৯ম-১০ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের সপ্তম অধ্যায়ে পৌরসভার উল্লেখ আছে

বাংলাদেশে তিন স্তর বিশিষ্ট স্থানীয় সরকার বিদ্যমান। এখানে প্রথম স্তরের প্রশাসনিক একক বিভাগ পর্যায়ে কোন স্থানীয় সরকার নেই।

দ্বিতীয় স্তরের প্রশাসনিক একক জেলা পর্যায়ে স্থানীয় সরকার (৬৪টি জেলায় জেলা পরিষদ), উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা পরিষদ এবং গ্রাম এলাকায় ইউনিয়ন পরিষদ, ছোট শহর এলাকায় পৌরসভা ও বড় শহরে সিটি কর্পোরেশন হল স্থানীয় সরকারের একটি অংশ।

বর্তমানে স্থানীয় সরকার বডিতে তিনজন মহিলা সদস্যরা জন্য আসন সংরক্ষিত হয়, যা ১৯৭৬ সালে জিয়াউর রহমান সরকার চালু করে। বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার সমূহ হল –

জেলা পরিষদ
উপজেলা পরিষদ
সিটি কর্পোরেশন /পৌরসভা /ইউনিয়ন পরিষদ

এছাড়াও বাংলাদেশের তিন পার্বত্য জেলায় জেলা পরিষদের পাশাপাশি রয়েছে পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ। জেলা পরিষদ ও পার্বত্য স্থানীয় সরকার পরিষদের কাজ ভিন্ন।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

পৌরসভা বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় প্রশাসনের স্বায়ত্তশাসিত গুরুত্বপূর্ণ একক। পৌরসভা আইন ২০০৯ অনুসারে বাংলাদেশের কোনো এলাকাকে পৌরসভা ঘোষণা করা যেতে পারে, যদি ওই এলাকার তিন-চতুর্থাংশ বা ৭৫ শতাংশ লোক অকৃষিজ পেশায় নিয়োজিত থাকে, ৭৫ শতাংশ ভূমি অকৃষিজ প্রকৃতির হয়, জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে এক হাজার ৫০০ জনের অধিক হয় এবং ওই এলাকার মোট জনসংখ্যা ৫০ হাজারের কম না হয়।

বাংলাদেশের বড় শহরগুলো সিটি করপোরেশন দ্বারা পরিচালিত হয়। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে যে শহর এবং শহরাঞ্চল আছে তা পৌরসভা দ্বারা শাসিত ও পরিচালিত হয়। ঢাকা পৌরসভা গঠিত হয় ১৮৬৪ সালে। তবে স্বাধীন বাংলাদেশে পৌরসভা অধ্যাদেশ জারি হয় ১৯৭৭ সালে। বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন-২০০৯ অনুসারে পৌরসভাগুলো প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত।

বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত মোট ৩৩০টি পৌরসভা রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৬৩টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬৪টি, রাজশাহী বিভাগে ৬২টি, খুলনা বিভাগে ৩৭টি, বরিশাল বিভাগে ২৬টি, সিলেট বিভাগে ২০টি, রংপুর বিভাগে ৩১টি ও ময়মনসিংহ বিভাগে ২৭টি পৌরসভা। সর্বশেষ হলো সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভা।

বৃহত্তম পৌরসভা হলো বগুড়া। পৌরসভার মূল দায়িত্ব হলো নিজ নিজ এলাকাভুক্ত নাগরিকদের রাষ্ট্রীয় আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত বিধান অনুসারে সর্বপ্রকার নাগরিক সুবিধা প্রদান করা, পৌর প্রশাসন ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে সমন্বয় সাধন এবং সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণ করা, পৌর এলাকায় নাগরিকদের পৌরসেবা প্রদানের লক্ষ্যে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, নগর উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা, নাগরিক নিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলা রক্ষা করা প্রভৃতি। এ ছাড়া পরিবহন ব্যবস্থাপনার সুবিধার্থে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা,

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

পথচারীদের সুবিধার্থে যাত্রীছাউনি, সড়ক বাতি, যানবাহনের পার্কিং স্থান ও বাসস্ট্যান্ড বা বাসস্টপের ব্যবস্থা করা, নগরে বৃক্ষরোপণের পাশাপাশি এর রক্ষণাবেক্ষণ, শিক্ষা, খেলাধুলা, চিত্তবিনোদন, আমোদ-প্রমোদ ও সাংস্কৃতিক সুযোগ সৃষ্টি এবং প্রসারে সহায়তা করাও পৌরসভার দায়িত্ব।

Leave a Comment