বিশ্বব্যাংক কী? সংক্ষেপে এ সংস্থার কার্যাবলী লিখুন, শান্তিরক্ষা বাহিনী বলতে কী বুঝেন? এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভূমিকা সম্পর্কে সংক্ষেপে লিখুন, Interpol কী? এ সংস্থার সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত? এ সংস্থার প্রধান কাজ কী?

প্রশ্ন সমাধান: বিশ্বব্যাংক কী? সংক্ষেপে এ সংস্থার কার্যাবলী লিখুন, শান্তিরক্ষা বাহিনী বলতে কী বুঝেন? এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভূমিকা সম্পর্কে সংক্ষেপে লিখুন, Interpol কী? এ সংস্থার সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত? এ সংস্থার প্রধান কাজ কী?

বিশ্বব্যাংক কী? সংক্ষেপে এ সংস্থার কার্যাবলী লিখুন

উত্তর: একটি আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থা যা উন্নয়নশীল দেশগুলোর উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জন্য ঋণ ও অনুদান প্রদান করে। বিশ্বব্যাংকের আনুষ্ঠানিক লক্ষ্য হল বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য বিমোচন। সারা বিশ্বের ১৮৯টি সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। এর সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন, ডি. বিশ্বব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়।

বিশ্বব্যাংক প্রতিষ্ঠার প্রধান প্রধান কার্যাবলী হলোঃ-

১. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ফলে ক্ষতিগ্রস্থ দেশ সমূহের অর্থনৈতিক পূর্ণগঠনে সাহায্য করা।

২. যুদ্ধবিধ্বস্থ পৃথিবীকে পুনর্গঠনের জন্য অর্থের যোগান দেয়া।

৩. দরিদ্রতর ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর উন্নয়ন প্রচেষ্টায় সাহায্য প্রদান ।

৪. উন্নয়নশীল দেশগুলোর দারিদ্রদূরীকরণ ও টেকসই উন্নয়নকে তরান্বিত করা।

৫. আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সম্প্রসারণে সাহায্য করা।

৬. গ্যারান্টি প্রদানের মাধ্যমে কোন দেশকে ঋণ পেতে সাহায্য করা।

৭. প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে নিজস্ব তহবিল থেকে ঋণ দান করে বেসরকারী বিনিয়োগ বাড়ানো ।

৮. অনুন্নত দেশে উৎপাদন সুবিধা বাড়ানোর জন্য সাহায্য করা।

৯. বৈদেশিক বিনিয়োগের হারকে স্থায়ীত্ব প্রদান করা।

১০. পৃথিবীর অনুন্নত দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়নে সাহায্য করা।

১১. আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সম্প্রসারণে সাহায্য করা।


আরো ও সাজেশন:-

শান্তিরক্ষা বাহিনী বলতে কী বুঝেন? এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভূমিকা সম্পর্কে সংক্ষেপে লিখুন ।

উত্তর: পারস্পরিক যুদ্ধ-সংঘাত কখনো সুফল বয়ে আনতে পারে না। বিশ্বের সংঘাতময় অঞ্চলগুলোতে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৪৮ সালে জন্ম হয় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের। বিভিন্ন দেশে শান্তি রক্ষা করতে অন্য দেশের নিরাপত্তা বাহিনী পাঠায় জাতিসংঘ তাদেরকে বলা হয় শান্তিরক্ষী বাহিনী। এর প্রথম মিশন ছিল ১৯৪৮ সালে মধ্যপ্রাচ্যে ১৯৪৮ আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধের সময় যুদ্ধবিরতি পালন ও বজায় রাখা। তারপর থেকে, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীরা বিশ্বব্যাপী প্রায় ৬৩টি মিশনে অংশগ্রহণ করেছে, ১৭টি আজও অব্যাহত রয়েছে।

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। ১৯৮৮ সালে ইউএন ইরান-ইরাক মিলিটারি অবজারভেশন গ্রুপ (ইউনিমগ) মিশনে মাত্র ১৫ জন সেনা পর্যবেক্ষক প্রেরণের মাধ্যমে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়েছিল। সে থেকে বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল পথচলা । পরবর্তী কয়েক বছর বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনী বেশ সুনাম ও কৃতিত্বের সঙ্গে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কাজ করে গেছে। সে সময় অর্থাৎ ১৯৯৩-৯৪ সালে সবচেয়ে আলোচিত রুয়ান্ডা, সোমালিয়া ও বসনিয়া- এ তিনটি শান্তি মিশনে দক্ষতার পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আলোচনার কেন্দ্রমূলে আসে।

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছিলেন, ‘মানবাধিকার সুরক্ষার পাশাপাশি গোলযোগপূর্ণ অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সেনাদের ভূমিকা আমাকে মুগ্ধ করেছে। বাংলাদেশের মহিলা পুলিশ দল সোচ্চার রয়েছেন সামাজিক-সম্প্রীতি সুসংহত করতে। আমি কোনো মিশনে গেলেই উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশের সেনাদের কথা বলি ।’

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ এক গর্বিত সহযোগী। স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা অর্জন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে শীর্ষ অবস্থানটি ধরে রাখা। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর মজ্জা বা সমকক্ষ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে যোগদানের ৩৩ বছর ধরে সুনাম, ভালোবাসা, কৃতিত্ব ও সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষা বাহিনী। আঘাত, সংঘাত, ভয়ভীতি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, প্রতিকূল পরিবেশ-পরিস্থিতি মোকাবিলা করে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা শান্তির বার্তা নিয়ে বিশ্বমানবতার সেবায় কাজ করে যাচ্ছেন নিরন্তর ।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

Interpol কী? এ সংস্থার সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত? এ সংস্থার প্রধান কাজ কী?

উত্তর: INTERPO এর পূর্ণরূপ International Criminal Police Organization. ইন্টারপোল বা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন । ইন্টারপোল বিশ্বের বৃহত্তম আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা। ইন্টারপোল বা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা যার প্রধান কাজ আন্তর্জাতিক পুলিশকে সহায়তা করা।

এটি ৭ সেপ্টেম্বর ১৯২৩ সালে, ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ কমিশন নামে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৪৬ সালে বর্তমানের নামে পরিবর্তিত হয়। ফ্রান্সের লিয়নে এর সদর দপ্তর রয়েছে।


Paragraph/Composition/Application/Email/Letter/Short Storiesউত্তর লিংক
ভাবসম্প্রসারণ/প্রবন্ধ, অনুচ্ছেদ/ রচনা/আবেদন পত্র/প্রতিবেদন/ চিঠি ও ইমেলউত্তর লিংক

এ সংস্থার প্রধান কার্যাবলী:

ইন্টারপোল আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের জরুরী সহায়তা এবং অপারেশনাল কার্যক্রমে সহায়তা করে, বিশেষ করে পলাতক, জননিরাপত্তা এবং সন্ত্রাস, মাদক ও সংগঠিত অপরাধ, মানব পাচার ইত্যাদি।

I-24/7 নামক একটি পরিষেবা ইন্টারপোল দ্বারা পরিচালিত হয় যা একটি গ্লোবাল পুলিশ কমিউনিকেশন সিস্টেম। সদস্য দেশগুলোর পুলিশ সংস্থাগুলোর একে অপরের সাথে সংবেদনশীল এবং জরুরী পুলিশ তথ্য শেয়ার করার জন্য এটি গঠিত হয়েছে।

ইন্টারপোল একটি ডেটাবেস সরবরাহ করে যা পুলিশ বিশ্বব্যাপী অ্যাক্সেস করতে পারে। এই ডাটাবেস সারা বিশ্বের পুলিশকে অপরাধ প্রতিরোধ ও তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলো অ্যাক্সেস করতে দেয়।

ডাটাবেসে অপরাধমূলক তথ্য যেমন ক্রিমিনাল প্রোফাইল, ক্রিমিনাল রেকর্ড, চুরির রেকর্ড, চুরি যাওয়া পাসপোর্ট, যানবাহন, আর্টওয়ার্ক এবং জালিয়াতি ইত্যাদি রয়েছে।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও

Leave a Comment