রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থার সাথে সংসদীয় বা মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকার ব্যবস্থার পার্থক্য নিরূপণ করুন।, hsc উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ১১শ শ্রেণির পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র ৪র্থ অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২১

শ্রেণি: ১১শ/ hsc/ উন্মুক্ত-2021 বিষয়: পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র এসাইনমেন্টেরের উত্তর 2021
এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 04 বিষয় কোডঃ 1857
বিভাগ: মানবিক শাখা
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থার সাথে সংসদীয় বা মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকার ব্যবস্থার পার্থক্য নিরূপণ করুন।

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারের গুণাবলি

রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারের কতকগুলো বিশেষ গুণ রয়েছে নিম্নে তা আলোচনা করা হল ঃ

১। স্থায়িত্ব ঃ সরকারের স্থায়িত্ব রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসন ব্যবস্থার সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য গুণ হিসেবে বিবেচিত হয়। আইনসভার আস্থা-অনাস্থার উপর সরকারের স্থায়িত্ব নির্ভরশীল নয়। নির্দিষ্ট কার্যকাল অতিক্রান্ত হওয়ার আগে সরকারের পতন ঘটার আশঙ্কা থাকে না।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

২। জনকল্যাণ ঃ আইনসভার সদস্যদের সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সময়ের অপব্যয় ঘটে না। সরকার জনকল্যাণে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবে রূপায়িত করতে পারে। সরকারের অনুসৃত নীতি ও কার্যক্রমের মধ্যে নিরবিচ্ছিন্নতা বজায় থাকে। এর ফলে সরকারের দৃঢ়তা বৃদ্ধি পায়।

৩। জরুরি অবস্থার উপযোগী ঃ রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসনব্যবস্থা জরুরি অবস্থা মোকাবেলায় উপযোগী। শাসন-বিভাগের চূড়ান্ত কর্তৃত্ব রাষ্ট্রপতির উপর ন্যস্ত থাকে বিধায়, জরুরি প্রয়োজনে তিনি দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে পারেন।

৪। ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণের সুবিধা ঃ ক্ষমতা পৃথকীকরণ নীতির প্রয়োগের ভিত্তিতেই রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসনব্যবস্থার সৃষ্টি হয়। এ ধরণের শাসনব্যবস্থায় আইন বিভাগ ও শাসন বিভাগ পরস্পর স্বতন্ত্র থেকে নিজ-নিজ এলাকায় কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে। এর ফলে আইন এবং শাসন বিভাগের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা থাকে না।

৫। রাষ্ট্রপতির স্বাধীনতা ঃ এই ধরনের সরকারে সরকারি নীতি নির্ধারণ, সরকারি সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং এ সমস্ত নীতি ও সিদ্ধান্তকে বাস্তবে রূপায়িত করার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি স্বাধীনভাবে ভূমিকা পালন করে থাকেন। তাঁর উপর দলীয় প্রভাব বা প্রাধান্য বিস্তার করা সহজে সম্ভব হয় না।

৬। রাষ্ট্রের উন্নয়ন সাধন ঃ রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারে উন্নয়ন প্রক্রিয়া দ্রুত থাকে। রাষ্ট্রপতি তাঁর কাজের জন্য আইনসভার নিকট দায়বদ্ধ থাকেন না বিধায়, তিনি এককভাবে দ্রুত ও কার্যকরী সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। একই সুযোগে আইন সভার সময়ক্ষেপণ বাদ দিয়ে তিনি দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনাও করতে পারেন। রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারে প্রধান নির্বাহী হিসাবে রাষ্ট্রপতি দলতন্ত্রের মধ্যে আটকে না থেকেই বেশির ভাগ সময় প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্তগুলি নিতে পারেন। এ কারণে কোন কোন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারের পক্ষে মত দেন।

রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারের সমস্যাবলী গুণাবলির অস্তিত্ব সত্ত্বেও রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে সমালোচনার অভাব নেই।

নিম্নে তা আলোচনা করা হল ঃ

১। ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির কুফল ঃ ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণের কুফল রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসন ব্যবস্থায় পরিলক্ষিত হয়। আইন-বিভাগ এবং শাসন বিভাগ পরস্পর পৃথক থেকে নিজ-নিজ কার্য সম্পাদন করে। তাই এ দুই বিভাগের মধ্যে সহযোগিতার অভাব ঘটে। এতে উভয় বিভাগের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি ও সংঘর্ষের আশংকা থাকে।

২। স্বৈরাচারমূলক ঃ এই প্রকার শাসনব্যবস্থায় শাসন বিভাগের সকল ক্ষমতা চূড়ান্তভাবে রাষ্ট্রপতির হাতেই ন্যস্ত থাকে। রাষ্ট্রপতি আইনসভার সদস্য নন। আবার আইনসভার কাছে তিনি দায়বদ্ধও নন। নির্দিষ্ট কার্যকাল অতিক্রান্ত হওয়ার আগে তাঁকে সহজে পদচ্যুত করা যায় না। এর ফলে রাষ্ট্রপতির পক্ষে স্বেচ্ছাচারী হওয়ার পথে কোন বাধা থাকে না।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

৩। অনমনীয়তা ঃ শাসনব্যবস্থার অনমনীয়তা রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারের অন্যতম ত্রুটি হিসেবে গণ্য হয়। রাষ্ট্রপতিই মূলত ক্ষমতার মূল স্তম্ভ বিধায়, তাঁর ইচ্ছার বাইরে রাষ্ট্রপতি-শাসিত শাসনব্যবস্থায় কোন ধরনের কাম্য পরিবর্তন সহজে সম্পাদন করা সম্ভব হয় না।

৪। জনমত প্রতিফলিত হয় না ঃ রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারে জনসাধারণের সঙ্গে রাষ্ট্রপতির কোন প্রত্যক্ষ সংযোগ স্থাপিত হয় না। কারণ সে রকম কোন সুযোগ এ ধরনের সরকারে থাকে না। গণসংযোগের মাধ্যমগুলোর সাহায্যে এই সংযোগ পরোক্ষভাবে সম্পাদিত হয়। এ কারণে রাষ্ট্রপতি-শাসিত শাসনব্যবস্থায় জনমতের প্রকৃত প্রতিফলন পরিলক্ষিত হয় না।

পরিশেষে বলা যায় যে, নানাবিধ সীমাবদ্ধতা থাকলেও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা চালু আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মত দেশে এই ব্যবস্থা বেশ সাফল্যের সঙ্গে বহাল আছে। মার্কিন রাজনৈতিক ব্যবস্থায় দল প্রথার উদ্ভব ও বিকাশ, আইন বিভাগ ও শাসন বিভাগের মধ্যে সংযোগ ও সহযোগিতার ভিত্তি প্রস্তুত করেছে। তার ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকার সফল হয়েছে।

সংসদীয় বা মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকারের গুণাবলি

বর্তমানকালে পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই গণতন্ত্রকে স্বাগত জানানো হয়েছে। আর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ক্ষেত্রে পার্লামেন্টারি বা সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এককেন্দ্রিক ও যুক্তরাষ্ট্রীয়, উভয় ব্যবস্থাতেই সংসদীয় শাসন সমানভাবে জনপ্রিয়। সংসদীয় ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্যগুলো বিশ্লেষণ করলে এর ব্যাপক জনপ্রিয়তার কারণগুলো অনুধাবন করা যায়।

নিম্নে এ ধরনের কয়েকটি কারণ আলোচনা করা হল ঃ

১। আইন ও শাসন বিভাগের মধ্যে সুসম্পর্ক ঃ সংসদীয় শাসনব্যবস্থায় আইন বিভাগ ও শাসন বিভাগের মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক এবং গভীর বোঝাপড়া থাকে। এরকম শাসনব্যবস্থায় ক্ষমতা পৃথকীকরণ নীতিকে স্বীকার করা হয় না। উভয় বিভাগের মধ্যে এই পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে সুশাসনের পথ প্রশস্ত হয়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

২। গণতন্ত্রের স্বরূপ বজায় থাকে ঃ এই শাসনব্যবস্থায় মন্ত্রিসভাই হল প্রকৃত শাসক। এই মন্ত্রিসভা আবার জনগণের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত। ফলে জনগণের প্রতিনিধিদের দ্বারাই সরকারি নীতি নির্ধারিত হয় এবং শাসনকার্য পরিচালিত হয়। এতে গণতান্ত্রিক শাসন বা জনগণের শাসনের স্বরূপ বজায় থাকে।

৩। সরকার স্বৈরাচারী নয় ঃ সংসদীয় সরকারে মন্ত্রিসভাকে সরকারি নীতি ও কার্যক্রম সম্পর্কে সকল বিষয়ে আইনসভার কাছে দায়িত্বশীল থাকতে হয়। আইনসভার আস্থা হারালে মন্ত্রিসভাকে পদত্যাগ করতে হয়। তাই মন্ত্রিসভা স্বৈরাচারী হতে পারে না। এছাড়া, মন্ত্রিসভার জনস্বার্থ বিরোধী এবং স্বৈরাচারী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে বিরোধী দল প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে।

৪। নমনীয় ও পরিবর্তনশীল ঃ সংসদীয় শাসন ব্যবস্থা বিশেষভাবে নমনীয়। এরূপ শাসন ব্যবস্থার কাঠামোর মধ্যে পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে সঙ্গতি রক্ষা করে প্রয়োজনমাফিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। প্রয়োজনের তাগিদে নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রিপরিষদে পরিবর্তন আনয়নে অসুবিধা হয় না।

৫। রাজনৈতিক শিক্ষার বিস্তার ঃ এ ধরনের শাসনব্যবস্থায় জনগণের রাজনৈতিক শিক্ষার বিস্তার ঘটে। সরকারি নীতি, দেশের বিভিন্ন সমস্যা ও সরকারি কার্যক্রম নিয়ে পার্লামেন্টে আলোচনা ও সমালোচনা হয়। তার মাধ্যমে দেশের সাধারণ মানুষ সরকারের কার্যকলাপ সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারণা লাভ করতে পারে।

৬। সুশাসন প্রতিষ্ঠা ঃ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাতে যেকোন বিষয়ে স্পষ্ট চিত্র পাওয়া যায় এবং সঠিকভাবে উচিৎ-অনুচিৎ স্থির করা যায়। এ ধরনের অনুশীলন সুশাসন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।

৭। রাজতন্ত্র ও গণতন্ত্রের সমন্বয় ঃ সংসদীয় শাসন ব্যবস্থায় রাজতন্ত্রকে বজায় রেখেও গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করার সুযোগ পাওয়া যায়। রাজা বা রাণীকে নিয়মতান্ত্রিক শাসকের পদ দিয়ে মন্ত্রিসভাকে প্রকৃত শাসক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা যায়। উদাহরণ হিসেবে ব্রিটেনের সংসদীয় শাসন ব্যবস্থার কথা বলা যেতে পারে।

৮। জনমতের প্রাধান্য ঃ মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকারে জনমতের প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায়। জনগণের মতামত উপেক্ষা করে সরকার এককভাবে কোন সিদ্ধান্ত নিলে জনগণ তা মেনে নেয় না। জনগণের ভোটে নির্বাচিত বিধায় আইন সভার সদস্যদের জনমতের ব্যাপারে সর্তক থাকতে হয়। এখানে জনমতের উপর ভিত্তি করেই সরকার আইন প্রণয়ন ও নীতি নির্ধারণ করে থাকে।

৯। বিরোধী দলের মর্যাদা ঃ মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকারে বিরোধী দলের মর্যাদা রয়েছে। এখানে বিরোধী দল সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করে থাকে। সরকারের ভুল-ত্রুটি ধরিয়ে দেয়া এবং বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপনের মাধ্যমে বিরোধী দল গণতন্ত্র চর্চায় অবদান রাখতে পারে।

১০। জনকল্যাণকামী ঃ জনকল্যাণ সাধন মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকারের অন্যতম গুণ। সরকার যদি জনগণের ভাগ্যোন্নয়ন করার চেষ্টা না করে, তাহলে পরবর্তী নির্বাচনে জনগণ সরকারি দলকে ভোট দান থেকে বিরত থাকে। এ আশংকা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সরকারি দল জনকল্যাণকামী হয়ে থাকে। ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়ার আকাঙ্খা থাকে বিধায় বিরোধী দলও জনকল্যাণমুখী অবস্থান গ্রহণ করে।

১১। জাতীয় সংকট নিরসন ঃ মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকার বিভিন্ন জাতীয় সংকট দক্ষতার সাথে সমাধান করতে পারে। সংকটকালীন সময়ে প্রয়োজনে বিরোধী দলের সাথে সরকারি দল পরামর্শ করে সিদ্ধান্তে আসতে পারে। নানাবিধ ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক বিবেচনা করে বলা যায় যে, মন্ত্রিপরিষদ শাসিত শাসন ব্যবস্থা অপরাপর শাসন ব্যবস্থা থেকে অধিকতর উত্তম শাসন ব্যবস্থা।

এ শাসন ব্যবস্থা জনগণের মতামতের উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং সরকার তাদের কাজের জন্য আইনসভা ও জনগণের নিকট দায়বদ্ধ থাকে। অন্য কোন শাসনব্যবস্থায় জনগণের নিকট শাসনকারী কর্তৃপক্ষের এতটা দায়বদ্ধতা দেখা যায় না।

সংসদীয় বা মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকারের সমস্যাবলী

উপরোক্ত গুণাবলির অস্তিত্ব সত্ত্বেও সংসদীয় শাসনব্যবস্থা বিরূপ সমালোচনার হাত এড়াতে পারেনি। বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এরূপ সরকারের বিরুদ্ধে বহুবিধ ত্রুটির কথা বলা হয়। নিম্নে তা আলোচনা করা হল ঃ

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

১। সুশাসনের অন্তরায় ঃ সংসদীয় ব্যবস্থাতে মন্ত্রীগণকে শাসনকার্য ছাড়াও আইন প্রণয়ন কাজে অংশগ্রহণ করতে হয় এবং প্রশ্নোত্তর দানে ব্যস্ত থাকতে হয়। তাছাড়া মন্ত্রীদের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হয়। এর ফলেও মন্ত্রীদের অনেকটা সময় চলে যায়। এতে বিভাগীয় মন্ত্রীগণ তাঁদের উৎসাহ-উদ্দীপনার পুরোটাই নির্বাহী ক্ষেত্রে নিয়োগ করতে পারেন না। এটি সুশাসনের অন্তরায় হিসেবে বিবেচিত হয়।

২। অখন্ড সরকারি নীতি অনুসৃত হয় না ঃ সংসদীয় সরকারের পরিবর্তনশীলতা বা নমনীয়তা অন্যতম গুণ হিসেবে বিবেচিত হয়। কিন্তু এটি সরকারি নীতি ও কার্যক্রমের অখন্ডতার বিরোধী। এ ধরনের শাসনব্যবস্থায় ঘন-ঘন মন্ত্রিসভায় পরিবর্তনের আশংকা থাকে। আবার মন্ত্রিসভায় পরিবর্তন হলে সরকারি নীতি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কিছু ব্যতিক্রম দেখা দেয়।

৩। জরুরি অবস্থার উপযোগী নয় ঃ এ ধরনের শাসনব্যবস্থায় সরকারি সকল সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে গৃহীত হয়। সেজন্য কোন বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায় না।

৪। দল ব্যবস্থার ত্রুটি ঃ সংসদীয় শাসনব্যবস্থায় রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব অপরিহার্য বিবেচিত হয়। ফলে এ ধরনের শাসনব্যবস্থায় দল ব্যবস্থার সকল ত্রুটি পরিলক্ষিত হয়। সংকীর্ণ দলাদলি, দলীয় স্বার্থ, যোগ্যতার উপেক্ষা প্রভৃতি শাসনব্যবস্থার দক্ষতার হানি ঘটায়।

৫। নয়া স্বৈরাচার ঃ সংসদীয় ব্যবস্থাতে কোন একটি দল বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সরকার গঠন করলে একদলীয় শাসনের আশঙ্কা তৈরি হয়। মন্ত্রিসভার স্বৈরাচারের পথে সাফল্যের সঙ্গে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির ক্ষমতা দুর্বল বিরোধী দলের থাকে না।

৬। ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতি অনুপস্থিত: সংসদীয় ব্যবস্থাতে আইন ও শাসন বিভাগের মধ্যে কোন ভেদ থাকে না। অর্থাৎ আইন সভাতে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের হাতেই নির্বাহী বিভাগের দায়িত্ব থাকে। সরকারের এই দুই বিভাগের একীভূত হয়ে থাকাকে অনেক রাষ্ট্রবিজ্ঞানী গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর মনে করেন।

৭। পক্ষপাতমূলক প্রশাসন ঃ মন্ত্রিপরিষদ শাসিত শাসনব্যবস্থা যেহেতু সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজনৈতিক দলের সদস্যদের নিয়ে গঠিত হয় সেহেতু প্রশাসনিক ক্ষেত্রে দলীয় প্রভাব থাকে। আর এ পক্ষপাতমূলক প্রশাসন জনগণের জন্য অকল্যাণকর।

পরিশেষে বলা যায় যে, মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকারের কিছু ত্রুটি থাকলেও বর্তমান বিশ্বে এ শাসনব্যবস্থা ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়। অনেকে মনে করেন, ক্ষমতাসীন দল যদি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ অনুসরণ করে তাহলে সংসদীয় ব্যবস্থাতেই গণতন্ত্রের সবচেয়ে বেশি সুফল পাওয়া সম্ভব।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

সবার আগে Assignment আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় SSC এসাইনমেন্ট :

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় HSC এসাইনমেন্ট :

  • ২০২১ সালের SSC / দাখিলা পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের HSC / আলিম পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ভোকেশনাল: ৯ম/১০ শ্রেণি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ভোকেশনাল ও দাখিল (১০ম শ্রেণির) অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক

৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ ,

৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১

বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

Leave a Comment