আজ বিশ্ব যক্ষা দিবস

 

https://jobspointbd.com/

My Ads

Google Adsense Ads

যক্ষ্মা বা যক্ষা (টিউবার্‌কিউলোসিস্‌ বা টিবি) একটি সংক্রামক রোগ যার কারণ মাইকোব্যাক্টেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস (Mycobacterium tuberculosis) নামের জীবাণু (Pathogen)।

“যক্ষ্মা” শব্দটা এসেছে “রাজক্ষয়” থেকে। ক্ষয় বলার কারণ এতে রোগীরা খুব শীর্ণ (রোগা) হয়ে পড়েন ।

যক্ষ্মা প্রায় যেকোনও অঙ্গে হতে পারে (ব্যতিক্রম কেবল হৃৎপিণ্ড, অগ্ন্যাশয়, ঐচ্ছিক পেশী ও থাইরয়েড গ্রন্থি)। যক্ষ্মা সবচেয়ে বেশী দেখা যায় ফুসফুসে। গরুর দুধ পাস্তুরায়ণ প্রচলনের আগে অন্ত্রেও অনেক বেশি হত।

ফুসফুসে যক্ষ্মা হলে হাল্কা জ্বর ও কাশি হতে পারে। কাশির সঙ্গে গলার ভিতর থেকে থুতুতে রক্তও বেরোতে পারে। মুখ না ঢেকে কাশলে যক্ষ্মা সংক্রমণিত থুতুর ফোঁটা বাতাসে ছড়ায়। আলো-বাতাসহীন অস্বাস্থ্যকর বদ্ধ পরিবেশে মাইকোব্যাক্টেরিয়াম অনেকক্ষণ বেঁচে থাকে।

সাধারনত

  • তিন সপ্তাহের বেশি কাশি
  • জ্বর
  • কাশির সাথে কফ এবং মাঝে মাঝে রক্ত বের হওয়া
  • ওজন কমে যাওয়া
  • বুকে ব্যথা, দুর্বলতা ও ক্ষুধামন্দা

ইত্যাদি ফুসফুসের যক্ষার প্রধান উপসর্গ।

প্রতি বছর ২৪ মার্চ যক্ষ্মা  দিবস হিসেবে পালন করা হয়। বিশ্বব্যাপী যক্ষ্মার প্রকোপ দূর করতে যক্ষ্মা দিবস  সচেতনতা সৃষ্টির সুযোগ আনে। এ দিবস  যক্ষ্মা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিশ্রুতিকে আরও দৃঢ় করে।

সাম্প্রতিক সময়ে যক্ষ্মার সংক্রমণ ও যক্ষ্মারোগে মৃত্যুর ঘটনা প্রশংসনীয় হারে কমে এসেছে। ১৯৯০ সালের পর যক্ষ্মা রোগে নিহতের সংখ্যা ৪০ ভাগ কমে এসেছে। এখনও কমছে। দ্রুত যক্ষ্মা রোগ নির্ণয় ও উপযুক্ত চিকিৎসার কারণে যক্ষ্মার প্রকোপ কমে আসছে। তবে এখনও যক্ষ্মা সারা বিশ্বের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

যক্ষ্মা সম্পর্কে কিছু তথ্য

  • ২০১১ সালে সারা পৃথিবীতে প্রায় ৮৭ লাখ মানুষ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে মারা গেছে ১৪ লাখ।
  • ৯৫ ভাগ মৃত্যু ঘটেছে গরিব ‍ও মধ্যআয়ের দেশসমূহে। গরিব শ্রেণির লোকেরা যক্ষ্মায় বেশি আক্রান্ত হয়েছে। তবে বায়ুবাহিত এ রোগ সব শ্রেণির মানুষের জন্যই ঝুঁকিপূর্ণ।
  • ১৫-৪৪ বছর বয়সি নারীদের মৃত্যুর প্রধান তিনটি কারণের একটি যক্ষ্মা।
  • ২০১১ সালে প্রায় পাঁচ লাখ শিশু যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে মারা গেছে ৬৪ হাজার।

চাই যক্ষ্মামুক্ত জীবন

২০১২-১৩ সাল ছিল যক্ষ্মাবিরোধী দ্বিবার্ষিক ক্যাম্পেন চালানো হয়েছিল গোটা পৃথিবীতে। ওই দু’ বছর দিবসটি পালনের জন্য ‘যক্ষ্মা মুক্ত জীবন চাই’কে স্লোগান হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল।

সাস্থ্য

Google Adsense Ads

Google Adsense Ads

Leave a Comment