বিষয়: গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ৩য় সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ৯ম শ্রেণির ২০২১

গৃহ ব্যবস্থাপনার পর্যায়গুলো অনুসরণ করে তোমার কক্ষটিতে কীভাবে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা যায় তা নিচের প্রশ্নের আলোকে বিস্তারিত বর্ণনা করো।

  1. কেন তোমার কক্ষটাকে সুন্দর করতে চাও ?
  2. কক্ষটি সুন্দর করতে চাইলে প্রথমে তোমাকে কি করতে হবে এবং কেন ?
  3. এ কাজে তোমাকে কে কে সাহায্য করতে পারবে এবং কিভাবে ?
  4. কক্ষটি সাজানো তোমার পছন্দমত হচ্ছে? না হলে তুমি কি করতে চাও ?
  5. সাজানো গোছানো পরিপাটি কক্ষটিতে বসে এখন তোমার কেমন লাগছে ? তোমার অনুভূতি ব্যাখ্যা করো।

সমাধান :

গৃহ ব্যবস্থাপনা হলো একটি ধারাবাহিক গতিশীল প্রক্রিয়া, যার জন্য প্রয়োজন সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং যা কোন নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের প্রচেষ্টাকে কেন্দ্র করে সম্পন্ন করা হয়।

এই ব্যবস্থাপনা হলো পারিবারিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য কতগুলো ধারাবাহিক কর্মপদ্ধতির সমষ্টি মাত্র। এ পদ্ধতি গুলো ধারাবাহিকভাবে সম্পন্ন করতে হয় বলে এগুলোকে গৃহ ব্যবস্থাপনার পদ্ধতি বলা হয়।

গৃহ ব্যবস্থাপনার পদ্ধতি বা পর্যায়গুলো হলো-

  • 1. পরিকল্পনা,
  • 2. সংগঠন,
  • 3. নিয়ন্ত্রণ ও
  • 4. মূল্যায়ন।

প্রতিদিনের কাজে সচেতনভাবে এই ধাপগুলো আমাদের অনুসরণ করতে হয়।

লক্ষ্যকে কেন্দ্র করে প্রতিদিনের কাজের পরিকল্পনা করা হয়। পরিকল্পনা থেকে আরম্ভ করে মূল্যায়ন, সংগঠন ও নিয়ন্ত্রণ ধারাবাহিকভাবে চক্রাকারে চলতে থাকে।

গৃহ ব্যবস্থাপনার পর্যায়গুলো অনুসরণ করে আমার কক্ষটিকে যেভাবে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা যায় তা বর্ণনা করা হলো-

গৃহ ব্যবস্থাপনার সংজ্ঞা হতে স্পষ্ট ধারণা করা যায় যে, গৃহ ব্যবস্থাপনা পারিবারিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য কতগুলো ধারাবাহিক কর্মপদ্ধতির সমষ্টি মাত্র।

এ পদ্ধতি গুলো ধারাবাহিক ভাবে সম্পন্ন করতে হয় বলে এগুলোকে গৃহ ব্যবস্থাপনার পদ্ধতি বা পর্যায় বলা হয়।

  • পরিকল্পনা –

গৃহ ব্যবস্থাপনার প্রথম ধাপ পরিকল্পনা করা। লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে যেসব কর্মপন্থা অবলম্বন করা হয়, তার পূর্বে কাজটি কীভাবে করা হবে, কেন করা হবে ইত্যাদি সম্বন্ধে চিন্তাভাবনা করার নাম পরিকল্পনা।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: Md Rakib Hossain Sojol (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

অর্থাৎ পরিকল্পনা হলো পূর্ব থেকে স্থিরকৃত কার্যক্রম।

এক্ষেত্রে, আমি আমার কক্ষটাকে কেন সুন্দর করতে চাই, কক্ষটি সুন্দর করতে চাইলে প্রথমে আমাকে কি করতে হবে এবং কেন করতে হবে এসব চিন্তাভাবনাই হলো পরিকল্পনা।

সৌন্দর্যবর্ধন এবং আত্মতৃপ্তির জন্য আমি আমার কক্ষটাকে সুন্দর করতে চাই।

কক্ষটি সুন্দর করতে চাইলে প্রথমে আমাকে আমার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে আলোচনা করে নিতে হবে। কারণ, পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে পরিবারের সদস্যদের মতামতে যেকোনো কাজ সহজতর হয়।

গৃহ ব্যবস্থাপনার পর্যায় অনুসরণ করে আমার কক্ষটি আকর্ষণীয় করার উপায়

  • সংগঠন –

গৃহীত পরিকল্পনা অনুযায়ী পরিবারের বিভিন্ন কাজগুলোর মধ্যে সংযোগ সাধন করার নাম সংগঠন।

সংগঠনের পর্যায়ে কোন কাজ কোথায় ও কিভাবে করা হবে তা স্থির করা হয়।

কাজ করতে গেলে কোন কাজ কাকে দিয়ে করানো হবে, সে কাজ সম্পর্কে কার অভিজ্ঞতা আছে, কিভাবে কাজটি করতে হবে, কি কি সম্পদ ব্যবহার করা হবে ইত্যাদি বিবেচ্য বিষয়সমূহ সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: Md Rakib Hossain Sojol (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

এক কথায় কাজ, কর্মী ও সম্পদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করাকে সংগঠন বলে।

আমার পরিকল্পিত কাজে আমার মা, বাবা এবং ভাই আমাকে সাহায্য করতে পারবে। যেভাবে তারা আমায় সাহায্য করতে পারে-

  • প্রথম পর্যায়ে করণীয় কাজের বিভিন্ন অংশের একটি ধারাবাহিক বিন্যাস রচনা করবে।
  • দ্বিতীয় পর্যায়ে কোন কাজ আগে এবং কোন কাজ পরে হবে তা ধারাবাহিকভাবে রচনা করবে।
  • তৃতীয় পর্যায়ে নির্দিষ্ট কাজ বা কাজসমূহ ব্যক্তি দ্বারা সম্পন্ন করার জন্য একটি কর্ম কাঠামো রচনা করবে।

এ থেকে বলা যায়, যে কোনো কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের সুচিন্তিত পদক্ষেপ গ্রহণ করাই সংগঠন।

  • নিয়ন্ত্রণ –

গৃহ ব্যবস্থাপনার গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হচ্ছে নিয়ন্ত্রণ করা।

নিয়ন্ত্রণ বলতে বোঝায় পরিবারের সকল ব্যক্তি সুশৃংখলভাবে পারিবারিক লক্ষ্য অর্জনের কাজে নিয়োজিত কিনা তা পর্যবেক্ষণ করা।

পরিকল্পিত কর্মসূচি ও পূর্ব নির্ধারিত মান অনুসারে কার্য সম্পাদিত হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করা ও প্রয়োজনবোধে উপযুক্ত সংশোধনীর ব্যবস্থা করা এ পর্যায়ের কাজ।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: Md Rakib Hossain Sojol (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

কাজ চলাকালীন অবস্থায় কাজের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করে দেখতে হবে, যে পরিকল্পনা করা হয়েছে সে অনুযায়ী কাজ হচ্ছে কিনা, যাকে যে কাজ দেয়া হয়েছে সে কাজ সঠিকভাবে করছে কিনা ইত্যাদি।

প্রয়োজনবোধে কাজের ধারা পরিবর্তন করে কাজ সম্পাদনের ব্যবস্থা করতে হবে।

এক্ষেত্রে কক্ষটি সাজানো আমার পছন্দ হচ্ছে কিনা বা না হলে আমি যা করব – প্রয়োজন অনুযায়ী গৃহীত পরিকল্পনায় কিছুটা রদবদল করে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করে দৃষ্টিনন্দন করার চেষ্টা করবো।

  • মূল্যায়ন –

গৃহ ব্যবস্থাপনার সর্বশেষ পর্যায় হলো মূল্যায়ন করা।

কাজের ফলাফল বিচার বা যাচাই করাই হচ্ছে মূল্যায়ন। পরিকল্পনা ও নিয়ন্ত্রণের ওপর কাজের ফলাফল নির্ভর করে।

কাজটি করার পেছনে যে লক্ষ্য ছিল তা অর্জনে পূর্ববর্তী পর্যায়গুলোর অবদান পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে মূল্যায়ন করতে হবে।

মূল্যায়ন ছাড়া কাজের সফলতা ও বিফলতা নিরূপণ করা যায় না। কাজের উদ্দেশ্য বা লক্ষ্যকে কেন্দ্র করে ফলাফল যাচাই করতে হয়। উদ্দেশ্য সাধিত না হলে ফলাফল ভালো হলো না বুঝতে হবে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: Md Rakib Hossain Sojol (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

  • সঠিক মূল্যায়নের জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে-
  • লক্ষ্য অনুযায়ী পরিকল্পিত কাজগুলো ঠিকমতো হয়েছে কি না।
  • কাজের সফলতা বা ব্যর্থতা নিরূপণ করা।
  • কাজে ব্যর্থ হলে ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধান করে পরবর্তীতে সংশোধনের মাধ্যমে কাজে সফল হওয়া।

মূল্যায়নের ভিত্তিতে বলতে পারি, সাজানো গোছানো পরিপাটি কক্ষটিতে বসে এখন আমার অনেক ভালো লাগছে।

দৃষ্টিনন্দন এই কক্ষে বসে আমি আরামবোধ করছি। আমার কক্ষের প্রতিটি জিনিসই এখন আকর্ষিত। এই কক্ষে অবস্থান করে আমি এখন যথেষ্ট আত্মতৃপ্তি পাচ্ছি।

Leave a Comment