বিজ্ঞান বইয়ের দশম অধ্যায়ে ফ্লুয়ের উল্লেখ আছে

Google Adsense Ads

ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিরোধে একটি প্রতিষেধক রয়েছে। কিন্তু সেই প্রতিষেধক নিতে অনীহা অনেকেরই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশ্ব জুড়ে পাঁচ ধরনের অনীহার খোঁজ পেয়েছে। প্রতিষেধক নিতে হলে কয়েকটি নির্দিষ্ট আপত্তি জানান। তার একটি হল, ইনফ্লুয়েঞ্জা খুব সিরিয়াস কিছু রোগ নয়। তাই প্রতিষেধকের দরকার নেই।

কিন্তু বাস্তবটা হল, বিশ্বে প্রতি বছর ছ’লক্ষ ৫০ হাজার রোগী ইনফ্লুয়েঞ্জায় মারা যান। স্বাস্থ্যবানেরাও আক্রান্ত হতে পারেন। যদিও বেশির ভাগই কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সেরে ওঠেন। কিন্তু কিছুজনের ক্ষেত্রে নানা ধরনের জটিলতা দেখা যায়। সাইনাস, কানে সংক্রমণ, নিউমোনিয়া, হৃদযন্ত্রে সমস্যা, মস্তিষ্কে প্রদাহের মতো সমস্যাও থাকে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জা একটি ভাইরাসজনিত রোগ। করোনাভাইরাসের মতো এই রোগেও শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ হয়ে থাকে এবং এর উপসর্গও সর্দি-জ্বরের উপসর্গের মতোই।

ফ্লুয়ের লক্ষণগুলো হালকা থেকে গুরুতর হতে পারে। সবচেয়ে প্রচলিত লক্ষণের মধ্যে রয়েছে উচ্চ তাপমাত্রার জ্বর, নাক দিয়ে পানি পড়া, গলা ব্যথা, পেশি ও হাঁড়ের গিরায় (অস্থিসন্ধি) ব্যথা, মাথা ব্যথা, কাশি ও ক্লান্তি অনুভব করা। লক্ষণগুলো সাধারণত ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার দুই দিন পরে শুরু হয় এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এক সপ্তাহেরও কম সময় ধরে থাকে।

তবে কাশির সমস্যা দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে থাকতে পারে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এই রোগে ডায়রিয়া এবং বমি হওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিলেও প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে এটি ততটা প্রচলিত নয়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনের তথ্য অনুযায়ী প্রতিবছর বিশ্বের জনসংখ্যার শতকরা প্রায় ৯ ভাগ মানুষ ফ্লুতে আক্রান্ত হয়। বাংলাদেশে সাধারণত শীতকালে এবং বর্ষার শেষে ফ্লুয়ের প্রকোপ বেশি দেখা যায়। ফ্লুতে আক্রান্ত হলে  বেশির ভাগ মানুষ কয়েক দিনের মধ্যে নিজে থেকেই সুস্থ হয়ে যায়। তবে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, হাঁপানিজনিত সমস্যা বা ক্যান্সারের মতো রোগ থাকলে সাধারণ ফ্লুয়ের সমস্যাও মারাত্মক রূপ ধারণ করতে পারে। ফ্লুয়ের কারণে সৃষ্ট জটিলতার মধ্যে রয়েছে ভাইরাসজনিত নিউমোনিয়া, মাধ্যমিক পর্যায়ের ব্যাক্টেরিয়াজনিত নিউমোনিয়া, সাইনোসাইটিস বা সাইনাসের সংক্রমণ।

চার ধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের মধ্যে তিনটি মানুষকে আক্রান্ত করে (টাইপ এ, টাইপ বি এবং টাইপ সি )। এখন পর্যন্ত টাইপ ডি ধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস মানুষকে আক্রান্ত করার কথা জানা যায়নি; কিন্তু এটিরও মানুষকে সংক্রমিত করার সংক্ষমতা রয়েছে বলে বিশ্বাস করা হয়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

ঘন ঘন ভালো করে হাত ধোয়া এবং সার্জিক্যাল মাস্ক পরিধানের মাধ্যমে ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া রোধ করা সম্ভব। যাদের ফ্লুতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি তাদের ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রতিবছর এর টিকা নেওয়ার পরামর্শ দেন।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন বা সিডিসি ছয় বছর থেকেই সবাইকে এই টিকা নেওয়ার পরামর্শ প্রদান করে। এই টিকা সাধারণত তিন থেকে চার ধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জারের ক্ষেত্রেই কার্যকরী। সাধারণত এই টিকা শরীরে কোনো বিরূপ প্রভাব ফেলে না এবং সহজেই মানিয়ে নেয়।   

শিক্ষা

Google Adsense Ads

Google Adsense Ads

2 thoughts on “বিজ্ঞান বইয়ের দশম অধ্যায়ে ফ্লুয়ের উল্লেখ আছে”

Leave a Comment