৫ম শ্রেণির প্রাথমিক বিজ্ঞান বইয়ের ১১শ অধ্যায়ে বালির উল্লেখ আছে

বালি একটি দানাদার উপাদান যা সূক্ষ্মভাবে বিভক্ত শিলা এবং খনিজ কণার সমন্বয়ে গঠিত। বালির বিভিন্ন গঠন আছে তবে এর শস্য আকার দ্বারা একে সংজ্ঞায়িত করা হয়।

বালির দানা নুড়ির চেয়ে ছোট তবে পলির চেয়ে মোটা। বালি ,মাটি বা মাটির মত একটি টেক্সচারাল শ্রেণিকেও উল্লেখ করতে পারে; অর্থাত্ যেসব মাটির ভরের ৮৫% এর বেশি বালি-আকারের কণা তাদের কে বালি হিসেবে বুঝানো হয় ।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের কেমব্রিজে অবস্থিত ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির দেওয়া সংজ্ঞা অনুসারে, ০.০৬ মিমি থেকে ২ মিমি আকারের কণাগুলোকে বালি বলা হয়ে থাকে এবং ২ মিমির চেয়ে বড় কণাগুলোকে নুড়ি বলা হয়।

বালির গঠন স্থানীয় নুড়ি পাথরের উৎস ও বিভিন্ন অবস্থার ওপর নির্ভর করে বিভিন্ন রকম হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বালির সবচেয়ে সাধারণ উপাদান হলো সিলিকা (সিলিকন ডাই-অক্সাইড)।

সিলিকা সাধারণত বালিতে কোয়ার্টজ আকারে থাকে। বালির দ্বিতীয় সাধারণ উপাদান হলো ক্যালসিয়াম কার্বোনেট।

বালি হচ্ছে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদান। পৃথিবীজুড়ে কংক্রিট তৈরির জন্য উপযুক্ত বালির উচ্চ চাহিদা রয়েছে। প্রতিবছর ৫০ বিলিয়ন টন সৈকত বালি ও জীবাশ্ম বালি নির্মাণকাজে ব্যবহারের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। নির্মাণকাজে বালির মূল কাজ হচ্ছে পাথর বা খোয়া ও সিমেন্টের মধ্যে শক্ত বন্ডিং করার সময় ফাঁকা স্থান পূরণ করা। মূলত কংক্রিটের গ্যাপ বা ফিলআপ করাই এর কাজ।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

বাজারে সাধারণত চার ধরনের বালি আমরা বিল্ডিং কনস্ট্রাকশনে ব্যবহার করে থাকি। যেমন—ভিটি বালি (ফিলিংয়ের জন্য), লোকাল বালি (কংক্রিট ঢালাইয়ের জন্য), সিলেট বালি বা লাল বালি (কংক্রিট ঢালাইয়ের জন্য) ও চিকন বালি বা প্লাস্টারের বালি (দেয়ালে প্লাস্টারের জন্য)। বালি কংক্রিটে কী পরিমাণে ব্যবহৃত হবে, সেটা নির্ভর করে কী ধরনের বালি ব্যবহৃত হচ্ছে তার ওপর।

    Leave a Comment