সাভারের হেমায়েতপুর-এ চামড়ার জুতা তৈরির কারখানা, পােলট্রি ফার্মে মুরগির ডিম ও বাচ্চা উৎপাদন করা

ক) সাভারের হেমায়েতপুর-এ চামড়ার জুতা তৈরির কারখানা,

খ) পােলট্রি ফার্মে মুরগির ডিম ও বাচ্চা উৎপাদন করা,

গ) পদ্মা সেতু তৈরি করা, ঘ) বাখরাবাদ গ্যাসফিল্ড থেকে গ্যাস উত্তোলন,

ঙ) কক্সবাজারে মেরিনড্রাইভ সড়ক তৈরি,

চ) সুন্দরবন থেকে মধু আহরণ করা,

ছ) জয়পুরহাট সুগারমিলে আখ থেকে চিনি তৈরি, জ) বৈদেশিক বাণিজ্যে সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করা,

ঝ) গাছের চারা উৎপাদন,

ঞ) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া।

উপরে বর্ণিত কাজগুলাে কোন শিল্পের (প্রজনন, নিষ্কাশন, নির্মাণ, উৎপাদন, সেবা) আওতাভুক্ত তার তালিকা তৈরি করে আওতাভুক্ত হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর।

ভূমিকাঃ বর্তমান সময়ে ব্যবসা শুধুমাত্র পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই।  প্রযুক্তি এবং সময়ের পরিবর্তনের সাথে ব্যবসা এর আওতা ও পরিধি বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন পণ্য দ্রব্য ও সেবা কর্ম উৎপাদন, পণ্য দ্রব্য বিনিময় ও এর সহায়ক কাজের সমষ্টিকে ব্যবসা বলে।

অর্থশাস্ত্রের পরিভাষায় ব্যাবসায় এক ধরনের সামাজিক কর্মকাণ্ড বিজ্ঞান যেখানে নির্দিষ্ট সৃষ্টিশীল ও উৎপাদনীয় লক্ষ্যকে সামনে রেখে বৈধভাবে সম্পদ উপার্জন বা লাভের উদ্দেশ্যে লোকজনকে সংগঠিত করা হয় ও তাদের উৎপাদনীয় কর্মকাণ্ড রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়।

পণ্য দ্রব্য বিনিময় সংক্রান্ত সহায়ক কাজে পরিবহন বীমা ব্যাংকিং গুদামজাতকরন ও বিজ্ঞাপন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

আধুনিক ব্যবসা কে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে-

১. শিল্প বা Industry, ২. বাণিজ্য বা Commerce, ৩. প্রত্যক্ষ সেবা বা Direct Service;

শিল্প বা Industry: শিল্পকে উৎপাদনের বাহন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।  যে প্রক্রিয়ায় প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ কাঁচামালের রূপদান এবং প্রক্রিয়াজাত করণের মাধ্যমে কাঁচামাল কে মানুষের ব্যবহার উপযোগী পণ্যে পরিণত করা হয় তাকে শিল্প বলা হয়। শিল্প কে প্রধানত পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। 

১. প্রজনন শিল্প (Genetic): প্রজনন শিল্পে উৎপাদিত সামগ্রী পুনরায় সৃষ্টি বা উৎপাদনের কাজে ব্যবহৃত হয়। যেমন- নার্সারি, হ্যাচারি ইত্যাদি;

২. নিষ্কাশন (Extractive): নিষ্কাশন শিল্পের মাধ্যমে ভূগর্ভ, পানি বাবা হতে প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ করা হয়। যেমন- খনিজ শিল্প;

৩. নির্মাণ (Construction): নির্মাণ শিল্পের মাধ্যমে রাস্তাঘাট, সেতু ইত্যাদি নির্মাণ করা হয়। 

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

৪. উৎপাদন (Manufacturing): উৎপাদনশীল পেরফর্ম যন্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে কাঁচামাল কে প্রক্রিয়াজাত করে চূড়ান্ত পণ্যে পরিণত করা হয়।  যেমন-বস্ত্র শিল্প;

৫. সেবা (Service): সেবা শিল্প বিভিন্ন প্রকার সেবা প্রদানের মাধ্যমে মানুষের জীবনযাত্রা সহজ ও আরামদায়ক করে। যেমন- বিদ্যুৎ ও গ্যাস উৎপাদন ও বিতরণ, ব্যাংকিং ও স্বাস্থ্যসেবা ইত্যাদি।

কোন শিল্পের অন্তর্ভুক্ত পর্যালোচনা সাপেক্ষে নিচে তালিকাভুক্ত করা হলো:

উৎপাদন বা ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্পের অন্তর্গত কাজসমূহ:

ক) সাভারের হেমায়েতপুর-এ চামড়ার জুতা তৈরির কারখানা;

কারণ: এখানে কাঁচামাল হিসেবে গবাদি পশুর চামড়া ব্যবহার করে জুতা তৈরি করার কাজটি করা হবে। আমরা জানি যে ধরনের শিল্পে শ্রম ও যন্ত্রের ব্যবহারের মাধ্যমে কাঁচামাল কে প্রক্রিয়াজাত করে চূড়ান্ত পণ্যে পরিণত করা হয় তাকে উৎপাদন শিল্প বা ম্যানুফ্যাকচারিং বলে।

ছ) জয়পুরহাট সুগারমিলে আখ থেকে চিনি তৈরি;

কারণ: এখানে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করে চিনি উৎপাদন করা হবে তাই এটি উৎপাদন পা ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্পের অন্তর্গত।

প্রজনন বা জেনেটিক শিল্পের অন্তর্গত কাজ সমূহ:

খ) পােলট্রি ফার্মে মুরগির ডিম ও বাচ্চা উৎপাদন করা;

কারণ: এখানে মুরগির ডিম উৎপাদন এবং সেই ডিম থেকে বাচ্চা উৎপাদনের কাজটি করা হবে। আমরা জানি যে সকল শিল্পে উৎপাদিত সামগ্রী পুনরায় সৃষ্টি বা উৎপাদন এর কাজ করা হয় সেগুলো কে প্রজনন বা জেনেটিক শিল্প বলে। 

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

ঝ) গাছের চারা উৎপাদন;

কারণ: এখানে বীজ এবং কলম দিয়ে নতুন চারা গাছ উৎপাদন করা হবে। তাই এটি প্রজনন বা জেনেটিক শিল্পের অন্তর্গত। 

নির্মাণ বা কনস্ট্রাকশন শিল্পের আওতাভুক্ত কাজ সমূহ:

গ) পদ্মা সেতু তৈরি করা;

কারণ: এখানে নতুন করে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা হবে। আমরা জানি কোন কিছু নির্মাণ রাস্তাঘাট বাসেতু ইত্যাদিকে কনস্ট্রাকশন বা নির্মাণ শিল্প বলে। 

ঙ) কক্সবাজারে মেরিনড্রাইভ সড়ক তৈরি;

কারণ: এখানে নতুন করে শ্রমিক ও যন্ত্রপাতি এবং কাঁচামাল দিয়ে রাস্তা তৈরি করা হবে। 

নিষ্কাশন বা এক্সট্রেক্টিভ শিল্পের অন্তর্গত কাজ সমূহ:

ঘ) বাখরাবাদ গ্যাসফিল্ড থেকে গ্যাস উত্তোলন;

কারণঃ এখানে মাটির গভীর থেকে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে প্রাকৃতিক সম্পদ গ্যাস উত্তোলন করা হবে। আমরা জানি যে শিল্পের মাধ্যমে ভূগর্ভ, পানি অথবা প্রার্থী তাকে নিষ্কাশন বা এক্সট্রাকটিভ শিল্প বলে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

চ) সুন্দরবন থেকে মধু আহরণ করা;

কারণ: এখানে সুন্দরবনের প্রাকৃতিক উৎস থেকে মধু আহরন করা হবে। তাই এটি নিষ্কাশন বা এক্সট্রাকটিভ শিল্পের আওতাভূক্ত।

সেবা (Service) শিল্প অর্ন্তগত কাজসমূহের তালিকা:

জ) বৈদেশিক বাণিজ্যে সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করা;

ঞ) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া।

কারণ: এখানে সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করে বিভিন্ন বৈদেশিক পণ্য আনা নেওয়ার সেবা দেওয়া হবে। আর হাসপাতালে রোগের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে তাই এইদুটো সেবামূলক শিল্পের উদাহরণ। 

Leave a Comment