BBA-MBA বিবিএ-এমবিএ পড়ে চাকরির সুযোগ কেমন?, এমবিএ করলে কি ভালো চাকরি পাওয়া সম্ভব?, বিবিএ-এমবিএ ক্রেজ ও ভবিষ্যৎ ভাবনা, বিবিএ না অনার্স করলে আমি এমবিএ এবং বিসিএস এর জন্য সুবিধা বেশি

আজকের বিষয়: BBA-MBA বিবিএ-এমবিএ পড়ে চাকরির সুযোগ কেমন?, এমবিএ করলে কি ভালো চাকরি পাওয়া সম্ভব?

১৯৯৪-৯৫ সালের দিকে এই বিবিএ-এমবিএ এর হিড়িকটা পড়ে। এর আগে আমরা বলতাম অমুকে অ্যাকাউন্টিং এ পড়ে ম্যানেজমেন্ট এ পড়ে ইত্যাদি। এই সময় থেকে কমার্স ফ্যাকাল্টির বিষয়গুলোকে মুখ্য করে বিবিএ-এমবিএ করার হিড়িক পড়ে। প্রথমে শুনতাম এরা নাকি সর্ব কাজের কাজী। এখন এত প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এত ছেলেমেয়ে বিবিএ-এমবিএ করে যে তাদের বেতন গার্মেন্টস শ্রমিকদের মতোন হয়ে গেছে। ভালো চাকরি আপনি যে কোন বিষয়ে পড়েই পেতে পারেন। সেজন্য আপনাকে সে বিষয়ে ভালোভাবে জানতে হবে, ইংরেজি জানতে হবে এছাড়া কম্পিউটারে আপনাকে কিছু কাজ জানতে হবে।

বাংলাদেশে দেখুন গণিতে ফার্স্ট ক্ল্যাস পাওয়া মেয়েটিও ব্যাংকে চাকরি করে বাংলায় সেকেন্ড ক্ল্যাস পাওয়া মেয়েটিও ব্যাংকে চাকরি করে আবার এমবিএ করা ছেলেটিও একই চাকরি করে বা তার চেয়ে খারাপ চাকরি করে। যেহেতু আপনি চাকরির কথা বললেন তাই আমিও চাকরির বিষয়টি জানালাম। ধন্যবাদ।

বাংলাদেশের দেড় শতাধিক সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে পরিচিত বিভাগ বা অনুষদ হচ্ছে ব্যবসায় প্রশাসন। এ বিভাগের অধীনে পড়ানো হয় বিবিএ এবং এমবিএ প্রোগ্রাম। হাতে গোনা কয়েকটি সরকারি প্রকৌশল ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া প্রায় সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েই ব্যবসায় প্রশাসন বিষয়ে পড়ানো হচ্ছে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদা ইনস্টিটিউট খুলে ব্যবসায় প্রশাসন বিষয়ে পড়ানো হচ্ছে। যেমন ঢাকা, রাজশাহী ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের  আইবিএ (ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট) সমূহও এই বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি দিয়ে থাকে। এ থেকেই ব্যবসায় প্রশাসন বিষয়ে ছাত্র-ছাত্রী ও প্রতিষ্ঠানের চাহিদা বা গুরুত্ব অনুমান করা যায়।

দেশিয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিবিএ ও এমবিএ নিয়ে এতো আগ্রহের উল্লেখযোগ্য তিনটি কারণ রয়েছে। এরমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একাডেমকি কার্যক্রম, সামাজিক মূল্যায়ন ও চাকরিদাতাদের আগ্রহ-অন্যতম।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি দেশীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মপরিধি প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ব্যবসায় প্রশাসনে একজন স্নাতক (বিবিএ) তার কর্মজীবনে আকর্ষণীয় বেতন, উন্নত সুযোগ-সুবিধা ছাড়াও সৃজনশীলতার প্রকাশ ঘটিয়ে যেকোনো প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পদগুলোতে কাজের সুযোগ পান। কাজ করছেন বিশ্বব্যাংক থেকে শুরু করে অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থায়। দেশের দারিদ্র বিমোচনেও রাখছে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা।

ভবিষ্যৎ গন্তব্য কোথায়?

বিবিএ ও এমবিএ সম্পন্ন করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার পাশাপাশি অনেকে উদ্যোক্তা হিসেবেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন।

১। করপোরেট ও প্রাতিষ্ঠানিক সেক্টরে কাজের সুযোগ

করপোরেটের ধরন অনুযায়ী ব্যবসায় প্রশাসনের গ্র্যাজুয়েটদের চাকরির অবস্থান নির্ধারিত হয়ে থাকে। বলে রাখা ভাল নানাবিধ বিষয়ের উপরে বিবিএ এবং এমবিএ ডিগ্রী প্রদান করা হয়। মার্কেটিং, ফাইন্যান্স, একাউন্টিং, ব্যবস্থাপনা, মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা, ট্যুরিজম ও হোটেল  ম্যানেজমেন্ট, সাপ্লাই চেইন  ম্যানেজমেন্ট, ব্যাংকিং ও ইনস্যুরেন্স, ইসলামিক ব্যাংকিং, রিয়েল এস্টেট ম্যানেজমেন্ট, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, একাউন্টিং ইনফরমেশন সিস্টেমস, ম্যানেজমেন্ট ইনফেরমেশন সিস্টেমস, ফাইনান্সিয়াল টেকনোলজি (ফিনটেক), স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা সহ যুগের চাহিদা অনুযায়ী অন্যান্য বিষয়ের উপরও বিবিএ এবং এমবিএ ডিগ্রী দেওয়া হয়ে থাকে।

বিবিএ বা এমবিএ ডিগ্রী থাকলে ব্যাংক, বীমা ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাধারণত দ্রুত চাকরি হয়। বর্তমানে ক্রমবর্ধমান গার্মেন্টস শিল্পে ব্যবসায় প্রশাসনের গ্র্যাজুয়েটদেরও অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।

এছাড়াও দেশব্যাপী গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠিত সুপার শপগুলোতে ব্যবসায় প্রশাসনের শিক্ষার্থীদেরই একচেটিয়া উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এমনকি ট্যুরিজম ও হোটেল ব্যবস্থাপনায় বিবিএ এবং এমবিএ ডিগ্রীধারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। ওষুধ শিল্প বাংলাদেশের আরেকটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক খাত। ওষুধের বিপণন ও বাজারজাতকরণে নিয়োগপ্রাপ্ত হোন বিবিএ এবং এমবিএ গ্র্যাজ্যুয়েটরা।

যে সকল কোম্পানি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত তাদের প্রথম পছন্দ বিবিএ-এমবিএ গ্র্যাজ্যুয়েট। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান, এনজিও তাদের কর্মী এবং কর্মকর্তা পর্যায়ে নিয়োগ দিয়ে থাকে ব্যবসায় প্রশাসনের গ্র্যাজ্যুয়েটদের। সরকারের আয়কর বিভাগের নিয়োগেও প্রাধান্য পেয়ে থাকে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের গ্র্যাজ্যুয়েটরা।

ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের গ্র্যাজুয়েটদের আরেকটি বড় সুযোগ হচ্ছে যেকোনো মাধ্যমে শিক্ষকতা করার সুযোগ। স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে বাণিজ্য শিক্ষায় নিয়োগের ক্ষেত্রে বিবিএ এমবিএ ডিগ্রীধারীদের কদর সবচেয়ে বেশী। মিডিয়াজগতেও পিছিয়ে নেই বিবিএ এমবিএ ডিগ্রীধারীরা। বাংলাদেশের অনেক খ্যাতিমান সংবাদকর্মী, সংবাদ পাঠক বিবিএ, এমবিএ ডিগ্রী অর্জনের পর এ জগতে এসে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।

২। হতে পারেন সফল উদ্যোক্তা

শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয় বেকার অবস্থায়। কিন্তু বিবিএ বা এমবিএ করার পরে তাদের সাধারণত বেকার থাকতে হয় না। চাকরি না করেও তারা হতে পারে উদ্যোক্তা। সামর্থ্য অনুযায়ী তারা হতে পারে ক্ষুদ্র, বা মাঝারী উদ্যোক্তা। একদিন তাদের মধ্য থেকেই কেউ কেউ হয়ে যায় বড় মাপের উদ্যোক্তা।

একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বা কৃষি কিংবা অন্যান্য প্রজেক্ট কিভাবে গড়তে হয় তার শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় বিবিএ, এমবিএ প্রোগ্রামের মাধ্যমে। কিভাবে পুঁজি সংগ্রহ করা যায় এবং পুঁজির সর্বোত্তম ব্যবহার করা যায় তার সহজ সমাধানও থাকে এ প্রোগ্রামে। 
ব্যবসায় প্রশাসন বিষয়ে গ্র্যাজুয়েট হওয়ার পর চাকরি না করে স্বাধীন ভাবে শেয়ার ব্যবসায়, বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় ব্যবসায় যুক্ত হচ্ছেন অনেকেই।

বিবিএ এমবিএ গ্র্যাজুয়েটদের এত কদর কেন?

ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগে বৈচিত্র্যময় কোর্সের সমাহার থাকে। যুগোপযোগী এসব কোর্সের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম সম্পর্কে আগেভাগেই ধারণা পেয়ে থাকেন। শিক্ষাজীবন থেকেই এদের মধ্যে একধরনের পেশাদারিত্বের লক্ষণ দেখা যায়। ফলে চাকরিদাতারা যে ধরনের স্মার্ট ও পটু কর্মী খুঁজেন, তার প্রত্যেকটি বিষয়ই পাওয়া যায় বিবিএ ও এমবিএ সম্পন্নকারীদের মধ্যে। 
কারণ চার বছরের বিবিএ প্রোগ্রামে অসংখ্য অ্যাসাইনমেন্ট, ফিল্ড ওয়ার্ক, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্যুর, প্রেজেন্টেশন এ অংশ নিতে হয় শিক্ষার্থীদের। শেষ বর্ষে এসে তাদেরকে কোন একটি কোম্পানিতে ইন্টার্নশিপের মাধ্যমে হাতে কলমে কাজ শিখতে হয়। অর্থাৎ জব মার্কেটে যাওয়ার আগে তাদের একটি মানসম্মত প্রস্তুতি গ্রহণ হয়ে থাকে।

সর্বশেষ বলে রাখা ভালো, ব্যবসায় প্রশাসন একটি গতিশীল সাবজেক্ট। তথ্যপ্রযুক্তি ও পরিবর্তিত দেশ ও বৈশ্বিক বিষয়ের সঙ্গে সঙ্গে এটিও পরিবর্তনশীলও। ফলে সবসময়ই এর চাহিদা থাকবে আকাশচুম্বী।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

অনেকেই জানতে চান আইবিএতে পড়ার সুবিধাগুলো কি কি । কেনইবা আইবিএ এত ডিমান্ডিং । এটা কি শুধু একাডেমিক এক্সিলেন্সের কারণে ?

আসলে একাডেমিক এক্সিলেন্স ছাড়াও আইবিএতে পড়ার অনেক সুবিধা আছে । নিচে ৭টি পয়েন্ট তুলে ধরা হচ্ছে ।

১। কর্পোরেট ব্রান্ড

আইবিএ দেশের সেরা কর্পোরেট ব্রান্ড । খ্যাতনামা কর্পোরেট হাউসগুলোর প্রথম পছন্দ থাকেন আইবিএর শিক্ষার্থীরা । এজন্য পাশ করার আগেই ছেলেমেয়েরা বিভিন্ন জায়গা থেকে জব অফার পেয়ে থাকেন । 

২। শক্তিশালী অ্যালামনি বেস

দেশের সেরা এল্যামনি বেস আইবিএর  । কর্পোরেট হাউসগুলোর দিকে তাকান । রেপুটেড প্রতিষ্ঠানগুলোর এমডি, সিইওদের  শতকরা ৮০ ভাগের উপর আইবিএতে পড়াশোনা করেছেন । স্বাভাবিকভাবেই তাই আইবাইটরাই হবেন তাদের প্রথম পছন্দ । এ সম্পর্কে আমাদের আর্টিকেল দেশের বিখ্যাত এক্স-আইবাইটগন  পড়ে দেখতে পারেন ।

৩। দেশের সেরা শিক্ষার্থীদের সাথে লেখাপড়ার সুযোগ

এটাকে আমার আইবিএর সবচেয়ে বড় সুবিধা মনে হয় । আইবিএর সিলেকশন ক্রাইটেরিয়া অনেক কম্পিটিটিভ এবং ফেয়ার । যার ফলে দেশের সেরা মেধাবীরাই এখানে পড়ার সুযোগ পান । এরা একেকজন একেক দিকে দক্ষ থাকেন ।

কারো কারো ম্যানেজারিয়াল স্কিল অনেক ভালো, কেউ আবার মার্কেটিং এ অনেক ভালো, কেউ ফাইনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট খুব ভালো বুঝবে আবার কেউ কেউ হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট খুব ভালো বুঝবে ।

সো তাদের সংস্পর্শে এসে আপনি সেই স্কিলগুলো শেখার এক চমৎকার সুযোগ পাবেন ।

৪। দেশের সেরা ফ্যাকাল্টিদের লেকচার থেকে শেখার সুযোগ

আইবিএর অধিকাংশ শিক্ষক দেশের খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে কোন না কোনভাবে জড়িত । ফলে তাদের ক্লাসগুলোতে দেশের জব মার্কেট ও সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে জানার এক দারুণ সুযোগ পাবেন ।

এছাড়াও দেশের শীর্ষ পদে কর্মরত সাবেক এবং বর্তমান অনেকেই এখানে ক্লাস নিয়ে থাকেন । উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের এক্স-গভর্নর ফরাস উদ্দিন স্যারের কথা ।

এছাড়াও গেস্ট ফ্যাকাল্টি হিসেবে অনেকেই পাবেন । আমাদের এইচ আর এমের ১টা কোর্সে গেস্ট ফ্যাকাল্টি হিসেবে এসেছিলেন সিটি.এন.এর সাবেক কান্ট্রি ডিরেক্টর মামুনুর রশিদ স্যার ।

৫। জব সিকিউরিটি

আইবিএ থেকে পাশ করে কেউ বেকার বসে আছেন, এটা খুবই রেয়ার । নেহাত কপাল খারাপ না হলে চাকরী নিয়ে অন্তত আপনাকে টেনশন করতে হবে না ইনশাআল্লাহ্‌ ।

৬।  জব লাইফের দরকারি স্কিলগুলো শেখার সুযোগ

আমাদের এডুকেশন সিস্টেমে ব্যাবহারিক জ্ঞানের চেয়ে থিউরী শেখানোর দিকে বেশী ফোকাস করা হয় । ফলে অধিকাংশ ছেলে-মেয়ে জব লাইফে গিয়ে সাফার করে । আইবিএ এদিক থেকে ব্যাতিক্রম ।

আপনাকে অনেক ফিল্ড অয়ার্ক করতে হবে, অসংখ্য প্রেজেন্টেশন দিতে হবে । ফলে জাব লাইফের দরকারি স্কিলগুলো ছাত্রজীবনেই শিখতে থাকবেন । জবে ঢুকে  তেমন কোন সমস্যা ফেস করবেন না ইনশাআল্লাহ ।

৭। নেটওয়ার্কিং

হরেক রকম ব্যাকগ্রাউন্ডের ছেলেমেয়ের সমাবেশ আইবিএতে ঘটে । আবার সিনিয়ার ভাইয়া-আপুরাও অনেক ভালো ভালো জায়গা থেকে এসে থাকেন ।

১টা উদাহরণ দেই, আইবিএতে চান্স পাবার পর পর আবার কেউ কেউ বিসিএসেও ভালো ক্যাডার পেয়ে যায় । লাস্ট ৩-৪ টা বিসিএসে কমপক্ষে ২ জন জন ফাস্ট বয় আইবিএর ।

এবার ৩৫ বিসিএসে প্রথম দশ জনের ৩-৪ আইবিএর । সো জব লাইফ ছাড়াও অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রে আপনি আইবাইট হবার ফ্যাসিলিটি পাবেন ।

ইনফ্যাক্ট Capstone Education এর সাবেক ভার্বাল ইন্সট্রাক্টর ওয়ারিসুল ইসলাম গত ৩৫ তম বিসিএসে সন্মিলিত মেধা তালিকায় প্রথম হয়েছেন ।

আপনাকে MBA করতে হলে আগে BBA করতে হবে।BBA মানে bachelor of business administration আর MBA মানে masters of business administration BBA কমপ্লিট করে MBA করতে হয়।আর MBA,BBA যেটা আপনার ইচ্ছা আপনি বিদেশে করতে পারবেন।বিসিএস এ কেমন সুবিধা পাবেন সেটা আসলে বলা যায় না।আপনি কেমন পড়াশুনা করেন বা কেমন পারেন তার উপর হচ্ছে আপনার বিসিএস ।MBA করলে আলাদা সুবিধা পাবেন এমন কোনো সুবিধা নেই ।

আমাদের দেশেই কেবল স্নাতক (সম্মান) ৪ বছরের আর কোন কোন ক্ষেত্রে স্নাতকোত্তর ২ বছরের। অথচ পশ্চিমা দেশগুলো এমনকি আমাদের পার্শবর্তি দেশ ইন্ডিয়াতেও স্নাতক (সম্মান) ৩ বছরের এবং স্নাতকোত্তর ১ বছরের। আপনি যদি জাতীয় বিশ্ববিদ্যলয়ে স্নাতক (সম্মান) বিবিএস করেন তবে আপনাকে এমবিএস করতে হবে ১ বছর। আবার যদি বিবিএ করেন তবেও আপনাকে এমবিএ করতে হবে ১ বছর। আবার আপনি যদি জাতীয় বিশ্ববিদ্যলয়ে স্নাতক (সম্মান) বিবিএস করেন তবে আপনাকে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ বছরের এমবিএ করার সুযোগ পাবেন। আর বিদেশে পড়তে গেলে আপনাকে প্রথমে ভাল ফলাফল আপনার একাডেমিক তথা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় তারপর আপনার একই সাথে মনযোগ দিতে হবে জিআরই, টোফেল অথবা আইইএলটিএস-এ। সেই সাথে খেয়াল রাখতে হবে এক্সট্রা কারিকুলার একটিভিটিজ এর দিকে। ধন্যবাদ।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও

Leave a Comment