Google Adsense Ads
হিউয়েন সাং কে ছিলেন?, ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের প্রথম অধ্যায়ে হিউয়েন সাংয়ের উল্লেখ আছে
বিখ্যাত চীনা বৌদ্ধ ভিক্ষু, পণ্ডিত, পর্যটক এবং অনুবাদক। তিনি চীন এবং ভারতের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপনের ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। ধারণামতে ৬৩০ খ্রিস্টাব্দের কোন এক সময়ে তিনি ভারতবর্ষে প্রবেশ করেছিলেন।
তিনি তার ভারত ভ্রমণ শুরু করেছিলেন লানপো বা লামখান থেকে। লামখানকে তৎকালীন ভারতবর্ষের লোকেরা লম্পক নামে ডাকত। তিনি বালখজুমধ, গচি, বামিয়ান এবং কপিশা হয়ে এ স্থানে এসেছিলেন। মূলত লামখান থেকেই তার ভারতবর্ষ ভ্রমণের সূচনা।
তিনি মূলত গৌতম বুদ্ধের নিদর্শন এবং স্মৃতিধন্য স্থানসমূহ পরিদর্শন এবং ভারতবর্ষ থেকে বুদ্ধ ও অন্যান্য বৌদ্ধ ভিক্ষুদের রচনা সংগ্রহ করে নিয়ে যাওয়ার জন্যই এই ভ্রমণ শুরু করেছিলেন।
ভারতবর্ষে চৈনিক তীর্থ ভ্রমণকারীদের মধ্যে দ্বিতীয় বিবরণীটি হিউয়েন সাংয়ের। তাঁর সময়কাল সাত শতক। তিনি ভারত ও বাংলা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিবরণ লিখে গেছেন। তাঁর ভ্রমণকালে উত্তর ভারতে হর্ষবর্ধন, বাংলায় শশাঙ্ক এবং আসামে ভাস্করবর্মণ শাসন করছিলেন। ৬৩৮ সালের দিকে বাংলায় আসেন হিউয়েন সাং।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
হিউয়েন সাং জন্মগ্রহণ করেন ৬০৩ সালে চীনের হেনান প্রদেশে। শৈশব থেকেই তিনি ধর্মগ্রন্থ, বিশেষ করে চৈনিক ধ্রুপদি গ্রন্থ ও প্রাচীন জ্ঞানী লোকদের লেখা পাঠে আগ্রহী হন। লুওইয়াং নগরে অবস্থানকালে হিউয়েন সাং মাত্র ১৩ বছর বয়সে বৌদ্ধভিক্ষু সম্প্রদায়ে প্রবেশ করেন। সুই রাজবংশের পতনের পর রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতার কারণে তিনি সিচুয়ানের জিংদুতে চলে যান।
সেখানে থাকা অবস্থায় ২০ বছর বয়সে সন্ন্যাসব্রত গ্রহণ করেন। এর পর থেকে তিনি বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থের সন্ধানে পুরো চীন ভ্রমণ করেন। অবশেষে তিনি তাং সম্রাট তাইজং শাসনাধীন চ্যাংগানে পৌঁছান। এখানে এসেই হিউয়েন সাংয়ের ভারত ভ্রমণের ইচ্ছা জাগে মনে।
৬২৯ সালে চীন থেকে যাত্রা শুরু করে হিউয়েন সাং উত্তরের বাণিজ্য পথ ধরে মধ্য এশিয়ার কুশ হয়ে উত্তর ভারতে পৌঁছান। কনৌজনগরে (এটি এখনকার ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের কনৌজ জেলার একটি মহানগর) পৌঁছে তিনি ভারতীয় সম্রাট হর্ষবর্ধনের আতিথ্য লাভ করেন।
তিনি মগধের (এই রাজ্য বর্তমানের বিহারের পাটনা, গয়া আর বাংলার কিছু অংশ নিয়ে গঠিত ছিল) বিভিন্ন বৌদ্ধ তীর্থস্থান পরিদর্শন করেন। তৎকালীন বিখ্যাত বৌদ্ধ শিক্ষাকেন্দ্র নালন্দা মহাবিহারে বেশ কিছুদিন অবস্থান করে পড়াশোনা চালিয়ে যান।
এরপর তিনি বাংলার বিভিন্ন অংশ (পশ্চিম, উত্তর ও দক্ষিণ-পূর্ব অংশ) এবং দক্ষিণ ও পশ্চিম ভারত ভ্রমণ করে আবার মধ্য এশিয়া হয়ে চীনে প্রত্যাবর্তন করেন। তবে ফেরার পথে তিনি খোটান হয়ে দক্ষিণ পথ ধরেন। হিউয়েন সাং তাঁর ভ্রমণকৃত সব দেশের বিস্তারিত বিবরণ লিপিবদ্ধ করেছিলেন।
৬৪৫ সালে হিউয়েন সাং চীনে প্রত্যাবর্তন করলে তাঁকে বিপুল সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তখনো সিংহাসনে আসীন ছিলেন সম্রাট তাইজং। হিউয়েন সাংকে বিভিন্ন উচ্চ পদে যোগদানের প্রস্তাব দেন তিনি। কিন্তু সব প্রস্তাবই ফিরিয়ে দেন তিনি।
৬৬৪ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বৌদ্ধ রচনার অনুবাদে জীবনের বাকি সময় ব্যয় করেন হিউয়েন সাং।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
এখানে সকল প্রকাশ শিক্ষা বিষয় তথ্য ও সাজেশন পেতে আমাদের সাথে থাকুন ।
Google Adsense Ads
- ডিগ্রি ২য় বর্ষ অর্থনীতি ৪র্থ পত্র সাজেশন
- Degree Economics 4th paper Final Suggestion
- ডিগ্রি ২য় বর্ষের অর্থনীতি ৩য় পত্র স্পেশাল সাজেশন
- Economics 3rd paper Degree 2nd Year Suggestion
- সহকারী জজ (বিজেএস) নিয়োগ পরীক্ষার নৈবিত্তিক ও লিখিত সাজেশন,BJS MCQ Suggestions
- ১ মে আন্তর্জাতিক শ্রম দিবস আজ, মে দিবসের ইতিহাস
Google Adsense Ads