রাতে টক দই খেলে কি হয়, রাতে দই খাওয়া কি উচিত নয়

Google Adsense Ads

পুষ্টিবিদরা বলেন, প্রতিদিন এক কাপ টক দই খাওয়া ভালো। কিন্তু দিনের কোন সময়টাতে টক দই খেলে উপকার পাবেন, জানেন? টক দই কেউ কেউ তরকারির গ্রেভি তৈরিতে যোগ করেন আবার কেউ সকালের নাস্তায় খান। কেউ দুপুরে খাওয়ার পরে টক দই খান। কেউবা রাতের খাবার গ্রহণ শেষে টক দই খান।

পুষ্টিবিদরা বলছেন, সকালে খাওয়ার পরেই খেতে পারেন দই। তবে সবচেয়ে ভালো হয়, দিনের দুইটি খাবারের মাঝে যদি টক দই খাওয়া যায়। টক দই যদি ঘোল বা মাঠা করে খাওয়া হয়, তাহলে আরও ভালো। 

রাতে টক দই খেলে কি হয়, রাতে দই খাওয়া কি উচিত নয়?

শরীর ঠান্ডা থাকে

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়

পরিপাক তন্ত্রের হজমশক্তি বাড়ে

ডায়রিয়ার সমস্যা দূর হয়

ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে

রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু থেকে রক্ষা পাওয়া যায়

টিভি নাইনের তথ্য, সকালে টক দই খেলে শক্তি পাওয়া যায়। দুপুরে টক দই খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। টক দই পেট ভর্তি রাখার পাশাপাশি শরীরে কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ কমিয়ে দেয়। ফলে ওজন ও মানসিক চাপ কমে যায়।

এ ছাড়া রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে দিনের যে কোনও সময়ে আপনি টক দই খেতে পারেন। বিকাল বা সন্ধ্যার জলখাবারেও টক দই রাখতে পারেন। এতে হজম শক্তি বাড়ে। 

প্রাচীন আয়ুর্বেদ চিকিৎসা অনুযায়ী, রাতে দই খাওয়া উচিত নয়। ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজির মতে, দই আমাদের শরীরের টিস্যুর বিপরীত ক্রিয়াকলাপ বাড়ায়, যার কারণে এটি শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও করে। এ কারণে রাতে দই খাওয়ার কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়। যেমন-

বমি হতে পারে: রাতে দই খেলে পরিপাকতন্ত্রের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। এ কারণে বমি হতে পারে।  

ব্রণের সমস্যা হতে পারে :
 একটি ক্লিনিকাল ট্রায়ালের সময় দেখা গেছে, যারা ২ সপ্তাহ ধরে নিয়মিত রাতে দই খান তাদের ব্রণের সমস্যা দ্রুত হয়।

কফ তৈরি হতে পারে
: আয়ুর্বেদে আরও বলা হয়েছে, রাতে দই খাওয়ার ফলে শরীরে অতিরিক্ত কফ তৈরি হতে শুরু করে। এতে গলা ব্যথা এবং সর্দির সমস্যাও বাড়িয়ে তুলতে পারে।

স্থূলতা : একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় বলা হয়েছে, রাতে অতিরিক্ত দই খেলে স্থূলতার সমস্যাও বাড়তে পারে। এর পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্যও হতে পারে।

আর্থ্রাইটিস বাড়ে : যাদের বাতের সমস্যা আছে তাদের অন্তত দই খাওয়া উচিত নয়। দই খেলে জয়েন্টে ব্যথার সমস্যা বাড়তে পারে।

টকদই খাওয়ার সময় যে সতর্কতা জরুরি-

দই পাতার পর ২৪ ঘণ্টার বেশি রাখা থাকলে দইয়ের পুষ্টিগুণ ক্রমশ কমতে থাকে।
বাড়িতে পাতা টক দই ছোট বাটির এক বাটি খাওয়া যেতে পারে প্রতিদিন। অর্থাৎ ১০০ থেকে ২০০ গ্রাম।
কৃত্রিম স্বাদ-গন্ধযুক্ত দই খেলে কোনও উপকার হয় না।
টক দইয়ের সঙ্গে ফল মিশিয়ে স্যালাড হিসেবে খাওয়া যেতে পারে। ঘরের তাপমাত্রায় রাখা টক দই খাওয়াই ভালো।

টক দই কখন খাবেন না
টক দই রাতে না খাওয়াই ভালো। কারণ এতে আছে ‘হিস্টামাইন’ উপাদান। রাতে দই খেলে সর্দিকাশির সমস্যা দেখা দিতে পারে। দইয়ে এমনিতেই অ্যাসিডের পরিমাণ অনেক বেশি। এজন্য দইয়ের সঙ্গে টকজাতীয় কোনও ফল খাবেন না। লেবু বা সাইট্রাসজাতীয় ফলের টক দই খেলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। শুধুমাত্র টক ফল নয়, কোনো ফলেই সঙ্গেই টক দই খাওয়া উচিত না। অনেকে দইয়ের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে খান, এতে আদৌ কোনো উপকার পাওয়া যাবে কি না, সন্দেহ আছে।

Google Adsense Ads

লো প্রেশার থাকরে কিংবা খালি পেটে টক দই খাওয়ার পরে অস্বস্থি বোধ করতে পারেন। এজন্য ডায়েটে টক দই যোগ করার আগে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন। 

পরিশেষে : রাতে টক দই খেলে কি হয়, রাতে দই খাওয়া কি উচিত নয়?,রাতের খাবারের পর টক দই খাওয়া কি ঠিক?
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন

আরো পড়ুন:

Google Adsense Ads

Leave a Comment