২৫০ শব্দের ডিজিটাল বাংলাদেশ অনুচ্ছেদ লিখুন,৩৫০ শব্দের ডিজিটাল বাংলাদেশ অনুচ্ছেদ লিখুন, ৪৫০ শব্দের ডিজিটাল বাংলাদেশ অনুচ্ছেদ লিখুন, ৫০০ শব্দের ডিজিটাল বাংলাদেশ অনুচ্ছেদ লিখুন

বিষয়: ২৫০ শব্দের ডিজিটাল বাংলাদেশ অনুচ্ছেদ লিখুন,৩৫০ শব্দের ডিজিটাল বাংলাদেশ অনুচ্ছেদ লিখুন, ৪৫০ শব্দের ডিজিটাল বাংলাদেশ অনুচ্ছেদ লিখুন, ৫০০ শব্দের ডিজিটাল বাংলাদেশ অনুচ্ছেদ লিখুন

ডিজিটাল বাংলাদেশ অনুচ্ছেদ | বাংলা ২য় পত্র অনুচ্ছেদ রচনা

ডিজিটাল বাংলাদেশ হচ্ছে সুখী, সমৃদ্ধ দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত বৈষম্যহীন জনগণের রাষ্ট্র এবং যা প্রকৃতপক্ষেই সম্পূর্ণভাবে জনগণের রাষ্ট্র, যার মুখ্য চালিকাশক্তি ডিজিটাল প্রযুক্তি। ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বর্তমান সময়ে রাজনীতি, গণমাধ্যম, বুদ্ধিজীবী ও সুশীল সমাজের বহুল ব্যবহৃত ও বহুল প্রচলিত একটি শব্দ। ২০২১ সালে পালিত হবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী।

তাই বাংলাদেশে এ সময়ের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। উন্নত দেশসমূহের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্যে এটি একটি সময়ােচিত পদক্ষেপ। একটি দেশকে ডিজিটালে রূপান্তরের অর্থ হলাে তাকে একটি ই-স্টেট (e-state)-এ পরিবর্তন করা। অর্থাৎ দেশটির শাসনব্যবস্থা, শিক্ষা, বাণিজ্য, চিকিৎসা, কৃষি ইত্যাদি পরিচালনায় কম্পিউটার এবং ইন্টারনেটের ব্যবহার নিশ্চিত করা। সে লক্ষ্যে মােবাইল ফোন, ইন্টারনেট, কম্পিউটার, ই-লার্নিং, ই-গভর্নেন্স ইত্যাদির সমন্বিত ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। ডিজিটাল প্রযুক্তির অন্যতম অবদান হলাে ইন্টারনেট। দেশের প্রতিটি বিভাগ, জেলা, উপজেলাকে তথ্যপ্রযুক্তির মহাপ্রবাহের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে।

বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ডিজিটাল বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যয়। ২০০৮ সালে সাধারণ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর নির্বাচনি ইশতেহারে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য হচ্ছে এটি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্তরে স্তরে এর অনুন্নত জীবনধারাকে বদলে দিয়ে বাংলাদেশের সমাজকে একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজে রূপান্তর করা । তাই ডিজিটাল বাংলাদেশের নিশ্চয়তা পেতে দ্রুত ও কার্যকর তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে একটি সুশাসিত সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।

সেই লক্ষ্যে বিদ্যুত ঘাটতির সমাধান ,কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কাঠামাের উন্নয়ন ও ইন্টারনেট ব্যবহারে প্রশিক্ষণ, ইংরেজি শিক্ষার উন্নয়ন, সমুদ্রের তলদেশে সাবমেরিন ক্যাবলের উন্নয়নসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে। তাই ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরি করতে গেলে আমাদের উন্নয়নের একটি বিজ্ঞানসম্মত নকশা তৈরি করতে হবে। এ স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে হলে প্রথমেই e-readiness প্ল্যান তৈরি করে তথ্যপ্রযুক্তিতে পারদর্শী মানবশক্তি তৈরি করতে হবে। সর্বোপরি সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি কাজে ইন্টারনেটের ব্যবহার করে স্বচ্ছতা আনা ইত্যাদি বাংলাদেশকে ডিজিটাল পরিবেশ নির্মাণে সহযােগিতা করবে। নানারকম প্রতিবন্ধকতা ও সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এ সময়ের মধ্যেই আমরা তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে জয়লাভ করে বাংলাদেশকে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’-এ পরিণত করবই করব।

ডিজিটাল বাংলাদেশ অনুচ্ছেদটি কেমন হয়েছে ? নতুন কিছু সংযোজন করা যায় বা বাদ দেওয়া প্রয়োজন? কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।


আরো ও সাজেশন:-

অথবা

ডিজিটাল বাংলাদেশ অনুচ্ছেদ | বাংলা ২য় পত্র অনুচ্ছেদ রচনা

ডিজিটাল বাংলাদেশ বলতে সংক্ষেপে বোঝায় সারাদেশের যাবতীয় কর্মকাণ্ডকে আধুনিক কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ও ইন্টারটেন পদ্ধতির মাধ্যমে অর্থাৎ আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গতিশীল, সুসংবদ্ধ, সুসংহত ও সর্বাধিক কার্যকর করা।

ডিজিটাল বাংলাদেশ একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার বহুল আলোচিত সুস্পষ্ট প্রত্যয়। ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ‘সুবর্ণ জয়ন্তী’র আগেই বর্তমান সরকার সারাদেশের সর্বস্তরে ডিজিটালের সুযোগ পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে সর্বস্তরে কম্পিউটার শিক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ব্যবসায়-বাণিজ্যের সর্বত্র ই-কমার্স কার্যক্রম দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে।

ই-গভর্ন্যান্সে ইত্তরণ ঘটানোর জন্য কার্যকর পদক্ষেপ দ্রুত এগিয়ে চলেছে, যাতে বাংলাদেশ ই-স্টেটে পরিণত হতে পারে। ইতোমধ্যে সরকারি অফিস-আদালত, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, যোগাযোগ মাধ্যমের বেশকিছু ক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতি কার্যকর হয়েছে।

তথ্যপ্রযুক্তি পৌঁছে গেছে জেলা উপজেলা এমনকি অনেক ইউনিয়ন পর্যায়েও। অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ফি পরিশোধ করে চিকিৎসকের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও ব্যবস্থাপত্র নেওয়া, কৃষকদের যথার্থ প্রশিক্ষণ দিয়ে মাঠ পর্যায় থেকে সরাসরি কৃষিকর্মকর্তাদের পরামর্শ নেওয়ার সুবিধা কার্যকর করার ব্যবস্থা এগিয়ে চলেছে।

বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি অফিসে নিরাপত্তা বিধানের জন্য ডিজিটাল ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান, মহাসড়কের কিছু স্থান ক্যামেরার আওতায় আনার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সংবাদপত্র ও প্রকাশনার ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি অনেকখানি কার্যকর হয়েছে। ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি ক্রমশ এগোচ্ছে। বিনোদনের ক্ষেত্রে এটি বেশ কার্যকর হয়েছে। স্বদেশ ও বহির্দেশের নানা অনুষ্ঠান, খবরাখবর, মুখোমুখি কথা বলার সুযোগ ‘দূরকে করেছে নিকট’।

আশা করা যায় ২০২০ সালের মধ্যেই সারাদেশের যাবতীয় কার্যক্রম ডিজিটাল নেটওয়ার্কের আওতায় চলে আসবে। নির্মিত হবে গতিশীল, উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।


রচনা ,প্রবন্ধ উত্তর লিংক ভাবসম্প্রসারণ উত্তর লিংক
আবেদন পত্র উত্তর লিংক অনুচ্ছেদ রচনা উত্তর লিংক
চিঠি ও ইমেল উত্তর লিংক প্রতিবেদন উত্তর লিংক
Paragraphউত্তর লিংক Compositionউত্তর লিংক
Applicationউত্তর লিংক Emailউত্তর লিংক
Essayউত্তর লিংক Letterউত্তর লিংক

অথবা

ডিজিটাল বাংলাদেশ অনুচ্ছেদ | বাংলা ২য় পত্র অনুচ্ছেদ রচনা

ডিজিটাল বাংলাদেশ একটি প্রত্যয়, একটি স্বপ্ন। ডিজিটাল বাংলাদেশ হচ্ছে সেই সুখী, সমৃদ্ধ, শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর বৈষম্য, দুর্নীতি, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ। যা প্রকৃতপক্ষেই সম্পর্ণূভাবে জনগনের রাষ্ট্র এবং যার চালিকাশক্তি হচ্ছে ডিজিটাল প্রযুক্তি। এটি বাংলাদেশের জনগণের উন্নত জীবনের প্রত্যাশা, স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা। সেই সাথে বাংলাদেশের মানুষের মৌলিক প্রয়োজন মেটানোর প্রকৃত পন্থা।

একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য যে সমৃদ্ধি ও উন্নতি প্রতিষ্ঠা করার কথা ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ আমাদের সেই স্বপ্ন পূরণ করবে। ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় অঙ্গীকার হচ্ছে ডিজিটাল টুলস ব্যবহার করে দেশ থেকে দারিদ্র্য ও বৈষম্য দূর করা এবং জনগণের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ ন্যূনতম মৌলিক চাহিদা পূরণ করা।

এজন্য জাতীয় পর্যায়ে অবকাঠামোর উন্নয়নের অগ্রাধিকার থাকতে হবে। সারা দেশে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হবে। যাতে করে প্রতিটি ঘরকে তার বা বেতার পদ্ধতিতে ডিজিটাল নেটওয়ার্ক ব্যবস্থায় যুক্ত করা যায়। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের প্রধান রক্ষ্যটি হলো ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্তরে স্তরে এর অনুন্নত জীবনধারাকে বদলে বাংলাদেশের সমাজকে জ্ঞানভিত্তিক সমাজে রূপান্তর করা।

কার্যত এদেশের মানুষের জীবনযাপন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবস্থাপনা, কর্মপদ্ধতি, শিল্প-বাণিজ্য ও উৎপাদন, অর্থনীতি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনধারা এবং জনগণের সরকারসহ সব স্তরের সব কাজকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে রূপান্তর করা। অন্যদিকে রাজনৈতিক লক্ষ্য হলো সরকার, জাতীয় সংসদসহ সব রাজনৈতিক দল ও অন্যান্য রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ডিজিটাল পদ্ধতিতে চালনা করা, যাতে জনগণ সব সময়ই সংসদ, সরকার ও রাজনীতিতে পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে অংশ নিতে পারে। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হলে সেখানে অর্থ ও পেশি শক্তির বদলে মেধা ও জ্ঞানের শক্তির প্রাধান্য থাকবে।

কৃষিভিত্তিক একটি সমাজ থেকে বাংলাদেশ একটি সৃজনশীল ও মেধাভিত্তিক শিল্পোন্নত দেশে পরিণত হবে। আর এই স্বপ্ন পূরণের জন্য সরকার ও জনগণকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে। সর্বোপরি দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে এসব দায়িত্ব পালন করতে হবে।



অথবা

ডিজিটাল বাংলাদেশ অনুচ্ছেদ | বাংলা ২য় পত্র অনুচ্ছেদ রচনা

‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বর্তমান সময়ে বহুল আলোচিত একটি বিষয়। ২০২১ সালে পালিত হবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী। সেই উদ্দেশ্যে এ সময়ের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে।

উন্নত দেশগুলোর সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য এটি একটি সময়োচিত পদক্ষেপ। ডিজিটাল বাংলাদেশ কী, এ বিষয়কে বুঝতে হলে প্রথমেই আমাদের জানতে হবে একটি দেশ কীভাবে ডিজিটাল দেশে পরিণত হতে পারে। একটি দেশকে তখনই ডিজিটাল দেশ বলা যাবে যখন তা ই-স্টেট রাষ্ট্রে পরিণত হবে।

অর্থাৎ ওই দেশের যাবতীয় কার্যাবলি যেমন- সরকারব্যবস্থা, শাসনব্যবস্থা, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা, কৃষি প্রভৃতি কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের সাহায্যে পরিচালিত হবে। তাই একুশ শতকের চ্যালেঞ্চ মোকাবিলায় ডিজিটাল বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যয়।

২০০৮ সালে বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়। সাধারণভাবে বলতে গেলে একটি ডিজিটাল সমাজ নিশ্চিত করবে জ্ঞানভিত্তিক সমাজব্যবস্থা, যেখানে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের কর্মকাণ্ডে অনলাইন প্রযুক্তির প্রয়োগ নিশ্চিত হবে।

ডিজিটাল বাংলাদেশ নিশ্চয়তা দেবে দ্রুত ও কার্যকর তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে একটি সুশাসিত সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলার। সেই লক্ষ্যে বিদ্যুৎ ঘাটতির সমাধান, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কাঠামোর উন্নয়ন ও ইন্টারনেট ব্যবহারে প্রশিক্ষণ, ইংরেজি শিক্ষার ব্যবহারসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে। আরও ভালোভাবে বলতে গেলে বিশ্বব্যাপী তথ্যপ্রযুক্তির দ্রুত প্রসারের ফলে বিশ্বায়ন সম্পর্কে বাংলাদেশ ইতিমধ্যে বহির্বিশ্বের সাথে ডিজিটাল উন্নয়নের চলমান প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ স্থাপন করেছে।


এখানে সকল প্রকাশ শিক্ষা বিষয় তথ্য ও সাজেশন পেতে আমাদের সাথে থাকুন ।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

Leave a Comment