২১

একটি দেশের অর্থনীতি ও জনগােষ্ঠির জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে মুখ্য চালিকা শক্তি হলাে ব্যবসায়উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ।

 শিখনফল/বিষয়বস্তুঃ

  • ব্যবসায়ের ধারণা ব্যাখ্যা করতে পারবে।
  • ব্যবসায়ের আওতা বা পরিধি বর্ণনা করতে পারবে।
  • বাংলাদেশে ব্যবসায়ের আওতা হিসেবে শিল্প, বাণিজ্য ও প্রত্যক্ষ সেবার ক্ষেত্রে সমস্যা ও সম্ভাবনা বিশ্লেষণ করতে পারবে।
  • ব্যবসায়ের কার্যাবলী ব্যাখ্যা করতে পারবে।

নিদের্শনা (সংকেত/ধাপ/পরিধি)ঃ

  1. ব্যবসায়ের ধারণা উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করতে হবে ।
  2. ব্যবসায়ের আওতা বর্ণনা করতে হবে।
  3. কার্যাবলি বর্ণনা করতে হবে
  4. অর্থনীতি ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে মুখ্য চালিকা শক্তি হিসাবে ব্যবসায় কীভাবে ভূমিকা রাখে তা ব্যাখ্যা করতে হবে।

উত্তর সমূহ:

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে যে কোন প্রশ্ন আপনার মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে লাইক পেজ : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

ক নং প্রশ্নের উত্তর উদাহরণসহ ব্যবসায়ের ধারণা ব্যাখ্যা করা হলােঃ

রহিম উদ্দিন কৃষক, প্রকাশ রায় কাপড়ের দোকানদার, রিপন হােসেন চালের ব্যবসায়ী, শিরিনা সরকার চাকরি করেন- এদের প্রত্যেকেই অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে জরিত |

কিন্তু সকলের কাজ ব্যবসায় নয়। রহিম উদ্দিন যদি পরিবারের খাবারের প্রয়ােজনে তিনি ভাল-ডাল, তরি-তরকারি উৎপন্ন করেন তবে তার এ অর্থনৈতিক কাজটি ব্যবসায় হবে না। কিন্তু তিনি যদি বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে উৎপন্ন করেন এবং তা থেকে লাভের প্রত্যাশা করেন তবে তার কাজ ব্যবসায় হিসাবে গণ্য হবে। মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে প্রকাশ রায় কাপড় ও রিপন হােসেন চাল কিনে বিক্রয় করেন। ফলে তাদের দুজনই ব্যবসায়ী। শিরিনা সরকার চাকরি করেন। মাস গেলে নির্দিষ্ট বেতন পান। তিনি পেশাজীবী তবে ব্যবসায়ী নন।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

একইভাবে কাপড়ের বা চালের ব্যবসায়ী যদি চোরাই পণ্য কিনে বিক্রয় করে তবে তাদের কাজ বৈধ না হওয়ায় তাও ব্যবসায়ের পর্যায়ে পড়বে না। মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে উৎপাদন বন্টনসহ সকল বৈধ অর্থনৈতিক কাজকে ব্যবসায় বলে। অর্থনৈতিক কাজ বলতে অর্থ উপার্জন বা আয়-রােজগারের উদ্দেশ্যে কোনাে কাজ করাকে বুঝায়। কোনাে কাজ অর্থনীতি সংশ্লিষ্ট হলেই তাকে ব্যবসায় বলা যায় না।

ঐ কাজ করার পিছনে অবশ্যই মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্য যেমনি থাকতে হয় তেমনি তা আইনত বৈধ হওয়া আবশ্যক। ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে উৎপাদন সংক্রান্ত কাজ শিল্পের মাধ্যমে ও বন্টন সংক্রান্ত কাজ বাণিজ্যেও মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। তাই মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে শিল্প, বাণিজ্য ও এর সহায়ক সকল কাজই ব্যবসায়। সুতরাং পরিশেষে বলা যায় যে, মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে পণ্যদ্রব্য ও সেবাকর্ম উৎপাদন, বন্টন ও এর সহায়ক যাবতীয় কাজের সমষ্টিকে ব্যবসায় বলে অর্থাৎ ব্যবসায় = মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে উৎপাদন + বন্টন সংশ্লিষ্ট কাজের সমষ্টি

খ) ব্যবসায়ের আওতা নিম্নে আলােচনা করা হলােঃ

 ১. শিল্পঃ যে কার্যপ্রচেষ্টার বা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রকৃতিক সম্পদ আহরণ এবং এতে উপযােগ সৃষ্টি মাধ্যমে মানুষের ব্যবহার উপযােগী পণ্য প্রস্তুত করা হয় তাকে শিল্প বলে। শিল্প উৎপাদনের বাহক উৎপাদনের প্রক্রিয়া ও কর্মপ্রচেষ্টার ভিন্নতার কারণে শিল্পকে প্রধানত নিম্নোক্ত ভাগে ভাগ করা হয়।

  1. প্রজনন শিল্পঃ যে শিল্পে উৎপাদিত সামগ্রী পুনরায় সৃষ্টি বা উৎপাদনেরংকা৷ তাকে প্রজনন শিল্প বলে। যেমনঃ নার্সারী, হ্যাচারি প্রভৃতি।
  2. নিষ্কাশন শিল্প ঃযে শিল্প প্রচেষ্টার মাধ্যমে ভূগর্ভ, পানি বা বায়ু। সম্পদ উত্তোলন বা আহরণ করা হয় তাকে নিষ্কাশন শিল্প বলে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

 III. নির্মাণ শিল্প ঃযে শিল্প প্রচেষ্টার মাধ্যমে রাস্তাঘাট, সেতু, , দালানকোঠা প্রভৃতি নির্মাণ করা হয় তাকে নির্মাণ শিল্প বলে।

  1. প্রস্তুত শিল্প শ্রম ও যন্ত্রের সাহায্যে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার কাঁচামাল বা অর্ধপ্রস্তুত জিনিসকে মানুষের ব্যবহার উপযােগী পণ্যে প্রস্তুত করার প্রচেষ্টাকে শিল্প বলে।
  2. সেবা পরিবেশক শিল্প ও যে শিল্প মানুষের জীবনযাত্রা সহজ ও আরামদায়ক করার কাজে নিয়ােজিত থাকে তাকে সেবা পরিবেশক শিল্প বলে

২. বাণিজ্য ও শিল্পে উৎপাদিত পণ্য প্রকৃত ভােগকারী বা ব্যবহারকারীর নিকট পৌছানাের ক্ষেত্রে যে সকল প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয় মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে তা দূরীকরণের জন্য গৃহীত যাবতীয় কাজের সমষ্টিকে বাণিজ্য বলে। বাণিজ্যের আওতাভুক্ত বিষয়সমূহ নিম্নরূপঃ

ক. ট্রেড বা পণ্য বিনিময় ও মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে পণ্যদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় কার্যকে ট্রেড বা পণ্য বিনিময় বলে। এরূপ বিনিময়কা ক্রয়-বিক্রয়, বন্টনেরক্ষেত্রে মালিকানা হস্তান্তর কার্য সম্পন্ন করে ব্যক্তিগত বাধা দূর করে পণ্য বিনিময়কে নিম্নোক্ত ভাগে ভাগ করা যায় ? । অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য ও একটি দেশের ভৌগােলিক সীমানার মধ্যে যে ক্রয়-বিক্রয় কার্য অনুষ্ঠিত হয় তাকে অভ্য বাণিজ্য বলে। প্রকৃতি অনুযায়ী একে পাইকারি ও খুচরা এই দু’ভাগে ভাগ করা হয়। বৈদেশিক বাণিজ্য ও দুই দেশের মধ্যে বা দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে যে ক্রয়-বিক্রয় কার্য হয় তাকে বৈদেশিক বাণিজ্য বলে। এরূপ বাণিজ্য তিন ধরণের । যথা ঃআমদানি, রপ্তানি ও পুনঃরপ্তানি।

খ. পণ্য বিনিময় সহায়ক কার্যাবলিঃ পণ্য বন্টনের ক্ষেত্রে ক্রয়-বিক্রয় কার্য সুষ্ঠুভাবে সমাধান বেলায় অর্থগত, ঝুঁকিগত, স্থানগত, কালগত ও জ্ঞানগত বাধা দেখা দেয়। এ সকল বাধা দূরীকরণের জন্য যথাক্রমে ব্যাংক, বিমা, পরিবহণ, গুদামজাতকরণ, বাজারজাতকরণ প্রসার ইত্যাদি কার্যেও সহযােগিতার প্রয়ােজন পড়ে। মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে এ সকল কার্য সম্পাদনের জন্য সৃষ্ট প্রতিষ্ঠানও স্বাভাবিকভাবেই ব্যবসায়ের আওতাধীন।

৩. প্রত্যক্ষ সেবাঃ অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে স্বাধীন পেশায় নিয়ােজিত ডাক্তার, উকিল, প্রকৌশলী প্রভৃতি পেশাজীবীগণ প্রত্যক্ষভাবে সেবাকর্ম বিক্রয় করেন। এদেও কাজকে সাধারণভাবে ব্যবসায়ের আওতাধীন মনে ব্রা হলেও প্রকৃত অর্থে তা পেশা বা বৃত্তি হিসেবে গণ্য হয়। কয়েকজন ডাক্তার। মিলে ক্লিনিক ব্যবসায় বা কয়েকজন উকিল মিলে এটর্নি ফার্ম গঠন করতে পারেন; যা প্রত্যক্ষ সেবা বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে সঙ্গত কারণেই ব্যবসায়ের আওতায় আর্ট উপরিউক্ত আলােচনার মাধ্যমে ব্যবসায়ের আওতাসমূহ আলোচনা করা হল।

গ নং প্রশ্নের নিম্নে ব্যবসায়ের কার্যাবলি আলােচনা করা হলােঃ

মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে পণ্যদ্রব্য ও সেবাকর্ম উৎপাদন, বন্টন ও তৎসংশ্লিষ্ট যাবতীয় কাজই ব্যবসায় কার্যকলাপ হিসেবে গণ্য। একজন ব্যবসায়ী কী কাজ করবেন তা তা ব্যবসায়ের প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে। তবে সাধারণভাবে ব্যবসায়ের যে সকল কাজ লক্ষনীয় তা নিম্নে আলােচনা করা হলােঃ

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

১. উৎপাদন ও উৎপাদন ব্যবসায়ের প্রথম ও মৌল কাজ। একজন ব্যবসায়ী বা শিল্পমালিক বিক্রয়ের উদ্দেশ্য নিয়ে পণ্য বা সেবা সামগ্রী উৎপাদন করে। তুলা থেক  সুতা, সুতা থেকে কাপড়, কাপড় থেকে শার্ট এভাবেই জানা উৎপাদন ব্যবসায়ের গন্ডিকে প্রসারিত করে।

২. ক্রয়-বিক্রয় নি। মূল্যের বিনিময়ে পণ্যের মালিকানা হস্তান্তর কার্যই ক্রয়-বিক্রয় নামে অভিহিত। এতে পণ্যের মালিকানা বিক্রেতার নিকট থেকে ক্রেতার নিকট হস্তান্তরিত হয়। এই ক্রয়বিক্রয় ব্যবসায়ের। সহজাত বা স্বভাবসিদ্ধ কাজ। তাই মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে ক্রয়-বিক্রয় কার্যকেই সাধারণভাবে ব্যবসায় হিসেবে গণ্য করা হয়।

৩. সংস্থান প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন বুঝে কাম্য পরিমাণ মূলধন উপযুক্ত উত্স বা উৎসসমূহ থেকে জংগ্রহ ও কাজে লাগানাের প্রক্রিয়াকেই অর্থসংস্থান বলে। বিনা পুঁজিতে ব্যবসায় হয় না এই প্রবাদবাক্য সকল সমাজে প্রচলিত। একজন শিল্পোদ্যোক্তাকে যেমনি শিল্প প্রতিষ্টায় স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদীঅর্থসংস্থান করতে হয় তেমনি একজন ছােট দোকানিকেও দোকান ভাড়ার অগ্রীম প্রদানসহ সাজসজ্জা, মালামাল সংগ্রহ ইত্যাদির প্রয়ােজনে অর্থসংস্থানের প্রয়ােজন পড়ে। সেক্ষেত্রে সুবিধাজনক উৎস থেকে তাকে প্রয়ােজনীয় পরিমাণ অর্থসংস্থান করার প্রয়ােজন পড়ে।

৪. ঝুঁকি গ্রহণঃ ঝুঁকি হলাে আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা। মানুষের জীবন ও সম্পত্তিকে ঘির্বে ঝুকি ও অনিশ্চয়তা বিদ্যমান। ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে এই ক্ষতির সম্ভাবনা অনেক বেশি। উৎপাদিত পণ্যের মূল্য কমে যেতে পারে, বাজারে মন্দাভাব সৃষ্টি হতে পারে, আগুনে ক্ষতি, পণ্য সামগ্রী বিনষ্ট হতে পারে, মেশিন ও যন্ত্রপাতি বিনষ্ট হতে পরে, জাহাজ ডুবিসহ নানান দুর্ঘটনায় ক্ষতি হওয়া অম্বাভাবিক নয়। এই ঝুঁকি মেনে নিয়েই ব্যবসায়ী ঝুঁকির বিরুদ্ধে প্রয়ােজনীয় কার্যব্যবস্থা গ্রহণ করে পথ চলে।

৫. পরিবহনঃ পরিবহন ব্যবসায়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ। উত্তাল থেকে ভােজার কাছে পণ্য প্রেরণে স্থানগত উপযােগ সৃষ্টির কাজকেই পরিবহন বলে। বাংলাদেশের উৎপাদিত তৈরি পােশাক যাচ্ছে ইউরােপ ও আমেরিকার বিভিন্ন দেশে। অস্ট্রেলিয়ার উৎপাদিত গুড়ো দুধ বাংলাদেশে দুধের প্রয়ােজন মেটাচ্ছে। কার্যকর পরিবহন সুবিধা ছাড়া যার কোলে সম্ভব ছিল না। তাই ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে পরিবহন কার্য এর অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।

৬. গুদামজাতকরণঃ উৎপাদন ও ভােগের মধ্য সময়ে বিনষ্ট হওয়ার হাত থেকে রক্ষার জন্য ব্যবসায়ীগণ পণ্য সংরক্ষণের যে ব্যবস্থা গড়ে তােলে তাঁকে গুদামজাতকরণ বলে। বৃহদায়তন খুচরী ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন মাল সংরক্ষণের জন্য দামের ব্যবস্থা করছে। সবমিলিয়ে কার্যত মামজাতকরণ ভিন্ন ব্যবসায় পরিচালনা অসম্ভব।

৭. প্রমিতকরণ ও প্রর্যায়িতকরণঃ পণ্যের ওজন, আকার, রং, গুণাগুণ ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা নিয়ে পণ্যের সঠিক মানের সীমা নির্ধারণ কার্যকেই প্রমিতকরণ বলে। পূর্ব নির্ধারিত মান অনুযায়ী পণ্যকে বিভাজন করার কাজকে পর্যামিতকরণ বলা হয়ে থাকে। ঢাকার একজন ব্যবসায়ী রাজশতীতে কয়েকটা আমের বাগান ক্রয় করেছেন বাগানে নির্দিষ্ট জাতের আম গাছ থেকে সংগ্রহের পর আকার বা ওজন অনুযায়ী তাকে ছােট বড় ও মাঝারি ভাগে ভাগ করে ঝুড়িতে ভরা হচ্ছে। এক্ষেত্রে তিনটা পৃথক মান নির্ধারণ প্রমিতকরণ এবং ভাগ করে ঝুড়িতে ভাব কাজ পৰ্যায়িতকরণ বিবেচিত হবে। এভাবে বিভাজন ছাড়া ব্যবসায় পরিচালনাও অস্তব।

বার্জারজাতকরণ প্রসার ও পণ্য, সেবা বা ব্রান্ড সম্পর্কে সম্ভাব্য গ্রাহকের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি করে বিক্রস্থ বৃদ্ধিও প্রয়াসকেই বাজারজাতকরণ প্রসার বলে। প্রতিযােগিতাপূর্ণ ব্যবসায় জগতে বাজার নিয়ে যখন কাড়াকাড়ি চলছে তখন ভালাে মানের পণ্য বা সেবা উৎপাদন করাই যথেষ্ট নয় সম্ভাব্য গ্রাহকদেও তা জানানাে এবং তাদের মধ্যে ক্রয়ের আগ্রহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টিও অপরিহার্য। এজন্য বিজ্ঞাপন, বিক্রয়প্রসার, ব্যক্তিক বিক্রয়, প্রচার ইত্যাদি নানান কৌশল ব্যবসায়ীদেরকে অবস্থা অনুযায়ী গ্রহণ করতে হয়। উপরিউক্ত আলােচনার মাধ্যমে ব্যবসায়ের কার্যাবলী ব্যাখ্যা করা হল।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

ঘ নং প্রশ্নের উত্তরঃ  দেশের অর্থনীতিতে ব্যবসায়ের ভূমিকাঃ

ব্যবসায় যে কোন দেশেই অর্থনীতির মূখ্য চালিকা শক্তি। উৎপদিন, বন্টন, ভােগ, আয়, সঞ্চয়, বিনিয়ােগ ইত্যাদি অর্থণীতির প্রধান উপাদান যা দেশের ব্যবসায়ের সাথে সম্পর্কীত।বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ। উন্নত দেশের পর্যায়ে পৌঁছাতে হলে এখানে ব্যবসায় তথা শিল্প-বাণিজ্যের অগ্রগতির কোনাে বিকল্প নেই। কৃষিনির্ভর দেশ হলেও এ দেশের অর্থনীতিতে ব্যবসায়ের বাড়ছে। নিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ব্যবসায়ের গুরুত্ব আলোচনা করা হলেও

১. সম্পদের উপযুক্ত ব্যবহারঃ বাংলাদেশের প্রাকৃতিক ও অপ্রাকৃতিক নানান ধরণের সম্পদের যথাযথ ব্যবহারে ব্যবসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রাকৃতিক গ্যাসের বাণিজ্যিক ব্যবহার, কৃষিভিত্তিক শিল্প গঠন, বনজ সম্পদ, জনশক্তি ইত্যাদির কার্যকর ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবসায় দেশের অর্থনৈতিক, উন্নয়নে ভূমিকা রেখে চলছে।

২. ব্যক্তিগত ও জাতীয় আয় বৃদ্ধি ও প্রকট বেকার সমস্যার এ দেশেও ব্যাপক মানুষ ব্যবসায়ের বিভিন্ন শাখায়; যেমনঃ মালিক, কর্মী, সরবরাহকারী, সেবাদানকারী, ঋণদাতা ইত্যাদি নানান কাজে নিয়ােজিত থাকে। ফলে তাদের আয়-রোজগার বৃদ্ধি পায়। এতে সামগ্রিক জাতীয় উৎপাদনের পরিমাণও বাড়ে।

৩. জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উন্নয়ঃ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সাথে জাতীয় উৎপাদনের সম্পর্ক বিদ্যমান। এই উৎপাদন বৃদ্ধিতে দেশের নানান ধরণের শিল্প ও সেবা খাতসমূহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

৪. কর্মসংস্থানের সুযােগ বৃদ্ধি বাংলাদেশ কৃষিনির্ভর দেশ হলেও এদেশের উল্লেখযােগ্য সংখ্যক মানুষ ব্যবসায় ক্ষেত্রে কর্মরত। ধীরে হলেও এদেশের শিল্প-বাণিজ্য খাতে কর্মসংস্থানের সূযােগ বাড়ছে। যা দেশের বর্ধিত বেকার সমস্যা সমাধানে ইতিবাচক ভূমিকা রেখে চলেছে।

৫.মানব সম্পদ দেশের মানব সম্পদ উন্নয়ন ও দক্ষ জনশক্তি গঠনেও ব্যবসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ব্যবসায়ের প্রয়োজনেই দেশে একদল দক্ষ উদ্যোক্তা শ্রেণি ও দক্ষ কর্মী বাহিনী গড়ে উঠে। এছাড়া ক্ষেত্রে দক্ষ কর্মী সৃষ্টির প্রয়াসও লক্ষনীয়। যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে।

৬.সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধিঃ বাংলাদেশ সরকারের রাজস্ব আয়ের মূল উত্স হলাে দেশের ব্যবসায়র খাত।তাই সরকারের অর্থনৈতিক বুনিয়াদ দেশের ব্যবসায় খাতের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল বলা চলে।

৭. সঞ্চয়ে উত্সাহ দানঃ ব্যবসায় সবসময়ই নতুন বিনিয়ােগ প্রত্যাশা করে। এছাড়া নতুন ব্যবসাগঠনেও পুঁজির প্রয়ােজন হয়। তাই এরূপ প্রত্যাশা ও প্রয়ােজন সঞ্চয়কে উত্সাহিত করে। ব্যবসায় জনগণকে সঞ্চয়ে উদ্বুদ্ধ করে বিনিয়ােগ বৃদ্ধিতে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখে। জনগােষ্ঠির জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে মূখ্য চালিকা শক্তি হিসাবে ব্যবসায়ের ভূমিকা ব্যাখ্যা হলোঃ প্রাচীন কাল থেকেই ব্যবসায় জীবিকার্জন ও অগ্রগতি লাক্সে উপায় হিসেবে সসমাজেই গুরুত্বপূর্ণ।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

 জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে ব্যবসায়ের ভূমিকা আলােচনা করা হলােঃ

১. জীবিকার্জনের উপায় ও ব্যবসায় মানুষের জীবিকার্জনের মূখ্য উপায়। একজন সাধারণ মানুষ স্বল্প ও সাধারণ শিক্ষাগত যােগ্যতা নিয়ে ছােট ব্যবসায় গড়ে সারা জীবন তা থেকে আয়-রােজগার ও বংশ পরম্পরায় আয় উপার্জন করতে পারে।

২. উন্নতি লাভের উপায় ব্যবসায় মানুষের জীবনে উন্নতি লাভের প্রধান উপায়। চাকরিতে নির্দিষ্ট বেতন পাওয়া যায়- যা থেকে জীবনে বড় ধরনের উন্নতি লাভ সম্ভব নয়। ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে অধিক শ্রম দিয়ে, যােগ্যতা ও দক্ষতার প্রয়ােগ ঘটিয়ে একজন ব্যবসায়ী। মুনাফা অর্জন করতে পারে।

৩.কর্মসংস্থানের সূযােগ বৃদ্ধি বাংলাদেশ কৃষিনির্ভর হলেও এদেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ ব্যবসায় ক্ষেত্রে কর্মরত। ধীরে হলেও এদেশের বাণিজ্য খাতে কর্মসংস্থানের সূযােগ বাড়ছে। যা দেশের বর্ধিত বেকার সমস্যা সমাধানে ইতিবাচক ভূমিকা রেখে চলেছে।

৪. স্বাধীন বৃত্তিঃ ব্যবসায় হলাে স্বাধীন বৃত্তি একজন ব্যবসায়ী বৈধ যে কোনাে ব্যবসায়ে তার পুঁজি খাটাতে পারে এবং তার কাজে সে কারও নিকট জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকে না। তাই স্বাধীনতাপ্রিয় মানুষ ব্যবসায়কে তাদের ক্যারিয়ার হিসেবে গ্রহণে সাচ্ছন্দ্যবােধ করে।

৫. ভবিষ্যতে সহায়ঃ একজন চাকরিজীবী চাকরি জীবন শেষে যেমনি পেনশন, গ্রাচ্যুইটি ইত্যাদি পেয়ে উপকৃত হয় একজন সামী তেমনি তার প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ের খোঁজ-খবর রেখেই শেষ বয়সে সুন্দরভাবে চলতে পারে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল  কপিরাইট: (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে যে কোন প্রশ্ন আপনার মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে লাইক পেজ : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

  • ২০২১ সালের SSC পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের HSC পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের ৯ম/১০ শ্রেণি ভোকেশনাল পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
  • ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
  • ৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
  • ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক

এখানে সকল প্রকাশ শিক্ষা বিষয় তথ্য ও সাজেশন পেতে আমাদের সাথে থাকুন ।

আমাদের YouTube এবং Like Page

Leave a Comment