ফ্র্যাঞ্চাইজের মৌলিক উপাদানসমূহ আলোচনা কর, ফ্র্যানচাইজ চুক্তিপত্রের অপরিহার্য উপাদানসমূহ আলোচনা কর, ফ্রাঞ্চাইজিং ব্যবসায়ের সুবিধা ও অসুবিধাসমূহ আলোচনা কর

 

https://jobspointbd.com/

My Ads

Google Adsense Ads

প্রশ্ন সমাধান: ফ্র্যাঞ্চাইজের মৌলিক উপাদানসমূহ আলোচনা কর, ফ্র্যানচাইজ চুক্তিপত্রের অপরিহার্য উপাদানসমূহ আলোচনা কর, ফ্রাঞ্চাইজিং ব্যবসায়ের সুবিধা ও অসুবিধাসমূহ আলোচনা কর, ফ্রাঞ্চাইজিং ব্যবসায়ের সুবিধা অসুবিধাগুলো তুলে ধর

ফ্র্যাঞ্চাইজের মৌলিক উপাদানসমূহ আলোচনা কর, ফ্র্যানচাইজ চুক্তিপত্রের অপরিহার্য উপাদানসমূহ আলোচনা কর

বিভিন্ন লেখকের প্রদত্ত সংজ্ঞা ও বিদ্যমান ফ্রাঞ্চাইজি প্রতিষ্ঠানের প্রতি গভীরভাবে মনোনিবেশ করলে ফ্রাঞ্চাইজিং-এর কতগুলো উপাদান পরিলক্ষিত হয়। নিম্নে ফ্রাঞ্চাইজিং-এর উপাদানগুলো আলোচনা করা হলো :

১. নির্দিষ্ট সময় সাপেক্ষ চুক্তি : চুক্তিভুক্ত পক্ষসমূহের অধিকার, দায়িত্ব ও কর্তব্যসমূহ চুক্তির মাধ্যমে একটি সুনির্দিষ্ট সময়ের জন্য লিপিবদ্ধ করা হয়। ঐ সময় পর্যন্ত পক্ষসমূহ তাদের ব্যবসায়িক সুবিধা ভোগ করবে।

২. পণ্য বা সেবার সুষ্ঠু বণ্টন : পক্ষসমূহ চুক্তিতে আবদ্ধ হওয়ার অন্যতম প্রদান উদ্দেশ্য হলো পণ্য বা সেবাসমূহের সুষ্ঠু বণ্টনের সহায়তা করা।

৩. পক্ষসমূহের সম্পদের যথাযথ ব্যবহার : উভয়পক্ষ সম্পদকে একত্রিত করে। বিক্রেতা ট্রেডমার্ক, প্রতিষ্ঠিত সুনাম, পণ্য পদ্ধতি, জনশক্তি অথবা যন্ত্রপাতি দিয়ে অবদান রাখে। অন্যদিকে ক্রেতা সাধারণত পরিচালন মূলধন এবং ব্যবস্থাপকীয় সম্পদসমূহ পরিচালনার জন্য যোগ করে ।

৪. খসড়া চুক্তি : সুনির্দিষ্ট বাজারজাতকরণ পদ্ধতি এবং অনুশীলন অনুসরণের জন্য এই চুক্তির খসড়া তৈরি করা হয়। বিক্রেতার বাজারজাতকরণ কৌশল বা পদ্ধতি এবং তার অনুশীলন কিরূপ হবে তা এখানে খসড়া চুক্তির মাধ্যমে উপস্থাপন করতে হয় ।

৫. বিক্রেতা ও ক্রেতার অংশগ্রহণ : বিক্রেতা এবং ক্রেতা উভয়ই সাধারণ পাবলিক অভিন্নতায় অংশগ্রহণ করে ট্রেড অথবা ট্রেডমার্ক এবং বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, উপর্যুক্ত আলোচ্য বিষয়গুলো ফ্রাঞ্চাইজিং এর মৌলিক উপাদান হিসাবে পরিলক্ষিত হয় যা একে কার্যকর ও সুগঠিত করে ।


আরো ও সাজেশন:-

ফ্রাঞ্চাইজিং ব্যবসায়ের সুবিধা ও অসুবিধাসমূহ আলোচনা কর, ফ্রাঞ্চাইজিং ব্যবসায়ের সুবিধা অসুবিধাগুলো তুলে ধর

যে চুক্তির মাধ্যমে কোনো মুখ্য কোম্পানি তার পণ্য বা সেবা উৎপাদন ও বিক্রয়ের অধিকার অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করে এমন চুক্তিকে ফ্রাঞ্চাইজিং বলে । ফ্রাঞ্চাইজিং এর যেসব সুবিধার পাশাপাশি বেশ কিছু অসুবিধাও পরিলক্ষিত হয়।

সুবিধা : নিম্নে ফ্রাঞ্চাইজিং-এর সুবিধাগুলো আলোচনা করা হলো :

১. পরিচালনা : এর পরিচালনা সহজতর কারণ এটি একটি বড় প্রতিষ্ঠানের ছায়াতলে থাকে। এ ছাড়াও মুখ্য কোম্পানি অনেক সময় এর ব্যবস্থাপকগণের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে বা তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে ৷

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

২. ব্র্যান্ড নাম : চুক্তির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক একটি ব্র্যান্ড স্থানীয়ভাবে | বাজারজাত করার অধিকার অর্জন করে। এটি স্বীকৃত পণ্য বা সেবাসহ স্থানীয় ইউনিটকে শনাক্ত করে। পণ্য বা সেবার ব্র্যান্ড ইমেজ থাকায় উদ্যোক্তা নতুন হলেও কৌশলগতভাবে সে এগিয়ে থাকে ।

৩. পরীক্ষিত পণ্য বা সেবা : বিক্রেতা ক্রেতাকে পরীক্ষিত পণ্য বা সেবা এবং ব্যবসায় পরিচালন পদ্ধতি উপস্থাপন করতে পারে। পণ্য বা সেবা সুপ্রতিষ্ঠিত ও সুপরিচিত হওয়ার কারণে জনগণ কর্তৃক গৃহীত ও সমাদৃত হয় ।

৪. আর্থিক সহায়তা : ফ্রাঞ্চাইজ কোম্পানিতে যোগদান করে একক বিনিয়োগকারী আর্থিক সহায়তার ব্যাপারে নিরাপদ থাকতে পারে। যেকোন ব্যবসায়ের শুরুর দিকের খরচ প্রায়ই বেশি এবং প্রত্যাশিত বিনিয়োগকারীর প্রায়ই কাণ্ড কম থাকে।

একক মালিকের সাধারণত ক্রেডিট রেটিং সীমিত থাকে ফলে তার পক্ষে কাণ্ড ধীরে করা কঠিন কাজ হয়ে পড়ে। কিন্তু সুপ্রতিষ্ঠিত বিক্রেতা সংগঠনের সুনাম এবং আর্থিক নিয়ন্ত্রণের সহায়তার একক বিনিয়োগকারী স্থানীয় ব্যাংকের নিকট ক্রেডিট রেটিং বৃদ্ধি করতে পারে


Paragraph/Composition/Application/Email/Letter/Short Storiesউত্তর লিংক
ভাবসম্প্রসারণ/প্রবন্ধ, অনুচ্ছেদ/ রচনা/আবেদন পত্র/প্রতিবেদন/ চিঠি ও ইমেলউত্তর লিংক

অসুবিধা : নিম্নে ফ্রাঞ্চাইজিং-এর অসুবিধাগুলো আলোচনা করা হলো :

১. অনিশ্চয়তা : ফ্রাঞ্চাইজিং চুক্তি একটি অনিশ্চিত চুক্তি। কেননা চুক্তিপত্রের ফ্রাঞ্চাইজের জন্য ফ্রাঞ্চাইজি কর্তৃক আর্থিক সফলতার নিশ্চিত কোনো স্বীকৃতি থাকে না ।

২. নিয়ন্ত্রণ : ফ্রাঞ্চাইজিরা সাধারণত নতুন হওয়ায় তাদের সরাসরি নিয়োগকৃত অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কর্মচারীদের চেয়ে অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা কম থাকে। তাই সফল ফ্রাঞ্চাইজির জন্য অনেক বেশি নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন হয় ৷

৩. সীমিত পুল : কোনো শহরে সীমিত পুলের সম্ভাবনা থাকতে পারে যেখানে ব্যক্তি ব্যবসায়ী ও ফ্রাঞ্চাইজ ব্যবসায়ী উভয়ই ব্যবসায় করার সুযোগ খুঁজতে পারে। এর ফলে ফ্রাঞ্চাইজের জন্য ফ্রাঞ্চাইজি খুঁজে পাওয়া কঠিন হতে পারে ।

৪. মূল্য : ফ্রাঞ্চাইজি কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যে ফ্রাঞ্জাইজিদের পণ্যদ্রব্য বিক্রয় করতে হয়। এক্ষেত্রে ফ্রাঞ্চাইজগণ বাইরে থেকে কমমূল্যে ক্রয় করে বেশি দামে বিক্রয় করতে পারে না ।

৫. দ্বন্দ্ব : যেকোনো সময় দ্বন্দ্বের কারণে বা অধিক মুনাফার প্রত্যাশায় ফ্রাঞ্চাইজির সম্পর্ক ভেঙ্গে দিতে পারে। তাই ফ্রাঞ্চাইজ চুক্তিকে এক পক্ষীয় চুক্তি নামে অভিহিত করা হয় ।

৬. মুনাফা : ফ্রাঞ্চাইজ ব্যবসায়ে মুখ্য কোম্পানি সাথে মুনাফা ভাগাভাগি করতে হয়।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও

Google Adsense Ads

Google Adsense Ads

Leave a Comment