dakhil class 10 biology assignment answer [5th week assignment answer 2021], দাখিল জীব বিজ্ঞান উত্তর ৫ম সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১

পরিবারের একজন সদস্যের পালস রেট অবস্থায় পরিমাপ করে পাঠসমূহের ব্যাখ্যা প্রদান।

নির্দেশনা ও সংকেতঃ

১. পালস রেট বা নাড়িস্পন্দন পরিমাপের পদ্ধতি যথাযথভাবে অনুসরণ কর (জীববিজ্ঞান পাঠ্যপুস্তকের পৃষ্ঠা ১৫০-১৫১ দ্রষ্টব্য)।

২. প্রথমে খাতায় নিচের মতাে ছক আঁকতে হবে :

অবস্থা/ধাপপালস রেট (প্রতি মিনিটে)
১) শােয়া অবস্থায়
২) বসা অবস্থায়
৩) দাঁড়ানাে অবস্থায়
৪) পাঁচ মিনিট
৫) দ্রুতবেগে হাঁটার পরে

৩. পরিবারের একজন সুস্থ্য সদস্যকে তােমার পরীক্ষণে অংশ নিতে অনুরােধ করবে। তােমার নির্দেশনা বুঝতে সক্ষম এমন ব্যক্তি হতে হবে। তাঁকে পুরাে বিষয়টি বুঝিয়ে বলার পর তিনি সম্মতি দিলে পরীক্ষণ শুরু করা যাবে।

৪. সাবধানতা: অনুমতি ছাড়া কারাে উপর পরীক্ষণ করা যাবে না। নিজের উপর পরীক্ষণ করা যাবে না।

৫. পরীক্ষণাধীন ব্যক্তিকে পরীক্ষণের পূর্বে ৬ ঘন্টা চা-কফি বা ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে। তাঁকে পরীক্ষণের সময় শান্ত ও শিথিল (relaxed) থাকতে হবে। তাই সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরপর পরীক্ষণটি করার আদর্শ সময়।

৬. উপরের ছক অনুসারে প্রথমে শােয়া অবস্থায় পালস রেট নির্ণয় করে ছকে পাঠ লিখতে হবে। তারপর যথাক্রমে বসা ও দাঁড়ানাে অবস্থায় পাঠ নিতে হবে এবং ছকে লিখতে হবে।

৭. সবশেষে পাঁচ মিনিট দ্রুতবেগে হীটার পরে দাঁড়ানাে অবস্থায় পালস রেট নির্ণয় করে ছকে পাঠ লিখতে হবে। উল্লিখিত ছক ব্যবহার করে লেখচিত্র আঁকতে হবে। উদাহরণ: শােয়া, বসা, দাঁড়ানাে এবং হাঁটার পরে প্রতি মিনিটে পালস রেট যদি যথাক্রমে ৭০, ৭৫, ৮৫ এবং ১০০ হয় তাহলে তার লেখচিত্রটি উপরে প্রশ্নে দেওয়া আছে;

৮. বিভিন্ন অবস্থায় পালস রেটের পার্থক্য কেন হয় তা ব্যাখ্যা করতে হবে। | [সর্বনিম্ন ৩০ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ শব্দে]

উত্তর সমূহ:

পরিবারের একজন সদস্যের (আমার বাবার) পালস রেট অবস্থায় পরিমাপ

রক্ত চলাচলের সময় ধমনির গায়ে যে চাপ তৈরি হয়, তাকে রক্তচাপ বলে। হৃৎপিণ্ডের সংকোচন বা সিস্টোল অবস্থায় ধমনির গায়ে রক্তচাপের মাত্রা সবচেয়ে বেশি থাকে। একে সিস্টোলিক চাপ (Systolic Pressure) বলে। হৃৎপিণ্ডের (প্রকৃতপক্ষে নিলয়ের) প্রসারণ বা ডাইয়াস্টোল অবস্থায় রক্তচাপ সবচেয়ে কম থাকে। একে ডায়াস্টোলিক চাপ (Diastolic Pressure) বলে।

চিকিৎসকদের মতে, পরিণত বয়সে একজন মানুষের আদর্শ রক্তচাপ (Blood pressure) সাধারণত ১২০/৮০ মিলিমিটার মানের কাছাকাছি। রক্তচাপকে দুটি সংখ্যায় উল্লেখ করা হয়।

প্রথমটি উচ্চমান এবং দ্বিতীয়টি নিম্নমান। রক্তের উচ্চ চাপকে সিস্টোলিক (Systolic) চাপ বলে যার আদর্শ মান ১২০ মিলিমিটারের নিচে। নিম্নচাপকে ডায়াস্টোলিক (Diastolic) চাপ বলে। এই চাপটির আদর্শ মান ৮০ মিলিমিটারের নিচে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

এই চাপটি হৃৎপিণ্ডের দুটি বিটের মাঝামাঝি সময় রক্তনালিতে সৃষ্টি হয়। দুধরনের রক্তচাপের পার্থক্যকে ধমনিঘাত বা নাড়িঘাত চাপ (Pulse pressure) বলা হয়। সাধারণত সুস্থ অবস্থায় হাতের কব্জিতে রেট তথা হৎস্পন্দনের মান প্রতি মিনিটে ৬০-১০০। হাতের কব্জিতে হালকা করে চাপ দিয়ে ধরে পালস রেট বের করা যায়।

স্ফিগমােম্যানােমিটার (Sphygmomanometer) বা সংক্ষেপে বিপি যন্ত্রের সাহায্যে রক্তচাপ মাপা যায়। এই যন্ত্র দিয়ে ডায়াস্টোলিক ও সিস্টোলিক চাপ দেখে রক্তচাপ নির্ণয় করা যায়।

নিচে আমার পরিবারের একজন সদস্যের ( আমার আব্বু) হাতের পালস রেট নির্ণয় করা হলো। এ পরীক্ষাটি তিনি ঘুম থেকে ওঠার পর করেছিলাম। কারণ পরীক্ষাটি করার সময় ব্যক্তিকে পরীক্ষণ এর পূর্বে অন্তত ৬ ঘন্টা চা, কফি, ধূমপান থেকে দূরে থাকতে হয়।

নিচে  আমার বাবার বিভিন্ন সময়ে তথা শোয়া, হাটা, বসা,  ৫ মিনিট দৌড়ানোর পর পালস রেট নির্ণয় করে উল্লেখ করা হলঃ

শারীরিক অবস্থা পালস রেট( প্রতি মিনিটে)
১. শোয়া৭৪
২. বসা৭৬
৩. দাঁড়ানো ৮০
৪. ৫ মিনিট দ্রুতবেগে হাঁটা১২০

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

উল্লেখিত ছক ব্যবহার  করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অবস্থায় প্রতি মিনিটে পালস রেট এর লেখচিত্র নিম্নরুপঃ

পরিবারের একজন সদস্যের পালস রেট অবস্থায় পরিমাপ করে পাঠসমূহের ব্যাখ্যা প্রদান, পালস রেট বা নাড়িস্পন্দন পরিমাপের পদ্ধতি যথাযথভাবে অনুসরণ কর (জীববিজ্ঞান পাঠ্যপুস্তকের পৃষ্ঠা ১৫০-১৫১ দ্রষ্টব্য)

বিভিন্ন সময়ে তাঁর পালস রেট বিভিন্ন রকম। এর কারণ হচ্ছে তিনি সেই সময়গুলোতে আলাদা আলাদা শারীরিক অবস্থায় ছিলেন। শোয়া অবস্থায় তার শারীরিক কর্মকাণ্ড  সবচেয়ে কম। 

এজন্য তার পালস রেট শোয়া অবস্থায় সবচেয়ে কম।  বসা অবস্থায় তার বসার জন্য শক্তির প্রয়োজন হয়েছে, 

শারীরিক কর্মকান্ড বেড়েছে। তাই পালস রেট শোয়া অবস্থার চেয়ে বেড়েছে। দাড়ানো অবস্থায় তার শারীরিক কর্মকাণ্ডের জন্য শক্তি বসা অবস্থার চেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিলো। তাই পালস রেট বসা অবস্থার চেয়ে বেড়েছে।

দ্রুতবেগে হাঁটা অবস্থায় তার শারীরিক কর্মকাণ্ড বেড়েছে, হৃদয়পিন্ডের গতি বেড়েছে তাই পালস রেটও এ অবস্থায়  সবচেয়ে বেড়ে ১২০ হয়েছে। 

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

আমাদের YouTube এবং Like Page

  • ১১ম -১২ম শ্রেণীর এইচএসসি ও আলিম এসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
  • ১০ম শ্রেণীর এসএসসি ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
  • ৬ষ্ঠ ,৭ম,৮ম ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
  • ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
  • ৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
  • ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
  • ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক

এখানে সকল প্রকাশ শিক্ষা বিষয় তথ্য ও সাজেশন পেতে আমাদের সাথে থাকুন ।

Leave a Comment