শস্য পর্যায়ের সুফল পেতে হলে গণি মিয়ার শস্য পর্যায়ের ব্যবহার কতটুকু যুক্তিসঙ্গত? ব্যাখ্যা করো।

উঁচু, মাঝারি উঁচু, মাঝারি নিচু বিভিন্ন ধরনের ফসলি জমি খণ্ডে খণ্ডে ভাগ করে গনি মিয়া দুই মৌসুমে পরপর দুই বছর বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদন করেন।

নিম্নলিখিত ফসলগুলো দিয়ে গনি মিয়া কোন ধরনের শস্য পর্যায় অবলম্বন করবেন তা চার্টের সাহায্যে তুমি উপস্থাপন কর- পাট, আউশ, গোলআলু, ফুলকপি, বাঁধাকপি, আখ, মাষকলাই, মুগ, সরিষা ও গম।

শস্য পর্যায় কি?

উপরিউক্ত ফসল নির্বাচনের ক্ষেত্রে শস্য পর্যায় বিষয়গুলো কিভাবে গুরুত্ব পায়?

ভূমি উন্নয়নে শস্য পর্যায় কিভাবে ভূমিকা রাখে?

শস্য পর্যায়ের সুফল পেতে হলে গণি মিয়ার শস্য পর্যায়ের ব্যবহার কতটুকু যুক্তিসঙ্গত? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর সমূহ

নিম্নলিখিত ফসলগুলো দিয়ে গনি মিয়া কোন ধরনের শস্য পর্যায় অবলম্বন করবেন তা চার্টের সাহায্যে তুমি উপস্থাপন কর- পাট, আউশ, গোলআলু, ফুলকপি, বাঁধাকপি, আখ, মাষকলাই, মুগ, সরিষা ও গম।

উত্তর

গনি মিয়ার উঁচু, মাঝারি উঁচু, মাঝারি নিচু বিভিন্ন ধরনের ফসলি জমি রয়েছে। এ থেকে বুঝা যায়, গনি মিয়া পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও জেলার এবং দিনাজপুরের উত্তর-পশ্চিম অংশের কৃষি পরিবেশ-১ এর অন্তর্ভুক্ত।

এখানকার কৃষকরা পাট, আউশ, গোলআলু, ফুলকপি, বাঁধাকপি, আখ, মাষকলাই, মুগ, সরিষা ও গম চাষ করেন। কৃষকেরা বৃষ্টিপাত নির্ভর ফসল ফলান, আবার সেচনির্ভর ফসলও ফলান।

গনি মিয়া রবি, খরিপ-১ এবং খরিপ-২ মৌসুমভিত্তিক পাট, আউশ, গোলআলু, ফুলকপি, বাঁধাকপি, আখ, মাষকলাই, মুগ, সরিষা ও গম ইত্যাদি ফসল ফলাবেন। এগুলো ফলানোর জন্য কৃষক বছরভিত্তিক নিম্নোক্ত শস্যপর্যায় গ্রহণ করতে পারেন।

১ম বছর-
খণ্ড-১
রবি : আউশ
খরিপ-১ : পাট
খরিপ-২ : পতিত

খণ্ড-২
রবি : সরিষা, ফুলকপি,
খরিপ-১ : মুগ
খরিপ-২ : আখ

খণ্ড-৩
রবি : গোল আলু, বাঁধাকপি
খরিপ-১ : মাষকলাই
খরিপ-২ : গম

২য় বছর-
খণ্ড-১
রবি : গোল আলু, বাঁধাকপি
খরিপ-১ : মাষকলাই
খরিপ-২ : গম

খণ্ড-২
রবি : সরিষা, ফুলকপি,
খরিপ-১ : মুগ
খরিপ-২ : আখ

খণ্ড-৩
রবি : আউশ
খরিপ-১ : পাট
খরিপ-২ : পতিত
শস্য পর্যায়ক্রমে দেখা যায় যে, প্রথম বছরে যেভাবে ফসল উৎপাদন শুরু হয়েছিল, দ্বিতীয় বছরে আবার সেভাবেই শেষ হচ্ছে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

শস্য পর্যায় কি?

উত্তর

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

রোগ-পোকা কম হয় এবং সারের কার্যকারিতা ভালো হয়। প্রযুক্তি হিসেবে শস্য পর্যায়ের ব্যবহার সব দেশেই প্রচলিত।

মাটির উর্বরতা বজায় রেখে একখণ্ড জমিতে শস্য ঋতুর বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন ফসল উৎপাদন করার নাম শস্য পর্যায়।

অর্থাৎ একই জাতের ফসল একই জমিতে বারবার উৎপাদন না করে অন্য জাতের ফসল উৎপাদন করাই হচ্ছে শস্য পর্যায়। যেমন- গভীরমূলী ফসল উৎপাদনের পর অগভীরমূলী জাতীয় ফসলের আবাদ করা উচিত।

ফলে পোকা-মাকড় ও রোগ-পোকার উপদ্রব কম হয়।

শস্য পর্যায়ের সুফল পেতে হলে শস্য পর্যায়ের ব্যবহার

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

উপরিউক্ত ফসল নির্বাচনের ক্ষেত্রে শস্য পর্যায় বিষয়গুলো কিভাবে গুরুত্ব পায়?

উত্তর

  • পরপর একই ফসলের চাষ না করা ;
  • একই শিকড় বিশিষ্ট ফসলের চাষ না করা ;
  • ফসলের পুষ্টি চাহিদা কম বেশি অনুযায়ী নির্বাচন করা ;
  • ফসলের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা ;
  • সবুজ সার যেমন- ধইঞ্চা চাষ করা ;
  • গবাদিপশুর খাবারের জন্য ঘাসের চাষ করা ;
  • খাদ্যশস্য ও অর্থকরী ফসলের চাষ করা।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

ভূমি উন্নয়নে শস্য পর্যায় কিভাবে ভূমিকা রাখে?

উত্তর

শস্য পর্যায় একটি উন্নত কৃষি প্রযুক্তি। এর দ্বারা মাটির স্বাস্থ্য ভালো থাকে, ফসল ভালো হয়, অধিক ফলন হয়। রোগ-পোকা কম হয় এবং সারের কার্যকারিতা ভালো হয়।

মাটির উর্বরতা বজায় রেখে একখণ্ড জমিতে শস্য ঋতুর বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন ফসল উৎপাদন করার নাম শস্য পর্যায়।

বিভিন্ন জাতের ফসল উৎপাদন হয় বলে মাটিতে গাছের পুষ্টি বজায় থাকে। শস্য পর্যায় এর ফলে মাটিতে নাইট্রোজেন যুক্ত হয়। এভাবে শস্যপর্যায় ভূমি উন্নয়নে ভূমিকা রাখে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

শস্য পর্যায়ের সুফল পেতে হলে গণি মিয়ার শস্য পর্যায়ের ব্যবহার কতটুকু যুক্তিসঙ্গত? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর

আমাদের দেশের কৃষকরা জেনে অথবা না জেনে শস্যপর্যায় প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসছেন। বৈজ্ঞানিক যুক্তি হয়তো তারা দিতে পারবেন না।

কিন্তু এতটুকু জ্ঞান তাদের আছে যে, একই ফসল একই জমিতে বছরের পর বছর চাষ করলে ফলন কমে যায়। মাটির উর্বরতা কমে যায়। পোকামাকড় ও রোগবালাইসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়।

কৃষকেরা তাদের জমিতে ফসল ফলান সেগুলোকে রবি, খরিপ-১, খরিপ-২ এই তিন ভাগে ভাগ করেছেন।

কাজেই কৃষক প্রথমত মৌসুম অনুযায়ী কি ফসল চাষ করবেন তা নির্ধারণ করেন। দ্বিতীয়তঃ কোন জমিতে কি ফসল ফলাবে তাও নির্ধারণ করেন।

শস্য পর্যায় এর বিধি অনুযায়ী কৃষকের জমিকে খণ্ডে খণ্ডে ভাগ করার প্রয়োজন পড়ে। আর খণ্ডগুলোর আকার সমান রাখার নির্দেশ রয়েছে।

কিন্তু বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশের কৃষকদের জমি বিভিন্ন খন্ডে ভাগ করে ভাগ হয়ে আছে যা আকারে সমান নাও হতে পারে। কৃষকদের অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করেই তারা জমি ও ফসল নির্বাচন করেন।

উপরোক্ত আলোচনা ও পূর্ববর্তী প্রশ্নের আলোকে বলা যায়, শস্য পর্যায় এর সুফল পেতে হলে গণি মিয়ার শস্য পর্যায় এর ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে যুক্তিসঙ্গত।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

J.S.C

3 thoughts on “শস্য পর্যায়ের সুফল পেতে হলে গণি মিয়ার শস্য পর্যায়ের ব্যবহার কতটুকু যুক্তিসঙ্গত? ব্যাখ্যা করো।”

Leave a Comment