বঙ্গবন্ধু ম্যাট্রিক পাশ করেন কোন স্কুল থেকে কত সালে, বঙ্গবন্ধু কলকাতা ইসলামিয়া কলেজের বেকার হোষ্টেলের কত নম্বর কক্ষে থাকতেন? বঙ্গবন্ধু কত সালে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সহকারী নিযুক্ত হন?, বঙ্গবন্ধু বিএ পাশ করেন কত সালে, কোন কলেজ থেকে?

(১) বঙ্গবন্ধু ম্যাট্রিক পাশ করেন কোন স্কুল থেকে, কত সালে?
উত্তর: গোপালগঞ্জ মিশনারি স্কুলে, ১৯৪২ সালে।

(২) বঙ্গবন্ধু কলকাতা ইসলামিয়া কলেজের বেকার হোষ্টেলের কত নম্বর কক্ষে থাকতেন?
উত্তর: ২৪ নম্বর কক্ষে।

(৩) বঙ্গবন্ধু কত সালে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সহকারী নিযুক্ত হন?
উত্তর: ১৯৪৬ সালে।

(৪) বঙ্গবন্ধু বিএ পাশ করেন কত সালে, কোন কলেজ থেকে?
উত্তর: ১৯৪৭ সালে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ থেকে।

(৫) বঙ্গবন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন বিভাগের ছাত্র ছিলেন?
উত্তর: আইন বিভাগের।

(৬) বঙ্গবন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কত সালে কেন বহিস্কৃত হন?
উত্তর: ১৯৪৯ সালে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করায় তাঁকে বহিস্কার করা হয়।

(৭) ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটির লেখকের নাম কী?
উত্তর: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

(৮) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম কত সালে, কোথায়?
উত্তর: ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়।

(৯) বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাজীবন শুরু হয় কোন স্কুলে?
উত্তর: গোপালগঞ্জের গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

(১০) সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি – ২৬শে মার্চ ২০০৪ বিবিসির শ্রোতা জরিপে ২০তম সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালির তালিকায় স্থান। ১৪এপ্রিল ২০০৮ সর্বকালের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে প্রকাশ করা হয়।

(১১) বঙ্গবন্ধু উপাধি – ২৩ফেব্রু ১৯৬৯সালে । তোফায়েল আহমেদ। রেসকোর্স ময়দানে ।

(১২) জাতির জনক – ৩মার্চ ১৯৭১। আ, স, আব্দুর রব। পল্টন ময়দানে

(১৩) রাজনীতির কবি(Poet of politics) – ৫ এপ্রিল ১৯৭১ সালে মার্কিন সাময়িকী> ‘নিউজ উইক‘ ম্যাগাজিন বঙ্গবন্ধুর উপর একটি কভার স্টোরি করে।

(১৪) আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠন  – ২৩জুন ১৯৪৯।শেখ মুজিব যুগ্ন সম্পাদক।।মুসলিম শব্দটি বাদ দেয়া হয় ২২-২৩সেপ্টম্বর,১৯৫৫। সম্পাদক হন ১৬নভে:১৯৫৩।

(১৫) শেখ মুজিব আওয়ামী লীগের সভাপতি হন  – ১৯৬৬।

(১৬) বিশেষ ক্ষমতা তথা অস্থায়ী সংবিধান জারি করেন ১২ জানু, ১৯৭২।

(১৭) পাকিস্তানি কারাগার থেকে মুক্তি – ৮জানু, ১৯৭২।

(১৮)  স্বদেশ প্রত্যাবর্তন – ১০ জানুয়ারি ১৯৭২।

(১৯) আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার – ২২ ফেব্রু ১৯৬৯।

(২০)  বাঙালির মুক্তিসনদ বা বাঙালির ম্যাগনাকার্টা ৬দফা দাবি পেশ। – ৫-৬ফেব্রু ১৯৬৬।

(২১) ছয় দফা দিবস – ৭জুন । কারণ ১৯৬৬ এইদিনে সালে শেখ মুজিবকে গ্রেফতার করা হয় ও কারফিউ জারী করা হয়।

(২২) ‘বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ’ হিসেবে পরিচিত কোনটি?
উত্তর: ছয় দফা।

(২৩) আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামী ছিল কত জন? বঙ্গবন্ধু কততম আসামী ছিলেন?
উত্তর: ৩৫ জন। বঙ্গবন্ধু ছিলেন ১ নং আসামী।

(২৪) আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা কী নামে দায়ের করা হয়েছিল?
উত্তর: রাষ্ট্রদ্রোহীতা বনাম শেখ মুজিব ও অন্যান্য।

(২৫) শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করা হয় কত সালে?
উত্তর: ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি।

(২৬) শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি কে দেন?
উত্তর: তৎকালীন ডাকসুর ভিপি তোফায়েল আহমেদ।

(২৭) কোথায় ‘বঙ্গবন্ধু উপাধি দেওয়া হয়?
উত্তর: রেসকোর্স ময়দানে।

(২৮) বঙ্গবন্ধু পূর্ব বাংলাকে ‘বাংলাদেশ’ নামকরন করেন কত সালে?
উত্তর: ৫ ডিসেম্বর, ১৯৬৯ ।

(২৯) বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণ কোথায় দেন?
উত্তর: ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে, যা এখন সোহরাওয়ার্দি উদ্যোন নামে পরি চিতি।

(৩০) বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণের মূল বক্তব্য কী ছিল?
উত্তর: এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।

(৩১) বঙ্গবন্ধু কখন স্বাধীনতার ঘোষণা দেন?
উত্তর: ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাত অর্থাৎ ২৬ মার্চে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এরপরই পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে।

(৩১) বঙ্গবন্ধু জীবনে প্রথম কারাভোগ করেন কত সালে কত তারিখে?
উত্তর: ১৯৩৯ সালে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ সভা করার কারণে তাঁকে কারভোগ করতে হয়।

(৩২) ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠা লাভ করলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেখানে কী পদ পান?
উত্তর: যুগ্ম সম্পাদক।

(৩৩) ১৯৫২ সালের কত তারিখে রাষ্ট্র ভাষা বাংলার দাবীতে বঙ্গবন্ধু কারাগারে অনশন শুরু করেন?
উত্তর: ১৪ ফেব্রুয়ারি।

(৩৪) যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কোন আসনে বিজয়ী হন?
উত্তর: গোপালগঞ্জ আসনে।

(৩৫) বঙ্গবন্ধু কোন মন্ত্রীসভায় সর্বকনিষ্ঠ মন্ত্রী ছিলেন?
উত্তর: ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রীসভায়।

(৩৬) ১৯৬৪ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সম্মিলিত বিরোধী দল গঠন করা হয়। দলটির নাম কী?
উত্তর: কম্বাইন্ড অপজিশন পার্টি।

(৩৭) বঙ্গবন্ধু মুজিব ছয়দফা ১ম কবে ঘোষনা করেন?
উত্তর: ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬

(৩৮) আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে ৬ দফা গৃহীত হয় কত সালে?
উত্তর: ১৯৬৬ সালের ১৮ মার্চ।

(৩৯) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আনুষ্ঠানিকভাবে কবে ছয়দফা ঘোষনা করেন?
উত্তর: ২৩ মার্চ ১৯৬৬

(৪০) কোন প্রস্তাবের ভিত্তিতে ছয়দফা রচিত হয়?
উত্তর: লাহোর প্রস্তাব

(৪১) ছয়দফার প্রথম দফা কি ছিল?
উত্তর: স্বায়ত্বশাসন

(৪২) বাংলাদেশ -এর নামকরণ করেন – ৫ডি: ১৯৬৯।

(৪৩) ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল গঠিত অস্থায়ী সরকারের বঙ্গবন্ধুর পদ কী ছিল?
উত্তর: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদ ছিল রাষ্ট্রপতি।

(৩৩) বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পান কবে?
উত্তর: ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি।

(৪৪) বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশে ফেরেন কবে?
উত্তর: ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি, যা বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস নামে পরিচিত।

(৪৫) বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন কত তারিখে?
উত্তর: ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি।

(৪৬) বঙ্গবন্ধু প্রথম নেতা হিসেবে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বাংলা ভাষায় বক্তৃতা দেন কত সালে, কত তারিখে?
উত্তর: ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর।

(৪৭) বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে নিহত হন কত তারিখে?
উত্তর: ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট।

(৪৮) বঙ্গবন্ধুর স্ত্রীর নাম কী?
উত্তর: শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব।

(৪৯) বঙ্গবন্ধুর ছেলে–মেয়ে কত জন? তাদের নাম কী?
উত্তর: ৫ জন। তিন ছেলে দুই মেয়ে। শেখ হাসিনা, শেখ কামাল, শেখ রেহানা, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল

(৫০) বঙ্গবন্ধু জাদুঘর কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: ঢাকার ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে।

(৫১) বঙ্গবন্ধু আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে অভিষিক্ত হন কীভাবে?
উত্তর: ১৯৪৪ সালে কুষ্টিয়ায় অনুষ্ঠিত নিখিল বঙ্গ মুসলিম ছাত্রলীগের সম্মেলনে যোগদানের মাধ্যমে।
(৫২) বঙ্গবন্ধুর কতজন খুনীকে এ পর্যন্ত ফাঁসি দেওযা হয়?
উত্তর: ৬জন। সর্বশেষ তথ্য-আগস্ট ২০২০

(৫৩) প্রথম বাঙালি হিসেবে জাতিসংঘে ভাষণদেন কে?
উ : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

(৫৪) বিবিসি জরিপে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি নির্বাচিত হয় কে?
উ : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (২০০৪ সালে)।

(৫৫) বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের প্রথম লেখা কী?
উ : ‘অসাপ্ত আত্মজীবনী’।
(৫৬) শেখ মুজিবুর রহমান জন্মগ্রহণ করে কবে?
উ : ১৭ মার্চ ১৯২০ সালে।

(৫৭) শেখ মুজিবুর রহমান মৃত্যুবরণ করে কবে?
উ : ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে।

(৫৮) বঙ্গবন্ধুর ডাক নাম কী ছিল?
উ : খোকা।

(৫৯) বঙ্গবন্ধুর উপাধি কী ছিল?
উ : শেখ সাহেব, শেখ মুজিব, মিয়া ভাই।

(৬০) বঙ্গবন্ধুর ভাই বোন কতজন ছিল?
উ : ৪ বোন ২ ভাই তিনিসহ।

(৬১) বঙ্গবন্ধুর জন্মস্থান কোথায়?
উ : টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।

(৬২) বঙ্গবন্ধুর পিতার নাম কী ছিল?
উ : শেখ লুৎফর রহমান।

(৬৩) বঙ্গবন্ধুর মাতার নাম কী ছিল?
উ : সায়েরা খাতুন।

(৬৪) বঙ্গবন্ধু প্রথম শিক্ষা জীবন শুরু করে কোথায়?
উ : গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ।

(৬৫) বঙ্গবন্ধু এসএসসি পাশ করে কত সালে?
উ : ১৯৪২ সালে (মিশনারি স্কুল, গোপালগঞ্জ)।

(৬৬) বঙ্গবন্ধু বিএ পাশ করে কত সালে?
উ : ১৯৪৭ সালে (ইসলামিয়া কলেজ, কলকাতা)।

(৬৭) বঙ্গবন্ধু ইসলামিয়া কলেজে কোথায় থাকতেন?
উ : বেকার হোস্টেল (২৪নং কক্ষ), কলকাতা।

(৬৮) বঙ্গবন্ধু প্রথম কারাভোগ করে কত সালে?
উ : ১৯৩৯ সালে।

(৬৯) বঙ্গবন্ধু রাজনীতি কখন শুরু করে?
উ : ছাত্র জীবনে।

(৭০) বঙ্গবন্ধু ‘আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন।
উ : ২৩ জুন ১৯৪৯ সালে।

(৭১) বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্র ভাষা বাংলার দাবিতে কারাগারে অনশন শুরু করে কবে?
উ ; ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ সালে।

(৭২) বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
উ : ১৯৫৩ সালে।

(৭৩) যুক্তফ্রন্ট কত সালে গঠন হয়?
উ : ৪ ডিসেম্বর ১৯৫৩ সালে।

(৭৪) বঙ্গবন্ধু যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে কোন আসন থেকে বিজয়ী হন?
উ : গোপালগঞ্জ আসন।

(৭৫)  বঙ্গবন্ধু কোন মন্ত্রীসভায় সর্বকনিষ্ঠ মন্ত্রী ছিলেন?
উ ; যুক্তফ্রন্ট (১৯৫৪ সালে)।

(৭৬) বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সম্মিলিত বিরোধী দলটির নাম কী?
উ : কম্বাইন্ড অপজিশন পার্টি (১৯৬৪ সালে)।

(৭৭) বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয় কত সালে।
উ : ১৯৬৬ সালে।

(৭৮) বঙ্গদেশে অসহযোগের ডাক দেন কে?
উ : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

(৭৯) বাঙালির মুক্তির সনদ কী?
উ : ছয়দফা আন্দোলন (১৯৬৬ সালে)।

(৮০) বঙ্গবন্ধু উপাধি কোথায় দেওয়া হয় কোথায়?
উ : রেসকোর্স ময়দান, ঢাকা।

(৮১) ‘বঙ্গবন্ধু’ জাতির জনক উপাধি লাভ করে কত সালে।
উ : ১৯৭১ সালে।

(৮২) ৭ মার্চ ১৯৭১ সালে ঐতিহাসিক ভাষণ দেন কে?
উ : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
(৮৩) ছয়দফা দাবি উত্থাপন করেন কে?
উ : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

(৮৪) ছয়দফা দাবি কোথায় উত্থাপন করেন?
উ : লাহোর, পাকিস্তান।

(৮৫) বঙ্গবন্ধু ছয়দফা প্রথম কবে ঘোষণা করে?
উ : ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬ সালে।

(৮৬) বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের সর্বশেষ লেখা কী?
উ : ‘আমার দেখা নয়া চীন’।

(৮৭) ‘আমার দেখা নয়াচীন’ বইটির ভূমিকা লিখেছেন কে?
উ : শেখ হাসিনা।

(৮৮) ‘আমার দেখা নয়াচীন’ ভ্রমণকাহিনী রচিত হয় কত সালে?
উ : ১৯৫৪ সালে।

(৮৯) ‘আমার দেখা নয়াচীন’ বইটি প্রকাশিত হয় কত সালে?
উ : ২০২০ সালে।
(৯০) আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে ৬ দফা গৃহিত হয় কবে?
উ : ১৮ মার্চ ১৯৬৬ সালে।

(৯১) বঙ্গবন্ধু আনুষ্ঠানিক ভাবে “ছয়দফা’ কবে ঘোষণা করে?
উ : ২৩ মার্চ ১৯৬৬ সালে।

(৯২)  কোন প্রস্তাবের ভিত্তিতে ছয়দফা রচিত হয়?
উ : লাহোর প্রস্তাব।

(৯৩) ছদফার প্রথম দফা কী ছিল?
উ : স্বায়ত্বশাসন।

(৯৪) আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা কবে দায়ের হয়?
উ : ৩ জানুয়ারি ১৯৬৮ সালে।

(৯৫) আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামী ছিল কত জন?
উ : ৩৫ জন।

(৯৬) আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার ১নং আসামী কে ছিলেন?
উ : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

(৯৭) আগরতলা ষড়ন্ত্র মামলা কী নামে দায়ের করা হয়?
উ : রাষ্ট্রদ্রোহীতা বনাম শেখ মুজিব ও অন্যান্য।

(৯৮) আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার হয় কবে।
উ : ২২ ফ্রেবুুয়ারি ১৯৬৯ সালে।

(৯৯) বঙ্গবন্ধু পূর্ব বাংলাকে ‘বাংলাদেশ’ নামকরণ করে কবে?
উ : ৫ ডিসেম্বর ১৯৬৯ সালে ।

(১০০) শেখ মুজিবুর রহমান ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি পান কবে।
উ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ সালে।

(১০১) বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণদেন কোথায়?
উ : রেসকোর্স ময়দান।

(১০২) ‘অসাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটি প্রকাশিত হয় কত সালে?
উ : ২০১২ সালে।

(১০৩)  বঙ্গবন্ধুর নামে চেয়ারস্থাপন করে কোন বিশ্ববিদ্যালয়?
উ : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও এশিয়ান ইনস্টিটিউট থ্যাইল্যান্ড।

(১০৪) বঙ্গবন্ধুর রচিত বইসমূহের নাম কী?
উ : অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারে রোজনমোচা, আমার দেখা নয়াচীন।
(১০৫) বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণের মূল বক্তব্য কী ছিল?
উ : এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।

(১০৬) বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা করে কখন?
উ : ২৬ মার্চ ১৯৭১ সালে প্রথম প্রহরে।

(১০৭) মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হয় কখন?
উ : ২৬ মার্চ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা ঘোষণার পর।

(১০৮) মুজিবনগর সরকার গঠন হয় কবে?
উ : ১০ এপ্রিল ১৯৭১ সালে।

(১০৯) মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি ছিলেন কে?
উ : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

(১১০) বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি কে ছিলেন?
উ : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

(১১১) বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্তি পায় কবে?
উ : ৮ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে।

(১১২) বঙ্গবন্ধু মুক্তির পর কোন দুটি দেশ হেেয় দেশে ফেরেন?
উ : যুক্তরাজ্য ও ভারত।

(১১৩) বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশে ফেরেন কবে?
উ : ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে।

(১১৪) বঙ্গবন্ধু দেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করে কবে?
উ : ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে।

(১১৫) বঙ্গবন্ধু জাতিসংঘে বাংলা ভাষায় ভাষণদেন কবে?
উ : ২৩ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪ সালে।

(১১৬) বঙ্গবন্ধু শান্তির জন্য ‘জুলিওকুরি পদক’ লাভ করে কবে?
উ : ১৮ অক্টোবর ১৯৭২ সালে (ফ্রান্স)।

(১১৭) বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে নিহত হয় কখন?
উ : ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে (ভোরের প্রহরে)।

(১১৮) বঙ্গবন্ধুর স্বপরিবারে কারা হামলা করে?
উ : সেনাবাহিনীর এক দল ঘাতক।

(১১৯) বঙ্গবন্ধুর স্বপরিবার কোথায় নিহত হয়?
উ : ৩২ নম্বর বাসভবন, ধানমন্ডি, ঢাকা।

(১২০) বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারের বেঁচে যাওয়া ২জনের নাম কী?
উ : শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা।

(১২১) শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা তখন কোথায় ছিলেন?
উ : পশ্চিম জার্মানি।

(১২২) বঙ্গবন্ধুর কতজন খুনীকে আদালত মৃত্যুদÐাদেশ দেন?
উ : ১২ জন।

(১২৩) বঙ্গবন্ধুর রাজনীতিতে অভিষেক হয় কখন?
উ : ১৯৪৪ সালে (ছাত্রলীগের সম্মেলনে কুষ্টিয়া)।

(১২৪) বঙ্গবন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন বিভাগের ছাত্র ছিলেন?
উ : আইন বিভাগ।

(১২৫) বঙ্গবন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কৃত হয় কত সালে?
উ : ১৯৪৯ সালে।

(১২৬) বঙ্গবন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কৃত হন কেন?
উ : চতুর্থ শেণির কর্মচারীদের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ।

প্রশ্নমালায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর জীবনের অধিকাংশ সময় বাংলাদেশের মানুষ ও তাদের কল্যানের জন্য ব্যায় করেছেন । বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য সমগ্র বাংলাদেশকে সংঘবদ্ধ করতে তাঁর ভূমিকা ছিল অপরিসীম । প্রত্যেক বাংলাদেশীর জন্য জাতির পিতার জীবনী সম্পর্কে জ্ঞঅনার্জন করা অপরিহার্য ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জীবনী – বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানা অজানা তথ্য

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর যা সকল নিয়োগ পরীক্ষায় অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম কত সালে, কোথায়?

উত্তর: ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়।

মুজিব শব্দের অর্থ কি?

উত্তর: উত্তরদাতা।

বঙ্গবন্ধুর পিতার নাম কি?

উত্তর: শেখ লুৎফর রহমান

বঙ্গবন্ধুর মাতার নাম কি?

উত্তর: মোসাম্মৎ সায়েরা খাতুন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জীবনী – বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানা অজানা তথ্য
বঙ্গবন্ধুর স্ত্রীর নাম কি?

উত্তর: বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব (ডাকনাম রেণু)।

শেখ মুজিবুর রহমানের ডাক নাম কি ছিল?

উত্তর: খোকা।

‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটির লেখকের নাম কী?

উত্তর: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাজীবন শুরু হয় কোন স্কুলে?

উত্তর: গোপালগঞ্জের গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জীবনী – বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানা অজানা তথ্য
বঙ্গবন্ধু ম্যাট্রিক পাশ করেন কোন স্কুল থেকে, কত সালে?

উত্তর: গোপালগঞ্জ মিশনারি স্কুলে, ১৯৪২ সালে।

বঙ্গবন্ধু কলকাতা ইসলামিয়া কলেজের বেকার হোষ্টেলের কত নম্বর কক্ষে থাকতেন?

উত্তর: ২৪ নম্বর কক্ষে।

বঙ্গবন্ধু আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে অভিষিক্ত হন কীভাবে?

উত্তর: ১৯৪৪ সালে কুষ্টিয়ায় অনুষ্ঠিত নিখিল বঙ্গ মুসলিম ছাত্রলীগের সম্মেলনে যোগদানের মাধ্যমে।

বঙ্গবন্ধু কত সালে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সহকারী নিযুক্ত হন?

উত্তর: ১৯৪৬ সালে।

বঙ্গবন্ধু বিএ পাশ করেন কত সালে, কোন কলেজ থেকে?

উত্তর: ১৯৪৭ সালে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ থেকে।

বঙ্গবন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন বিভাগের ছাত্র ছিলেন?

উত্তর: আইন বিভাগের।

বঙ্গবন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কত সালে কেন বহিস্কৃত হন?

উত্তর: ১৯৪৯ সালে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করায় তাঁকে বহিস্কার করা হয়।

বঙ্গবন্ধু জীবনে প্রথম কারাভোগ করেন কত সালে?

উত্তর: ১৯৩৯ সালে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ সভা করার কারণে তাঁকে কারভোগ করতে হয়।

১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠা লাভ করলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেখানে কী পদ পান?

উত্তর: যুগ্ম সম্পাদক।

১৯৫২ সালের কত তারিখে রাষ্ট্র ভাষা বাংলার দাবীতে বঙ্গবন্ধু কারাগারে অনশন শুরু করেন?

উত্তর: ১৪ ফেব্রুয়ারি।

যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কোন আসনে বিজয়ী হন?

উত্তর: গোপালগঞ্জ আসনে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জীবনী – বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানা অজানা তথ্য
বঙ্গবন্ধু কোন মন্ত্রীসভায় সর্বকনিষ্ঠ মন্ত্রী ছিলেন?

উত্তর: ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রীসভায়।

১৯৬৪ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সম্মিলিত বিরোধী দল গঠন করা হয়। দলটির নাম কী?

উত্তর: কম্বাইন্ড অপজিশন পার্টি।

বঙ্গবন্ধু মুজিব ছয়দফা ১ম কবে ঘোষনা করেন?

উত্তর: ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬

আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে ৬ দফা গৃহীত হয় কত সালে?

উত্তর: ১৯৬৬ সালের ১৮ মার্চ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আনুষ্ঠানিকভাবে কবে ছয়দফা ঘোষনা করেন?

উত্তর: ২৩ মার্চ ১৯৬৬

কোন প্রস্তাবের ভিত্তিতে ছয়দফা রচিত হয়?

উত্তর: লাহোর প্রস্তাব

ছয়দফার প্রথম দফা কি ছিল?

উত্তর: স্বায়ত্বশাসন

‘বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ’ হিসেবে পরিচিত কোনটি?

উত্তর: ছয় দফা।

আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামী ছিল কত জন? বঙ্গবন্ধু কততম আসামী ছিলেন?

উত্তর: ৩৫ জন। বঙ্গবন্ধু ছিলেন ১ নং আসামী।

আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা কী নামে দায়ের করা হয়েছিল?

উত্তর: রাষ্ট্রদ্রোহীতা বনাম শেখ মুজিব ও অন্যান্য।

শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করা হয় কত সালে?

উত্তর: ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি।

শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি কে দেন?

উত্তর: তৎ​কালীন ডাকসুর ভিপি তোফায়েল আহমেদ।

কোথায় ‘বঙ্গবন্ধু উপাধি দেওয়া হয়?

উত্তর: রেসকোর্স ময়দানে।

বঙ্গবন্ধু পূর্ব বাংলাকে ‘বাংলাদেশ’ নামকরন করেন কত সালে?

উত্তর: ৫ ডিসেম্বর, ১৯৬৯ ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জীবনী – বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানা অজানা তথ্য

বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণ কোথায় দেন?

উত্তর: ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে, যা এখন সোহরাওয়ার্দি উদ্যোন নামে পরি​চিতি।

বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণের মূল বক্তব্য কী ছিল?

উত্তর: এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।

বঙ্গবন্ধু কখন স্বাধীনতার ঘোষণা দেন?

উত্তর: ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাত অর্থাৎ​ ২৬ মার্চে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এরপরই পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে।

১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল গঠিত অস্থায়ী সরকারের বঙ্গবন্ধুর পদ কী ছিল?

উত্তর: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদ ছিল রাষ্ট্রপতি।

বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পান কবে?

উত্তর: ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি।

বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশে ফেরেন কবে?

উত্তর: ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি, যা বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস নামে পরিচিত।

বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন কত তারিখে?

উত্তর: ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি।

বঙ্গবন্ধু প্রথম নেতা হিসেবে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বাংলা ভাষায় বক্তৃতা দেন কত সালে, কত তারিখে?

উত্তর: ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর।

বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে নিহত হন কত তারিখে?

উত্তর:১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট।

বঙ্গবন্ধুর স্ত্রীর নাম কী?

উত্তর: শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব।

বঙ্গবন্ধুর ছেলে–মেয়ে কত জন? তাদের নাম কী?

ত্তর: ৫ জন। তিন ছেলে দুই মেয়ে। শেখ হাসিনা, শেখ কামাল, শেখ রেহানা, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল

বঙ্গবন্ধু জাদুঘর কোথায় অবস্থিত?

উত্তর: ঢাকার ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে।

মুজিবনগর সরকার কখন গঠিত হয়?

উত্তরঃ ১০ই এপ্রিল ১৯৭১।

মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হয় কর তারিখে?

উত্তরঃ ১৭ই এপ্রিল ১৯৭১।

ঐতিহাসিক ছয় দফা ঘোষণা করা হয় ১৯৬৬ সালের কোন মাসে?

উত্তরঃ ফেব্রুয়ারি মাসে।

বঙ্গবন্ধু ইসলামিয়া কলেজ থেকে বিএ পাস করেন কত সালে?

উত্তরঃ ১৯৪৭ সালে।

২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ বঙ্গবন্ধু কোন কারাগারে বন্ধি ছিলেন?

উত্তরঃ ফরিদপুর কারাগার।

২৬ মার্চ ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তারে পরিচালিত অভিযানের নাম কি?

উত্তরঃ অপারেশন বিগ বার্ড।

বঙ্গবন্ধুকে ‘জাতির জনক’ উপাধি দেয়া হয় কত তারিখে?
উত্তরঃ ৩ মার্চ ১৯৭১

কে বঙ্গবন্ধুকে ‘জাতির জনক’ উপাধি দেয়?

উত্তরঃ আ স ম আবদুর রব।

বঙ্গবন্ধু প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম কোন দেশ সফর করেন?

উত্তরঃ ভারত, ৬-৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২।

বঙ্গবন্ধু সর্বশেষ কোন দেশ সফর করেন?

উত্তরঃ জ্যামাইকা; ১৯৭৫।

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করা হয় কবে?

উত্তরঃ ১৯ নভেম্বর ২০০৯।

বঙ্গবন্ধু কবে সংবিধান স্বাক্ষর করেন?

উত্তরঃ ১৪ ডিসেম্বর ১৯৭২।

বঙ্গবন্ধু ‘বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) গঠন করেন কবে?

উত্তরঃ ২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৫।

বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ সংবিধানের কোন তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে?

উত্তরঃ পঞ্চম তফসিলে

স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র সংবিধানের কততম তফসিলে সংযোজন করা হয়েছে?

উত্তরঃ সপ্তম তফসিলে

সবার আগে Google News আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন

স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর জীবনের অধিকাংশ সময় বাংলাদেশের মানুষ ও তাদের কল্যানের জন্য ব্যায় করেছেন । বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য সমগ্র বাংলাদেশকে সংঘবদ্ধ করতে তাঁর ভূমিকা ছিল অপরিসীম । প্রত্যেক বাংলাদেশীর জন্য জাতির পিতার জীবনী সম্পর্কে জ্ঞঅনার্জন করা অপরিহার্য ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্ম ও পরিচয় :
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে শেখ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ।গোপালগঞ্জ বর্তমানে একটি জেলা । তাঁর পিতার নাম শেখ লুৎফুর রহমান এবং তাঁর দাদার নাম শেখ আবদুল হামিদ । তাঁর মাতার নাম সাহেরা খাতুন এবং নানার নাম আবদুল মজিদ। তাঁর আকিকার সময় তাঁর নানা আবদুল মজিদ বঙ্গবন্ধুর নাম রেখেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান এবং বলেছিলেন এ নাম জগৎ জোড়া খ্যাত হবে । পিতা-মাতা তাকে আদর করে
‘খোকা’ বলে ডাকতেন । এবং ভাইবোন ও গ্রামবাসির নিকট তিনি ‘মিয়াভাই’ বলে পরিচিত ছিলেন । বর্তমানে ১৭ই মার্চ সারাদেশে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালিত হয় ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর শৈশব :
বঙ্গবন্ধু বলেন , ছোট সময়ে আমি খুব দুষ্ট প্রকৃতির ছিলাম। খেলাধুলা করতাম, গান গাইতাম এবং খুব ভাল ব্রতচারী করতে পারতাম ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শৈমব সম্পর্কে তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা তাঁর “শেখ মুজিব আমার পিতা” গ্রন্থে বলেন –

“আমার আব্বার শৈশব কেটেছিল টুঙ্গিপাড়ার নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মেঠো পথের ধুলোবালি মেখে।বর্ষার কাদাপানিতে ভিজে ”

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর শিক্ষাজীবন :
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রাথমিক শিক্ষার শুরু হয় নিজ গৃহে গৃহশিক্ষকদের হাত ধরে । তাঁদের কাছে বঙ্গবন্ধু আরবি ,বাংলা , ইংরেজি ও অংক শিখতেন । পরবর্তীতে তিনি গিমাডাঙ্গা স্কুলে ভর্তি হন । সেখানে তিনি ৩য় শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা করেন। একবার বর্ষাকালে নেীকা করে স্কুল থেকে ফেরার পথে নেীকাডুবি হলে তাঁকে গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে ভর্তি করা হয় । সেখান থেকে তিনি ৯৪২ সালে এন্ট্রাস পাস করেন । পরবর্তীতে তিনি কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে ভর্তি হন । সেখানে তিনি বেকার হোস্টেলে থাকতেন । ১৯৪৭ সালে তিনি ইসলামিয়া কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। দেশভাগের পর তিনি ঢকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তিহন । তিনি ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের ছাত্র ছিলেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জীবনী – বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানা অজানা তথ্য

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর বিবাহ :
বিবাহ সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু তাঁর অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে বলেন , আমার যখন বিবাহ হয় তখন আমার বয়স বার তেরো বছর হতে পারে । আমি শুনলাম আমার বিবাহ হয়েছে , তখন কিছুই বুঝতাম না । রেণুর বয়স তখন বোধহয় তিন বছর হবে ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রিয় খেলাধুলা :
বঙ্গবন্ধু একজন দক্ষ ফুটবল খেলোয়াড় ছিলেন এমনকি তাঁর পিতাও ফুটবল খেলা পছন্দ করতেন । এ সম্পর্কে তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা বলেন , আমার আব্বার পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাধুলার প্রতি দারুন ঝোঁক ছিল । বিশেষ করে ফুটবল খেলা খুব পছন্দ করতেন । মধুমতি নদী পার হয়ে চিতলমারী ও মোল্লাহাট যেতেন খেলতে । এদিকে আমার দাদাও খেলতে পছন্দ করতেন ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর বেরিবেরি রোগ :
বঙ্গবন্ধু ছোট বেলায় বেরিবেরি রোগে আক্রান্ত হন । এ সম্পর্কে তিনি বলেন । ১৯৩৪ সালে যখন আমি ৭ম শ্রেনীতে পড়ি তখন ভীষণভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ি । হঠাৎ বেরিবোরি রোগে আক্রান্ত হয়ে আমার হার্ট দূর্বল হয়ে পড়ে । আব্বা আমাকে নিয়ে কলকাতায় চিকিৎসা করাতে যান । কলকাতার বড় বড় ডাক্তার তার চিকিৎসা করাতে থাকেন ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর গ্লুকোমা রোগ :
বঙ্গবন্ধু ছোট বেলায় চোখের গ্লুকোমা রোগে আক্রান্ত হন । এসম্পর্কে তিনি বলেন , ১৯৩৬ সালে আবার আমার চক্ষু খারাপ হয়ে পড়ে । গ্লুকোমা নামে একটা রোগ হয় । ডাক্তারদের পরামর্শে আব্বা আবার আমাকে নিয়ে কলকাতায় রওনা হলেন চিকিৎসার জন্য । ডাক্তার সাহেব আমার চক্ষু অপরেশন করাতে বললেন । অপরেশন করা হলো । আমি ভাল হলাম । তবে কিছুদিন পড়াশুনা বন্ধ রাখতে হবে , চশমা পরতে হয় আমাকে ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর শিক্ষা বিরতি :
অসুস্থার কারণে বঙ্গবন্ধু ৪ বছর লেখাপড়া করতে পারেননি । এ সম্পর্কে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন , স্কুলে পড়তে পড়তে আব্বার বেরিবেরি রোগ হয় এবং চোখ খারাপ হয়ে যায় । ফলে চার বছর লেখাপড়া বন্ধ থাকে । তিনি সুস্থ হবার পর পুনরায় স্কুলে ভর্তি হন ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জীবনী – বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানা অজানা তথ্য

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর মুসলিম সেবা সমিতি :
বঙ্গবন্ধুর একজন স্কুল মাস্টার একটা সংগঠন গড়ে তোলেন যার সদস্যরা বাড়ি-বাড়ি ঘুরে ধান , চাল , টাকা , জোগার করে গরিব মেধাবী ছেলেদের সাহায্য করতেন । বঙ্গবন্ধু সেই দলের অন্যতম সক্রিয় কর্মী ছিলেন ।
বঙ্গবন্ধু বলেন , মাস্টার সাহেব গোপালগঞ্জে একটা ” মুসলিম সেবা সমিতি ” গঠন করেন যার দ্বারা গরিব ছেলেদের সাহায্য করতেন । মুষ্টি ভিক্ষার চাল উঠাতেন প্রত্যেক মুসলমানের বাড়ি থেকে । প্রত্যেক রবিবার আমরা থলি নিয়ে বাড়ি বাড়ি থেকে চাউল উঠিয়ে আনতাম এবং এই চাউল বিক্রি করে তিনি গরিব ছেলেদের বই এবং পরীক্ষার অন্যান্য খরচ দিতেন ।
এছাড়া তার দানশীলতা সম্পর্কে তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা বলেন , ” দাদির কাছে শুনেছি আব্বার জন্য মাসে কয়েকটা ছাতা কিনতে হতো কারণ কোন ছেলে গরিব , ছাতা কিনতে পারে না , দূরের পথ রোদ বৃষ্টিতে কষ্ট হবে দেখে তাদের ছাতা দিয়ে দিতেন । এমনকি পড়ার বইও মাঝে মাঝে দিয়ে আসতেন ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রথম বিদ্রোহ :
এ সম্পর্কে তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা বলেন , কৈশরেই তিনি খুব অধিকার সচেতন ছিলেন । একবার যুক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শেরেবাংলা গোপালগঞ্জে সফরে যান এবং স্কুল পরিদর্শন করেন । সেই সময় সাহসী কিশোর শেখ মুজিব তাঁর কাছে স্কুলঘরে বর্ষার পানি পড়ার অভিযোগ তুলে ধরেন এবং মেরামত করার অঙ্গীকার আদায় করে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর রাজনীতিতে অংশগ্রহণ :
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর শেখ মুজিব আমার পিতা গ্রন্থে উল্লেখ করেন , গোপালগঞ্জ স্কুল খেকে ম্যাট্টিক পাস করে তিনি কলকাতায় ইসলামিয়া কলেজে পড়তে যান । তখন বেকার হোস্টেলে থাকতেন । এই সময় তিনি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সংস্পর্শে আসেন । হলওয়ে মনুমেন্ট আন্দলনে জড়িয়ে পড়েন সক্রিয়ভাবে । এই সময় থেকে তাঁর রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ শুরু হয় ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম আন্দোলন :
এ সম্পর্কে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর শেখ মুজিব আমার পিতা গ্রন্থে উল্লেখ করেন , এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই বঙ্গবন্ধু প্রথম পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছিলেন । বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের দাবি-দাওয়া পূরণের জন্য পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠা লগ্নে ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ছাত্রলীগ গঠন :
পকিম্তান রাষ্ট্র সৃষ্টির পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও নঈমউদ্দিন আহমেদ মিলে ১৯৪৮ সালের ৪ঠা জানুয়ারী পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ গঠন করেন । বঙ্গবন্ধু বলেন , ১৯৪৮ সালের ৪ঠা জানুয়ারী তারিখে ফজলুল হক মুসলিম হলের এ্যাসেম্বলি হলে এক সভা ডাকা হলো , সেখানে স্থির হল একটা ছাত্র প্রতিষ্ঠান করা হবে । যার নাম হবে ” পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম আওয়ামী লীগ “

আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠন :
১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠিত হয় । এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী । সাধারন সম্পাদক ছিলেন শামছুল হক এবং বঙ্গবন্ধু ছিলেন জয়েন্ট সেক্রেটারি । ১৯৫৩ সালে বঙ্গবন্ধু আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নিযুক্ত হন । ১৯৫৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর দলটির নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেওয়া হয় । আওয়ামীলীগ সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু তাঁর অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে বলেন , শেষপর্যন্ত হুমায়ুন সাহেবের রোজ গার্ডেন বাড়িতে সম্মেলনের কাজ শুরু হয়েছিল । শুধু কর্মীরা না , অনেক রাজনৈতিক নেতাও সেই সম্মেলনে যোগদান করেন । সকলেই একমত হয়ে নতুন রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান গঠন করলেন তার নাম দেওয়া হলো ” পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ । মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী সভাপতি,জনাব শামছুল হক সাধারণ সম্পাদক এবং আমাকে করা হলো জয়েন্ট সেক্রেটারি ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ :
পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা দখল করেই বাংলা ও বাঙালিকে পদানত রাখার পরিকল্পনা করে । প্রথমেই আঘাত হানে ভাষার ওপর । তারা উর্দূকে রাষ্ট্র ভাষা ঘোষণা করে । এর প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু ১৯৪৮ সালের ২ মার্চ ফজলুল হক মুসলিম হলে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠনের প্রস্তাব করেন এবং এর প্রেক্ষিতে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয় । বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেন , ছাত্রসভায় আমরা সকলেই যোগদান করালাম । হঠাৎ কে যেন আমার নাম প্রস্তাব করে বসল সভাপতির আসন গ্রহণ করার জন্য । সকলেই সমর্থন করল । বিখ্যাত আমতলায় এই আমার প্রথম সভাপতিত্ব করতে হলো ।
১৯৫২ সালে বঙ্গবন্ধু জেলে থাকাকালীন অবস্থায় ভাষার জন্য অনশন শুরু করেন । পরবর্তীতে জেলথেকে ছাড়া পেয়ে তিনি আবার আন্দোলন শুরু করনে । তিনি আরো বলেন , আমি সাধারণ সম্পাদক (আওয়ামী মুসলিম লীগের) হয়েই একটা প্রেস কনফারেন্স করলাম । তাতে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করতে হবে , রাজবন্দিদের মুক্তি দিতে হবে এবং যারা ২১শে ফেব্রুয়ারী শহীদ হয়েছেন তাঁদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দান এবং যারা অন্যায়ভাবে জুলুম করেছে তাদের শাস্তির দাবি করলাম ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জীবনী – বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানা অজানা তথ্য
যুক্তফ্রন্ট :
পকিস্তানের স্বাধীনতা লাভের পর মুসলিমলীগ পকেট সংগঠনে পরিণত হলে ১৯৫৪ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে শেরেবাংলা , ভাষানী ও হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দীর নেতৃত্বে ১৯৫৩ সালের ৪ ডিসেম্বর চারটি দল নিয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয় । যুক্তফ্রন্টের প্রতীক ছিল নৌকা । নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট বিশাল ব্যবধানে জয়ী হয় । এই নির্বাচনে প্রথমবারের মত অংশগ্রহণ করে বঙ্গবন্ধু গোপালগঞ্জ আসন থেকে নির্বাচিত হন । নির্বাচনের পর শেরেবাংলা এ.কে. ফজলুল হক সরকার গঠন করেন । বঙ্গবন্ধু সর্বকনিষ্ট মন্ত্রী হিসেবে সমবায় ও কৃষিঋণ মন্ত্রণলায়ের দায়িত্ব লাভ করেন ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর কারাগার থেকে কারাগারে :
১৯৫৮ সালে সামরিক শাসন জারির চারদিন পর বঙ্গবন্ধুকে নিরাপত্তা আইনে আটক করা হয় । প্রায় ১৪ মাস আটক রাখার পর মুক্তিপান তিনি । তবে আবার জেলগেট থেকে তাঁকে আটক করা হয় । প্রায় দুই বছর করাগারে থাকেন এসময় । ১৯৬১ সালে হাইকোর্টের নির্দেশে তিনি মুক্তিপান । ১৯৬২ সালে জননিরাপত্তা আইনে আবার তাঁকে গ্রফতার করা হয় । পরবর্তীতে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন প্রকাশিত হলে বঙ্গবন্ধু এর সমালোচনা করেন এবং এর তীব্র প্রতিবাদ জানান ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ঐতিহাসিক ছয় দফা :
ছয়দফা কর্মসূচি পাকিস্তানের দু অংশের মধ্যকার বৈষম্য এবং পূর্ব বাংলায় পশ্চিম পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ উপনিবেশিক শাসনের অবসানের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ ঘোষিত কর্মসূচি । তাসখন্দ চুক্তির মাধ্যমে ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধের অবসানের পর পূর্ব পাকিস্তানের নিরাপত্তার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের চরম অবহেলা ও ঔদাসীন্যের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ প্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোচ্চার হন । ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারী পাকিস্তানের আইয়ুব বিরোধী রাজণৈতিক দল সমূহের জতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় । এই সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ এতিহাসিক ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন । ছয় দফা দাবির প্রথম দফা ছিল ” লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে সংবিধান রচনা করে পাকিস্তানকে একটি ফেডারেশনে পরিণত করতে হবে , যেখানে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার থাকবে এবং প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের ভোটে নির্বাচিত আইন পরিষদ সার্বভৌম হবে ” ।

আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা :
পাকিস্তান সরকার ১৯৬৮ সালের জানুয়ারি মাসে আওয়ামী লীগ প্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রধান আসামি করে সেনাবাহিনীর কয়েকজন কর্মরত ও প্রাক্তন সদস্য এবং ঊর্ধ্বতন সরকারি অফিসারদের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করে । তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে , তারা ভারত সরকারের সহায়তায় সশস্ত্র অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তানকে পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন । ভারতের ত্রিপুরার আগরতলা শহরে ভারতীয় পক্ষ ও আসামি পক্ষদের মধ্যে এ ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে মামলায় উল্লেখ থাকায় একে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা বলা হয় । বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে এ মামলা এবং এর প্রতিক্রিয়া বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ । ১৯৬৮ সালের ১৯ জুন ৩৫ জনকে আসামি করে পাকিস্তান দন্ডবিধির ১২১-ক ধারা এবং ১৩১ ধারায় মামলার শুনানি শুরু হয় । মামলায় শেখ মুজিবকে ১ নম্বর আসামি করা হয় এবং ” রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবুর রহমান গং’ “নামে মামলাটি পরিচালিত হয় । পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের তীব্র আন্দোলনের মুখে পাকিস্তান সরকার অচিরেই মামলাটি প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয় ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জীবনী – বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানা অজানা তথ্য

১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান :
১৯৬৬ সালের ৬ দফা দাবি ছিল বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ , বাঙালির ম্যাগনাকার্টা । ১৯৬৭ সালের ১৬ জুন নির্ভিক সাংবাদিক তোফাজ্জল হোসেনের ইত্তেফাক পত্রিকা বাজেয়াপ্ত করা হয় । ২৩ জুন রবীন্দ্র সঙ্গীত প্রচার নিষিদ্ধ করা হয় । ১৯৬৮ সালে বঙ্গবন্ধু কে প্রধান আসামী করে মোট ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আগরতলা মামলা করে তাদের উপর নির্যাতন করা হয় । ফলে সারা দেশে ছাত্র আন্দোলন শুরু হয় । ১৯৬৯ সালের ৪ জানুয়ারী ছাত্র সমাজ ঐতিহাসিক ১১ দফা দাবি উত্থাপন করে । ৮ জানুয়ারী ৮ টি রাজনৈতিক দল নিয়ে DAC গঠিত হয় । ২০ জানুয়ারী ছাত্রনেতা আসাদ পুলিশের গুলিতে শহীদ হন । আন্দোলন তীব্র হয় । ১৫ ফেব্রয়ারী আগরতলা মামলার আসামী সার্জেন্ট জহুরুল হককে কারাকারের ভেতরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় ।

বাংলাদেশ নামকরণ :
১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামীলীগের জনসভায় বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন ” জনগনের পক্ষ থেকে আমি ঘোষণা করছি , আজ হতে পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশটির নাম পূর্বপাকিস্তানের পরিবর্তে ‘বাংলাদেশ
’ হবে ” ।

৭০ এর নির্বাচন :
১৯৭০ সালের ৬ জানুয়ারী বঙ্গবন্ধু আওয়ামীলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন । বঙ্গবন্ধু ১৯৭০ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহনের সিদ্ধান্ত নেন । নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নির্বাচনী প্রতীক ছিল নৌকা , স্লোগান ছিল ‘জয় বাংলা’ আর ঘোষণাপত্র ছিল ছয় দফা । বাংলাদেশের আনাচে কানাচে নৌকার পক্ষে গণজোয়ার তৈরি হয় । নির্বাচনে আওয়ামীলীগ পূর্ব পাকিস্তানের ১৬৯ টি আসনের মধ্যে ১৬৭টি আসন লাভ করে । পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৮৮টি লাভ করলেও আওয়ামীলীগের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয় না । এ জন্যই ১৯৭০ সালের নির্বাচনকে পাকিস্তানের মৃত্যুর বার্তাবাহক বলা হয় ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর যা সকল নিয়োগ পরীক্ষায় অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ

অসহযোগ আন্দোলন :
১৯৭০ সালের নির্বাচন ছিল এক ব্যক্তি এক ভোট নীতির প্রথম নির্বাচন । ৩ মার্চ ১৯৭০ সালে আ.স.ম. আবদুর রব বঙ্গবন্ধুকে ‘জাতির পিতা’ উপাধি প্রদান করেন । এই সমাবেশে বক্তৃতা কালে বঙ্গবন্ধু আসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন ।

৭ই মার্চের ভাষণ :
১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ তারিখে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে রোজ শুক্রবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ ভাষণ প্রদান করেন । সময় বিকাল ৩ট ২০ মিনিট । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনা বলেন , এর ব্যাপ্তিকাল ছিল ২৩ মিনিট তবে ১৮-১৯ মিনিট রেকর্ড করা হয় । রেকর্ড করেন এ এইচ খন্দকার এবং চিত্র ধারণ করেন আবুল খায়ের এমএনএ । গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৫ম তফসিলে জাতির পিতার এ ভাষণ সন্নিবেশিত হয় । এ ভাষণেই বঙ্গবন্ধু বলেন ” আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না । আমরা এদেশের মানুষের অধিকার চাই ” ৭ই মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু ৪ দফা দাবি তুলে ধরেন । যেমন –

১. প্রথমে মার্শাল ল উইথড্র করতে হবে ।

২. সমস্ত সামরিক বাহিনীর লোকদের ব্যারাকে ফেরত যেতে হবে ।

৩. যেভাবে হত্যা করা হয়েছে তার তদন্ত করতে হবে ।

৪. জনগণের প্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে ।

স্বাধীনতার ঘোষনা :
১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ ঢাকাসহ সারাদেশে পাকিস্তানি বাহিনীরা নিরীহ মানুষদের উপর অমানুষিক অত্যাচার শুরু করে । শুধু ঢাকাতেই ৫০ হাজারের বেশী মানুষ হত্যা করে তারা । ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হওয়ার আগে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন । ২৬শে মার্চ চট্রগ্রামের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে সর্বপ্রথম এম.এ.হান্নান নিজের কণ্ঠে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা পাঠ করেন । বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা অসমাপ্ত আত্মজীবনী গ্রন্থের ভূমিকাতে বলেন , ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ মধ্যরাতে স্বাধীনতার ঘোষনা দেওয়ার পরপরই আমাদের ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর সড়কের পাকিস্তনি সেনাবাহিনী হানা দেয় এবং আমার পিতাকে গ্রফতার করে নিয়ে যায় ।

মুজিবনগর সরকার :
১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল কুষ্টিয়ার মহেরপুরের বৈদ্যনাথ তলার ভবেরপাড়া গুামের আম্রকাননে মুজবনগর সরকার গঠিত হয় । ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ দেশ-বিদেশের ১২৭ জন সাংবাদিকের সামনে মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণ করে । মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান । তবে বঙ্গবন্ধু জেলে থাকার কারনে সৈয়দ নজরুল ইসলাম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দ্বায়িত্ব পালন করেন । মুজিব নগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাজ উদ্দিন আহমদ । যুদ্ধ পরিচালনার সুবিধার্তে মুজিব নগর সরকার সমগ্র বাংলাদেশকে ১১ টি সেক্টরে ভাগ করে ।

স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি :
দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধের পর ৩০ লক্ষ্য শহীদ ও দুই লক্ষ্য মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আমারা স্বাধীনতা লাভ করি । ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর ৯৩ হাজার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী রেসকোর্সের ময়দানে আত্মসমর্পন করে । প্রতিষ্ঠিত হয় জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ । আর এই স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি ছিলেন বঙ্গপন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ।

স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও সংবিধান রচনা :
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতা লাভের পর ২২ ডিসেম্বর মুজিবনগর সরকার ঢাকায় এসে শাসন ক্ষমতা গ্রহণ করে । ১০ ডিসেম্বর ১৯৭২ সালে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংবিধান রচনায় মনোনিবেশ করেন । ১১ জানুয়ারী ১৯৭২ স্বাধীন দেশের রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
‘অস্থায়ী সংবিধান’ আদেশ জারি করেন । বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ২৩ মার্চ গণপরিষদ আদেশ জারি করেন । ১০ এপ্রিল ১৯৭২ গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন বসে । ১১ এপ্রিল ড.কামাল হোসেনকে সভাপতি করে ৩৪ সদস্য বিশিষ্ট সংবিধান কমিটি গঠন করা হয় । কমিটির একমাত্র বিরোধী দলীয় সদস্য ছিল সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এবং একমাত্র মহিলা সদস্য ছিল রাজিয়া বানু । খসড়া কমিটি ৪৭টি বৈঠকের মাধ্যমে খসড়া চুড়ান্ত করে । ১২ অক্টোবর ১৯৭২ সালে খসড়া সংবিধান গণ পরিষদে উত্থাপন করা হয় এবং ৪ নভেম্বর ১৯৭২ তা গৃহীত হয় । প্রতি বছর ৪ নভেম্বর সংবিধান দিবস হিসেবে পালন করা হয় । ১৫ ডিসেম্বর সংবিধানে স্বাক্ষর করা হয় এবং ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ থেকে তা কার্য়কর হয় । বাংলাদেশের সংবিধানে মোট ১টি প্রস্তাবনা , ১১টি ভাগ , ১৫৩টি অনুচ্ছেদ এবং ৭টি তফসিল রয়েছে । রাষ্ট্রপরিচালনার মূলনীতি ৪টি । এ পর্যন্ত সংবিধানে মোট ১৬ বার সংশোধনী আনা হয়েছে ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জীবনী – বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানা অজানা তথ্য
ফিদেল কাস্ত্রের সাক্ষাত :

১৯৭৩ সালে আলজেরিয়ার রাজধানী আলজিয়ার্সে জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের শীর্ষ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে সাক্ষাতের পর কিউবার মহান বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রো বলেছিলেন , ” আমি হিমালয় দেখিনি কিন্তু শেখ মুজিবকে দেখেছি । ব্যক্তিত্ব এবং সাহসিকতায় তিনিই হিমালয় ” ।

সংবিধান সংশোধন ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার :
১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর রেসকোর্স ময়দানে এক ঘোষণার মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার ঘোষনা দেন । Bangladesh Collaborators ( Special tribunals ) Order 1972 নামে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য প্রথম আইন পাস হয় । পরবর্তীতে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হয় । বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর আমলে সংবিধান মোট ৪ বার সংশোধন করা হয় । যুদ্ধবন্দীদের বিচার ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য ১৯৭৩ সালে প্রথম সংশোধনী আনা হয় । রাষ্ট্রপতির পদ সৃষ্টি,মেয়াদ ও জরুরী অবস্থার বিধান রেখ ২য় সংশোধনী আনা হয় । ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত চুক্তির আলোকে ৩য় সংশোধনী আনা হয় । এবং ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারী সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যভস্থার প্রবর্তন করা হয় ।

অসমাপ্ত আত্মজীবনী :
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান লিখিত আত্মজীবনী মূলক প্রথম গ্রন্থ ‘ অসমাপ্ত আত্মজীবনী ’ । ২০১২ সালের জুন মাসে বইটি ‘ দি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড ‘ থেকে প্রকাশিত হয় । বইটির প্রকাশক মহিউদ্দিন আহমেদ , প্রচ্ছদ সমর মজুমদার এবং গ্রন্থস্বত্ব ‘ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ’ । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড.ফকরুল আলম স্যার ‘The Unfinished Memoirs’ নামে বইটির ইংরেজি অনুবাদ করেন । ২০১৭ সাল পর্যন্ত বইটি মোট ৮টি ভাষায় প্রকাশিত হয় । সর্বশেষ হিন্দি ভাষায় অনুদিত হয় । হিন্দি ভাষায় বইটি অনুবাদ করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রাণলায় । ১৯৬৭-১৯৬৯ সালে কারাকারে থাকাকালীন বঙ্গবন্ধু বইটি লেখেন । বইটি লিখতে বঙ্গবন্ধুকে প্রেরণা দেন তার স্ত্রী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৪ সালে ফজলুল হক মনির ড্রয়ার খেকে এর মূল পাণ্ডুলিপি সংগ্রহ করেন । ২০০৭ সালের ৭ আগস্ট সাব জেলে থাকাকালীন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বইটির ভূমিকা লেখেন।বইটিতে বঙ্গবন্ধু তাঁর পূর্ব পুরুষদের ইতিহাস সহ বাল্যকাল থেকে ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত নিজের জীবনের বিভিন্ন ঘটনা লিপিবদ্ধ করেছেন । প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে চট্টগ্রামর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষা বর্ষের পাঠ্যসূচীতে বইটির ইংরেজি অনুবাদ The Unfinished Memoirs অন্তর্ভূক্ত করা হয় ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জীবনী – বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানা অজানা তথ্য

কারাগারের রোজনামচা :
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচিত আত্মজীবনী মূলক দ্বিতীয় গ্রন্থ
‘কারাগারের রোজনামচা’ । ২০০৯ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রন্থটির পাণ্ডুলিপি খুঁজে পান । বইটি ২০১৭ সালের ১৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ৯৮ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসে ঐতিহাসিক বাংলা একাডেমী থেকে প্রকাশিত হয়।পাণ্ডুলিপি আনুযায়ী বঙ্গবন্ধু এর নাম দিয়েছিলেন “থালাবাটি কম্বল/জেলখানার সম্বল” । বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা বইটির নামকরণ করেন ‘কারাগারের রোজনামচা’ গ্রন্থটিতে ১৯৬৬-১৯৬৮ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর কারাবাসের চিত্র তুলেধরেছেন । গ্রন্থটির প্রচ্ছদ শিল্পী তারিক সুজাত । বঙ্গবন্ধু এই গ্রন্থটিতে তাঁর জেল জীবনের পাশাপাশি জেল যন্ত্রনা ,কয়েদীদের অজানা কথা , অপরাধীদের কথা , কেন তারা এই অপরাধে লিপ্তহলো ইত্যাদি । তখনকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি , আওয়ামীলীগ নেতাদের দুঃখ দুর্দশা , সংবাদ মাধ্যমের অবস্থা , শাসকগোষ্ঠীর নির্মম নির্যাতন প্রভৃতি তুলে ধরেছেন । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরি ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড.ফকরুল আলম স্যার বইটির ইংরেজি অনুবাদ করেন এবং তা বাংলা একাডেমী থেকে ‘প্রিজন ডায়েরী’ নামে প্রকাশিত হয় । বইটির ভূমিকা লিখেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা ও বর্তমান বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । বইটির গ্রন্থস্বত্ব হচ্ছে ” জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ” ।

ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড :
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট সেনাবাহিনীর কিছু সংখ্যক বিপথগামী সদস্য ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাসভবনে বঙ্গবন্ধু ও সপরিবারকে হত্যা করে । এর মধ্য দিয়ে বাঙালির ইতিহাসে এক কালিমালিপ্ত অধ্যায় সংযোজিত হয়েছিল । দুই জন পুলিশ কর্মকর্তা সহ এইদিন ঘাতকরা মোট ১৮ জনকে হত্যা করে । তাদের হাত থেকে বঙ্গবন্ধুর শিশু পুত্র শেখ রাসেলও রেহাই পায়নি । বাংলাদেশের ইতিহাসে এই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডের পেছনে ছিল খন্দকার মোশতাক , মেজর ডালিম সহ কতিপয় বিপথগামী সদস্যের হাত । যাদের জন্য বঙ্গবন্ধু সারা জীবন লড়াই করেছেন তাদেরই কিছু বিপথগামী ক্ষমতালোভীর হাতেই রচিত হয় বাংলার ইতিহাসের কলঙ্কময় দিন । বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতের এই ১৫ই আগস্ট দিনটি জাতি শোকদিবস হিসেবে পালন করে থাকে ।

বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার :
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালের ১২ নভেম্বর দায়মুক্তি আইন বাতিল করে আওয়ামী লীগ সরকার এবং ১৯৯৬ সালের ২ অক্টোবর ধানমন্ডি থানায় বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত সহকারী মহিতুল ইসলাম বাদী হয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মামলা করেন । ২০০১ সালের ৩০ এপ্রিল তৃতীয় বিচারক মোহাম্মদ ফজলুল করিম ২৫ দিন শুনানীর পর অভিযুক্ত ১২ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ নিশ্চিত করেন । ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর থেকে ২০০৯ সালের ২৪ আগস্ট পর্যন্ত বাদী-বিবাদীর আপিলের প্রেক্ষিতে চার দফায় রায় প্রকাশ হয় , সর্বশেষ আপিল বিভাগ ২০১০ সালের ৫ অক্টোবর থেকে টানা ২৯ কর্মদিবস শুনানি করার পর ১৯ নভেম্বর চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেন । এতে ১২ জনের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর পাঁচ খুনির ফাঁসি কার্যকর করা হয় ।

শেষকথা :

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জীবনী শীর্ষক উপরিউক্ত দীর্ঘ আলোচনার প্রেক্ষিতে আলোচনার শেষপ্রান্তে এসে আমরা বলতে পারি যে , ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর প্রান্তরে বাংলার শেষ নবাব সিরাজুদ্দৌলার সাথে বেইমানি করেছিল তাঁরই সেনাপতি মীল জাফর ক্ষমতার লোভে , নবাব হওয়ার আশায় । ১৯৭৫ সালেও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছিল । স্বাধীন বাংলাদেশর প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে তাঁরই মন্ত্রীপরিষদের সদস্য খন্দকার মোশতাক । ইতিহাস স্বাক্ষ দেয় যে ক্ষমতা লোভীরা স্থায়ী হতে পারেনি মীর জাফর তিন মাসও ক্ষতায় ছিল না । তেমনি ভাবে খন্দকার মোশতাকও তার রাষ্ট্রপতি পদ তিন মাসও রাখতে পারেনি । বাংলার বুকে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার হয়েছে এবং বাকীদেরও হবে ইনশাআল্লাহ ।

তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া, অসমাপ্ত আত্মজীবনী বই, কারাগারের রোজনামচা বই, শেখ মুজিব আমার পিতা বই ইত্যাদি।

সবার আগে Google News আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন

১। বঙ্গবন্ধু উপাধি> ২৩ফেব্রু ১৯৬৯সালে। তোফায়েল আহমেদ। রেসকোর্স ময়দানে।
২। জাতির জনক> ৩মার্চ ১৯৭১। আ, স, আব্দুর রব। পল্টন ময়দানে
৩। রাজনীতির কবি (Poet of politics) > ৫ এপ্রিল ১৯৭২ সালে মার্কিন সাময়িকী> ‘নিউজ উইক‘ ম্যাগাজিন বঙ্গবন্ধুর উপর একটি কভার স্টোরি করে।
৪। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি >> ২৬শে মার্চ ২০০৪ বিবিসির শ্রোতা জরিপে ২০তম সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালির তালিকায় স্থান। ১৪এপ্রিল ২০০৮ সর্বকালের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে প্রকাশ করা হয়।
৫। পাকিস্তানি কারাগার থেকে মুক্তি> ৮ জানু, ১৯৭২।
৬। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন >>> ১০জানুয়ারি ১৯৭২।
৭।আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার > ২২ ফেব্রু ১৯৬৯।
৮। বাঙালির মুক্তিসনদ বা বাঙালির ম্যাগনাকার্টা ৬দফা দাবি পেশ।> ৫-৬ফেব্রু ১৯৬৬।
৯।ছয় দফা দিবস> ৭জুন । কারণ ১৯৬৬ এইদিনে সালে শেখ মুজিবকে গ্রেফতার করা হয় ও কারফিউ জারী করা হয়।
১০।বাংলাদেশ -এর নামকরণ করেন> ৫ডি: ১৯৬৯।
১১। আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠন >> ২৩জুন ১৯৪৯।শেখ মুজিব যুগ্ন সম্পাদক।।মুসলিম শব্দটি বাদ দেয়া হয় ২২-২৩সেপ্টম্বর,১৯৫৫। । সম্পাদক হন ১৬নভে:১৯৫৩।
১২। শেখ মুজিব আওয়ামী লীগের সভাপতি হন> ১৯৬৬।
১৩।বিশেষ ক্ষমতা তথা অস্থায়ী সংবিধান জারি করেন ১২ জানু, ১৯৭২।

বঙ্গবন্ধু সম্পর্কিত ৪০টি প্রশ্ন:

(১) ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটির লেখকের নাম কী?
উত্তর: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
(২) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম কত সালে, কোথায়?
উত্তর: ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়।
(৩) বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাজীবন শুরু হয় কোন স্কুলে?
উত্তর: গোপালগঞ্জের গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
৪) বঙ্গবন্ধু ম্যাট্রিক পাশ করেন কোন স্কুল থেকে, কত সালে?
উত্তর: গোপালগঞ্জ মিশনারি স্কুলে, ১৯৪২ সালে।
(৫) বঙ্গবন্ধু কলকাতা ইসলামিয়া কলেজের বেকার হোষ্টেলের কত নম্বর কক্ষে থাকতেন?
উত্তর: ২৪ নম্বর কক্ষে।

(৬) বঙ্গবন্ধু আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে অভিষিক্ত হন কীভাবে?
উত্তর: ১৯৪৪ সালে কুষ্টিয়ায় অনুষ্ঠিত নিখিল বঙ্গ মুসলিম ছাত্রলীগের সম্মেলনে যোগদানের মাধ্যমে।
(৭) বঙ্গবন্ধু কত সালে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সহকারী নিযুক্ত হন?
উত্তর: ১৯৪৬ সালে।
(৮) বঙ্গবন্ধু বিএ পাশ করেন কত সালে, কোন কলেজ থেকে?
উত্তর: ১৯৪৭ সালে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ থেকে।
(৯) বঙ্গবন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন বিভাগের ছাত্র ছিলেন?
উত্তর: আইন বিভাগের।
(১০) বঙ্গবন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কত সালে কেন বহিস্কৃত হন?
উত্তর: ১৯৪৯ সালে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করায় তাঁকে বহিস্কার করা হয়।
(১১) বঙ্গবন্ধু জীবনে প্রথম কারাভোগ করেন কত সালে কত তারিখে?
উত্তর: ১৯৩৯ সালে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ সভা করার কারণে তাঁকে কারভোগ করতে হয়।
(১২) ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠা লাভ করলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেখানে কী পদ পান?
উত্তর: যুগ্ম সম্পাদক।
(১৩) ১৯৫২ সালের কত তারিখে রাষ্ট্র ভাষা বাংলার দাবীতে বঙ্গবন্ধু কারাগারে অনশন শুরু করেন?
উত্তর: ১৪ ফেব্রুয়ারি।
(১৪) যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কোন আসনে বিজয়ী হন?
উত্তর: গোপালগঞ্জ আসনে।
১৫) বঙ্গবন্ধু কোন মন্ত্রীসভায় সর্বকনিষ্ঠ মন্ত্রী ছিলেন?
উত্তর: ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রীসভায়।
(১৬) ১৯৬৪ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সম্মিলিত বিরোধী দল গঠন করা হয়। দলটির নাম কী?
উত্তর: কম্বাইন্ড অপজিশন পার্টি।
(১৭) বঙ্গবন্ধু মুজিব ছয়দফা ১ম কবে ঘোষনা করেন?
উত্তর: ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬
(১৮) আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে ৬ দফা গৃহীত হয় কত সালে?
উত্তর: ১৯৬৬ সালের ১৮ মার্চ।
(১৯) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আনুষ্ঠানিকভাবে কবে ছয়দফা ঘোষনা করেন?
উত্তর: ২৩ মার্চ ১৯৬৬
(২০) কোন প্রস্তাবের ভিত্তিতে ছয়দফা রচিত হয়?
উত্তর: লাহোর প্রস্তাব

(২১) ছয়দফার প্রথম দফা কি ছিল?
উত্তর: স্বায়ত্বশাসন
(২২) ‘বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ’ হিসেবে পরিচিত কোনটি?
উত্তর: ছয় দফা।
(২৩) আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামী ছিল কত জন? বঙ্গবন্ধু কততম আসামী ছিলেন?
উত্তর: ৩৫ জন। বঙ্গবন্ধু ছিলেন ১ নং আসামী।
(২৪) আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা কী নামে দায়ের করা হয়েছিল?
উত্তর: রাষ্ট্রদ্রোহীতা বনাম শেখ মুজিব ও অন্যান্য।
(২৫) শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করা হয় কত সালে?
উত্তর: ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি।
(২৬) শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি কে দেন?
উত্তর: তৎকালীন ডাকসুর ভিপি তোফায়েল আহমেদ।
(২৭) কোথায় ‘বঙ্গবন্ধু উপাধি দেওয়া হয়?
উত্তর: রেসকোর্স ময়দানে।
(২৮) বঙ্গবন্ধু পূর্ব বাংলাকে ‘বাংলাদেশ’ নামকরন করেন কত সালে?
উত্তর: ৫ ডিসেম্বর, ১৯৬৯ ।
(২৯) বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণ কোথায় দেন?
উত্তর: ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে, যা এখন সোহরাওয়ার্দি উদ্যোন নামে পরি চিতি।
(৩০) বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণের মূল বক্তব্য কী ছিল?
উত্তর: এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।
(৩১) বঙ্গবন্ধু কখন স্বাধীনতার ঘোষণা দেন?
উত্তর: ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাত অর্থাৎ ২৬ মার্চে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এরপরই পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে।
(৩২) ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল গঠিত অস্থায়ী সরকারের বঙ্গবন্ধুর পদ কী ছিল?
উত্তর: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদ ছিল রাষ্ট্রপতি।
(৩৩) বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পান কবে?
উত্তর: ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি।
(৩৪) বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশে ফেরেন কবে?
উত্তর: ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি, যা বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস নামে পরিচিত।
(৩৫) বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন কত তারিখে?
উত্তর: ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি।
(৩৬) বঙ্গবন্ধু প্রথম নেতা হিসেবে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বাংলা ভাষায় বক্তৃতা দেন কত সালে, কত তারিখে?
উত্তর: ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর।
(৩৭) বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে নিহত হন কত তারিখে?
উত্তর: ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট।
(৩৮) বঙ্গবন্ধুর স্ত্রীর নাম কী?
উত্তর: শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব।
(৩৯) বঙ্গবন্ধুর ছেলে–মেয়ে কত জন? তাদের নাম কী?
উত্তর: ৫ জন। তিন ছেলে দুই মেয়ে। শেখ হাসিনা, শেখ কামাল, শেখ রেহানা, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল
(৪০) বঙ্গবন্ধু জাদুঘর কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: ঢাকার ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে।

সবার আগে Google News আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন

শেখ মুজিবের বাবার নাম–শেখ লুতফর রহমান।

শেখ মুজিবের মায়ের নাম–সায়েরা খাতুন।

শেখ মুজিবের জন্ম ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ। ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয়। বঙ্গবন্ধুর জন্ম দিনকে শিশু দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব করেন ড, নীলিমা ইব্রাহিম।

শেখ মুজিবের চার বোন দুই ভাই ছিলেন।

শেখ মুজিব ভাই বোন দের মধ্যে তৃতীয় ছিলেন।

শেখ মুজিবের ডাক নাম খোকা।

শেখ মুজিবের উচ্চতা ছিল ৫ ফিট ১১ ইঞ্চি।

শেখ মুজিব বেরি বেরি রোগে আক্রান্ত ছিলেন।

১৬ জানুয়ারি ১৯৩৮ সালে শের–ই–বাংলার গোপালগঞ্জ মিশন স্কুল পরিদরশনের সময় সাক্ষাত হয়।

১৯৪৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ফরিদপুরে কর্ডন প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে বন্দি হন।

১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি শেখ মুজিব জেলে ছিলেন। জেলখানা থেকে বিবৃতি প্রদান করেন।

১৯৬৪ সালের ১১ মার্চ শেখ মুজিবের নেতৃতে সর্ব দলীয় সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়।

‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটির লেখকের নাম কী?

উত্তর: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম কত সালে, কোথায়?

উত্তর: ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়।

বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাজীবন শুরু হয় কোন স্কুলে?

উত্তর: গোপালগঞ্জের গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

বঙ্গবন্ধু ম্যাট্রিক পাশ করেন কোন স্কুল থেকে, কত সালে?

উত্তর: গোপালগঞ্জ মিশনারি স্কুলে, ১৯৪২ সালে।

বঙ্গবন্ধু কলকাতা ইসলামিয়া কলেজের বেকার হোষ্টেলের কত নম্বর কক্ষে থাকতেন?

উত্তর: ২৪ নম্বর কক্ষে।

বঙ্গবন্ধু আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে অভিষিক্ত হন কীভাবে?

উত্তর: ১৯৪৪ সালে কুষ্টিয়ায় অনুষ্ঠিত নিখিল বঙ্গ মুসলিম ছাত্রলীগের সম্মেলনে যোগদানের মাধ্যমে।

বঙ্গবন্ধু কত সালে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সহকারী নিযুক্ত হন?

উত্তর: ১৯৪৬ সালে।

বঙ্গবন্ধু বিএ পাশ করেন কত সালে, কোন কলেজ থেকে?

উত্তর: ১৯৪৭ সালে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ থেকে।

বঙ্গবন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন বিভাগের ছাত্র ছিলেন?

উত্তর: আইন বিভাগের।

বঙ্গবন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কত সালে কেন বহিস্কৃত হন?

উত্তর: ১৯৪৯ সালে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করায় তাঁকে বহিস্কার করা হয়।

বঙ্গবন্ধু জীবনে প্রথম কারাভোগ করেন কত সালে?

উত্তর: ১৯৩৯ সালে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ সভা করার কারণে তাঁকে কারভোগ করতে হয়।

১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠা লাভ করলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেখানে কী পদ পান?

উত্তর: যুগ্ম সম্পাদক।

১৯৫২ সালের কত তারিখে রাষ্ট্র ভাষা বাংলার দাবীতে বঙ্গবন্ধু কারাগারে অনশন শুরু করেন?

উত্তর: ১৪ ফেব্রুয়ারি।

যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কোন আসনে বিজয়ী হন?

উত্তর: গোপালগঞ্জ আসনে।

বঙ্গবন্ধু কোন মন্ত্রীসভায় সর্বকনিষ্ঠ মন্ত্রী ছিলেন?

উত্তর: ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রীসভায়।

১৯৬৪ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সম্মিলিত বিরোধী দল গঠন করা হয়। দলটির নাম কী?

উত্তর: কম্বাইন্ড অপজিশন পার্টি।

বঙ্গবন্ধু মুজিব ছয়দফা ১ম কবে ঘোষনা করেন?

উত্তর: ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬

আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে ৬ দফা গৃহীত হয় কত সালে?

উত্তর: ১৯৬৬ সালের ১৮ মার্চ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আনুষ্ঠানিকভাবে কবে ছয়দফা ঘোষনা করেন?

উত্তর: ২৩ মার্চ ১৯৬৬

কোন প্রস্তাবের ভিত্তিতে ছয়দফা রচিত হয়?

উত্তর: লাহোর প্রস্তাব

ছয়দফার প্রথম দফা কি ছিল?

উত্তর: স্বায়ত্বশাসন

‘বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ’ হিসেবে পরিচিত কোনটি?

উত্তর: ছয় দফা।

আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামী ছিল কত জন? বঙ্গবন্ধু কততম আসামী ছিলেন?

উত্তর: ৩৫ জন। বঙ্গবন্ধু ছিলেন ১ নং আসামী।

আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা কী নামে দায়ের করা হয়েছিল?

উত্তর: রাষ্ট্রদ্রোহীতা বনাম শেখ মুজিব ও অন্যান্য।

শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করা হয় কত সালে?

উত্তর: ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি।

শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি কে দেন?

উত্তর: তৎকালীন ডাকসুর ভিপি তোফায়েল আহমেদ।

কোথায় ‘বঙ্গবন্ধু উপাধি দেওয়া হয়?

উত্তর: রেসকোর্স ময়দানে।

বঙ্গবন্ধু পূর্ব বাংলাকে ‘বাংলাদেশ’ নামকরন করেন কত সালে?

উত্তর: ৫ ডিসেম্বর, ১৯৬৯ ।

বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণ কোথায় দেন?

উত্তর: ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে, যা এখন সোহরাওয়ার্দি উদ্যোন নামে পরিচিতি।

বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণের মূল বক্তব্য কী ছিল?

উত্তর: এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।

বঙ্গবন্ধু কখন স্বাধীনতার ঘোষণা দেন?

উত্তর: ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাত অর্থাৎ ২৬ মার্চে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এরপরই পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে।

১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল গঠিত অস্থায়ী সরকারের বঙ্গবন্ধুর পদ কী ছিল?

উত্তর: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদ ছিল রাষ্ট্রপতি।

বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পান কবে?

উত্তর: ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি।

বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশে ফেরেন কবে?

উত্তর: ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি, যা বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস নামে পরিচিত।

বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন কত তারিখে?

উত্তর: ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি।

বঙ্গবন্ধু প্রথম নেতা হিসেবে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বাংলা ভাষায় বক্তৃতা দেন কত সালে, কত তারিখে?

উত্তর: ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর।

বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে নিহত হন কত তারিখে?

উত্তর: ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট।

বঙ্গবন্ধুর স্ত্রীর নাম কী?

উত্তর: শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব।

বঙ্গবন্ধুর ছেলে–মেয়ে কত জন? তাদের নাম কী?

উত্তর: ৫ জন। তিন ছেলে দুই মেয়ে। শেখ হাসিনা, শেখ কামাল, শেখ রেহানা, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল

বঙ্গবন্ধু জাদুঘর কোথায় অবস্থিত?

উত্তর: ঢাকার ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে।

শেখ মুজিব ১৯৫২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি কারাগারে অনশন শুরু করেন।

শেখ মুজিব ১৯৫৩ সালের ১৬ নভেম্বর আওয়ামী মুস্লিম লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন।

শেখ মুজিব ১৯৫৪ সালে ১০ মার্চ সাধারন নিরবাচনে ২৩৭টি আসনের মধ্যে যুক্তফ্রন্ট ২২৩ টি আসন লাভ করে।

শেখ মুজিব ১৯৫৪ সালের ২ এপ্রিল যুক্তফ্রন্ট সরকার গঠন করা হয়।

শেখ মুজিব ১৯৫৪ সালের ১৪ মে যুক্তফ্রন্ট সরকারের কনিষ্ঠ মন্ত্রি হিসেবে যোগদান করেন।

শেখ মুজিব ১৯৫৫ সালের ৫ জুন পাকিস্তানের গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।

শেখ মুজিব ১৯৫৫ সালের ১৭ জুন পলতনের জন সভায় পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন দাবী করেন।

১৯৫৫ সালের ২১ অক্টোবর আওয়ামী মুসলিম লীগের বিশেষ কাউন্সিল অধিবেশনে ধর্ম নিরপেক্ষতাকে আদর্শ হিসেবে গ্রহন করে মুস্লিম শব্দটি প্রত্যাহার করে নতুন নামকরন করেন আওয়ামী লীগ।

১৯৬৪ সালের ১১ মার্চ শেখ মুজিব এর নেত্রিত্তে সর্ব দলীয় সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়।

১৯৬৬ সালের ১৮ মার্চ আওয়ামী লীগ কাউন্সিল অধিবেশনে ৬ দফা গ্রিহিত হয়।

১৯৬৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ক্যান্তন ম্যান্তে সার্জেন্ট জহুরুল হক কে হত্যা করা হয়।

১৯৬৯ সালের ২৩ মার্চ শেখ মুজিবকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু উপাধি দেওয়া হয়।

১৯৬৯ সালের ২৫ মার্চ রাওয়াল পিণ্ডিতে গোল টেবিল আলোচনা ব্যর্থ হয়ার পর আইয়ুব ইয়াহিয়া খানের কাছে ক্ষমতা হ্যান্ডঅভার করেন।

১৯৭১ সালে ২৭ জানুয়ারি জুলফিকার আলী কয়েক দফা আলোচনা করেন।

১৯৭১ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ইয়াহিয়া বেতার ভাষণে জাতীয় পরিষদের নির্বাচনের আহব্বান করেন।

১৯৭১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের অধিবেশনে আনুষ্ঠানিকভাবে শেখ মুজিবকে সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচন করা হয়।

১৯৭১ সালের ৭ মার্চের কালজয়ী ভাষণ প্রদান করেন।

শেখ মুজিব ১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ বাংলাদেশের সাধিনতা ঘোষণা করেন।

১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।

শেখ মুজিবকে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বন্দি করে পাকিস্তানে নিয়ে যান।

৮ জানুয়ারি ১৯৭২ পাকিস্তান থেকে মুক্তি পেয়ে পিয়াইয়ের বিমানে করে লন্ডন–এ হিথরো বিমান বন্দরে অবতরন করেন যান। তখন ব্রিটেনের প্রধান মন্ত্রি ছিল উইলিয়াম অ্যাডওয়াড হিথ। ১০ জানুয়ারি ব্রিটেনের রাজকীয় কমেট বিমানে ভারতে আসেন। তখন ভারতের রাস্ত্রপতি ছিলেন ভিপি গিরি।

১০ জানুয়ারি ১৯৭২ স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস।

১০ জানুয়ারি রাতে ১৯৭২ রাস্ত্রপতির দায়িত্ত গ্রহন করেন।

১২ জানুয়ারি ১৯৭২ সংসদীয় কাঠামো প্রবরতন করে মন্ত্রি পরিষদ গঠন করা হয়। শেখ মুজিব দেশের প্রধান্মন্ত্রি নিজুক্ত হন।

২৬ মার্চ ১৯৭২ শোষণহিন সমাজ গঠনের অঙ্গীকার নিয়ে প্রথম স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়।

১৯৭২ সালের ১০ এপ্রিল গণপরিষদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়।

১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদে খসড়া শাসনতন্ত্র অনুমোদিত হয়।

১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর সংবিধান কার্যকর হয়।

১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ গণপরিষদ বাতিল করা হয়।

নতুন সংবিধানের আলোকে ৭ মার্চ ১৯৭৩ প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে ৩০০ টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৯২ টি আসন লাভ করে।

২৩ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪ জাতিসঙ্গে বাংলায় প্রথম ভাষণ প্রদান করেন।

১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়।

মুজিব শতবর্ষ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ১০০ প্রশ্নোত্তর।

১। ‘মুজিব বর্ষ’ কী?
উত্তর: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী (জন্ম ১৭ মার্চ ১৯২০)।
২। মুজিব বর্ষের সময়কাল কত?
উত্তর: ১৭ মার্চ ২০২০—১৭ মার্চ ২০২১।
৩। ‘মুজিব বর্ষ’ ঘোষণা করেন কে?
উত্তর: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
৪। মুজিব বর্ষের ক্ষণগণনা শুরু হয় কবে?
উত্তর: ১০ জানুয়ারি ২০২০ থেকে।
৫। মুজিব বর্ষের ক্ষণগণনা অনুষ্ঠান কোথায় অনুষ্ঠিত হয়?
উত্তর: তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর, ঢাকা।
৬। তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে মুজিব বর্ষের ক্ষণগণনা উদ্বোধন করেন কে?
উত্তর: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
৭। মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ওয়েবসাইট তৈরি করেছে কোন প্রতিষ্ঠান/সরকারের কোন বিভাগ?
উত্তর: সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ।
৮। মুজিব বর্ষ উদ্যাপনে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের তৈরি ওয়েবসাইটের নাম কী?
উত্তর: www.mujib100.gov.bd
৯। মুজিব বর্ষের লোগোর ডিজাইনার কে?
উত্তর: সব্যসাচী হাজরা।
১০। কে কবে মুজিব বর্ষের লোগো উন্মোচন করেন?
উত্তর: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ১০ জানুয়ারি ২০২০।
১১। মুজিব বর্ষের উদ্বোধন করা হবে কবে?
উত্তর: ১৭ মার্চ ২০২০ (জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে)।
১২। ইউনেসকোর কততম সাধারণ অধিবেশনে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়?
উত্তর: ৪০তম।
১৩। ‘মুজিব বর্ষ’ উপলক্ষে কত তারিখকে বিমা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়?
উত্তর: ১ মার্চ।
১৪। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংক কতটি স্মারক মুদ্রা প্রকাশ করবে?
উত্তর: চারটি (একটি স্বর্ণমুদ্রা, একটি স্মারক মুদ্রা, ১০০ টাকা মূল্যমানের একটি স্মারক নোট ও ২০০ টাকা মূল্যমানের স্মারক নোট)।
১৫। ‘মুজিব বর্ষ’ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হ্য়ওয়ার কথা ছিল কবে?
উত্তর: ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০।
১৬। ‘মুজিব বর্ষে’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ সমাবর্তনে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল কার?
উত্তর: নোবেল বিজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়।

১৭। ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সমাবর্তনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সম্মানসূচক কোন ডিগ্রি প্রদান করা হবে?
উত্তর: ডক্টর অব লজ (মরণোত্তর)।
১৮। অমর একুশে বইমেলা ২০২০ কাকে উত্সর্গ করা হয়?
উত্তর: ‘মুজিব বর্ষ’ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে?
১৯। মুজিব শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: উত্তরদাতা।
২০। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে (বর্তমানে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে)।
২১। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মগ্রহণ করেন কবে?
উত্তর: ১৭ মার্চ ১৯২০।
২২। ১৭ মার্চ কী দিবস?
উত্তর: জাতীয় শিশু দিবস।
২৩। বঙ্গবন্ধুর পিতার নাম কী?
উত্তর: শেখ লুৎফর রহমান।
২৪। বঙ্গবন্ধুর মাতার নাম কী?
উত্তর: সায়েরা খাতুন।
২৫। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকনাম কী ছিল?
উত্তর: খোকা।

২৬। বঙ্গবন্ধুর স্ত্রীর নাম কী?
উত্তর: বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব (ডাকনাম রেণু)।
২৭। বঙ্গবন্ধু কোথায় প্রাথমিক শিক্ষা শুরু করেন?
উত্তর: গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
২৮। বঙ্গবন্ধু ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন কোন স্কুল থেকে?
উত্তর: গোপালগঞ্জ সেন্ট মথুরানাথ মিশনারি স্কুল থেকে।
২৯। বঙ্গবন্ধু কোথা থেকে বিএ ডিগ্রি লাভ করেন?
উত্তর: কলকাতার ইসলামিয়া কলেজ থেকে।
৩০। বঙ্গবন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন কবে?
উত্তর: ১৯৪৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে (আইন বিভাগে)।
৩১। বঙ্গবন্ধু ইসলামিয়া কলেজে পড়ার সময় কোথায় থাকতেন?
উত্তর: কলকাতার বেকার হোস্টেলের ২৪ নম্বর কক্ষে।
৩২। ইসলামিয়া কলেজের বর্তমান নাম কী?
উত্তর: মাওলানা আজাদ কলেজ।
৩৩। বঙ্গবন্ধুকে কবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়?
উত্তর: ১৯৪৯ সালের এপ্রিল মাসে।
৩৪। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কবে বঙ্গবন্ধুর ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দেয়?
উত্তর: ১৪ আগস্ট ২০১০।বিজ্ঞাপন

৩৫। বঙ্গবন্ধু কবে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন?
উত্তর: ১৯৩৯ সালে গোপালগঞ্জ মিশনারি স্কুলে পড়ার সময়।
৩৬। বঙ্গবন্ধু কবে প্রথম কারাবরণ করেন?
উত্তর: ১৯৩৮ সালে (সাত দিন)।
৩৭। বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক কারণে প্রথম কবে কারাবরণ করেন?
উত্তর: ১১ মার্চ ১৯৪৮ সালে। (রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে)
৩৮। বঙ্গবন্ধু কবে মুসলিম ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর: ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি।
৩৯। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন গঠিত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের কোন পদে ছিলেন?
উত্তর: যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
৪০। বঙ্গবন্ধু কবে আওয়ামী মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক হন?
উত্তর: ৯ জুলাই ১৯৫৩ (১৯৫৩-১৯৬৬)।
৪১। বঙ্গবন্ধু ১৯৫৪ সালের প্রাদেশিক নির্বাচনে কোন আসন থেকে নির্বাচিত হন?
উত্তর: গোপালগঞ্জ।
৪২। যুক্তফ্রন্ট সরকারে বঙ্গবন্ধু কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান?
উত্তর: কৃষি, সমবায় ও পল্লী উন্নয়ন (১৯৫৪ সালের ১৫ মে)।
৪৩। বঙ্গবন্ধু কবে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন?
উত্তর: ১৯৬৬ সালের ১ মার্চ (ষষ্ঠ কাউন্সিলে)।
৪৪। বঙ্গবন্ধুকে প্রধান আসামি করে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা করা হয়?
উত্তর: ১৯৬৮ সালের ১ জানুয়ারি।
৪৫। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার প্রকৃত নাম কী?
উত্তর: ‘রাষ্ট্রদ্রোহিতা বনাম শেখ মুজিব ও অন্যান্য’।
৪৬। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার বিচার শুরু হয় কবে?
উত্তর: ১৯৬৮ সালের ১৯ জুন (ঢাকা সেনানিবাসে)।
৪৭। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় মোট আসামি ছিল কতজন?
উত্তর: ৩৫ জন (বঙ্গবন্ধুসহ)।
৪৮। বঙ্গবন্ধু কবে ছয় দফা দাবি ঘোষণা করেন?
উত্তর: ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি (লাহোরে)।
৪৯। বঙ্গবন্ধু কবে আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দফা দাবি ঘোষণা করেন?
উত্তর: ১৯৬৬ সালের ২৩ মার্চ ।

৫০। বঙ্গবন্ধু কবে ‘স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ’ গঠন করেন?
উত্তর: ১৯৬০ সালে।
৫১। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয় কবে?
উত্তর: ১৯৬৪ সালের ১১ মার্চ।
৫২। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করে বঙ্গবন্ধুকে কবে মুক্তি দেওয়া হয়?
উত্তর: ১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি।
৫৩। শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি দেওয়া হয় কবে?
উত্তর: ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি রেসকোর্স ময়দানে (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ।
৫৪। শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উপাধি দেন কে?
উত্তর: তৎকালীন ডাকসুর ভিপি তোফায়েল আহমেদ।
৫৫। বঙ্গবন্ধু কবে ‘বাংলাদেশ’ নামকরণ করেন?
উত্তর: ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর।

৫৬। বঙ্গবন্ধু কত তারিখে জনসভায় ৬ দফার প্রশ্নে আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান?
উত্তর: ১৯৭০ সালের ৭ জুন রেসকোর্স ময়দানের জনসভায়।
৫৭। ১৭ অক্টোবর ১৯৭০ বঙ্গবন্ধু তাঁর দলের নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে কোন প্রতীক পছন্দ করেন?
উত্তর: নৌকা।
৫৮। বঙ্গবন্ধুকে কবে ‘জাতির জনক’ উপাধি দেওয়া হয়?
উত্তর: ৩ মার্চ ১৯৭১ (উপাধি দেন আ স ম আবদুর রব)।
৫৯। কবে বঙ্গবন্ধু তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণ দেন?
উত্তর: ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ।
৬০। কোথায় বঙ্গবন্ধু তাঁর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ দেন?
উত্তর: রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান)।
৬১। কোন ভাষণে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দেন?
উত্তর: ৭ মার্চের ভাষণে।
৬২। ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু কয়টি দাবি উপস্থাপন করেন?
উত্তর: ৪টি।
৬৩। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে কী নামে প্রচারিত হতো?
উত্তর: বজ্রকণ্ঠ নামে।
৬৪। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন কবে?
উত্তর: ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে।
৬৫। পাকিস্তান সেনাবাহিনী বঙ্গবন্ধুকে কখন গ্রেপ্তার করে?
উত্তর: ২৬ মার্চ ১৯৭১ (প্রথম প্রহরে)।

৬৬। মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি কে ছিলেন?
উত্তর: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
৬৭। পাকিস্তানের ২৪ বছরে বঙ্গবন্ধু কত বছর কারাগারে কাটিয়েছেন?
উত্তর: ১২ বছর।
৬৮। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক কে ছিলেন?
উত্তর: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
৬৯। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ‘জয় মুজিবুর’ কবিতাটি কে লেখেন?
উত্তর: অন্নদাশঙ্কর রায়।
৭০। ‘বঙ্গবন্ধু’ কবিতাটি কার লেখা?
উত্তর: জসীমউদ্দীন (১৬ মার্চ ১৯৭১)।
৭১। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর আন্তর্জাতিক চাপে পাকিস্তান সরকার কবে বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দেয়?
উত্তর: ৮ জানুয়ারি ১৯৭২।
৭২। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে কয়টি দেশ হয়ে বাংলাদেশে আসেন?
উত্তর: দুটি (ইংল্যান্ড ও ভারত)।
৭৩। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান থেকে প্রথমে কোন দেশে যান?
উত্তর: ইংল্যান্ড (লন্ডন)।
৭৪। লন্ডনে কার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর সাক্ষাৎ হয়?
উত্তর: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথের সঙ্গে (৯ জানুয়ারি ১৯৭২)।
৭৫। লন্ডন থেকে ঢাকা আসার পথে বঙ্গবন্ধু কোথায় যাত্রাবিরতি করেন?
উত্তর: দিল্লি (ভারত)।

৭৬। বিমানবন্দরে বঙ্গবন্ধুকে কে কে স্বাগত জানান?
উত্তর: ভারতের রাষ্ট্রপতি ভি ভি গিরি ও প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী।
৭৭। বঙ্গবন্ধু কত তারিখে দেশে ফেরেন?
উত্তর: ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ (স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস)।
৭৮। বঙ্গবন্ধু কত তারিখে অস্থায়ী সংবিধান আদেশ জারির মাধ্যমে সংসদীয় পদ্ধতির সরকারব্যবস্থা প্রবর্তন করেন?
উত্তর: ১৯৭২ সালের ১১ জানুয়ারি।
৭৯। বঙ্গবন্ধু প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন কবে?
উত্তর: ১২ জানুয়ারি ১৯৭২।
৮০। বঙ্গবন্ধু কবে ভারত সরকারের আমন্ত্রণে ভারত সফর করেন?
উত্তর: ৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২।
৮১। বঙ্গবন্ধু কবে ‘জুলিও কুরি’ পুরস্কারে ভূষিত হন?
উত্তর: ১০ অক্টোবর ১৯৭২ (পুরস্কারে ভূষিত করে বিশ্ব শান্তি পরিষদ)।
৮২। বঙ্গবন্ধু কবে বাংলাদেশে প্রথম সাধারণ নির্বাচনের তারিখ (৭ মার্চ ১৯৭৩) ঘোষণা করেন?
উত্তর: ৪ নভেম্বর ১৯৭২।
৮৩। কত তারিখে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের প্রথম সংবিধানে স্বাক্ষর করেন?
উত্তর: ১৪ ডিসেম্বর ১৯৭২।
৮৪। বঙ্গবন্ধু কবে ‘জোটনিরপেক্ষ আন্দোলন’–এর শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের জন্য আলজেরিয়া যান?
উত্তর: ৬ সেপ্টেম্বর ১৯৭৩।
৮৫। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের যে কারাগারে বন্দী ছিলেন?
উত্তর: মিয়ানওয়ালি কারাগার।
৮৬। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তারে পরিচালিত অভিযানের নাম কী?
উত্তর: অপারেশন ‘বিগবার্ড’।
৮৭। বঙ্গবন্ধু কবে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বাংলায় ভাষণ দেন?
উত্তর: ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর (২৯তম অধিবেশনে)।
৮৮। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে বিশ্বের কতটি দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়?
উত্তর: ১৩০টি।
৮৯। বঙ্গবন্ধুর রচিত কতটি বই প্রকাশ পেয়েছে?
উত্তর: ৩টি (অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা ও আমার দেখা নয়াচীন)।

৯০। বঙ্গবন্ধু প্রকাশিত প্রথম বই কোনটি?
উত্তর: অসমাপ্ত আত্মজীবনী (প্রকাশিত হয় জুন ২০১২ সালে)।
৯১। অসমাপ্ত আত্মজীবনী কতটি ভাষায় অনূদিত হয়?
উত্তর: ১৩টি (সর্বশেষ ইতালীয় ভাষায়, অনুবাদক আন্না কোক্কিয়ারেল্লা)
৯২। বঙ্গবন্ধুর প্রকাশিত দ্বিতীয় বই কোনটি?
উত্তর: কারাগারের রোজনামচা (প্রকাশিত হয় ১৭ মার্চ ২০১৭)।
৯৩। কারাগারের রোজনামচা কতটি ভাষায় অনূদিত হয়েছে?
উত্তর: ২টি (সর্বশেষ অসমীয়া ভাষা, অনুবাদ সৌমেন ভারতীয়)।
৯৪। বঙ্গবন্ধুর প্রকাশিত সর্বশেষ বইয়ের নাম কী?
উত্তর: আমার দেখা নয়াচীন (প্রকাশিত হয় ফেব্রুয়ারি বইমেলা ২০২০)।
৯৫। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লেখা বইয়ের নাম কী?
উত্তর: শেখ মুজিব আমার পিতা।
৯৬। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে মুজিব ভাই বইটি কে লিখেছেন?
উত্তর: এবিএম মূসা।
৯৭। বঙ্গবন্ধুকে কবে সপরিবারে হত্যা করা হয়?
উত্তর: ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট (১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস)।
৯৮। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের আদালতে বিচার শুরু হয় কবে?
উত্তর: ১২ মার্চ ১৯৯৭।
৯৯। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার শেষ হয় কবে?
উত্তর: ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি।
১০০। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের মধ্যে কতজনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে?
উত্তর: ৬ জনের।

সবার আগে Google News আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন

প্রশ্ন : ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটির লেখকের নাম কী?
উত্তর: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

প্রশ্ন : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম কত সালে, কোথায়?
উত্তর: ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়।

প্রশ্ন : বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাজীবন শুরু হয় কোন স্কুলে?
উত্তর: গোপালগঞ্জের গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

প্রশ্ন : বঙ্গবন্ধু ম্যাট্রিক পাশ করেন কোন স্কুল থেকে, কত সালে?
উত্তর: গোপালগঞ্জ মিশনারি স্কুলে, ১৯৪২ সালে।

প্রশ্ন : বঙ্গবন্ধু কলকাতা ইসলামিয়া কলেজের বেকার হোষ্টেলের কত নম্বর কক্ষে থাকতেন?
উত্তর: ২৪ নম্বর কক্ষে।

প্রশ্ন : বঙ্গবন্ধু আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে অভিষিক্ত হন কীভাবে?
উত্তর: ১৯৪৪ সালে কুষ্টিয়ায় অনুষ্ঠিত নিখিল বঙ্গ মুসলিম ছাত্রলীগের সম্মেলনে যোগদানের মাধ্যমে।

প্রশ্ন : বঙ্গবন্ধু কত সালে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সহকারী নিযুক্ত হন?
উত্তর: ১৯৪৬ সালে।

প্রশ্ন : বঙ্গবন্ধু বিএ পাশ করেন কত সালে, কোন কলেজ থেকে?
উত্তর: ১৯৪৭ সালে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ থেকে।

প্রশ্ন : বঙ্গবন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন বিভাগের ছাত্র ছিলেন?
উত্তর: আইন বিভাগের।

প্রশ্ন : বঙ্গবন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কত সালে কেন বহিস্কৃত হন?
উত্তর: ১৯৪৯ সালে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করায় তাঁকে বহিস্কার করা হয়।

প্রশ্ন : বঙ্গবন্ধু জীবনে প্রথম কারাভোগ করেন কত সালে কত তারিখে?
উত্তর: ১৯৩৯ সালে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ সভা করার কারণে তাঁকে কারভোগ করতে হয়।

প্রশ্ন : ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠা লাভ করলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেখানে কী পদ পান?
উত্তর: যুগ্ম সম্পাদক।

প্রশ্ন : ১৯৫২ সালের কত তারিখে রাষ্ট্র ভাষা বাংলার দাবীতে বঙ্গবন্ধু কারাগারে অনশন শুরু করেন?
উত্তর: ১৪ ফেব্রুয়ারি।

প্রশ্ন : যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কোন আসনে বিজয়ী হন?
উত্তর: গোপালগঞ্জ আসনে।

প্রশ্ন : বঙ্গবন্ধু কোন মন্ত্রীসভায় সর্বকনিষ্ঠ মন্ত্রী ছিলেন?
উত্তর: ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রীসভায়।

প্রশ্ন : ১৯৬৪ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সম্মিলিত বিরোধী দল গঠন করা হয়। দলটির নাম কী?
উত্তর: কম্বাইন্ড অপজিশন পার্টি।

প্রশ্ন : বঙ্গবন্ধু মুজিব ছয়দফা ১ম কবে ঘোষনা করেন?
উত্তর: ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬

প্রশ্ন : আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে ৬ দফা গৃহীত হয় কত সালে?
উত্তর: ১৯৬৬ সালের ১৮ মার্চ।

প্রশ্ন : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আনুষ্ঠানিকভাবে কবে ছয়দফা ঘোষনা করেন?
উত্তর: ২৩ মার্চ ১৯৬৬

প্রশ্ন : কোন প্রস্তাবের ভিত্তিতে ছয়দফা রচিত হয়?
উত্তর: লাহোর প্রস্তাব

প্রশ্ন : ছয়দফার প্রথম দফা কি ছিল?
উত্তর: স্বায়ত্বশাসন

প্রশ্ন : ‘বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ’ হিসেবে পরিচিত কোনটি?
উত্তর: ছয় দফা।

প্রশ্ন : আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামী ছিল কত জন? বঙ্গবন্ধু কততম আসামী ছিলেন?
উত্তর: ৩৫ জন। বঙ্গবন্ধু ছিলেন ১ নং আসামী।

প্রশ্ন : আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা কী নামে দায়ের করা হয়েছিল?
উত্তর: রাষ্ট্রদ্রোহীতা বনাম শেখ মুজিব ও অন্যান্য।

প্রশ্ন : শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করা হয় কত সালে?
উত্তর: ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি।

প্রশ্ন : শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি কে দেন?
উত্তর: তৎকালীন ডাকসুর ভিপি তোফায়েল আহমেদ।

প্রশ্ন : কোথায় ‘বঙ্গবন্ধু উপাধি দেওয়া হয়?
উত্তর: রেসকোর্স ময়দানে।

প্রশ্ন : বঙ্গবন্ধু পূর্ব বাংলাকে ‘বাংলাদেশ’ নামকরন করেন কত সালে?
উত্তর: ৫ ডিসেম্বর, ১৯৬৯ ।

প্রশ্ন : বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণ কোথায় দেন?
উত্তর: ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে, যা এখন সোহরাওয়ার্দি উদ্যোন নামে পরিচিতি।

প্রশ্ন : বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণের মূল বক্তব্য কী ছিল?
উত্তর: এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।

প্রশ্ন : বঙ্গবন্ধু কখন স্বাধীনতার ঘোষণা দেন?
উত্তর: ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাত অর্থাৎ ২৬ মার্চে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এরপরই পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে।

প্রশ্ন : ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল গঠিত অস্থায়ী সরকারের বঙ্গবন্ধুর পদ কী ছিল?
উত্তর: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদ ছিল রাষ্ট্রপতি।

প্রশ্ন : বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পান কবে?
উত্তর: ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি।

প্রশ্ন : বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশে ফেরেন কবে?
উত্তর: ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি, যা বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস নামে পরিচিত।

প্রশ্ন : বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন কত তারিখে?
উত্তর: ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি।

প্রশ্ন : বঙ্গবন্ধু প্রথম নেতা হিসেবে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বাংলা ভাষায় বক্তৃতা দেন কত সালে, কত তারিখে?
উত্তর: ১৯৭৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর।

প্রশ্ন : বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে নিহত হন কত তারিখে?
উত্তর: ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট।

প্রশ্ন : বঙ্গবন্ধুর স্ত্রীর নাম কী?
উত্তর: শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব।

প্রশ্ন : বঙ্গবন্ধুর ছেলে–মেয়ে কত জন? তাদের নাম কী?
উত্তর: ৫ জন। তিন ছেলে দুই মেয়ে। শেখ হাসিনা, শেখ কামাল, শেখ রেহানা, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল।

প্রশ্ন : বঙ্গবন্ধু জাদুঘর কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: ঢাকার ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে।

সবার আগে Google News আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন

বিসিএস সহ যেকোন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য জাতির জনক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী একটি গুরত্বপূর্ণ টপিক। সব পরীক্ষায়ই কোন না কোন প্রশ্ন আসেই।

১৯২০, ১৭ মার্চ, গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়া গ্রামে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মগ্রহণ করেন।

১৯২৭: সাত বছর বয়সে গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জাতিরজনকের প্রাতিষ্ঠানিক ছাত্রজীবনের সূচনা হয়।

১৯২৯: বঙ্গবন্ধুকে গোপালগঞ্জ সীতানাথ একাডেমীর (বা পাবলিক স্কুলে) তৃতীয় শ্রেনীতে ভর্তি করা হয়।

১৯৩৪: মাদারীপুরে ইসলামিয়া হাইস্কুলে পড়ার সময় বঙ্গবন্ধু বেরীবেরি রোগে আক্রান্ত হন।

১৯৩৭: অসুস্থতার কারণে বঙ্গবন্ধুর লেখাপড়া বন্ধ ছিলো, আবার তা শুরু হয়।

১৯৩৮: ১৬ জানুয়ারী: বাংলার প্রধামন্ত্রী শেরে বাংলা একে ফজলুল হক গোপালগঞ্জ মিশন স্কুল পরিদর্শনে এলে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তার পরিচয় হয়।

১৯৩৯: সরকারী নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ সভা করার দু:সাহসের কারণে বঙ্গবন্ধু প্রথম কারাবরণ করেন।

১৯৩৮: মাত্র ১৮ বছর বয়সে তিনি বেগম ফজিলাতুননেসার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

১৯৪২: অসুস্থতার কারণে একটু বেশীবছর বয়সে বঙ্গবন্ধু এন্ট্রাস (প্রবেশিকা) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এই বছরেই কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে ভর্তি হন। এই কলেজের বেকার হোষ্টেলের ২৪নম্বর কক্ষে তিনি থাকতে শুরু করেন।

১৯৪৪: কুষ্টিয়ায় অনুষ্ঠিত নিখিল বঙ্গ মুসলিম ছাত্রলীগের সম্মেলনে যোগদান করেন। এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ভাবে তিনি রাজনীতিতে অভিষিক্ত হন। এই বছরই ফরিদপুর ডিষ্টিক্ট এসোসিয়েশনের সম্পাদক নিযুক্ত হন।

১৯৪৬: বঙ্গবন্ধু বিনা প্রতিদ্বদ্বিতায় কলকাতা ইসলামি কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এ সময় তিনি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সহকারী নিযুক্ত হন। এই বছরই প্রদেশিক নির্বাচনে তিনি মুসলিম লীগের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

১৯৪৭ : বঙ্গবন্ধু কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ইসলামিয়া কলেজ থেকে বি.এ পাশ করেন।

১৯৪৭ : ৬ সেপ্টেম্বর, ঢাকায় গণতান্ত্রিক যুব কর্মীদের এক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

১৯৪৮ : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হন।

১৯৪৮ : ২৩ ফেব্রুয়ারী, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিম উদ্দিন উর্দুকে পাকিস্থানের রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে ঘোষণা করলে বঙ্গবন্ধু তার তৎক্ষনিক প্রতিবাদ করেন।

১৯৪৮ : ২ মার্চ, রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবীতে বঙ্গবন্ধুর প্রস্তাবে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়।

১৯৪৮ : ১১ মার্চ, রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবীতে সাধারণ ধর্মঘট আহবানকালে বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হন। ১৯৪৮ : ১৫ মার্চ, বঙ্গবন্ধু কারাগার থেকে মুক্তিপান।

১৯৪৮: ১১ সেপ্টেম্বর: ফরিদপুরের কর্ডন প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলন করার জন্য বঙ্গবন্ধু আবার গ্রেফতার হন।

১৯৪৯ : ২১ জানুয়ারী: বঙ্গবন্ধু কারাগার থেকে মুক্তিপান।

১৯৪৯ : ৩ মার্চ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা তাদের দাবী দাওয়া আদায়ের উদ্দেশ্যে ধর্মঘট ঘোষণা করলে বঙ্গবন্ধু তার প্রতি সমর্থন জানান।

১৯৪৯ : ২৯ মার্চ: আন্দোলনে যোগদেয়ার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বঙ্গবন্ধুকে অযৌক্তিক ভাবে জরিমানা করে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু তার প্রতি সমর্থন জানান।

১৯৪৮ : ২০ এপ্রিল: বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সৃষ্ট আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়।

১৯৪৯ : ২৩ জুন: পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠিত হয় এবং জেলে থাকা অবস্থায় বঙ্গবন্ধু যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন।

১৯৪৯ : ২৭ জুলাই: বঙ্গবন্ধু জেল থেকে মুক্তিপান। মুক্তি পেয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে না গিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন।

১৯৪৯ : পূর্ব বাংলায় দুর্ভিক্ষ শুরু হলে খাদ্যের দাবীতে তিনি আন্দোলন শুরু করেন।

১৯৫০ : ১ জানুয়ারী: এই আন্দোলনের কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

১৯৫২ : ১৪ ফেব্রুয়ারী: বাংলা রাষ্ট্র ভাষার দাবীতে বঙ্গবন্ধু কারাগারে অনশন শুরু করেন।

১৯৫২ : ২১ ফেব্রুয়ারী: রাষ্ট্রভাষার দাবীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদ মিছিলে গুলি চলে। শহীদ হন সালাম, রফিক, বরক সহ অনেকে। জেল থেকে বঙ্গবন্ধু এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দেন এবং একটানা ৩ দিন অব্যাহত রাখেন।

১৯৫২ : ২৭ ফেব্রুয়ারী: টানা অনশনে অসুস্থ বঙ্গবন্ধুকে স্বাস্থ্যগত কারণে মুক্তিদেয়া হয়।

১৯৫৩ : ১৬ নভেম্বর: প্রাদেশিক আওয়ামী মুসলীম লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে তিনি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

১৯৫৩ : ৪ ডিসেম্বর: প্রথম সাধারণ নির্বাচনে সব বিরোধী দল মিলে যুক্তফ্রন্ট গঠন করে।

১৯৫৪ : ১০ মার্চ: সাধারণ নির্বাচনে ২৩৭টি আসনের মধ্যে যুক্তফ্রন্ট ২২৩টি আসনে বিজয়ী হয়। বঙ্গবন্ধু গোপালগঞ্জের আসনে বিজয়ী হন।

১৯৫৪ : ২ এপ্রিল: যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রীসভা গঠিত হয়।

১৯৫৪ : ১৪ মে: বঙ্গবন্ধু যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রীসভায় বয়:কনিষ্ঠ মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।

১৯৫৪ : ৩০ মে: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রী সভা বাতিল করেন। বঙ্গবন্ধু এ দিনই করাচী থেকে ঢাকায় প্রত্যাবর্তন করেন এবং গ্রেফতার হন।

১৯৫৪ : ২৩ নভেম্বর: বঙ্গবন্ধু জামিনে মুক্তি পেলে জেল গেটেই তাকে নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করা হয়।

১৯৫৪ : বঙ্গবন্ধু কারাগার থেমে মুক্তিপান।

১৯৫৫ : ৫ জুন: বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।

১৯৫৫ : ১৭ জুন: ঢাকার পল্টনের জনসভা থেকে বঙ্গবন্ধু প্রথম পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্বশাসন দাবী করেন।

১৯৫৫ : ২১ অক্টোবর: আওয়ামী মুসলিম লীগের বিশেষ কাউন্সিল অধিবেশন ধর্ম নিরপেক্ষতা আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করে দলের নাম থেকে মুসলিম শব্দ প্রত্যাহার করে নতুন নামকরণ করা হয় আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধু পুনরায় দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

১৯৫৮ : ৭ অক্টোবর: জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার শাহেদ আলীর উপর আক্রমন এবং তার মৃত্যুর প্রেক্ষাপটে ইস্কান্দার মির্জা পাকিস্তানে সামরিক শাসন জারী করেন।

১৯৫৮ : ১২ অক্টোবর: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়। এসময় তার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দেয়া হয়।

১৯৫৯ : ৫ অক্টোবর: বঙ্গবন্ধু মুক্তি পান কিন্তু তার গতিবিধির উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়। এ সময় তিনি বার বার গ্রেফতার হন এবং ছাড়া পান।

১৯৬২ : ২ জুন: চার বছরের সামরিক শাসনের অবসান ঘটলে ১৮ জুন শেখ মুজিব মুক্তি লাভ করেন।

১৯৬৪ : ২৫ জানুয়ারী: বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে আওয়ামী লীগকে পুনরুজ্জীবত করা হয়।

১৯৬৪ : ৫, ১১ মার্চ: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিুর রহমানের নেতৃত্বে সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বিরোধি দাঙ্গা প্রতিরোধ কমিটি গঠিত হয়।

১৯৬৪ : ২৬ জুলাই: বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সম্মিলিত বিরোধি দল কঅপ (কম্বাইন্ড অপজিশন পার্টি গঠিত হয়।)

১৯৬৫ : রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কঅপ এর পক্ষ থেকে মিস ফাতিমা জিন্নাহকে প্রার্থী দেয়া হয়। বঙ্গবন্ধু ফাতিমা জিন্নাহর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারনায় অংশ নেন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ১৪দিন আগে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়।

১৯৬৬ : ১৮ মার্চ: আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে ৬ দফা গৃহীত হয়। এরপর তিনি ৬ দফার পক্ষে দেশ ব্যাপী ব্যাপক প্রচারণা শুরু করেন এ সময় তাকে সিলেট, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বার বার গ্রেফতার করা হয়। ৩ মাসে তিনি ৮ বার গ্রেফতার হন। শেষ বার তাকে গ্রেফতার করে নির্জন কারাবাসে রাখা হয়।

১৯৬৮ : ৩ জানুয়ারী: পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধুকে এক নম্বর আসামী করে মোট ৩৫জন বাঙ্গালী সেনা ও সিএসপি অফিসারের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে বিছিন্ন করার অভিযোগে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করে।

১৯৬৮ : ২৮ জানুয়ারী: নিজেকে নির্দোষ দাবী করে আদালতে লিখিত বিবৃতি দেন। এই বিবৃতি পড়ে বঙ্গবন্ধুর মুক্তি ও তার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে আন্দালন গন অভুঙ্খানে রূপ নেয়। ছাত্র সমাজ ছয় দফার সমর্থনে ১১ দফা দাবী উপস্থাপন করে।

১৯৬৯ : ৩০ জানুয়ারী: উদ্ভুত পরিস্থিতি ঠেকাতে আলোচনার জন্য বঙ্গবন্ধুকে প্যারোলে মুক্তির প্রস্তাব দেয় পাকিস্তানী জান্তা সরকার। কিন্তু বঙ্গবন্ধু সে প্রস্তাব ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেন।

১৯৬৯ : ১৫ ফেব্রুয়ারী: ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের অভ্যন্তরে মামলার অন্যতম আসামী সাজেন্ট জহুরুল হককে নির্মম ভাবে হত্যা করা হলে বিক্ষুব্ধ জনতা বাধ ভাঙ্গা বন্যার মতো রাস্তায় নেমে আসে।

১৯৬৯ : ২২ ফেব্রুয়ারী: তীব্র গণআন্দোলনের মুখে সরকার রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবুর রহমান ও অন্যান্য শিরোনামে মিথ্যা মামলাটি প্রত্যাহার করে নেয়।

১৯৬৯ : ২৩ ফেব্রুয়ারী: ডাকসু এবং পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ রেসকোর্স ময়দানে শেখ মুজিবকে এক বিশাল সম্বর্ধনা দেয়ার আয়োজন করে। ঐ সভায় শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করা হয়।

১৯৬৯ : ১০ মার্চ: রাজনৈতিক সংকট নিরসনে আইয়ুব খান গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করেন। গোল টেবিলে ৬ দফার পক্ষে বঙ্গবন্ধু দৃঢ় অবস্থান নেন। তবে ঐ বৈঠক ব্যর্থ হয়।

১৯৬৯ : ২৫ মার্চ: রাওয়াল পিন্ডি গোল টেবিল বৈঠক ব্যর্থ হবার প্রেক্ষিতে আইয়ুব খান ইয়াহিয়া খানের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। ইয়াহিয়া সামরিক শাসন জারী করেন।

১৯৬৯ : ২৮ নভেম্বর: জাতির উদ্দেশ্যে এক বেতার ভাষণে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ১৯৭০ এর ১ জানুয়ারী থেকে রাজনৈতিক কর্মকান্ডের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষনা দেন। ঐ বছরের শেষ ভাগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথাও ঘোষণা করেন।

১৯৭০ : ১ জানুয়ারী: ১৯৫৮ সালের পর প্রথম রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়। বঙ্গবন্ধু প্রথম দিন থেকেই ৬ দফার পক্ষে দেশব্যাপী ব্যাপক প্রচারণা শুরু করেন।

১৯৭০ : ৪ জুন: নির্বাচনকে সামনে রেখে মতিঝিল ইডেন হোটেল প্রাঙ্গনে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের দ্বিবার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশন শুরু হয়। কাউন্সিলে আওয়ামী লীগ একক ভাবে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

১৯৭০ : ৫ জুন: পূর্ব পাকিস্তানের নির্বাচনী এলাকা বিষয়ে সরকারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয়। পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদে ৩১০টি আসন আর জাতীয় পরিষদে ১৬৯টি আসন নিদির্ষ্ট করা হয়।

১৯৭০ : ১৫ আগষ্ট: প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন যথাক্রমে ৭ ও ১৭ ডিসেম্বর।

১৯৭০ : ৮ অক্টোবর: ইসলামাবাদ থেকে ১৯টি রাজনৈতিক দলের প্রতীক ঘোষনা করে নির্বাচন কমিশন। আওয়ামী লীগকে নৌকা প্রতীক বরাদ্দ করা হয়। স্মরনীয় যে, ১৯৫৪ সালে পূর্ব বাংলার সাধারণ নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের প্রতীক ছিলো নৌকা।

১৯৭০ : ২৮ অক্টোবর: বঙ্গবন্ধু বেতার ও টেলিভিশনে নির্বাচনী ভাষণ দেন। তিনি বলে, প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে দিয়েই আওয়ামী লীগের জন্ম। তার সংকটময় পরিস্থিতির মধ্যে দিয়েই আওয়ামী লীগের বিকাশ । তিনি দেশবাসীর কাছে ছয় দফার পক্ষে ম্যান্ডেট চান।

১৯৭০ : ১২ নভেম্বর: পূর্ব বাংলায় ভয়াবহ ঝড় এবং জলোচ্ছাসে ১০/১২ লাখ মানুষ মারা যান। বঙ্গবন্ধু তার নির্বাচনী প্রচারণা স্থগিত করে ত্রাণ কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তিনি এই অঞ্চলের জনগনের প্রতি চরম উদাসীনতা তুলে ধরেন। এই সময় সোনার বাংলা শ্মশান কেনো শিরোনামে তথ্য সম্বলিত একটি পোষ্টার জাতিকে নাড়া দেয়।

১৯৭০ : ৭ ডিসেম্বর: বন্যা-দুর্গত এলাকা বাদে জাতীয় পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে জাতীয় পরিষদে আওয়ামী লীগ ১৬৭টি আসন পেয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করে। পাকিস্তান পিপলস পার্টি পায় ৮৮টি আসন।

১৯৭০ : ১৭ ডিসেম্বর: প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্তান ২৯৮টি আসন লাভ করে।

১৯৭১: ৩ জানুয়ারী: আওয়ামী লীগের সকল নির্বাচিত সদস্য ৬ দফার ভিত্তিতে শাসনতন্ত্র প্রনয়ন তথা ৬ দফা বাস্তবায়নের শপথ গ্রহণ করেন। আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি এই রবীন্দ্র সংগীতের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হয়। বঙ্গবন্ধু জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে বাঙালী জাতির মুক্তির সংকল্প ব্যক্ত করেন। শপথ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী সংগীতের পর জয় বাংলা বাংলার জয়। গানটি পরিবেশিত হয়।

১৯৭১ : ১০ জানুয়ারী: প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ঢাকায় আসেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর সংগে তিন দফা বৈঠক করেন। ৪দিন পর ফিরে আসার সময় তিনি বলেন শেখ মুজিব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন।

১৯৭১ : ২৭ জানুয়ারী: জুলফিকার আলী ভূট্টো ঢাকা এসে বঙ্গবন্ধুর সংগে কয়েকদফা আলোচনা করেন। কিন্তু ভূট্টোর সঙ্গে আলোচনা ব্যর্থ হয়।

১৯৭১ : ১৩ ফেব্রুয়ারী: এক সরকারী ঘোষণায় বলা হয় প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ঢাকায় ৩ মার্চ ১৯৭১ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বান করেছেন।

১৯৭১ : ১ মার্চ: জাতীয় পরিষদ অধিবেশনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠক শুরু হয় হোটেল পূর্বানীতে। ঐ দিনই আকস্মিক ভাবে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনিদিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষনা করেন। সারা বাংলা ক্ষোভে ফেটে পরে। বিক্ষুদ্ধ জনসমুদ্রে পরিণত হয় রাজপথ। বঙ্গবন্ধু এটাকে শাসকদের আরেকটি চক্রান্ত বলে চিহ্নিত করেন। তিনি ২ মার্চ ঢাকায় এবং ৩ মার্চ সারা পূর্ব পাকিস্তানে হরতাল আহবান করেন।

১৯৭১ : ২ মার্চ: ঢাকায় বঙ্গবন্ধুর ডাকে স্বত:স্ফুর্ত হরতাল পালিত হয়। উত্তাল জনস্রোতে ঢাকা পরিণত হয় এক বিক্ষোভের শহরে। জান্তা সরকার ঢাকা শহরের পৌর এলাকায় সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত কারফিউ জারী করেন।

১৯৭১ : ৩ মার্চ: বিক্ষুদ্ধ জনতা কারফিউ উপেক্ষা করে রাজপথে নেমে আসে। সামরিক জান্তার গুলিতে মারা যান ৩জন আহত হন কমপক্ষে ৬০জন। এই সময় পুরো দেশ বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে পরিচালিত হতে থাকে।

১৯৭১ : ৭ মার্চ: বঙ্গবন্ধু তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে এক যুগান্তকারী ভাষনে ঘোষণা করেন, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম। বঙ্গবন্ধুর এই ভাষনে ষ্পষ্ট হয়ে যায় স্বাধীন বাংলাদেশের ভবিষ্যত। সারাদেশে শুরু হয় এক অভূতপূর্ব অসযোগ আন্দোলন।

১৯৭১ : ১৬ মার্চ: বিস্ফোরণমুখ বাংলাদেশে আসেন ইয়াহিয়া খান। বঙ্গবন্ধুর সংগে তার দীর্ঘ আলোচনা শুরু হয়। বঙ্গবন্ধু তার গাড়ীতে কালো পতাকা উড়িয়ে হেয়ার রোডে প্রেসিডেন্ট ভবনে আলোচনার জন্য যান।

১৯৭১ : ১৭ মার্চ: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৫১তম জন্মদিন। এই দিন ইয়াহিয়া খানের সংগে দ্বিতীয় দফা আলোচনা থেকে ফিরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বঙ্গবন্ধু বলে এদেশে জন্ম দিনই বা কি আর মৃত্যু দিনই বা কি আমার জনগনই আমার জীবন।

১৯৭১ : ২৩ মার্চ: কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ প্রতিরোধ দিবস পালনের ঘোষনা দেন। সমস্ত সরকারী এবং বেসরকারী ভবনে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বঙ্গবন্ধু এদিন সরকারী ছুটি ঘোষনা করেন।

১৯৭১ : ২৫ মার্চ: পৃথিবীর ইতিহাসে এক নৃশংসতম কালো রাত্রি ২৫ মার্চ। এদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাসভবনে মানুষের ঢল নামে। সন্ধ্যায় খবর পাওয়া যায় ইয়াহিয়া ঢাকা ত্যাগ করেছেন। এ সময় বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সাথে বৈঠক করেন। তার সাড়ে এগারটায় শুরু হয় অপারেশন সার্চ লাইট। ইতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যা।

১৯৭১ : ২৬ মার্চ: ১২-৩০ মিনিট ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানী সেনাবাহিনী কর্তৃক গ্রেফতার হবার আগে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাবার্তা ওয়ারলেস যোগে চট্টগ্রামের জহুরুল আহমেদ চৌধুরীকে প্রেরণ করেন। চট্টগ্রাম বেতার থেকে আওয়ামী লীগ নেতা হান্নান বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার বানী স্বকন্ঠে প্রচার করেন। পরে ২৭ মার্চ চট্টগ্রামে অবস্থিত অষ্টম ইষ্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের মেজর জিয়াউর রহমান ঐ ঘোষণা পূণ:পাঠ করেন। বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে করাচীতে নিয়ে যাওয়া হয়।

১৯৭১ : ২৭ মার্চ: বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষন এবং স্বাধীনতার ঘোষণার আলোকে বীর বাঙালী গড়ে তোলে স্বত:স্ফুর্ত প্রতিরোধ। শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধের এক গৌরবজ্জল অধ্যায়।

১৯৭১ : ১৭ এপ্রিল: তৎকালীন মেহেরপুর মহকুমার ভবের পাড়ার (বৈদ্যনাথ তলা) আমবাগানে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারে নতুন মন্ত্রীসভা গঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহম্মদ ঘোষণা করেন আজ থেকে (১৭ এপ্রিল) বৈদ্যনাথ তলার নাম মুজিব নগর এবং অস্থায়ী রাজধানী মুজিব নগর থেকে স্বাধীনতা যুদ্ধ পরিচালনা করা হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি এবং তার অনুপস্থিতিতে সৈয়দ নজরুল ইসলামকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হয়।

১৯৭১ : ২৫ মে: ক্রমেই মুক্তিযোদ্ধারা সংগঠিত হতে শুরু করে। সংগঠিত হয় প্রবাসী সরকার। ২৫ মে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র চালু হয়। এই কেন্দ্রের সিগনেচার টিউন ছিলো জয় বাংলা বাংলার জয়। কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রচারিত হতে থাকে। এই কেন্দ্র থেকে প্রচারিত শোন একটি মুজিবরের কন্ঠে…… গানটি বাঙালীর উদ্দীপনা বাড়িয়ে দেয়।

১৯৭১ : ৩ আগষ্ট: পাকিস্তান টেলিভিশন থেকে বলা হয় ১১ আগষ্ট থেকে সামরিক আদালতে বঙ্গবন্ধুর বিচার শুরু হবে। এই ঘোষণায় বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদ এবং উদ্বেগের ঝড় বয়ে যায়। বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর নেতৃত্বে প্রবাসী বাঙালীরা আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন আইনজীবী সন ম্যাকব্রাইডকে ইসলামাবাদে পাঠান। কিন্তু পাকিস্তানী জান্তা সরকার বিদেশী আইনজীবী নিয়োগে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে।

১৯৭১ : ১০ আগষ্ট: পাকিস্তানী জান্তা সরকার বঙ্গবন্ধুর পক্ষ সমর্থনের জন্য আইনজীবী একে ব্রোহীকে নিয়োগ দেয়। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে যখন ২৬ মার্চ ইয়াহিয়া খানের ভাষনের টেপ শোনানো হয় তখন তিনি আত্মপক্ষ সমর্থনে অস্বীকার করেন এবং ব্রোহীকে অব্যহতি দেন। জাতীয় ও আন্তজার্তিক ভাবে বাংলাদেশের পক্ষে ব্যাপক জনমত তৈরী হয়। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতার স্বপ্ন বস্তবতা স্পর্শ করতে থাকে।

১৯৭১ : ১১ নভেম্বর: বঙ্গবন্ধুকে ইয়াহিয়া খানের সামনে হাজির করা হয়। ইয়াহিয়ার সংগে ছিলেন ভূট্টো এবং জেনারেল আকবর। ইয়াহিয়া করমর্দনের জন্য হাত বাড়ালে বঙ্গবন্ধু বলে দুঃখিত ও হাতে বাঙালীর রক্ত লেগে আছে ও হাত আমি স্পর্শ করবো না। এ সময় অনিবার্য বিজয়ের দিকে এগুতে থাকে আমাদের মুক্তির সংগ্রাম।

১৯৭১ : ২ ডিসেম্বর: বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষের মুক্তির সংগ্রাম যখন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে তখন লায়ালাপুর কারাগারে ইয়াহিয়া বঙ্গবন্ধুর সংগে সমঝোতার প্রস্তাব দেন। কিন্তু ঐ সমঝোতা প্রস্তাব বঙ্গবন্ধু ঘৃনাভরে প্রত্যাখান করেন।

১৯৭১ : ১৬ ডিসেম্বর: ত্রিশ লাখ শহীদ এবং তিন লাখ মা বোনের ইজ্জ্বতের বিনিময়ে আসে আমাদের বিজয়। বাঙালী জাতি মুক্ত হয় পরাধীনতার শৃংখল থেকে। কিন্তু মুক্তির অপূর্ণতা রয়ে যায় স্বাধীনতার স্থাপতি তখন নির্জন কারাগারে।

১৯৭২ : ৩ জানুয়ারী: পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে জুলফিকার আলী ভূট্টো করাচীতে ঘোষণা করেন শেখ মুজিবকে বিনা শর্তে মুক্তি দেয়া হবে।

১৯৭২ : ৮ জানুয়ারী: বঙ্গবন্ধু কারাগার থেকে মুক্তি পান। পিআইয়ের একটি বিশেষ বিমানে বঙ্গবন্ধুকে লন্ডনে পাঠানো হয়। ৮ জানুয়ারী ভোরে বঙ্গবন্ধু লন্ডনে পৌছেন। তার হোটেলের সামনে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে তিনি ঘোষণা করেন আমি আমার জনগনের কাছে ফিরে যেতে চাই।

১৯৭২ : ১০ জানুয়ারী: সকালে তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হীথের আগ্রহে ব্রিটেনের রাজকীয় বিমান বাহিনীর এক বিশেষ বিমানে বঙ্গবন্ধু নয়া দিল্লী পৌছালে রাষ্ট্রপতি ভি.ভি গিরি এবং প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরাগান্ধী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান। বিমান বন্দরে বঙ্গবন্ধু বলেন অশুভের বিরুদ্ধে শুভের বিজয় হয়েছে। ঐ দিন বিকেলে ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি বিশেষ বিমানে বঙ্গবন্ধু ঢাকা বিমান বন্দরে অবতরণ করেন। লাখো মানুষের জনস্রোত, বাঁধভাঙ্গা আবেগে অশ্রসিক্ত জাতিরপিতা বলেন আজ আমার জীবনের স্বাদপূর্ণ হয়েছে ।ঐ দিন জনসমুদ্রে বঙ্গবন্ধু হৃদয়কাড়া এক ভাষণ দেন। ঐ রাতেই তিনি রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

১৯৭২ : ১২ জানুয়ারী: দেশে রাষ্ট্রপতি শাসনের পরিবর্তে সংসদীয় শাসন কাঠামো প্রবর্তন করে নতুন মন্ত্রী পরিষদ গঠন করে এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।

১৯৭২ : ১২ মার্চ: স্বাধীনতার মাত্র ৫০ দিনের মধ্যে ভারতীয় সৈন্য প্রত্যাহার শুরু হয়।

১৯৭২ : ২৬ মার্চ: শোষনহীন সমাজ গঠনের অঙ্গীকারের মধ্যে দিয়ে প্রথম স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হয়।

১৯৭২ :২০ এপ্রিল: শুরু হয় গণপরিষদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষনা সম্পর্কিত প্রস্তাব উত্থাপন করলে তা সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হয়।

১৯৭২ : ৪ নভেম্বর: গণপরিষদে বাংলাদেশের খসড়া শাসনতন্ত্র অনুমোদিত হয়। এ উপলক্ষে প্রদত্ত ভাষনে বঙ্গবন্ধু বলেন বিজয়ের ৯ মাসের মধ্যে শাসনতন্ত্র দেয়া, মানুষের মৌলিক অধিকার দেয়ার অর্থ হলো জনগনের উপর বিশ্বাস করি।

১৯৭২ : ১৬ ডিসেম্বর: নতুন সংবিধান কার্যকর করা হয়। বাতিল করা হয় গণপরিষদ।

১৯৭২ : ৭ মার্চ: নতুন সংবিধানের আওতায় বাংলাদেশে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে জাতির জনকের নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ৩০০টির মদ্যে ২৯২টি আসনে বিজয়ী হয়।

১৯৭৩ : ৩ সেপ্টেম্বর: আওয়ামীলীগ, সিপিবি ও ন্যাপের সমন্বয়ে ত্রিদলীয় ঐক্যজোট গঠিত হয়।

১৯৭৪ : ২৩ সেপ্টেম্বর: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম বাঙালী নেতা হিসেবে জাতিসংঘের সাধারণ পরিণষষদে বাংলা ভাষায় বক্তৃতা দেন।

১৯৭৫ : ২৫ জানুয়ারী: দেশে বিরাজমান পরিস্থিতি এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু জাতীয় সংসদে চতুর্থ সংশোধনী বিল পাশ করেন। এই বিলের মাধ্যমে জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়।

১৯৭৫ : ২৫ ফেব্রুয়ারী: রাষ্ট্রপতি এক ডিগ্রীর মাধ্যমে সমস্ত রাজনৈতিক দলের সম্মিলনে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ নামে একটি নতুন একক রাজনৈতিক দল গঠন করেন।

১৯৭৫ : ১৫ আগষ্ট: স্বাধীনতা বিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল চক্রের ষড়যন্ত্রে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে শহীদ হন।

সবার আগে Google News আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন

চাকুরি

    Leave a Comment