hsc (এইচএসসি) কৃষি শিক্ষা ২য় পত্র ৯ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট সমাধান উত্তর ২০২২, hsc agriculture 2nd paper assignment answers 9th week 2022, কৃষি শিক্ষা ২য় পত্র hsc ৯ম সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট ২০২২

Google Adsense Ads

শ্রেণি: HSC/2022 বিষয়: কৃষি শিক্ষা ২য় পত্র এসাইনমেন্টেরের উত্তর 2022
এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 02 বিষয় কোডঃ 240
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ মাৎস্য চাষে প্রায়োগিক জ্ঞান ও কৌশল ব্যবহারের গুরুত্ব

শিখনফল

  • মৎস্যচাষের ধারণা ব্যাখ্যা করতে পারবে
  • রাজপুটির চাষ পদ্ধতি ও রোগ ব্যবস্থাপনা বর্ণনা করতে পারবে
  • নাইলোটিকার চাষ পদ্ধতি ও রোগ ব্যবস্থাপনা বর্ণনা করতে পারবে
  • মাছ চাষের অর্থনৈতিক গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে পারবে

নির্দেশনা

  • রাজপুটি মাছের চাষ পদ্ধতির ধাপ সমূহ বর্ণনা করা (পুকুর ব্যবস্থাপনা ও পোনা মজুদ)
  • নাইলোটিকা মাছ চাষে খাদ্য ব্যবস্থাপনা ব্যাখ্যা করা
  • মাছ চাষের রোগ ব্যবস্থাপনা কৌশল বর্ণনা করা (ক্ষত রোগ, ফুলকা পচা এবং উদার ফোলা রোগ)
  • মাছ চাষের অর্থনৈতিক গুরুত্ব ব্যাখ্যা করা

রাজপুটি চাষের পদ্ধতি

পুকুর প্রস্তুত:

পোনা ছাড়ার আগে পুকুর ভালোভাবে প্রস্তুত করে নিতে হবে। শুকনো মৌসুমে পুকুরের সম্পূর্ণ পানি নিষ্কাশন করে তলার মাটি ১০-১৫ দিন ধরে রোদে শুকাতে হয়। এরপর লাঙল দিয়ে চাষ করে নিতে হবে। পুকুর শুকানো সম্ভব না হলে রাক্ষুসে মাছ ও অন্যান্য ক্ষতিকর প্রাণি মেরে ফেলার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

পুকুরে পোনা মজুদঃ

রাজপুটি মাছ চাষে পোনা মজুদ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। রাজপুটি মাছ চাষের জন্য পুকুরে প্রতি শতাংশে ৪-৬ সে.মি. আকারের ৭০-৮০টি পোনা মজুদ করতে হবে।

নাইলোটিকা মাছ চাষে প্রাকৃতিক খাদ্য ও সম্পূরক খাদ্য ব্যবস্থাপনা

 খাদ্য

নাইলোটিকা মাছ আমিষভোজী। জলাশয়ের জুপ্লাঙ্কটনই এদের বেশি পছন্দের খাবার। বস্তুত এরা সব খাবারই খায়, পচাগলা প্রাণীদেহ থেকে শুরু করে নানা রকম নোংরা খাবার। সেই কারণে পুকুরে মাছের প্রাকৃতিক খাবার বাড়াবার উদ্দেশ্যে নিয়মিত চুন ও সার প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। এ ছাড়া এদের খাদ্যের চাহিদা পূরণের জন্য পরিপূরক খাবারও পুকুরে প্রয়োগ করা হয়। এই খাবার আমিষসমৃদ্ধ হতে হবে। তাই পরিপূরক খাবারে খৈল, সস্তার মাছের গুঁড়ো, ডাল জাতীয় উপাদান মিশ্রিত থাকে। খামারের নানা বর্জ্য পদার্থ যেমন গৃহপালিতদের বিষ্ঠা, পরিত্যক্ত দানা, ছাগল-মুরগির নাড়িভুঁড়ি ইত্যাদি।

মাছের খাবার প্রয়োগ নীতি

খাবারের সারণিমাছের গড় দৈহিক ওজন(গ্রাম)দৈনিক খাদ্যের হারদেহের ওজনের হিসাবেদিনে কত বার
১)স্টারটার – ১২০ – ৫০৮ – ১০%
২)স্টারটার – ২৫০ – ১০০৬ – ৮%
৩)স্টারটার – ৩১০০ – ২০০৫ – ৬%
৪)স্টারটার – ৪২০০ ও তার ঊর্ধ্বে  

মাছের রোগের লক্ষণ কারণ ও প্রতিকার

মাছের ক্ষতরোগ: এফানোমাইসেস ছত্রাকপড়ে ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয়। বাংলাদেশে প্রায় ৩২ প্রজাতির স্বাদু পানির মাছে এ রোগ হয়।

যেমন: টাকি, শোল, পুঁটি, বাইন, কই, শিং, মৃগেল, কাতলসহ বিভিন্ন কার্পজাতীয় মাছে এ রোগ হয়।

লক্ষণ: মাছের ক্ষত রোগ হলে প্রথমে মাছের গায়ে ছোট ছোট লাল দাগ দেখা যায়। লাল দাগে ঘা ও ক্ষত হয়। ক্ষতে চাপ দিলে দুর্গন্ধযুক্ত পুঁজ বের হয়। লেজের অংশ খসে পড়ে।

এ রোগের আক্রমণ হলে করণীয়/প্রতিকারের কৌশল: শীতের শুরুতে ১৫ থেকে ২০ দিন পরপর পুকুরে প্রতি শতাংশে ০১ কেজি ডলোচুন ও ০১ কেজি লবণ মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে।

মাছের ফুলকা পচন রোগ :

সাধারণত গ্রীস্মকালে পুকুরের জল কমে গেলে ব্রস্কিওমাইসিস নামে এক জাতীয় ছত্রাক মাছের ফুলকায় বাসা বাঁধে এবং রক্তবাহী শিরাগুলি বন্ধ করে দেয়। ফলে শ্বসকষ্টে মাছ ভেসে ওঠে এবং চরম অবস্থায় মারা যায়।

লক্ষণ: ফুলকা চিরুনির উপর লাল ছিট ছিট দাগ দেখা যায়। পরবর্তীকালে এগুলি ঈষৎ ধূসর সাদা রঙের এবং ফুলকার গোড়ার হাড়টুকু বাদ দিয়ে পুরো ফুলকাটি খসে পড়ে। মাছ শ্বসকষ্টে ভোগে এবং জলের উপরে খাবি খেতে দেখা যায়।

প্রতিকার: জলের দূষণ রোধ করা। পরিপূরক খাবার অথবা সার প্রয়োগ সাময়িকভাবে বন্ধ করা। পুকুরে পরিস্কার জল ঢোকানোর ব্যবস্থা করা। কম সংক্রমণের ক্ষেত্রে ১ লিটার জলে ৩-৫ গ্রাম খাবার লবণ অথবা ১ লিটার জলে ৫ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট মিশিয়ে ঐ দ্রবণে আক্রান্ত মাছগুলিকে ৫-১০ মিনিট স্নন করাতে হবে।

উদরফোলা:

রোগের কারণ : ব্যাকটেরিয়া দিয়ে এ রোগ হয়। আর লক্ষণ হলো : মাছের পেটে তরল পদার্থ জমে পেট ফুলে যায়। মাছ চিৎ হয়ে ভেসে উঠে। ভারসাম্যহীন চলাফেরা করে। হলুদ বা সবুজ রঙের পিচ্ছিল তরল পদার্থ বের হয়। দেহের পিচ্ছিল পদার্থ থাকে না।

প্রতিরোধ ও প্রতিকার : হাত দিয়ে পেট চেপে তরল পদার্থ বের করা। জৈব সার প্রয়োগ করা। চুন প্রয়োগ করা। টেরামাইসিন গ্রুপের ওষুধ খাদ্যের সাথে খাওয়াতে হবে অথবা ইনজেকশন দিতে হবে।

মাছ চাষের অর্থনৈতিক গুরুত্ব

(১) পুষ্টিমান উন্নয়ন:পুষ্টিগত দৃষ্টিকোন থেকে দেহগঠনে আমিষের ভ‚মিকা ব্যাপক। তুলনামূলক বিচারে প্রাণিজ আমিষ দেহের জন্য ভালো উচ্চ মূল্যের কারণে এদেশের জনসংখ্যার একটি বিরাট অংশ দৈনন্দিন খাবারের সাথে প্রাণিজ আমিষ বিশেষ করে গরু, ছাগল, মহিষ ইত্যাদির মাংসের সংস্থান করতে পারে না। এই শ্রেণির মানুষের পুষ্টিমান উন্নয়নে মৎস্য আমিষের ভ‚মিকা তাই অনস্বীকার্য। সস্তায় পওয়া যায় এমন মাছ খেয়ে এদের দৈনন্দিন আমিষের

চাহিদা মিটে। শুধু এরাই নয়, এদেশের প্রায় সব শ্রেনির সব মানুষের কাছেই মাছ সমানভাবে প্রিয়। সাম্প্রতিক তথ্যে দেখা যায়, বাংলাদেশের মানুষ দৈনিক যে পরিমান প্রাণিজ আমিষ গ্রহণ করে তার প্রায় ৬০% ই আসে মাছ এবং চিংড়ি থেকে। গুণগত মানে অন্যান্য আমিষের চেয়ে মৎস্য আমিষ ভালো। পর্যাপ্ত পরিমান মাছ খেলে মানুষের বুদ্ধিমত্তা বাড়ে, রোগের ঝুঁকি কমে এবং সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত হয়। মিঠা ও লোনা পানির মাছে অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি এসিড পাওয়া যায় যা মানুষের শরীরের জন্য বেশ উপকারি। এছাড়া আয়রণ ও জিংকের ভালো উৎস হলো ছোট মাছ। কাজেই মানুষের দৈনিক খাবারের সাথে পর্যাপ্ত পরিমাণ মাছ খাওয়া উচিত। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে, এদেশের মানুষের দৈনিক মাথাপিছু মাছ গ্রহণের পরিমান ৬০ গ্রামে উন্নীতকরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

(২) কর্মসংস্থান সৃষ্টি:দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ১১ শতাংশের অধিক বা ১ কোটি ৮৫ লক্ষ লোক হ্যাচারি পরিচালনা, মৎস্য চাষ, মৎস্য আহরণ, বিক্রি, মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ইত্যাদি কাজের সাথে নিয়োজিত থেকে জীবিকা নির্বাহ করে।

এসব কাজে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও অংশগ্রহণ করে। প্রাপ্ত তথ্যানুসারে প্রায় ১৫ লক্ষ নারী মৎস্যখাতের বিভিন্ন কার্যক্রমে নিয়োজিত। সরকারের সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় মৎস্য সেক্টরে বেকার পুরুষ ও নারীর জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রচলিত হ্যাচারির ব্যবহার আধুনিকায়ন করে পরিবর্তিত পরিস্থিতি ও চাহিদা-মাফিক মানসম্পন্ন পোনার উৎপাদন ও প্রাপ্যতা নিশ্চিত করত: সম্ভাব্য সকল জলাশয়কে আধুনিক চাষ ব্যবস্থার আওতায় আনতে হবে। একই সাথে উৎপাদিত মৎস্য বিপণন এবং প্রক্রিয়াজাতকরণ ব্যবস্থারও ব্যাপক উন্নয়ন ঘটাতে হবে যাতে করে মাছের গুণগত মান ঠিক থাকে এবং মাছ ও মাছজাত পণ্যের বহুমুখী ব্যবহার নিশ্চিত হয়। এসকল ক্ষেত্রে দক্ষ জনবলের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। বেকার নর-নারীদেরকে খাতওয়ারী প্রশিক্ষণের আওতায় এনে দক্ষতা বাড়ানোর মাধ্যমে উল্লিখিত ক্ষেত্রগুলোতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

(৩) বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন:স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতিতে মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। দিনে দিনে এ সেক্টরের অবদান ক্রমাগতভাবে বেড়েই চলেছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা বলছে মৎস্য খাতে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম সম্ভাবনাময় দেশ। কাজেই, এখাতের অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারলে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।

(৪) আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন:বাংলাদেশে গ্রামে গঞ্জে অসংখ্য পুকুর ডোবা ছড়িয়ে আছে। এসব পুকুরের সিংহভাগ মাছ চাষের আওতায় আনা হলেও একটা উল্লেখযোগ্য অংশ এখনও পতিত। পতিত বা আপাত মাছ চাষ অযোগ্য এসব পুকুরের মালিকানা দেশের প্রান্তিক চাষী বা বিত্তহীনদের হাতে। সংস্কারের মাধ্যমে এ সমস্ত পুকুরে মাছ চাষ করে বিত্তহীন লোক এবং বেকার যুবকদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব।

(৫) হাঁস-মুরগির খাদ্য:বাংলাদেশে হাঁস-মুরগির চাষ ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত হয়েছে। সাথে সাথে বৃদ্ধি পেয়েছে এদের খাদ্যের চাহিদা। মাছের অব্যবহৃত অংশ যেমন-আঁইশ, কাটা, নাড়িভুঁড়ি ইত্যাদি এবং ফিসমিল দ্বারা হাঁস-মুরগির জন্য উত্তম সুষম খাদ্য তৈরী করা সম্ভব। এসব আমিষ সমৃদ্ধ খাদ্য হাঁস-মুরগিকে খাওয়ালে ডিম ও মাংসের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।

(৬) পতিত জমির সদ্ব্যবহার:পতিত/অব্যবহৃত জমিতে পুকুর খনন করে মাছ চাষ করলে পারিবারিক মাছের চাহিদা মেটানোর সাথে সাথে আর্থিকভাবেও কিছুটা সুফল পাওয়া যেতে পারে। 

কাজেই উপরের আলোচনা থেকে এটা বলা যায় যে, বাংলাদেশে মাছ চাষের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]


প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক মাধ্যম গুলোতে ও

Google Adsense Ads


অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-

  • ভোকেশনাল ও দাখিল (১০ম শ্রেণির) অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • Class: 6 To 9 Assignment Answer Link

৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর , ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর,

৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর , ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর

বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/


Google Adsense Ads

Leave a Comment